শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

'নান'রা সব যিশুখ্রিস্টের স্ত্রী ? সত্যি বলছি কি ?

 'নান'রা সব যিশুখ্রিস্টের স্ত্রী ? সত্যি বলছি কি ?

যীশুখ্রীস্টকে বিয়ে করে আজীবন কুমারী থাকেন যে সব 'নান' নারীরা !

যীশুখ্রীস্টের সঙ্গে জেসিকা হেসের বিয়ে।

ছবির উৎস,TODAY’S CATHOLIC/JOE ROMIE

ছবির ক্যাপশান,

যীশুখ্রীস্টের সঙ্গে জেসিকা হেসের বিয়ে।

কনের সাজে জেসিকা হেস বেদিতে এসে দাঁড়ালেন। তার পরনে বিয়ের সাদা গাউন, মাথায় অবগুণ্ঠন এবং হাতের আঙ্গুলে বিয়ের আংটি। বিয়ের মন্ত্র পড়তে তিনি এখন বিশপের মুখোমুখি। কিন্তু তার পাশে বরের সাজে কেউ নেই। থাকার কথাও নয়। কারণ জেসিকা বিয়ে করছেন যীশুখ্রীস্টকে।

জেসিকা হেসের বয়স এখন ৪১। এখনো তিনি কুমারী। ক্যাথলিক চার্চের নিয়ম অনুযায়ী ঘোষণা করেছিলেন, একমাত্র ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে বধূ হিসেবে সমর্পণ করবেন।

ক্যাথলিক চার্চে যারা এরকম শপথ নেন, তাদের শপথ অনুষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো করেই কনের পোশাক পরতে হয়। এরপর প্রতিজ্ঞা করতে হয়, আজীবন কৌমার্য রক্ষা করবেন। কারও সঙ্গে কোন ধরণের প্রেমের বা যৌন সম্পর্কে জড়াবেন না। তারা হাতের আঙ্গুলে একটি বিয়ের আংটিও পরেন।

তবে কি তারা অ-প্রেমের এবং অযৌন সম্পর্ক রাখতে পারেন ?

সূত্র : বিবিসি নিউজ বাংলা


কন্যারত্ন

 

কন্যারত্ন


এই দিনে
4 বছর আগে
17 নভেম্বর, 2019 
সবাই-এর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে
সবাই
ফটোর কোনো বিবরণ নেই।

Chaitali Chowdhury একটি নতুন ফটো যোগ করেছে।



সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

দেখুন ! দেখুন ! হিন্দুরা দেখুন ! শিখুন ! শিখুন ! হিন্দুরা শিখুন ! ইউটিউব দেখুন ! সনাতন-সনাতনীরা দেখুন !

 

দেখুন ! দেখুন ! হিন্দুরা দেখুন ! শিখুন ! শিখুন ! হিন্দুরা শিখুন ! ইউটিউব দেখুন ! সনাতন-সনাতনীরা দেখুন !

Decoding Global Islamic Theo-political network || Neeraj Atri & Tanmay Kelkar

Neeraj Atri

ভূত চতুর্দশী ১৪ শাক এবং

 ভূত চতুর্দশী  ১৪ শাক এবং

" ভূত চতুর্দশী এবং ১৪ শাক ভাজা " !
-------------------------------------------------------------
দীপাবলির আগের দিন " ভূত চর্তুদশী " যার সঙ্গে ১৪ সংখ্যাটি ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত ৷এবারে পড়েছে আজ শনিবার ২০২৩ ৷
এদিন দুপুরে আমরা ১৪ রকম শাক ভাজা খাই ৷ সন্ধ্যায় ১৪ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে ভূত তাড়াই ৷ আবার ১৪ পুরুষকে স্মরণ করি ৷ঋতু পরিবর্তনের সময় ১৪ শাক খাওয়ার ওষুধি গুণ রয়েছে ৷এর পিছনে আয়ুর্বেদ সম্মত ব্যাখ্যা আছে - এই সময় যেহেতু ঠান্ডার আমেজ এসে যায়, হাওয়ায় ভাসে হিম, দিনে গরম রাতে ঠান্ডা যা থেকে নানারকম রোগ সৃষ্টি হয়, তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্যে এই চোদ্দশাক খাওয়ার প্রথা। বাজারে প্রচলিত যে শাকগুলো খেলেও সমান উপকৃত হবেন এমন ১৪ টি শাক ও খেতে পারেন। শাক গুলো হলো পালং শাক, লাল শাক, সুষণি শাক, বেতো শাক, কালকাসুন্দা, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক, গুলঞ্চ শাক, মূলো শাক, কলমি শাক, সরষে শাক, নোটে শাক, মেথি শাক, লাউ শাক অথবা হিঞ্চে শাক৷
আবার ১৬ শতাব্দীর বিশিষ্ট স্মতিশাস্ত্রকার রঘুনন্দন তাঁর নির্ণয়া মৃতে গ্রন্থে লিখেছেন ,
" ওলং কেমুকবাস্তুকং সার্ষপং নিম্বং জয়াং ৷/
শালিঞ্চীং হিলমোচিকাঞ্চ পটুকং শেলকং গুড়ুচীন্তথা ৷/ ভন্টাকীং সুনিষন্নকং শিবদিনে খাদন্তি যে মানবাঃ / প্রেতত্বং ন চ যান্তি কার্ত্তিকদিনে কৃষ্ণে চ ভূতে তিথৌ ৷"

আয়ুর্বেদ বা কবিরাজি শাস্ত্রে এই ১৪ শাকের গুণ অসীম৷ ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ের নানা রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধে আমাদের শাস্ত্রে ১৪ শাক খাওয়ার প্রচলন হয়েছে ।কোন শাক কী রোগ প্রতিরোধ করে আপনাদের জন্য রইল সেই তথ্য৷ এই শাকগুলি -
১. বেতো শাক ( Chenopodium album)কৃমিনাশক, কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্বল প্রতিরোধক। বেতো বা বাস্তুক শাক চৈতন্য চরিতামৃত মতে ভগবানে ভক্তি বাড়ায় ৷ মুখে রুচি ফেরায় ৷
২. কালকাসুন্দে -অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, ফিসচুলা, হুপিং কাশি, দাদ ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়৷
৩. নিমের উপকারিতা অনেক , বিশেষতঃ চর্মারোগে ৷ ম্যালেরিয়া, জন্ডিস, এইডস, কুষ্ঠতে ৷এছাড়া, কৃমি, খোস-পাঁচরা, ক্ষত, স্বপ্নদোষ নির্মূল করে৷
৪. জয়ন্তী শাক বহুমূত্র, শ্বেতী , জ্বর এবং কৃমি নাশকের কাজ করে৷ সদ্য প্রসূতিদের জন্য খুব উপকারী৷ কাঁচা সর্দ্দিতে উপকারী ৷
৫. গুলঞ্চপাতার রস সেবনে কুষ্ঠ, বাতরক্ত, জ্বর, পিত্তদোষজনিত বিকৃতি ও কৃমিরোগ নষ্ট হয়৷
৬. সুষনি শাক হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক অস্থিরতা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। নার্ভের সমস্যা দূর করে ৷ ঘুম আনে ৷
৭. পলতা পাতা বা পটলের শাক (Trichosanthes dioica) ,এই শাক যে কোন শ্বাসের রোগে কার্যকরী। এরা রক্তবর্ধক এবং লিভার ও চামড়ার রোগ সরাতে এদের প্রভূতভাবে ব্যবহার করা হয়। পিত্ত রোগে অতুলনীয় ৷
৮. হিঞ্চে ( Enhydra fluctuans)শাকে ফাইটোস্টেরল সহ বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদার্থ থাকে। হিঞ্চে খেলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। অর্থাৎ রক্তাল্পতা দূর করে ৷ শুধুমাত্র পিত্তনাশক হিসাবেই নয়, রক্তশোধক হিসাবে, ক্ষুধাবর্ধক এবং জ্বর নির্মূলকারী হিসাবে এর ব্যবহার অপরিসীম৷
৯. পালং শাক জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই শাক বিশেষ উপকারী। পোড়াঘায়ে, ক্ষতস্থানে, ব্রণে বা কোথাও ব্যথায় কালচে হয়ে গেলে টাটকা পালং পাতার রসের প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং আয়রন। এজন্য পালং শাক খেলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যায়।
১০. লালশাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লালশাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১১. পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। তবে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘এ’-এর পরিমাণই বেশি। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে আছে ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম , দস্তা এবং লোহা বা আয়রণ। এই শাক কিছুটা গুরুপাক। তাই আমাশার রোগীদের তা না খাওয়া উচিত। রক্তে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে বাতজনিত সমস্যা দেখা যায়। তাদের এ সমস্যা আছে তাদেরও বর্জন করা উচিত পুঁইশাক। এতে প্রচুর আঁশ আছে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।
