রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হঠাৎ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে.....


     হঠাৎ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে.....

      ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু



Sujit Kul গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥

 
Sujit Kul
#হঠাৎ_গ্রেফতার_হলে_কী_করবেন ? কিছু আইনি পরামর্শ, জেনে রাখুন:
(1) বিনা ওয়ারেন্ট অথবা 41CRPC নোটিশ না দিয়ে পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে না।
(2) গ্রেফতারের সময় আপনাকে গ্রেফতারের কারণ, গ্রেফতারকারী অফিসারের নাম, গ্রেফতারের সময় ও স্থান সম্পর্কিত একটি মেমো পুলিশ আপনাকে বা আপনার বাড়ির লোককে দিতে বাধ্য। এই জিনিসটি অবশ্যই চেয়ে নেবেন। মামলার ক্ষেত্রে এটির গুরুত্ব অপরিসীম।
(3) গ্রেফতার করার 24 ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আপনাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হাজির করতে বাধ্য এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া আর একদিনও আপনাকে অতিরিক্ত আটকে রাখতে পারে না। কোর্ট ছুটি থাকলে সেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেটের বাড়িতে আপনাকে হাজির করাতে হবে।
(4) মহিলা পুলিশ ছাড়া কোনওভাবেই কোনও মহিলাকে গ্রেফতার বা তল্লাশী চালানো যায় না।
(5) আইন অনুযায়ী পুলিশ লক আপে আপনাকে কোনওপ্রকার শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করতে পারে না। এমনকি চড় মারতেও পারে না।
এবার জেনে নিন কীভাবে পুলিশ আপনাকে হয়রানি করতে পারে ও এক্ষেত্রে কী করবেন: সাধারণ ভাবে সরকারবিরোধী, শাসক দল বিরোধী কোনও পোষ্টের জন্য পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ বাক স্বাধীনতার অধিকার আমাদের সংবিধানে স্বীকৃত। কিন্তু পুলিশ মামলা দায়ের করে অন্য ধারায়। আপনি পুলিশী হয়রানির শিকার হতে পারেন যদি আপনি আপনার ফেসবুক পোষ্টে -
ক) অশ্লীল কোনো শব্দ ব্যবহার করেন
খ) ভিত্তিহীন গুরুতর অভিযোগ করেন
গ) চরিত্রহনন করেন
এই সমস্ত বিষয়গুলি তাই এড়িয়ে চলুন। স্বেচ্ছায় পুলিশের হাতে অস্ত্র তুলে দেবেন না। স্থানীয় রেপুটেড কোনও ক্রিমিন্যাল আইনজীবী, স্থানীয় মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী এবং মিডিয়ার ফোন নাম্বার হাতের কাছে রাখুন। বাড়ির লোককেও নাম্বারগুলি দিয়ে বলে রাখুন আপনাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেলে এই নাম্বারগুলিতে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করতে।
Contact:
Committee for Protection of Democratic Rights (CPDR)
C/o Adv. Suresh Rajeshwar
Poddar Chambers (4th Floor), S. A. Brelvi Marg, Mumbai 400001
Email: cpdr2014@gmail.com
National Human Rights Commission (NHRC)
C/o Shri Damodar Sarangi, IPS (Retd)
Manav Adhikar Bhawan, Block-C, GPO Complex, New Delhi 110023
9777579400, 9040079404
011 24651330/24663333
Email: sprep2.nhrc@nic.in, dssarangi@yahoo.com
কোনও ব্যক্তি পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন জানতে পারা মাত্র তার পাশে দাঁড়ান। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে খবরটি ছড়িয়ে দিন। মনে রাখবেন, আপনি যদি অন্যের পাশে না দাঁড়ান তাহলে আপনার বিপদে আপনার পাশেও কেউ দাঁড়াবে না।

টারক ফাতে


    টারক ফাতে


    ফেসবুক থেকে          শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু

আমার চোখে দেখা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম ব্যক্তিত্ব "টারেক ফাতেহা" যাকে ভারতবর্ষের প্রতিটি হিন্দু সম্মানের চোখে দেখে।
কিন্তু আফসোস এইটাই, একটা শত্রু দেশের মুসলিম ভারতের প্রতিটি হিন্দুদের মন জয় করে নিতে পারলো, আর যারা এখানকার নাগরিক তারা ভারতে থেকেও আরবকে খুশী করার জন্য সারাজীবন তাদের গোলামিই করে গেল।

গাঁজা


     গাঁজা


     ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু



শিবের গাঁজা খাওয়া প্রকৃত ব্যাপারটা কী ?
অনেক মুসলমানই শিবকে নিয়ে এই ভাবে কটুক্তি করে যে, শিব গাঁজা খায়, আর গাঁজাখোর শিবকে হিন্দুরা পূজা করে, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
যারা এই ভাবে কটূক্তি করে, তারা জানে না শিবের আসল পরিচয় এবং তারা এটাও জানে না যে, গাঁজা আসলে কোনো মাদকদ্রব্য নয়। এই দুটি বিষয় সবার কাছে পরিষ্কার হবে, আজকের এই পোস্টে।
প্রথমেই বলি শিব কে ?
হিন্দুশাস্ত্র মতে, সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর হলো পরমব্রহ্ম, যাকে শুধু ব্রহ্মও বলা হয়। পরমাত্মারূপে এই ব্রহ্ম সবকিছুর মধ্যে বিরাজিত, এই জন্যই হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে,
“সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”
এর অর্থ হলো- সকলের মধ্যে ব্রহ্ম বিদ্যমান। - (ছান্দোগ্য উপনিষদ, ৩/১৪/১, বেদান্ত দর্শন)
পরমব্রহ্ম, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, এই তিনটি রূপে তার কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। ব্রহ্ম, যখন সৃষ্টি করেন, তখন তার নাম ব্রহ্মা; যখন তিনি পালন করেন, তখন তার নাম বিষ্ণু; যখন তিনি বিনাশ করেন, তখন তার নাম শিব বা মহেশ্বর। কিন্তু আমরা স্থূল দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করে ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে বিভক্ত করে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরে এই তিনভাগে বিভক্ত করেছি এবং এই তিনটি সত্ত্বাকে আলাদা আলাদা তিনটি রূপ দান করেছি। প্রকৃতপক্ষে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়, এগুলো জাস্ট তিনটি নাম এবং এই তিনটি নাম পরমব্রহ্ম বা ঈশ্বরের তিনটি কার্যকরী রূপের নাম মাত্র।
ব্রহ্ম এবং ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের ব্যাপারটা সহজে বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন, প্রধানমন্ত্রী বা মূখ্যমন্ত্রীর হাতে তিনটি পৃথক মন্ত্রণালয় রয়েছে; তো যখন প্রধানমন্ত্রী বা মূখ্যমন্ত্রী যে মন্ত্রণালয়ের হয়ে কাজ করেন বা ফাইলে সই করেন, তখন তিনি কিন্তু সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন, কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা মূখ্যমন্ত্রী। ব্রহ্মও ঠিক সেরূপ, তিনি যখন যে কাজ করেন, তখন সেই রূপের নামে কাজটি করেন, সেই তিনটি নামই হলো- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর।
এই ব্যাপারটা আর একটু পরিষ্কার করার জন্য বলছি, অনেকে বা সকলেই জানেন যে, বিষ্ণু হলো পালন কর্তা। তাহলে বিষ্ণুর অবতারদের তো যুদ্ধ, ধ্বংস, বিনাশ এই সব করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিষ্ণুর আংশিক অবতার রাম কি যুদ্ধ করে রাবনের বংশকে বিনাশ করে নি ? বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার শ্রীকৃষ্ণ কি নিজে কংস, শিশুপাল, নরকাসুরকে হত্যা করে নি ? কৃষ্ণ কি ভীমের মাধ্যমে জরাসন্ধ, দুর্যোধনকে হত্যা করায় নি ? কৃষ্ণ, পাণ্ডবদের মাধ্যমে কুরুবংশকে ধ্বংস করে নি ? বিষ্ণু যদি কোনো আলাদা সত্ত্বা হতো আর তার কাজ শুধু যদি পালন করা হতো, তাহলে কি সে এই যুদ্ধ, বিনাশগুলো করতো ? আসলে এগুলো করিয়েছেন ব্রহ্ম, আমাদের শাস্ত্রকাররা তাদেরকে শুধু বিষ্ণুর অবতার হিসেবে কল্পনা করে ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করেছেন মাত্র। না হলে পৃথিবীতে এত বিষ্ণুর অবতার, সেই তুলনায় ব্রহ্মা ও শিবের কোনো অবতার নেই কেনো ? আসলে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তো আলাদা কেউ নয়। ব্রহ্ম, যখন সৃষ্টি করেন, তখন তারই নাম ব্রহ্মা; যখন তিনি পালন করেন, তখন তারই নাম বিষ্ণু এবং যখন তিনি বিনাশ করেন, তখন তারই নাম শিব বা মহেশ্বর; যে কথা বলা আছে গীতার এই শ্লোকে-
“অবিভক্তংচ ভূতেষু বিভক্তমিব চ স্থিতম্।
ভূতভর্তৃ চ তজজ্ঞেয়ং গ্রসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ।।”
অর্থ- পরমেশ্বরকে যদি যদিও সমস্ত ভূতে বিভক্তরূপে বোধ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। যদিও তিনি সর্বভূতের পালক, তবু তাঁকে সংহার কর্তা ও সৃষ্টিকর্তা বলে জানবে।
এতক্ষণে পাঠক-পাঠিকাদেরকে নিশ্চয় এটা বোঝাতেপেরেছি যে, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর আলাদা আলাদা কেউ নয়, তারা একই ব্রহ্মের বিভিন্ন রূপ।
একটু আগেই বলেছি, আমাদের শাস্ত্রকাররা তাদেরকে শুধু বিষ্ণুর অবতার হিসেবে কল্পনা করে ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করেছেন মাত্র।
তার মানে আমাদের মুনি ঋষিরা- বিশ্বের সৃষ্টি, পালন ও ধ্বংসের থিয়োরিকে ব্যাখ্যা করার জন্য প্রকৃতি রূপ ঈশ্বর বা ব্রহ্মকে সর্বশক্তিমান হিসেবে ধরে নিয়ে, তার প্রধান তিনটি রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর এবং তার পরবর্তী অন্যান্য দেব-দেবীগুলোকে কল্পনা করে নিয়েছেন মাত্র। এই বহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এবং অন্যান্য দেব-দেবী কোনো দিনই বাস্তব পৃথিবীতে ছিলো না, তাই তাদেরকে নিয়ে যেসব পৌরাণিক গল্প, তা কোনো দিন পৃথিবীতে ঘটে নি; আমাদের শাস্ত্রকাররা, বিভিন্ন দেব-দেবীকে নিয়ে যেসব গল্প লিখেছে, তার মূল কারণ সেই সব গল্পের মাধ্যমে লোকশিক্ষা দেওয়া।
তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, দেব-দেবীরা যদি বাস্তব পৃথিবীতে কখনো না এসে থাকে, তাহলে তাদের কি কোনো শক্তি নেই ? অবশ্যই আছে। কোনো অঙ্কের সমাধানের জন্য আমরা যেমন এক্স ওয়াই জেড ধরে নিই, যদিও সেই অঙ্কের মধ্যে এক্স ওয়াই জেড নাই, কিন্তু অঙ্কের সমাধানের পর আমরা কিন্তু এক্স ওয়াই জেড এর একটি মান ঠিকই পাই, যেটা ঐ অঙ্কের ক্ষেত্রে এক্স, ওয়াই, জেড এর মান বা শক্তি। তেমনি বিশ্বের সৃষ্টি, পালন ও ধ্বংসের মহাজটিল অঙ্কের সমাধানের জন্য আমাদের মহাগণিতবিদ মুনি-ঋষিরা, এক্স-ওয়াই-জেড রূপ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে কল্পনা করে নিয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাদের যে মান বা শক্তি পেয়েছেন, তাহলো- ব্রহ্মা= সৃষ্টি, বিষ্ণু= পালন, শিব= ধ্বংস এবং এরকম আরো ইত্যাদি ইত্যাদি।
দেব-দেবীরা যে কাল্পনিক, এই কথা মেনে নিতে যদি কারো মনে এখনও দ্বিধা থাকে বা কষ্ট হয়, তাদের জন্য আরও কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। আমাদের মুনি ঋষিরা পৃথিবীর প্রত্যেকটি শক্তিসত্তাকে কোনো না কোনো দেবতা হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। যেমন- বাতাসের যে শক্তি, সেটা একজন দেবতা, নাম পবনদেব। জলের শক্তি বরুনদেব। আগুনের শক্তি অগ্নিদেব। মাটির যে শক্তি, সেও একজন দেবী, মাতা বসুন্ধরা। এই ভাবে প্রকৃতির সব শক্তিই হিন্দুদের কোনো না কোনো দেব-দেবীরূপে পূজিত। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তিশালী প্রাণীও হিন্দু দেব-দেবীদের সহযোগীশক্তি, যেমন- সিংহ, হাতি, ময়ূর, ইঁদুর, হুনুমান ইত্যাদি। প্রকৃতির যে সকল শক্তির মাধ্যমে আমরা টিকে থাকি, সেই সকল অদৃশ্য ও দৃশ্যমান শক্তি, এই ভাবে হিন্দু শাস্ত্রে পূজিত বা শ্রদ্ধার পাত্র।
প্রকৃতিতে প্রভাব বিস্তার করা- আগুন, জল, বায়ুর মতো শক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে অন্যান্য যে শক্তি বা দেব-দেবীর কথা হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়, সেগুলো যে আমাদের মুনি-ঋষিদের ধরে বা কল্পনা করে নেওয়া, আশা করছি- সেই বিষয়টি এখন পাঠকদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। এর সাথে আরো একটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার যে, পৃথিবীতে যার জন্ম হয় নি, তার দুটি জিনিসের কখনো প্রয়োজন হবে না, সে দুটি জিনিস হলো খাদ্য ও যৌনতা। অবতারগণ পৃথিবীতে জন্মেছিলেন, তাই তাদের খাদ্যের ও যৌনতার প্রয়োজন ছিলো। এই জন্যই রাম, কৃষ্ণ- খাবার খেয়েছেন এবং বিয়ে করেছেন এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যে শিবের কখনো পৃথিবীতে জন্মই হয় নি, তার খাবারের প্রয়োজন হবে কেনো ?
দেব-দেবীরা কাল্পনিক, এই কথা মেনে নিতে যাদের এখনও অসুবিধা হচ্ছে, তাদের জন্য বলছি- পরশুরাম, রাম, বলরাম, কৃষ্ণ, এরা পৃথিবীতে জন্মেছিলেন, তাই এদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কালী, কার্তিক, গণেশ- এদের কি কখনো মৃত্যু হয়েছে ? এদের মৃত্যু সম্পর্কে কি আপনি কিছু জানেন বা বলতে পারবেন ? পারবেন না। কারণ, আগেই বলেছি, যারা পৃথিবীতে জন্ম নেয় নি, তাদের যেমন খাদ্যের ও যৌনতার প্রয়োজন হবে না, তেমনি তাদের কখনো মৃত্যুও হবে না। অবতারগন ছাড়া কোনো দেব-দেবীর মৃত্যুর কোনো ইতিহাস বা ঘটনা নেই, এই ঘটনা ই প্রমান করে যে, পৃথিবীতে তারা কখনো এবং কোনোদিনই ছিলেন না।
এবার নিশ্চয় প্রমাণিত যে, শিব পৃথিবীতে জন্ম নেয় নি; তাহলে যে পৃথিবীতে জন্ম নেয় নি, তার কোনো খাদ্যের প্রয়োজন হবে না, যেটা আগে বলেছি। তাহলে শিবের গাঁজা খাওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে ?
শিব যে কখনো গাঁজা খায় নি বা শিবের যে গাঁজা খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, সেই বিষয়টি নিশ্চয় এতক্ষণে পাঠকেদর কাছে পরিষ্কার হয়েছে। তাহলে এর পরের প্রশ্ন হচ্ছে- শিবের নামে এই অপবাদের উৎপত্তি আসলে হলো কিভাবে ?
আমাদের মুনি-ঋষিরা ধ্যান করতেন। ধ্যান আসলে গবেষণা। হিন্দিতে ধ্যান শব্দের অর্থ মনোযোগ। তার মানে কোনো কিছুর প্রতি মন নিবিষ্ট করাই হলো ধ্যান। আর যেখানে মন নিবিষ্ট হয়, সেখানেই কোনো নতুন কিছুর উদ্ভব বা আবিষ্কার হয়। এই ধ্যান বা গবেষণা করতে গিয়ে আমাদের মুনি-ঋষিরা উপলব্ধি করেছিলেন, প্রকৃতির লক্ষ লক্ষ গাছ পালার মধ্যে রয়েছে অজস্র ভেষজ বা ঔষধি গুন। এ থেকেই তারা আবিষ্কার করেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্র, যা পৃথিবীর প্রথম চিকিৎসা জ্ঞান। এই চিকিৎসা জ্ঞান বেদের অংশ বলেই এর নাম আয়ুর্বেদ। অর্থাৎ বেদ এর যে জ্ঞান মানুষের আয়ু বাড়ায় তাই আয়ুর্বেদ। এই আয়ুর্বেদ বলছে, গাঁজার রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুন, যা স্বল্পমাত্রার ব্যবহারে মানুষ তার উপকার পেতে পারে।
কিন্তু গাঁজা খেলে যেহেতু একধরণের নেশা হয় এবং মানুষ এটা বার বার খেতে বাধ্য হয়, তাই আধুনিক যুগ শুরু হলে, অনেকেই এটাকে মাদক হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে এবং এটা এবং এর সেবনকারীরা, সমাজে একেবারে ঘৃণিত না হলেও তারা সমালোচনার পাত্র হয়ে পড়ে।
স্বল্প পরিমানের গাঁজা খাওয়ার যে বিজ্ঞানভিত্তিক কী উপকারিতা, সেটা আমি একটু পরেই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো; কিন্তু গাঁজা খেলে যে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কাজে বা কোনো বিষয়ে গভীর মনোযোগের সৃষ্টি হয় বা গাঁজা সেবনকারী কোনো বিষয়ে গভীরভাবে মনোযোগ দিতে পারে, এটা কিন্তু বাস্তবভাবে প্রমাণিত। এজন্যই আমাদের মুনি-ঋষিরা তাদের ধ্যান বা গবেষণায় মনোযোগ বৃদ্ধির সুবিধার্থে স্বল্প পরিমান গাঁজা সেবন করতেন।
আমাদের মুনি ঋষিদের পরম্পরা হলো বর্তমানের সাধু-সন্ন্যাসী, এই পরম্পরা চলে আসছে প্রায় ৮/১০ হাজার বছর আগে থেকে; তো মুনি ঋষিরা যা করতেন, তার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে এখনও আছে। এই ভাবে সমাজ সংসার ত্যাগ করা, পাহাড় জঙ্গল শ্মশানে বিচরণকারী সাধু-সন্ন্যাসীদের মধ্যে গাঁজা সেবনের প্রচলন এখনও আছে এবং প্রাচীন বা মধ্যযুগেও ছিলো। কিন্তু মধ্যযুগের শেষ এবং আধুনিক যুগের শুরুর দিকে যখন গাঁজাকে মাদক হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হলো, তখন সাধু-সন্ন্যাসীদের মতো ব্যক্তি কেনো গাঁজা খায়, এই প্রশ্নের জবাবে আমাদের সাধু-সন্ন্যাসীরা বিব্রত হলো; কারণ, এর ভেষজগুন সম্পর্কে তাদের কোনো স্পষ্ট এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা ছিলো না, কিন্তু তারা যেহেতু খায় এবং তাদেরকে যেহেতু এটা খেতে হবে, তাই আত্মপক্ষ সমর্থন ক’রে এটা সেবনের জন্য তারা বলে দেয়, আমাদের মহাদেব শিবও গাঁজা সেবন করতেন এবং শিবের বেশ ভূষা যেহেতু সাধু সন্ন্যাসীদের মতোই এবং সে সব সময় থাকে ধ্যানমগ্ন, সেহেতু শিবের সাথে গাঁজা সেবনের এই গল্প খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যায় এবং লোকজন তা বিশ্বাস করে ফেলে।
এভাবেই সমাজে শিবের গাঁজা সেবনের গল্প ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত তা মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুনাকরের অন্নদামঙ্গল কাব্যের মাধ্যমে তা লোকমনে একেবারে সুপ্রতিষ্ঠিত রূপ পায়; কারণ, সেই কাব্যে বলা আছে, স্বয়ং শিবঠাকুর গাঁজা-ভাং খেয়ে কচুরিপানায় উপর দিয়ে দিব্যি হেঁটে বেড়াতেন। এইসব বিবেচনা থেকেই বাংলা গান বানানো হয়েছে,
“গাঁজার নৌকা পাহাড় বাইয়া যায়।”
মূলত বন জঙ্গল পাহাড়ে বসবাসকারী ও বিচরণকারী আমাদের স্বল্পজ্ঞানী সাধু সন্ন্যাসীরা নিজেদের গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য মহাদেব শিবের উপর এই কলঙ্ক লেপন করে এবং যেহেতু মনে করা হয় যে, সাধু সন্ন্যাসীরা শাস্ত্র পড়ে এবং তারা শাস্ত্র সম্পর্কে ভালো জানে এবং যেহেতু বেশ ভূষা ও ধ্যানমগগ্নতার দিক থেকে শিব হলো সাধু-সন্ন্যাসীদের রোল মডেল, সেহেতু জনসমাজে শিবের নামে গাঁজা খাওয়ার এই অপপ্রচার খুব সহজেই বিশ্বাসযোগ্যভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
যা হোক, অপপ্রচার করে যতই শিবের নামে গাঁজা খাওয়ার অপবাদ দেওয়া হোক, একটা প্রশ্নে এই থিয়োরি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়বে, আর তা হলো, পৃথিবী যে শিব জন্ম নেয় নি, তার খাবারের প্রয়োজন হবে কেনো ? আর যদি কেউ বলে, পৃথিবীতে শিব ছিলেন। তখন তাকে প্রশ্ন করবেন, তাহলে সেই শিব মরলেন কোথায় এবং কিভাবে ? ব্যস, দেখবেন সব চুপ।
আমাদের মুনি-ঋষিরা তাদের ধ্যান বা গবেষণায় গাঁজার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছিলেন এবং তা লিপিবদ্ধ করেছিলেন আমাদের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে; আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের সেই কথাই নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণায়, এবার নজর দেওয়া যাক সেই দিকে।
গাঁজা, পুরুষের বন্ধ্যাত্বকে দূর করে:
হ্যাঁ,এমনই অবিশ্বাস্য কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গাঁজার নেশা করলে তা গিয়ে প্রভাব ফেলে ব্রেনের ক্যানাবিনয়েড রিসেপটরে, এই ক্যানাবিনয়েড রিসেপটরে গাঁজার ধোয়া যখন তা পৌঁছায় তখন তা স্পার্ম উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এইভাবে সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম পুরুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাঁজা ফলদায়ক। ডিটেইলস রিপোর্টি দেখত হলে ক্লিক করুন নিচের এই লিঙ্কে:
http://zeenews.india.com/…/marijuana-can-help-in-infertilit…
গাঁজা খেলে ভালো থাকে চোখ :
হ্যাঁ, এরকমই কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। গাঁজা খেলে রাত্রিকালীন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। কারণ, গাঁজার মধ্যে রয়েছে ক্যানাবিনয়েডস, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। গাঁজার উপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়েছেন কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল গবেষক। তাদের গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। তারা বলেছেন, গাঁজার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আলো শনাক্তকরণ ক্ষমতা। মারিজুয়ানা বা গাঁজা বা ক্যানাবিস-এ রয়েছে ৫০০টি প্রাকৃতিক যৌগ। এরমধ্যে কমপক্ষে ৮৫টি যৌগ মিলে তৈরি করে ক্যানাবিনয়েডস। যারমধ্যে সবচেয়ে বেশি গুণসম্পন্ন হল THC বা টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল ও CBD বা ক্যানাবিনল। বিস্তারিত রিপোর্টটি পাবেন নিচের এই লিঙ্কে :
http://zeenews.india.com/…/marijuana-can-cause-this-benefit…
গাঁজা প্রতিরোধ করে অ্যালঝেইমারস :
বয়স হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার রোগ অ্যালঝাইমার এর উদাহরণ রয়েছে সারা বিশ্বে। ডায়বেটিস, ওবেসিটির মতোই বর্তমান সময়ের অন্যতম দুঃশ্চিন্তার বিষয় অ্যালঝাইমার। এই অসুখের চিকিৎসা এখনও অজানা বিশ্বের কাছে। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে গাঁজার মধ্যে খুব কম পরিমানে থাকা ডেল্টা-৯- টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা টিএইচসি রুখে দিতে পারে অ্যালঝাইমারকে।
ইউনিভার্সিটি অফ সাইথ ফ্লোরিডার নিউরোসাইন্টিস্টরা জানাচ্ছেন বয়স্ক মস্তিষ্কের অ্যামাইলয়েড বিটার পরিমান কমিয়ে দিতে পারে গাঁজা সেবন। গবেষকরা বলেন খুব কম পরিমানে গাঁজা সেবনের ফলে ধরে রাখা যাবে স্মৃতিশক্তি। গবেষকরা এখন টিএইচসি-র মধ্যে ড্রাগ ককটেলের ব্যবহার নিয়ে গবেষনা করছেন।
দেখুন, জার্নাল অফ অ্যালজাইমারস ডিজিসে প্রকাশিত হয়েছে গবেষনার রিপোর্ট।
http://zeenews.india.com/…/marijuana-can-beat-aljhimers_120…
এছাড়াও দেখুন, গবেষকরা বলছেন পরিমাণমতো গাঁজা ওষুধ হিসেবে সেবন করলে নাকি অনেক উপকার৷ বিজ্ঞানীদের বাতলে দেওয়া এমনই নয়টি উপকার তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে !
মৃগীরোগ কমায় :
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৩ সালেই জানিয়েছেন, মারিজুয়ানা বা গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা এই ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়৷ বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্সে ছাপাও হয়েছে তাদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব৷
গ্লুকোমা দূরে রাখতে সহায়তা করে :
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, মারিজুয়ানা গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়৷ গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধত্ব ডেকে আনে৷ এখানে মারিজুয়ানা বলতে যা বোঝানো হচ্ছে, তা গাঁজারই আমেরিকান নাম।
গাঁজা, ক্যানসারেরও ‘অ্যানসার’!
এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবেই স্বীকার করেছে৷ ২০১৫ সালে সেই দেশের ক্যানসার বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয়, মারিজুয়ানা অনেক ক্ষেত্রে টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধকেরও ভূমিকা পালন করে৷
কেমোথেরাপির ক্ষতি কম :
ইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে, মারিজুয়ানা ক্যানসার রোগীর রোগ যন্ত্রণা অন্যভাবেও কমায়৷ ক্যানসার রোগীকে এক পর্যায়ে কেমোথেরাপি নিতে হয়৷ কেমোথেরাপির অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া৷ মারিজুয়ানা কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত অনেক ক্ষতি লাঘব করে৷
স্ট্রোক কম হয় :
এটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষকদের উদ্ভাবন৷ তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, মারিজুয়ানা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে৷ ফলে স্ট্রোক-এর ঝুঁকি কমে৷
গাঁজা মাল্টিপল সক্লেরোসিস বিরোধী:
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের একটি বিশেষ স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে ‘মাল্টিপল সক্লেরোসিস’ বা এমএস নামের এক ধরণের স্নায়ুরোগ হয়৷ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মারিজুয়ানা সেবন করলে এই রোগের ঝুঁকিও কমে৷
ব্যথা নিরোধ :
ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা বলছেন, ক্যানাবিস সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম৷
হেপাটাইটিস ‘সি’-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায় :
হেপাটাইটিস সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমায় মারিজুয়ানা৷ নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধের মতো গাঁজা সেবন করিয়ে দেখা গিয়েছে এই রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৮৬ ভাগেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক কমেছে।
