অবশেষে লেবানন পরাজিত হলো মৌলবাদীদের কাছে
অবশেষে লেবানন পরাজিত হলো মৌলবাদীদের কাছে এবং এর পতন অনিবার্য হলো (লেবাননের এই অবস্থা খুবই দুঃখজনক)। ভারতও কি লেবাননের পথেই অগ্রসর হচ্ছে!?
CAA এবং NRC কেন ভারতের অস্তিত্বের শেষ সুযোগ - দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
লেবানন - কী ভুল হতে পারে তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
১৯৭০-এর দশকে, লেবাননকে 'প্যারাডাইস' বলা হত এবং এর রাজধানী বেইরুট ছিল 'প্রাচ্যের_প্যারিস'।
লেবানিজ খ্রিস্টানরা বিশ্বের প্রাচীনতম খ্রিস্টানদের মধ্যে রয়েছে, তার আগে কেবল গোঁড়া আর্মেনিয়ানরা ও মিশরের কোপ্টসরা রয়েছে ।
লেবানন ছিল একটি প্রগতিশীল, সহনশীল এবং বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ, ঠিক যেমনটি আজ ভারতের রয়েছে।
লেবাননে মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, যেখানে সমগ্র আরব থেকে ছাত্ররা পড়াশোনা করত। এবং তারপরে তারা সেখানে থাকতেন এবং কাজ করতেন।
লেবানিজ ব্যাংকিং ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাংকিং সিস্টেম ।
তেল না থাকা সত্ত্বেও লেবাননের একটি দুর্দান্ত অর্থনীতি ছিল।
লেবাননের সমাজের প্রগতিশীলতার অনুমান ৬০ এর দশকের হিন্দি ছবি "An Evening in Paris" থেকে পাওয়া যায়, যা সেসময় লেবাননেও নির্মিত হয়েছিল (প্যারিসে নয়) !
এখন দেখা যাক তাদের দুঃখের দিন কি করে সমাগত হলো.....
লেবাননের ই.সলামী জনসংখ্যা অবিচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে খ্রিস্টানদের তুলনায় এবং তাদের শিক্ষার অভাবের কারণে বাচ্চারা আস্তে আস্তে র্যাডিকালাইজড হতে থাকে !!
১৯৭০-এর দশকে জর্ডানে অশান্তি শুরু হয়ে ছিল এবং লিবারাল লেবানন (পড়ুন তাদের মু.সলিম নেতারা) "সত্যিকারের সহানুভূতি" দেখানোর জন্য "প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের" জন্য দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল !!
যাই হোক, ১৯৮০ সালের মধ্যে লেবানন ঠিক একই অবস্থায় পৌঁছল আজ সিরিয়া যেমন রয়েছে তেমন !!
জিহাদীরা, যারা "শরণার্থী" হিসাবে প্রবেশ করেছিল, দেশীয় খ্রিস্টানদের জাতিগত নির্মূলকরণ শুরু করে যার ফলে অগণিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল!
কেউ বাঁচাতে আসেনি এবং যে লোকেরা এই সহিংসতার সাথে সামঞ্জস্য করতে পারেনি, তারা লেবানন থেকে অভিবাসন করে চলে গেছে।
মৃত্যু ও দেশত্যাগের ফলস্বরূপ, লেবাননের খ্রিস্টান জনসংখ্যা, যা ১৯৭০ সালে ৬০% ছিল, ৩০ বছরে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৩৭% এসে দাঁড়াল!
আসলে, লেবাননের বাইরে লেবাননের আরও বেশি লোক বসবাস করছে এবং তাদের ফিরে আসার অধিকারকে মু.সলিম সংখ্যাগরিষ্ঠরা আইন দ্বারা বন্ধ করে দিয়েছে। মানে লেবাননের যারা আদি অধিবাসী ছিল (খ্রিস্টানরা), যারা সে সময় অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, তাদের জন্য দরজা বন্ধ এখন লেবাননের !!
লেবাননের এই দুঃখের গল্পটার বয়েস মাত্র ৩০ বছর!
লেবাননের ইতিহাস থেকে ভারত কে শিখতে হবে। রোহিঙ্গাদের মতো জিহাদীশক্তির বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের মু.সলমান অনুপ্রবেশকারীদের এবং দেশের ভিতরকার শত্রুদের বিরুদ্ধেও সতর্ক হওয়ার দরকার আছে !!
এজাতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবেন কি না, যারা ক্রুসেডারদের সাথে যুক্ত দল, প্রতিষ্ঠান, জনগণ, অভিনেতা, অন্যান্য মিডিয়া যারা CAA এবং NRC বয়কট বা বাতিল করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে সরব হবেন কি না, সেই নির্ণয় আপনাকেই নিতে হবে।
মৃন্ময় বিশ্বাস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন