শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮

'আমার লেখা প্রবন্ধ " লিম্যারিক্ " প্রসঙ্গে'


প্রসঙ্গ : পদক্ষেপ ২০১৫-১৬

'এবার আসি আমার লেখা প্রবন্ধ  " লিম্যারিক্ "  প্রসঙ্গে।'



প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে  ১২৫ পৃষ্ঠা থেকে  ১৩৩ পৃষ্ঠার মধ্যে।
প্রবন্ধটি পাঠানো হয়েছিল  ইনটারনেটের সদ্ভাবনায়   ই-মেলের মাধ্যমে।
যেহেতু 'পাণ্ডুলিপি'টি টাইপ করা ফরম্যাটে ছিল  তাই ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা একদমই ছিল না !

দেখা যাক  প্রবন্ধটি ছাপাতে কী হয়েছে :-

পৃষ্ঠা ১২৫।
প্রথম লাইন।  'অসম্ভব' এর জায়গায়  'সম্ভবত' ছাপা হয়েছে। প্রথম লাইনেই ভুল !
১৬তম লাইনে 'তাত্ত্বিক' বানান  'তাত্বিক' লেখা হয়েছে। 'সাত্ত্বিক' বানান 'সাত্বিক' লেখা হয়েছে।

পৃষ্ঠা ১২৬।
প্রথম লাইনে   'লিম্যারিক্' বানান  'লিম্যারিক' ( হসন্ত চিহ্ন ছাড়া )  ছাপা হয়েছে। এই রকম বানান  পুরো প্রবন্ধটির মধ্যে  একজায়গায় ছাড়া  অন্য সব জায়গায় ছাপা হয়েছে।
চতুর্থ লাইনে  'lim-er-ick' বাদ পড়েছে।
একাদশতম ( ১১ ) লাইনে  'উচ্চারণভঙ্গিতে' হয়ে গেছে  'উচ্চারণভহিগতে' !
১৫তম লাইনে  'ছন্দগঠিত' হয়ে গেছে  'দ্বন্দ্বগঠিত' !

১৭তম লাইনে  'পঙ্‌ক্তিতে' হয়ে গেছে  'পঙক্তিতে' ( হসন্ত চিহ্ন ) বাদ। এরকম আরও আছে।
এরকম ১৯তম লাইন-এও আছে।
২২তম লাইনে  'অন্ত্যমিল'   'অমিল' হয়েছে।

পৃষ্ঠা ১২৭।

বানান সঠিক নয়, 'পঙ্‌তি'। ও রকম, সাত জায়গায় আছে।
'পঞ্চম'-এর জায়গায়, 'পঞম' বানান লেখা হয়েছে।
'পঙ্‌ক্তি', বানানগুলো দেখতে হবে।
'পরম্পরা' হয়েছে 'পরম্পপা'।
'লিম্যারিক্' বানান দেখতে হবে।
'সিল্যাব্‌ল' বানানও।
'চতুর্থ' হয়েছে 'চর্তু'।

পৃষ্ঠা ১২৮।

'পঙ্‌ক্তি' বানান।
'লিম্যারিক্' বানান।

পৃষ্ঠা ১২৯।

'শতাব্দতে',  'শতাব্দীতে' হয়েছে। শতাব্দী -- অসংগত বানান।
বানান 'লিম্যারিক্'।

পৃষ্ঠা ১৩০।

'লিম্যারিক্' বানান।
'পথপ্রদর্শক' হয়েছে 'পথপ্রদর্শন'।

পৃষ্ঠা ১৩১।

'থেকে' হয়েছে, 'তেকে'।
লিম্যারিক্' বানান।

পৃষ্ঠা ১৩২।

'লিম্যারিক্' বানান।

পৃষ্ঠা ১৩৩।

'ব্যাপারটা' হয়েছে, 'ব্যাপাটা'।
''কে প্রথম 'লিম্যারিক' বানান লিখল'', হবে, 'কে প্রথম 'লিমেরিক বানান লিখল'।
শেষের লাইনটি হবে, 'তবে কোনোভাবেই লিম্যারিকের মূল ভাবের সাথে compromise করাও যাবে না।

মন্তব্য :-

প্রেস সম্ভবত টাইপ এবং/অথবা ছাপার কাজ ঠিক মতো করে নি।
ফলে প্রবন্ধটি ঠিকমতো বোধগম্য হবে না।

যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল, তারা আরও দায়িত্ববান ্হলে, ভালো হত !

প্রণব কুমার কুণ্ডু
৩০/১১/২০১৮
প্রাক্তন ছাত্র
সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ
কলকাতা।

ঠিকানা :

২২৩ মিত্রপাড়া রোড
নৈহাটি
উত্তর ২৪ পরগনা
পশ্চিম বঙ্গ
পিন ৭৪৩১৬৫

মোবাইল  ৯১২৩০০৭৭২৯


* সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ-এর জন্য পাঠানো হল, যাতে ভবিষ্যতে এধরণের ভুল-ত্রুটিগুলো এড়ানো যায়।


An E-mail Copy, to & from Limka Book of Records & myself ( second phase )



An E-mail Copy, to & from Limka Book of Records & myself ( second phase )

'Opinion'


''পদক্ষেপ' কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজের, বঙ্গীয় সাহিত্য সমিতির ম্যাগাজিন।'

'Opinion'




পদক্ষেপ  ২০১৫-১৬-তে
প্রকাশিত
কয়েকটি গল্পে
দেখলাম
স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে
বিবাদ।
বিসংবাদ !
মান।
আভিমান !

কিন্তু তাঁরা কেউ-ই
ছন্নছাড়া
সংসার ছাড়া
হতে রাজি নয় !

ওখানে সব সময়ই
compromise-এর
attitude !

বাস্তবজীবনের
প্রতিফলনেও
ঠিক তাই !

Compromise
and
have the same
companion !

আমার মনে হয়েছে
সেটাই
বঙ্গ সাহিত্য সমিতির
নবাগত কিছু
লিখিয়ে বন্ধুর
opinion !



আমার বক্তব্য

মন এবং শরীর


আমরা মনে করি
আমাদের মন বুঝি
আমাদের শরীরের
মধ্যে।

আমরা মনে করি
আমাদের মন বুঝি
আমাদের শরীরের
সাথে।

তা কিন্তু
সবসময়
ঠিক নয় !

মন আলাদা।
শরীর আলাদা !


অনেক সময় আমরা
মন এবং শরীর
একসাথে মনে করি
সংসারে সেইভাবে
মন ও শরীরকে
মেলে ধরি
যেন মন ও শরীর
পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে
অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

তবে মনের গতি
তুখর।
শরীরের গতি ধীর !

দুটি ভিন্ন গতির বস্তু
একসাথে বাঁধাছাঁদা করে
ছুটলে
হোঁচট খায় !

সংসারে তাই
সংসারে তাই
মাঝে মাঝে
এবং
বারে বারে দেখা যায় !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

ফেসবুকে বন্ধুত্ব


ফেসবুকে বন্ধুত্ব



মার্ক জুকারবার্গ
স্বপ্ন দেখেছিলেন !

মার্ক জুকারবার্গ
স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন !

সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে
ফেসবুকে বন্ধুত্বের মাধ্যমে !

আর বিভিন্ন পোস্টগুলো
শেয়ার করার মাধ্যমে !

Ultra


Ultra



Ultra
beyond...

Situated
beyond...

More at
ulterior...

Nothing
interior...

Terrorism


Terrorism



Terrorism
is
Nihilist
or
Nihilistic.

Nihility
nothingness !

Nihilobstat
nothing hinders.

বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

দেখবে তোমার পূজার ফল তোমার শরীর-মনে বইবে


দেখবে  তোমার পূজার ফল  তোমার শরীর-মনে বইবে




তোমার খাওয়া
তোমার পায়খানা যাওয়া
তোমার পেচ্ছাব করা
এগুলো সব তোমার একান্ত।
সবগুলো তোমারি।
তুমি কি ঐসব কাজে
পুরুত নিয়োগ
করতে পার ?

তোমার পূজাও
তেমনি।
একান্তভাবে তোমার নিজের।
নিজেকেই
পূজাতে বসতে হবে।
মন্ত্রোচ্চারণও
নিজেকেই করতে হবে।
চাইলে ঘন্টাধ্বনি করো
শাঁখ বাজাও।‌
সব নিজে করো !
পুরুত ডেকে নয় !

পুরুত দিয়ে
কাজ হবে না !
পূজা তোমার নিজের।
নিজের স্নায়ুতন্ত্র
জাগিয়ে তোল।
হৃদয় ঢেলে
পূজা করো !
মন একাগ্রকরে
পূজা করো।
তোমার চৈতন্যশক্তি বাড়াও।
পুরুত ডেকো না !
সব নিজে নিজে করো।
দেখবে  তোমার পূজার ফল 
তোমার শরীর-মনে বইবে !


আলোক


আলোক


দেহবাহ্য যে কারণ
যা দর্শনকার্য করায়
তাই আলোক।

আলোক একটা শক্তি।
সেই শক্তি
মহাশক্তিরই এক অন্য রূপ।

আলোক
একপ্রকার
বিকীর্ণ শক্তি।

সেই বিকীর্ণশক্তি
আলোকের নানান তরঙ্গদৈর্ঘের
এক বিকীরণ সমষ্টি।

আলোকের বিকীর্ণশক্তি
তরঙ্গে তরঙ্গে
বিকীর্ণ হয়।

আলোক-রশ্মি



আলোক-রশ্মি


একটা সরলরেখা ধরে
যে আলোক ধাবিত হয়
তা একটি আলোক-রশ্মি।

এই তত্ত্ব
জ্যামিতিক আলোক-বিজ্ঞানের
অন্যতম প্রধান ভিত্তি।

একটা সরলরেখা ধরে
যে আলো ধেয়ে যায়
তা একটি আলোক-রশ্মি।

একটা আলোক-রশ্মি হল
আলোকের একটি
সরল রেখা।

মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

A group of E-mail copy, to & from, Limka Books of Records, & myself ( second phase )


A group of E-mail copy, to & from, Limka Books of Records, & myself ( second phase )



RE: For Limka Book of Records
Inbox
x

Punya Prabha Das <punya.lbr@hachetteindia.com>
Attachments
Oct 16, 2017, 7:25 PM
to me, Lbr

Dear Sir,



Thank you for your mail. Our apologies for the inordinate delay in getting back to you, but the transition took much longer than expected.