১২. কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি,পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ, থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারি।
১৩. নোটে শাক পিত্তনাশক, রক্ত পরিষ্কার করে ও মেদ কমায়৷
১৪. মেথি শাকের গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই শাক তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ হতাশা কাটাতে ও ডায়বেটিসের জন্য মেথি শাক খুব উপকারি৷ এছাড়া, যৌনক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই শাক৷ যমের ১৪ টি নামে চোদ্দো শাকের নাম ৷
যম, ধর্মরাজ , মৃত্যু , অন্ত , বৈবস্বত , কাল , সর্বভূতেশ্বর , ঔড়ম্বর , দধ্ন , নীল , পরমেষ্ঠী , বৃকোদর , চিত্র, এবং চিত্রগুপ্ত ৷
ভূত চতুর্দশীতে পিতৃস্তোত্র পাঠ করা হয় ৷ ওঁআদ্য-ভূতায় বিদ্মহে সর্ব-সেব্যয় ধীমহি, শিব-শক্তি-গঠিত পিতৃ-দেব প্রচোদয়াৎ।।
ওঁ পিতৃ স্তোত্রম্ — বাস উবাচ— শৃণু বিপ্র প্রবক্ষ্যামি পিতৃস্তোত্রং মহাফলম্। পঠনীয়ং প্রযত্নেন তনয়ৈভক্তি পূর্বকম্ ॥১॥ নমঃ পিত্রে জন্মদাত্রে সর্বদেবময়ায় চ। সুখদায় প্রসন্নায় সুপ্রীতায় মহাত্মনে ॥ ২ ॥ সর্বযজ্ঞ স্বরূপায় স্বর্গায় পরমেষ্ঠিনে। সর্বতীর্থাবলোকায় করুণাসাগরায় চ ॥৩॥ পিত্রে তুভ্যং নমো নিত্যং সদারাধ্যায়বাচিনে। বিমল জ্ঞানদাত্রে চ নমস্তে গুরবে সদা ॥ ৪ ॥ নমস্তে জীবনাধিক্যদর্শিনে সুখহেতবে। নমঃ সদাশু তোষায় শিবরূপায় তে নমঃ ॥৫॥ সদাপরাধনাশায় সুখদ সুখদায় চ। সুরলোক প্রদাত্রে চ নমঃ সৌভাগ্যদায়িনে ॥৬ ॥ দুর্লভং মানুষমিদং যেন লব্ধং ময়াবপুঃ। সম্ভাবনীয়ং ধর্মার্থে তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ ॥ ৭ ॥ ইদং স্তোত্রং পিতুঃ পুণ্যং যঃ পঠেৎ প্রযতো নরঃ। প্রত্যহং প্রারুথায় পিতৃশ্রাদ্ধ দিনেঽথবা ॥ ৮ ॥ স্বজন্মদিবসে সাক্ষাৎ পিতৃরগ্রে কৃতাঞ্জলিঃ। ন তস্য দুর্লভং কিঞ্চিৎ সর্বজপ্যাদিবাঞ্ছিতম্ ॥ ৯ ৷৷ নানাপকর্মকৃত্বাপি যঃ ভৌতি পিতরং সুতঃ। স ধ্রুবং প্রবিধায়ৈত প্রায়শ্চিত্তং সুখী ভবেৎ ॥ ১০॥অকর্মণ্যস্ত যঃ ভৌতি পিতরং সুরভাবতঃ। পিতুঃ প্রীতিকরো নিত্যং সর্বকর্মান্বিতো ভবেৎ ॥
শাস্ত্রীয় ধারণা এই দিনে প্রেতলোক থেকে আত্মারা পৃথিবীতে নেমে আসে। যে সব আত্মারা প্রেতলোক প্রাপ্ত হয়। যারা স্বর্গ/নরক কোনটাতেই যেতে পারে না, তারা এই দিনে পৃথিবীর পরিচিত মন্ডলে ফিরে আসে ৷ এই একদিন তাঁদের উল্কাদান বা প্রদীপ দিয়ে আলো দেখানো হয়, এতে তাঁদের পথপ্রদর্শন হয় এবং তারা আনন্দিত হয়। বলা হয় " ওঁ শস্ত্রাশস্ত্রহস্তানাঞ্চ ভূতানাং ভূতদশয়োঃ মন্ত্র ৷এদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে মরশুম বদলের রোগ থেকে এবং কীটপতঙ্গ মারতে ব্যবহার হয় ৷ আমাদের এই দেহ পঞ্চভূতের সমষ্টি। আকাশ, ভূমি, জল, অগ্নি , ও বায়ু ৷ অন্ধকার থেকে আলোর দিকে - রোগ থেকে আরোগ্যের পথে যাওয়াই চোদ্দ শাকভাজা খাওয়ার কারণ ৷
দেহান্তে শ্মশানে দেহ দাহ হলে এই শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়। সুতরাং এই পঞ্চভূতের শরীরকে নশ্বর জ্ঞানে এই দিনটি পবিত্র ভাবে থেকে চোদ্দশাক খাওয়ার প্রথা এসেছে ৷পরলোকের অধিপতি "যম",