উপরের এই প্রতিবেদনটি যে আমার বানানো নয়, তার প্রমান পাবেন নিচের এই লিঙ্কে গেলে।
http://www.chandpurweb.com/health/2016/04/21/25051
গাঁজা শরীরের বিষ-ব্যথা সারায়:
একটু আগেই অন্য একটা রিপোর্টে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছি, এখানে করছি বিস্তারিত। গাঁজার এই উপকারের কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসা শাস্ত্র অর্থাৎ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বর্তমানে গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানার ওপর গবেষণা করে জেনেছেন যে, এ সব দ্রব্য থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব, যা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সের বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট। এর নেতৃত্ব দিয়েছে আইএনএসইআরএম। ফ্রান্সের গবেষকরা জানান, 'তারা ইঁদুরের মস্তিষ্কের যে অংশের কোষের নিউরনে গাঁজা বা মারিজুয়ানা ক্রিয়া করে তা ওষুধ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রিয় করেন প্রথম। এর পর ওই ইঁদুরের শরীরে এসব পদার্থ প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে যে, তাতে ইঁদুরটি বেহুশ হয় না। বরং ওটির প্রাণচাঞ্চল্য ঠিকই থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যথানাশক হিসেবে গাঁজা বা মারিজুয়ানার ভালো গুণ মানুষের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই গাঁজা ও মারিজুয়ানার নির্যাস থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এ ওষুধ প্রস্তুত হবে।
গাঁজার ক্ষতি সিগারেটের চেয়ে কম :
যারা গাঁজাকে খুব নিম্নশ্রেণির নেশা বলে মনে ক’রে সিগারেট ফুঁকেন, তাদের জন্য আছে দাঁত ভাঙ্গা জবাব। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ভাং ও গঞ্জিকা সেবনে ফুসফুসের ক্ষতি, তামাক পাতায় প্রস্তুত সিগারেটের চেয়ে কম।
এই দুটি বিষয়ের উপর করা রিপোর্ট দেখতে পারেন, নিচের এই লিঙ্কে :
https://bn.wikipedia.org/…/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A…
গাঁজা সেবনকারীর হাড় জোড়া লাগে খুব তাড়াতাড়ি :
সম্প্রতি ইসরায়েলের একদল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় দেখেছেন যে, গাজা সেবনকারীদের মধ্যে কারও হাড় ভেঙ্গে গেলে তা যারা গাজাসেবন করেন না তাদের চেয়ে দ্রুত জোড়া লাগে। পরীক্ষার অংশ হিসেবে গবেষকদল গাজায় থাকা নন-সাইকোঅ্যাকটিভ কমপাউন্ড ক্যানাবাইডিয়ল (সিবিডি) কিছু ইদুরের উপর পরীক্ষা করেন। গবেষকদলের গবেষক ড. ইয়াঙ্কেল গাবেত বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে সিবিডি হাড় জোড়া হতে এবং খুব দ্রুত ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকরীই শুধু নয়, অন্যান্য উপাদানের চেয়ে অধিক কার্যকরী। হাড়ের নতুন টিস্যু তৈরিতে এর রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। সিবিডি’র মাধ্যমে একবার হাড় জোড়া লাগলে তা আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্ত হয়।’ গবেষকদলের মতে, মানবশরীর প্রকৃতিগত ভাবেই এন্ডোক্যানাবাইনয়েড ব্যবস্থা চালু রাখে যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মেরুদণ্ডের উপর কাজ করে। মানুষের মস্তিস্ক এবং শরীর ক্যানাবাইনয়েডের সংস্পর্শে আসলে স্বাভাবিকভাবেই সাড়া দেয়, তা সেটা আভ্যন্তরীন পর্যায়েই হোক অথবা গাজা সেবনের মাধ্যমেই হোক।
এছাড়াও এক গবেষণায় দেখা গেছে, গাজা রক্তচাপ সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে এবং এইচআইভি প্রতিহত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
শুধু তাই নয় কয়েক প্রকার ক্যান্সার নিরাময়েও পর্যন্ত গাজা ভালো ফল দেয়। বিশেষ করে যারা লিওকোমিয়ায় আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিনই চিকিৎসকরা অনুমোদন সাপেক্ষে গাজা ব্যবহার করে আসছেন।