Kindly specify if (i) the poems posted on your blog are in separate blog posts, and (ii) if the poems posted are written by you.



Thanks and regards,





Punya Prabha Das

Editorial Assistant

Limca Book of Records

cid:image001.png@01CC76EC.C2F7A230

Hachette Book Publishing India Pvt Ltd 

4th/5th Floors, Corporate Centre; Plot no 94, Sector 44; Gurugram (formerly Gurgaon)-122003   INDIA

Ph: (Board) +91-124-4195000/Fax:+91-124-4148900   

E-mail: punya.lbr@hachetteindia.com

Hachette Book Publishing India Pvt Ltd is a company incorporated under the Indian Companies Act, 1956 with CIN U22222DL2007PTC164081





From: Pranab Kumar Kundu [mailto:pkkundu10@gmail.com]
Sent: 19 March 2017 20:45
To: lbr.entries@hachetteindia.com
Subject: For Limka Book of Records



Dear Sirs,

I have a Blog With Bengali Poems & poem related articles, which consists of

1775 Posts  &  Total Viewer of Pages 28450, among 53 Countries,

as on today, at the time of sending you this Mail.

Blog Address   pranabk.blogspot.com

Do you consider it as an Indian Record ?

Kindly confirm.

Thanking You,



Yours faithfully,

Pranab Kumar Kundu

Email   pkkundu10@gmail.com

223 Mitra Para Road, Naihati, North 24 Parganas, W.B., India, Pin 743165

Phone  033 2502 3878

19.03.2017

Attachments area

Pranab Kumar Kundu
4:38 AM (0 minutes ago)
to punya.lbr

The poems posted in the Blog, are within the Blog, but the poems, & related articles are,  in separate entity.
All the poems were written by myself.

As on today, Total Posts  4408
total Viewers of Pages   104,329 ( more than a lack )
Among 79 Countries & Unknown region.

Contact Mobile No.s   9123007729/8017435180

Attachments area

'An E-mail copy to & from Limka Book of Records & myself'


'An E-mail copy to & from Limka Book of Records & myself'





RE: For Limka Book of Records
Inbox
x

Punya Prabha Das <punya.lbr@hachetteindia.com>
Attachments
Oct 16, 2017, 7:25 PM
to me, Lbr

Dear Sir,



Thank you for your mail. Our apologies for the inordinate delay in getting back to you, but the transition took much longer than expected.



Kindly specify if (i) the poems posted on your blog are in separate blog posts, and (ii) if the poems posted are written by you.



Thanks and regards,





Punya Prabha Das

Editorial Assistant

Limca Book of Records

cid:image001.png@01CC76EC.C2F7A230

Hachette Book Publishing India Pvt Ltd 

4th/5th Floors, Corporate Centre; Plot no 94, Sector 44; Gurugram (formerly Gurgaon)-122003   INDIA

Ph: (Board) +91-124-4195000/Fax:+91-124-4148900   

E-mail: punya.lbr@hachetteindia.com

Hachette Book Publishing India Pvt Ltd is a company incorporated under the Indian Companies Act, 1956 with CIN U22222DL2007PTC164081





From: Pranab Kumar Kundu [mailto:pkkundu10@gmail.com]
Sent: 19 March 2017 20:45
To: lbr.entries@hachetteindia.com
Subject: For Limka Book of Records



Dear Sirs,

I have a Blog With Bengali Poems & poem related articles, which consists of

1775 Posts  &  Total Viewer of Pages 28450, among 53 Countries,

as on today, at the time of sending you this Mail.

Blog Address   pranabk.blogspot.com

Do you consider it as an Indian Record ?

Kindly confirm.

Thanking You,



Yours faithfully,

Pranab Kumar Kundu

Email   pkkundu10@gmail.com

223 Mitra Para Road, Naihati, North 24 Parganas, W.B., India, Pin 743165

Phone  033 2502 3878

19.03.2017

Attachments area
Thank you for your response.Thank you for the clarification.Thank you for your quick response.

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

ইহুদি


ইহুদি


পৃথিবীতে
একটি মাত্র
ক্ষুদ্র জাতি আছে
যাদের লোক সংখ্যা
মেরেকেটে
সর্বসাকুল্যে
এখন
এক কোটি !

গত
তিন হাজার ধরে
তাঁরা
একই জাতি-নাম
একই ভাষা
এবং
একই স্রষ্টায়
বিশ্বাসী !

হাইড্রোসিল



 হাইড্রোসিল
 ( Hydrocele )


হাইড্রোসিল।
অণ্ডকোষের
রোগবিশেষ।
বাংলায়
কোরণ্ড
বা কুরণ্ড।
সাদা বাংলায়
কোঁড়ল।

[ A hydrocele is a swelling due to accumulation of serous fluid in the tunica vaginalis of the testis, or, in the spermatictic cord.
Serous-- Pertaining to serum.
Tunica-- A lining membrane.
Tunica vaginalis-- The testes lie in the scrotum, each testis lying in a covering called the tunica vaginalis, derived from the peritoneum.]

জাতীয় সঙ্গীত জাতীয় পতাকা বন্দেমাতরম

 জাতীয় সঙ্গীত  জাতীয় পতাকা  বন্দেমাতরম


 মূল ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছিলেন    প্রণব কুমার কুণ্ডু


1 বছর আগে
Pranab Kumar Kundu একটি প্রোফাইল শেয়ার করেছেন।
জতীয় সঙ্গীত জাতীয় পতাকা
Pranab Kumar Kundu বন্দেমাতরম-ই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত ছিল ! না-হওয়ার পেছনে, কেবলমাত্র মুসলিম তোষণ ! একশ্রেণির মুসলমান আবার আল্লার দোহাই দিয়ে, ভারতের জাতীয়-সঙ্গীত গাইতেই চায় না ! কী নিষ্ঠুর চেতনা ! ঐ একই কারণে, গেরুয়া-রঙ, ভারতের জাতীয় পতাকার, রঙ হল না ! জয় জয় মুসলিম তোষণের জয় হো ! জয় জয় জয় হো ! আল্লাহ'র জয় হো !
1 বছর আগে

চাঁদ সূর্য ও জ্যোৎস্না


চাঁদ সূর্য ও জ্যোৎস্না


সূর্যের আলো
চাঁদে পড়ে।

চাঁদের ওপর
সূর্যের সেই আলোর
কিছুটা অংশ
বিক্ষিপ্ত হয়ে
ঠিকরে
পৃথিবীতে আসে।

আমরা
সেই আলোয়
চাঁদকে
দেখতে
পাই।

আকাশে
চাঁদ থাকলে
আমরা
রাতের বেলায়
জ্যোৎস্না পাই।

বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন


বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন



কোন পদার্থের ওপর
আলো পড়লে
এক যান্ত্রিক
চাপের সৃষ্টি হয়।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দে
সাহেব বিজ্ঞানী
লেবেডিউ*
ঐ ভাবে উৎপন্ন
যান্ত্রিক চাপের সাহায্যে
একখানি
পাতলা পাতের চাকাকে
ঘুরিয়ে দেখিয়ে ছিলেন !

সারা বিশ্বকে চমকে
দিয়েছিলেন !



* Pyotr Nikolaevich Lebedeu ( পায়ট্‌র নিকোলিভিচ লেবেডিউ )   রাশিয়ান বিজ্ঞানী   জন্ম ২৪/২/১৮৬৬    মৃত্যু ৪/৩/১৯১২।

** সূত্র : 'পদার্থ বিজ্ঞানের গোড়ার কথা'   পৃষ্ঠা ৫১৪। লেখক শ্রীদ্বিজেন্দ্র বিনোদ সিংহ   ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ  কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়  জানুয়ারী  ১৯৬০।

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

মন এবং শরীর


মন এবং শরীর


আমরা মনে করি
আমাদের মন বুঝি
আমাদের শরীরের
মধ্যে।

আমরা মনে করি
আমাদের মন বুঝি
আমাদের শরীরের
সাথে।

তা কিন্তু
সবসময়
ঠিক নয় !

মন আলাদা।
শরীর আলাদা !


অনেক সময় আমরা
মন এবং শরীর
একসাথে মনে করি
সংসারে সেইভাবে
মন ও শরীরকে
মেলে ধরি
যেন মন ও শরীর
পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে
অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

তবে মনের গতি
তুখর।
শরীরের গতি ধীর !

দুটি ভিন্ন গতির বস্তু
একসাথে বাঁধাছাঁদা করে
ছুটলে
হোঁচট খায় !

সংসারে তাই
সংসারে তাই
মাঝে মাঝে
এবং
বারে বারে দেখা যায় !

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

লিম্যারিক্
























                                           কবি ও প্রবন্ধকার প্রণব কুমার কুণ্ডু

লিম্যারিক্


লিম্যারিক‌্

পঞ্চপদী অর্থহীন ছড়ার স্তবক। যে কোন বিষয়ের ওপর,  অসম্ভব অদ্ভুত বিস্ময়কর  বিরক্তিকর বিষয়ের ওপর  ছড়া।

তুচ্ছ বা বাজে বিষয়ও লিম্যারিকের বিষয় বস্তু হয়ে ওঠে।

কখনও মনে হতে পারে লিম্যারিকের পুরোটাই বোকামো কিংবা খ্যাপামো।

মনে হতে পারে, কোনো হাবাগোবা বা বকাটে কেউ সেটা লিখেছে, অথবা লিখেছে কোন নির্বোধ বা মহামূর্খ।
কখনো লিম্যারিক হতে পারে হালকা রসের, কখনো বা হতে পারে শুধুই কৌতুক,  কিংবা রঙ্গকৌতুকে ভরা ।

আবার লিম্যারিকে তীক্ষ্ণ ব্যঞ্জনাপূর্ণ উক্তিও থাকতে পারে। অর্থাৎ শব্দের গূঢ়ার্থ বা আভিধানিক অর্থের বাইরেও ছড়াকারের অভিপ্রেত অনুযায়ী অন্য এক গূঢ় অর্থের দ্যোতনা ও তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।

লিম্যারিকে থাকতে পারে শ্লেষাত্মক শব্দ,  আবার একাধিক অর্থে একই শব্দের ব্যবহার, বা প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপ, অথবা থাকতে  পারে অন্য কোন অভাবনীয় সংযোগ সংস্রব।

তবে লিম্যারিকে গুরুগম্ভীর,  তাত্ত্বিক এবং সাত্ত্বিক তত্ত্ব, থাকবে না, এটা মেনে নেওয়াও ঠিক নয়।
কখনও কখনও নিম্যারিকের বক্তব্য অর্থবোধক  হয় না। আবার নির্দিষ্টভাবে অর্থবোধকও হতে পারে।
তবে অর্থবোধক না হলে, তা 'নিরর্থ' বা 'নিরর্থক' নয়।
স্রেফ মজা করার জন্যও লিম্যারিক্ লেখা হয়।
তবে অর্থ না বুঝলে, আমাদের অনেকের কাছে বোঝাটা ( to understand ),  'বোঝা'  ( burden } হয়ে দাঁড়ায় !

লিম্যারিক্-এর ইংরেজি উচ্চারণ  lim-er-ick,  লিম্-আর-ইক্। চলতি বাংলা ভাষায় 'লিমেরিক' লেখা হয়। সম্ভবত ইংরেজি 'নার্সারি রাইম' ( nursery rhyme ) থেকে এর উৎপত্তি।


লিম্যারিক্-এ কবিতার চরণ ছন্দে গ্রথন। ত্রিমাত্রিক,  তিন মাত্রাযুক্ত প্লুতস্বর,  ছন্দ।

শেষ মাত্রাটিতে বা শেষ স্বরধ্বনিটির,  শেষ প্রকাশভঙ্গিতে,  জোর দেওয়া হয়,  বা অন্য কোন কিছুর ঝোঁক থাকে। থাকে স্বরভঙ্গিতে বাচনভঙ্গিতে উচ্চারণভঙ্গিতে স্বরসঙ্ঘাতে ব্যঞ্জনা। কখনো ধ্বনির তীক্ষ্ণ তীব্রতা। কখনো উদাত্তকণ্ঠ।কখনো বা বিশেষ অর্থবোধক শব্দ থাকতে পারে। স্থানীয় ভাষা, কথ্যভাষার অক্ষররূপ,  টেনে নিয়ে আসা হয়।

অনেক সময় অশোভন অভদ্র ইতর বা অশ্লীল ইঙ্গিতও,থাকতে পারে।

অবার প্রস্তুতিহীন প্রস্তুতিতে, সমস্বরে,  ছন্দগঠিত হয় এবং যৌথভাবে, ঐকতানে, হাততালি দিয়ে,  'কোরাস' গাওয়া হয়।



লিম্যারিকে প্রথম দ্বিতীয় ও পঞ্চম পঙ‌্ক্তিতে সাধারণত অন্তত তিনটি করে ' শব্দ ' থাকতে পারে।

তৃতীয় ও চতুর্থ পঙ‌্ক্তিতে থাকতে পারে সাধারণত অন্তত দুটি করে 'শব্দ '।

লিম্যারিক্ কবিতায়  প্রথম পঙ্‌ক্তির সাথে দ্বিতীয় পঙ্‌ক্তির অন্ত্যমিল থাকে। যেমন ' ক '-এর সাথে ' ক '। তৃতীয় পঙ্‌ক্তির সাথে চতুর্থ পঙ্‌ক্তির অন্ত্যমিল থাকবে। যেমন ' খ '-এর সাথে ' খ '। আবার থাকবে প্রথম দুই পঙ্‌ক্তির সাথে শেষের পঞ্চম পঙ্‌ক্তিটির অন্ত্যমিল । এক্ষেত্রে যেমন  প্রথম পঙ্‌ক্তির ' ক '-এর সাথে  শেষ পঙ্‌ক্তির সম্ভাব্য ' ক '।

লিম্যারিকে তৃতী্য় ও চতুর্থ পঙ্‌ক্তি সাধারণভাবে  অন্য পঙ্‌ক্তিগুলোর চেয়ে আকারে ছোট হবে।

প্রথম দ্বিতী্য ও পঞ্চম পঙ্‌ক্তি  সাধারণভাবে  তৃতীয় ও চতুর্থ পঙ্‌ক্তির চেয়ে  আকারে বড় হবে।

অন্ত্যমিল। অর্থাৎ মিত্রাক্ষর বা মিতাক্ষর।  অর্থাৎ থাকবে এক শব্দের অন্ত্যের সঙ্গে অন্ত্যমিলবিশিষ্ট অন্য শব্দ। বা থাকবে সমধ্বনিযুক্ত শব্দ।

নির্দিষ্ট পঙ্‌ক্তিতে ' মিল ' দিতে হবে বা ' মিল ' খুঁজে নিতে হবে। থাকবে ধ্বনি সাদৃশ্য।

কখনো ধ্বনি পরম্পরা বা ধ্বনি সঙ্গতি বজা্য় রেখে  নিনাদিত হতে হবে।

ছন্দে সমান তাল বা মাত্রা রাখতে হবে।

ছন্দঃপূর্ণ ছান্দস  সমতালের উল্লিখিত উপায়িভূত কবিতাই এক ধরণের বিশেষ ছড়া  এবং সেই সবিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ  ছড়াই, কেতাবি ভাষায়, লিম্যারিক্। 


অন্যরকম ভাবেও লিম্যারিক্ লেখা হয়।

ইংরেজিতে syllable ( সিল্যাব্‌ল ) বলে একটা শব্দ আছে।

উচ্চারণের সময় জিব নাড়ানোর গতি না বাড়িয়ে, একবারেই উচ্চারণ করা যায় এমন শব্দ বা শব্দাংশ, একস্বরবিশিষ্ট শব্দ বা শব্দাংশ সিল্যাব্‌ল।

অনেক লিম্যারিকে প্রথম দ্বিতীয় ও পঞ্চম পঙ্‌ক্তিতে সাধারণত আট বা নয় সংখ্যক সিল্যাব্‌ল থাকে।

তৃতীয় ও চতুর্থ পঙ্‌ক্তিতে সাধারণত থাকে পাঁচ বা ছয় সংখ্যক সিল্যাব্‌ল ।

এক সময়ে লিম্যারিক্ লেখা হত

প্রথম পঙ্‌ক্তি এই রকম ভাবে

' একদা কোন এক সময়ে................'

বা

' এক যা ছিল রাজা......................'



লিম্যারিক্ লেখার যে ধারণাগুলো দেওয়া হয়েছে,   অনুরূপ লিম্যারিক্ লেখা  কবির ধৈর্য সাপেক্ষ ।

জ্ঞান এবং বিচক্ষণতার প্রভায় তা বিকসিত হতে হবে ।

লিম্যারিক্ ছড়াকারকে যথার্থ আগ্রহী ও প্রতিশ্রুতিবান হতে হবে।

বাংলায় একটা বহু প্রচারিত বহুল শ্রুত ছড়ার উদাহরণ দিচ্ছি--

এটিকে লিম্যারিক্ হিসাবে গ্রহণ করা যায় !


' তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা

কোলা ব্যাঙের ছা

খায় দায়

গান গায়

তাইরে নাইরে না ! '


কিস্তিতে কিস্তিতে আলোচনায়
লিম্যারিক্ সম্বন্ধে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে !

তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে,  অত বাঁধাধরা নিয়মকানুন এবং গৎ- এর গতিধারার মধ্যে থেকে লিম্যারিক্ লেখা কষ্টসাধ্য !

তাই ছড়াকারেরা,  লিম্যারিক্-লিখিয়েরা,  লিম্যারিক্ লেখার ক্ষেত্রে,  তাদের বিচারবিবেচনায়  একটা মধ্যবর্তী পন্থা বার করে নেন ! 

এটা বলা হয়, প্রথম লিম্যারিক্-জাতীয় কবিতা লেখা হয়েছিল ল্যাটিন ভাষায় !

ইংরেজি তেরোশো শতাব্দতে।

সেটা ছিল একটা প্রার্থনা সঙ্গীত।

লিখেছিলেন থমাস অ্যাকুইন্যাস  ( Thomas Aquinas. )।

তখনও লিম্যারিকের নামকরণ হয়নি !

লিম্যারিক্ ছিল অনামা। 


' লিম্যারিক্ '-এর নামকরণ করা হয়েছিল  'ইরিল্যাণ্ড'-এর ( আয়ারল্যাণ্ড-এর  ),   'লিম্যারিক্' নামক জনপদের নাম অনুসারে। লিম্যারিক্ একটি ইংরেজি শব্দ। বানান  Limerick.। শব্দটি বাংলায় গৃহীত হয়েছে। তবে Limerik-এর সঠিক বাংলা বানান নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক আছে।

লিম্যারিক আসলে ছোট কবিতা। পাঁচ লাইনের কবিতা।

ফ্রান্সের সৈন্যদলের আইরিশ সৈন্যরা, ঐ লিম্যারিক্  'সামগান'-এর মতো সুর দিয়ে,  'জয়গান'-এর মতো, সুর তুলে গাইত।

লিম্যারিক্, ছোটখাট পাঁচ লাইনের 'গীতি কবিতা"।

লিম্যারিক্, শুরুতে ছিল, হাস্যরসাত্মক ছোট ছোট গীতি কবিতা। লিম্যারিকের অর্থ অনেক সময় 'দ্যোতনাযুক্ত'।

প্রথম 'লিম্যারিক'-এর  নাম ব্যবহার করা হয়েছিল, ইংরেজি আঠারোশো আশি সালে, কানাডার একটি খবরের কাগজের  সৌজন্যে।


লিম্যারিক্ সম্বন্ধে বলা হয়েছিল, কিছু লিম্যারিক‌্  'বলা'  হবে, যেখানে শুধু মহিলারা থাকবেন ।

কিছু লিম্যারিক্ বলা হবে, যেখানে মহিলারা অনুপস্থিত।

কিছু লিম্যারিক্ বলা হবে, যেখানে খ্রিস্টধর্মের বা অন্য ধর্মের যাজকমণ্ডলী উপস্থিত থাকবেন।

কিছু লিম্যারিক্, আলাদাভাবে লেখা হবে শিশুদের জন্য।

কিছু ছোটদের জন্য।

আঠারোশো  খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে, লিম্যারিকের প্রচলন সাহিত্যে শুরু হতে থাকে।

পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠেন, এড‌ওয়ার্ড লিয়ার  ( Edward Lear. )।

লিম্যারিক্ জনপ্রিয়তা পায় ইংল্যাণ্ডের ঐ এড‌ওয়ার্ড লিয়ার ( Edward Lear )-এর প্রচেষ্টায় ।

তিনি ইংরেজি আঠারোশো  ছেচল্লিশ সালে লিম্যারিকের ওপর বই লেখেন,  ' এ বুক অফ ননসেন্স' ( A  Book  Of  Nonsense  ) !

সেই সময়ে সেই বই-এর দুটি অতিরিক্ত সংস্করণও  প্রকাশিত হয়েছিল।


এখন প্রশ্ন থেকে যায়,  অন্ত্যমিল ছাড়া কি লিম্যারিক্ হবে না ?

পরিবর্তনশীল জগতে সবই পরিবর্তনশীল।

কিছুই অপরিবর্তনশীল অচলায়তন নয় !

তাহলে অন্ত্যমিলবিহীন লিম্যারিক্ হবে না কেন ?

কেউ যদি অমিত্রাক্ষর ছন্দে লিম্যারিক্ লেখেন, পাঠক-পাঠিকারা, অন্যরা,  তা মেনে নেবেন ?

নয়া প্রজন্মের লিখনপটু লিমেরিক-লিখিয়ে বুলবুল-বুলবুলিরাই,  শেষ কথা বলবেন !



এটা জানা যায় যে Shakespeare, Kipling, Eliot  এঁরাও লিম্যারিক্ জাতীয়  'কবিতা' লিখেছিলেন ।

সত্যজিৎ রায়ের নিজস্ব ঢঙে, ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা একটা লিম্যারিক্--

" কেনারাম ব্যাপারীর ভৃত্য
বায়সের সাথে করে নৃত্য।
লোকে বলে, 'এইভাবে
কাকটার মাথা খাবে।
ঢং দেখে জ্বলে যায় পিত্ত'।  "

সত্যজিৎ রায় লিম্যারিক্  লিখতেন, আবার তাঁর  মতন করে,  ইংরেজি থেকে স্বচ্ছন্দে বাংলায় অনুবাদ করতেন !

লিম্যারিক্,  ছোট পদ্যের, পাঁচ লাইনের পদ্যের, বিশেষ ধরণের পংক্তিসাপেক্ষ রচনা শৈলী।

তবে ভবিষ্যতে, লিম্যারিকের পাঁচটি লাইনই থেকে যাবে।

অন্যসব নিয়ম-নীতি, রীতি-নীতি, যুগের সাথে পালটে যাবে !

এ ব্যাপারে আমার লেখা একটি লিম্যারিক্--


লিম্যারিকের পাঁচটা লাইনই থেকে যাবে।
অন্যসব নিয়ম-নীতি রীতি-নীতি বদল হবে !
যুগের সাথে পালটে যাবে !
হয়তো বা সবশুদ্ধই  পালটি খাবে !
তবে কিছু রক্ষণশীল, গোঁড়া মানুষজন থেকেই যাবে !


যে কোন ছড়ায়, কবিতায়, লিম্যারিক্-এ, আসলে  'ভাব'ই হচ্ছে, আসল। 'ভাব' না থাকলে, অনেক কিছুরই অভাব দেখা যায়।

শুধু 'ফাজলামো' ছড়ায়, চাটুকারেরা দলছাড়া হলে, ছড়াকার/লিম্যারিক্-কার,  আর পাত্তা পাবে না !

এক প্রাণির সাথে, আরেক প্রাণির সঙ্গম ঘটিয়ে, তাদের বাচ্চা প্রসব করিয়ে, নতুন নামকরণ করিয়ে, 'বাহবা' দু'চারদিন পাওয়া যেতে পারে, তবে তা চিরকালীন নয় !

এটা কোন প্রগতিবাদী সংস্কারও নয় !


'লিম্যারিক্'  নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু 'কাজ' করেছি।
তার ফলশ্রুতিতে, আমি, দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায়, এখন পর্যন্ত, ২৯৪টি লিম্যারিক্  লিখে ফেলেছি।
এক থেকে একশোটি লিম্যারিক্, কথায় ক্রমিক সংখ্যায়, 'এক' দুই...ইত্যাদি করে একশো পর্যন্ত টেনে নিয়েছি। তারপর ১০১ থেকে শেষ পর্যন্ত, অঙ্কে, যেমন ১০১, ১০২ প্রভৃতি ভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছি।

আমি 'জোড়া' লিম্যারিক্ও লিখছি।
জোড়া লিম্যারিক-এ, এক-এর সঙ্গে দুই-এর 'ভাব' সদৃশতা থাকছে।