ধর্মগ্রন্থে আছে এই কার্তিকের টানের সময়ে যমালয়ের আটটি দরজা খোলা থাকে ৷ তাই , শরীর সুস্থ রাখার জন্য ১৪ শাক খাওয়া চালু হয় ৷
" হিন্দুর ভূত চর্তুদশী আর খ্রিস্টানদের হ্যালোউইন "! .... প্রায় একই সময়ে দুই সম্প্রদায় ভূত - পেতনি
বা প্রেতাত্মাদের তুষ্ট করার এমন উৎসব পালন করে ৷ কার্তিক মাসের অমাবস্যার কালীপুজো বা দেওয়ালীর ঠিক আগের দিন বা ধনতেরাসের পরের দিন আমরা বাঙালি হিন্দুরা পালন করি "ভূত চর্তুদশী " ! অন্য জায়গাতেও হিন্দুরা কৃষ্ণ পক্ষের এই ১৪তম দিনে রামচন্দ্রের ১৪ বছর বনবাসের স্মরণে প্রদীপ বা বাতি জ্বালায় ৷ এদিন
দুপুরে আমরা ১৪ শাক খাই ৷ যা স্বাস্থ্য সম্মত ৷ বিভিন্ন জায়গায় রকমফের থাকে শাকের ৷ আমরা বেতো , সরষে (Brassica campestris) , শুষনি ( Marsilea quadrifolia) মানসিক চাপ , উচ্চ রক্তচাপ ও ঘুমের সমস্যায় কাজ দেয় , নিম ( Azadirachta indica), ওল ( Amorphophallus campanulatus ), জয়ন্তী ( Sesbania sesban),
হিলঞ্চে বা হিঞ্চে , পলতা , কালকাসুন্দে ,মূলো , পালং , নটে ও সজিনা শাক মিশিয়ে খাই ৷ অনেকে কলমি ,পাট , গিমে, ওল ( Amorphophallus campanulatus), ঘেঁটু বা ভাঁট ( Clerodendrum infortunatum )কুমড়ো শাকও চোদ্দটির মধ্যে সহজলভ্য হলে খায় ৷কলমি শরীরে জলসাম্যতা বজায় রাখে ৷গিমে শাক লিভার ও জন্ডিসে ভাল ৷সজনে শাক বাতে বা হাত পায়ের ব্যথায় ভাল কাজ করে ৷বেতো শাক বা Chenopodium album - এ পর্যাপ্ত জৈব এসিড থাকে ৷ হিঞ্চে হাঁপানি ও ডায়রিয়ায় উপকারী ৷ কালকাসুন্দা বাSenna sophera নানা রোগহর বলেছে প্রাচীন আয়ুর্বেদ ৷
আগে বাড়ীতে মাটির প্রদীপ তৈরী করে সন্ধ্যায় জ্বালানো হত ৷ ধর্মরাজ বা যমকে উদ্দেশ্য করে যম প্রদীপ দেওয়া হত ৷ এখন মোমবাতি , অন্য প্রদীপ ইত্যাদিও জ্বালানো হয় ৷ এদিনের আরেক নাম "নরক চতুর্দশী" ৷ দেবতাদের অনুরোধে শ্রীকৃষ্ণ এদিন নরকাসুরকে বধ করে তার হাতে বন্দি ষোল হাজার নারীকে উদ্ধার করে মর্যাদা দেন ৷
মনে করা হয় এদিন উদ্ধর্তন ১৪ পুরুষ জীবিতদের কাছে আসেন ৷ ঠিক এক মাস আগের মহালয়ার মত এটাও মৃতদের স্মৃতিতর্পণ বলা যায় ৷ বাড়ির সবদিক আলোকিত করা হয় ভূত তাড়াতে ৷ সারা পৃথিবীতে ৩১ অক্টোবর পালিত হয় এমনই এক উৎসব হ্যালোউইন ( Helloween) বা অল সোলস ডে বা প্রেতাত্মার দিন বা অল হ্যালোস ইভ বা অল সেইন্টস ইভ ৷পৌত্তলিক রোমানদের থেকে সারা বিশ্বে খ্রিস্টানদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়েছে ৷ একসময় ব্রিটেন , জার্মানীতে বসবাসকারী কেল্টরা 'সামহেইন' নামে একটা উৎসব পালন করতেন ৷ তাঁরা মনে করতেন দুনিয়ায় সবকিছু দুরকমের আলো বা আঁধার , সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য , ইতিবাচক বা নেতিবাচক ৷ ৬০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ পোপ গ্রেগরীর আহ্বানে তাঁরা খ্রিস্টধর্ম নিলেও নিজেদের উৎসব একটু ভিন্নভাবে বজায় রাখেন ৷ ডাইনি , জম্বি , ভ্যাম্পায়ার , ওয়াউলভস , প্রেতাত্মা
দের জন্য ৷ নিশীথ রাতে কুমড়োর ভিতরে নাক , চোখ , মুখ তৈরি করে হ্যালোউইন বা হ্যালোইন পালন করা হয় ৷অনেকে ভূত সাজে ৷
॰॰॰॰॰ ডাঃদীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
৯৭৩২২১৭৪৮৯
1 জন-এর একটি ছবি হতে পারে