যারা ভাবছেন গাঁজার যখন এতই উপকারিত তখন এটা এখনো কেনো নিষিদ্ধ মাদক ? তাদের জন্য বলছি
ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার অনেক দেশ ইতোমধ্যেই চিকিৎসাশাস্ত্রের খাতিরে গাজাকে বৈধতা দিয়েছে। গাজা বৈধকরণে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি রাজ্য। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কলোরাডোতে প্রথম বৈধতা দেয়া হয়েছিল। এরপর কলোরাডোতে গাজা বৈধকরণের সফলতার পর অন্যান্য রাজ্যগুলোও ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এর বাইরে নতুন করে চিলি তাদের দেশ গাজাকে শুধু বৈধতাই দেয়নি, প্রতিটি নাগরিক সর্বোচ্চ পাঁচটি গাজা গাছ লাগাতে পারবে সেই অনুমোদনও দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কানাডা, স্পেন, হল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া মারিজুয়ানাকে ঔষধ হিসেবে গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। নিচে উইকিপিডিয়ার একটি লিঙ্ক দিয়েছি, সেখানে দেখতে পাবেন এই তথ্যটি।
যা হোক, প্রাচীন ভারতবর্ষের বিভিন্ন মিথ বা সাহিত্যে গাজার ব্যবহার দেখা যায়। কোথাও নেশাদ্রব্য হিসেবে গাজার ব্যবহার দেখা যায়নি। এর ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় শাস্ত্রবিদেরা এবং অন্যান্য গবেষকরা দাবি করছেন যে, গাজার ক্ষতি নেই বরংচ রয়েছে শারিরীক লাভ। মানব শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে গাজা মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু ভারতের সেকুলার সরকার, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের এই জ্ঞানকে পাত্তা না দিয়ে কেমিক্যালজাত মাদকের সাথে সাথে গাজাকেও মাদকের পর্যায়ভূক্ত করে এবং ১৯৮৫ সালে আইন করে গাজাকে অবৈধ ঘোষণা করে।
এই রিপোর্টটি সত্য কিনা, তা যাচাই করতে চাইলে দেখুন লিঙ্কটি।
http://www.24updatenews.com/bangla/article/17620/index.html
উপরে বলেছি, আমাদের মুনি-ঋষিরা গাঁজা সেবন করতেন, এটা শুনে যাদের কষ্ট হয়েছে বা মেনে নিতে পারেন নি, তাদের জন্য উইকিপিডিয়া বলছে,
“হাজার বছর আগে প্রাচীন ভারতে হিন্দু ও শিখদের মাঝে এবং নেপালে কান্নাবিস গ্রহণের রেওয়াজ ছিল।এই বনজ উদ্ভিদের নাম ছিল সংস্কৃত ভাষায় গঞ্জিকা বা গাঁজা।”
এটা যে শুধু হিন্দু মুনি-ঋষিরাই খেতো, তাই নয়, প্রাচীন কালের ইহুদি খ্রিষ্টানরা সেবন করতো এমন কি সেবন করতো, মামলুক আমলের মুসলিম সুফীরাও। দেখুন, উইকিতে কিভাবে বলা আছে এই কথা-
“কান্নাবিসকে প্রাচীন ইহুদি ও ক্রিস্টানরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করত। মামলুক সময়ে বিভিন্ন সূফী সম্প্রদায়রা কান্নাবিস গ্রহণ করত।”
উইকির এই লিঙ্কটি দেখতে পারেন নিচে-
https://bn.wikipedia.org/…/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A…
তাস খেলা একটি অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত ও মজাদার খেলা, কিন্তু এই খেলার সাথে যখন টাকা যুক্ত হলো অর্থাৎ তাস খেলা যখন জুয়ায় পরিণত হলো, তখন সমাজ তাকে খারাপভাবে দেখতে শুরু করলো এবং যারা তাস খেলে, তারা সমালোচনার পাত্র হয়ে পড়লো। শুধু এই ভয়েই অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাস খেলে না। এটা কিন্তু তাসের দোষ নয়, দোষ মানুষের; যারা তাসকে ঐ খারাপভাবে ব্যবহার করা শুরু করেছিলো।
একইভাবে উপকারী গাঁজাকে যারা নেশার দ্রব্যে পরিণত ক’রে একে সমালোচিত করেছে, দোষ সেইসব মানুষদের, কোনোভাবেই গাঁজার নয়।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
মন্তব্যগুলি

Koushik Mallik মুল বক্তব্য সংক্ষেপে লিখুন , আসল বিষয়ের থেকে হ্যাজানো বেশি হয়ে যাচ্ছে , মানুশের ধৈর্য কম । আসল কথা সংক্ষেপে লিখুন । আর ত্রিদেব নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা আছে , এই লেখাই শেষ কথা নয় । ব্যাখ্যা হাজার রকম ভাবে করা যায় ।

পরিচালনা করুন


Pranab Kumar Kundu গীতার শ্লোকের অধ্যায়, শ্লোক নম্বর দিন !
পরিচালনা করুন