এখন পর্যন্ত, একটা মাত্র  'ত্রয়ী' লিম্যারিক্ লিখেছি।
ওখানে আলাদা আলাদা তিনটি লিম্যারিক্, ভাবের দিক থেকে সুসঙ্ঘবদ্ধভাবে,  সাযুজ্যপূর্ণভাবে,  রয়েছে।

লিম্যারিক্ লেখার সময়, ছন্দের মিল-এর চাইতে, ভাব-ভাবনায় গুরুত্ব দিয়েছি।

যেটা কষ্ট না করে, স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দ ভাবে, সাবলীল গতিতে লেখা যায়, সেই চেষ্টাই করেছি।

আমার একটা লিম্যারিক্ 'চতুর্থী' আছে। চারটে লিমেরিক একসাথে।
আমরা যে লিম্যারিক,  শব্দটা নিয়েছি, তা ইংরেজি শব্দ, LIMERICK-থেকে নিয়েছি।
'Webster' যে ভাবে শব্দটি উচ্চারণ করিয়েছে, তা, lim-er-ick.।
বাংলা ভাষায় উচ্চারণটা কেমন হবে, 'লিমেরিক' না  'লিম-আর-ইক'  না  'লিম্যারিক্' হবে, তা ভাষাবিজ্ঞানীরা সঠিকভাবে নিরুপণ করতে পারবেন।
আমার ব্যক্তিগত ধারণায়, উচ্চারণটা, 'লিম্যারিক‌্' হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।

তবে লেখালেখির জগতে, কবিতার জগতে, ছড়ার জগতে, একজন  'লিম্যারিক্-কার' হিসাবে, আমার মতামতটা শুধু উপস্থাপনা করলাম

মতামতটা নেওয়া, ধরে রাখা, শুধু পত্রিকা সম্পাদকের একার ব্যাপার নয় ! ব্যাপারটা সকল লিম্যারিক্  লিখিয়েদের, পাঠক-পাঠিকাদের,  সমবেত দায়িত্ব।
আমার কাছে 'সংসদ'-এর ইংরেজি-বাংলা  dictionary আছে। ওরা উচ্চারণটা দেখিয়েছে "লিম্যারিক্"।

কে প্রথম  'লিমেরিক' বানান লিখল, আর ওভাবে বংশপরস্পরায় চলে গেল, তা আমার দেখবার নয় !

বানান আর উচ্চারণটা যদি ভুল হয়, তবে, তা সংশোধন করে নেওয়া উচিত !

আমি অবিশ্যি, ছোট পাঁচ লাইনের কবিতাকে লিম‍্যারিক্ আখ্যা দিতে চাই।

তবে লাইনের দৈর্ঘ্য ফিতে দিয়ে মেপে নয়, অন্তমিলও স্বাভাবিক ভাবে না এলে' জোর খাটানো যাবে না ।

তবে কোন ভাবেই লিম্যারিকের মূল ভাবের সাথে, compromise করাও যাবে না।


আমার লেখা কয়েকটি লিম্যারিক্ তুলে ধরলাম--



                                                                             লিম্যারিক্


যৌনতা
মৌখিক ঐতিহ্যের অংশভূত নয়।
তবু যৌনতা মৌখিক ঐতিহ্যের অঙ্গীভূত হয়ে যায় !
চোখ বন্ধ রাখে।
মন তাকায়।



জোড়া লিম্যারিক্

( এক )

একবার মুক্তি হলে
অাত্মবীজের বীজ
তার আধার
সব
নষ্ট হয়ে গোল্লায় যাবে !

( দুই )

তখন আত্মাকে
পথে-ঘাটে
সহজেই
কুড়িয়ে পাওয়া
যাবে !



ত্রয়ী লিম্যারিক্


 ( এক )

চক্রবাক চক্রবাকী
দিনের বেলায় মিলিত হয় !
সারাদিন ধরে চলে খুনসুটি !
কেবল রাত্রে ছাড়াছাড়ি থাকে
পাখি দুটি !

( দুই )

চক্রবাক মিথুন   চক্রবাক মৈথুন
সারারাত বিচ্ছিন্ন থাকে
সূর্যোদয়ে মিলিত হয় !
কারে কি কই ?
ও কথা কি কইতে হয় ?

( তিন )

চক্রবাকী বধূ
যদি হয় আপনার
জানবেন
কোন কৌতূহল নেই আমার
সেকথা জানার !





লিম্যারিক্  চতুর্থী

( এক )

সূক্ষ্ম শরীরের কোষত্রয়াত্মক
শরীর-আত্মা-আত্মক !
প্রাণময়কোষ।
বিজ্ঞানময়কোষ।
মনোময়কোষ।

( দুই )

প্রাণ দিয়ে
কর্ম করবে।
তাই পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়ের সঙ্গে
প্রাণ
প্রাণময়কোষ।

( তিন )

বুদ্ধি দিয়ে
জ্ঞান সঞ্চয় করবে।
তাই পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়ের সঙ্গে
বুদ্ধি
বিজ্ঞানময়কোষ।

( চার )

মন দিয়ে
কর্ম করবে।
তাই পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়ের সঙ্গে
মন
মনোময়কোষ।