বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

हैदराबाद के दोनों चूहे कहा छुप गए: पुष्पेंद्र कुलश्रेष्ठ(हैदराबाद)

Q&A: Lack of Purushartha Drishti & other problems in study of Indian Civ...

"Robert Goldman vs. Gita Press" - Nityanand Misra

Dr Raj Vedam's talk on 'Selected Contributions of India to Knowledge Sys...

ইসলামের পবিত্র কোরআন শরীফে অমুসলিমদের হত্যা করার কথা অনেকবার স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে।


   ইসলামের পবিত্র কোরআন শরীফে অমুসলিমদের হত্যা করার কথা অনেকবার স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে।


 প্রণব কুমার কুণ্ডু 










ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছেন          প্রণব কুমার কুণ্ডু



Arahan Alhaqiqat Alsaraf তার প্রথম পোস্ট শেয়ার করেছেন৷



ইসলামের পবিত্র কোরআন শরীফে অমুসলিমদের হত্যা করার কথা অনেকবার স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে।

উদাহরণ হিসেবে আমি কিছু আয়াত নিচে লিখলাম

কোরান-(৯:৫) - অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মূর্তিপূজারীদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
কোরান-(৪৭:৩৫) যখন তোমাদের কাছে উপযুক্ত ক্ষমতা থাকবে তখন তোমরা সন্ধির আহবান জানিও না। আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হ্রাস করবেন না।
কোরান-(৫:৩৩) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
কোরান (৮:১২) স্মরণ করো! তোমার প্রভু ফিরিশ্‌তাদের কাছে প্রেরণা দিলেন -- ''আমি নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে আছি, কাজেই যারা ঈমান এনেছে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত করো। আমি অচিরেই তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করবো যারা অবিশ্বাস পোষণ করে, অতএব ঘাড়ের উপরে আঘাত করো আর তাদের থেকে সমস্ত প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলো।’’
কোরান-(৮:৬৭) নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর, অথচ আল্লাহ চান আখেরাত।
কোরান-(৯:৭৩) -হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।
কোরান (৯৮:৬) "নিঃসন্দেহ গ্রন্থের অনুবর্তীদের মধ্যের যারা অবিশ্বাস পোষণ করে আর বহুখোদাবাদীরা -- জাহান্নামের আগুনে, তা তে তারা অবস্থান করবে। তারাই স্বয়ং সৃষ্টজীবদের মধ্যে নিকৃষ্টতম।"

কোরান(৩:২৮) মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
কোরান(৮:৪১) “আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত(লুট করা মাল) হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য;
কোরান(৪৭:৪) অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার , অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে!
কোরান(৪:২৪) এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়।
[“দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক” বলতে বুঝায় দাসী বা যৌনদাসী, যাদের অপহরণ করে আনা হয়েছে গনিমতের মাল হিসাবে ।]
[গনিমতের মাল হল অমুসলিমদের নারী, সন্তান, এবং তাদের ধনসম্পত্তি]

ব্রহ্মা ( দুই )


ব্রহ্মা ( দুই )






প্রণব কুমার কুণ্ডু




ব্রহ্মা
হিন্দু বেদান্তদর্শনের
সর্বোচ্চ দেবতা
ব্রহ্মের
সমরূপ বা
সমপর্যায়ের নন।
বরং 
বৈদিক দেবতা
প্রজাপতি
সৃষ্টিকার্যে
ব্রহ্মার
প্রায় সমপর্যায়।

বিদ্যাদেবী 
সরস্বতী
ব্রহ্মার স্ত্রী।
সেকারণে সরস্বতীই ব্রহ্মাকে
ব্যবহারিক সৃষ্টিবিদ্যা
শিখিয়েছেন !

সরস্বতী 
শুধু
বিদ্যাদেবী নন।
সরস্বতী
প্রেমেরও
দেবতা !

মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

15अगस्त को जश्न का दिन नहीं मानता:पुष्पेंद्र कुलश्रेष्ठ(सूरत)24फरवरी

ইউরিক অ্যাসিড

প্রণব কুমার কুণ্ডু











ইউরিক অ্যাসিড

ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু


হেলথ টিপস

রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!

BY BANGLA FREE TIPS · NOVEMBER 7, 2018

রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
আধুনিক শহুরে জীবনে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু সচেতন হয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধিতে কী ধরনের খাবার গ্রহণ
করতে হবেঃ
আমাদের শরীরে দুই ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রয়োজন পড়ে। একটি আবশ্যক (এসেনশিয়াল) অ্যামাইনো অ্যাসিড।
আরেকটি অনাবশ্যক (নন এসেনসিয়াল) অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। কারণ শরীরে পিউরিন তৈরি হয় এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড চলে আসে।
কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে চলে যায়।

নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল। আমরা যদি দেহের চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে থাকি বা খাবারে যদি এলকোহল জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকে, তা থেকে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই পিউরিনের শেষ উৎপাদন (এনডপ্রডাক্ট) হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়।

এই ইউরিক অ্যাসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমেপ্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। এই
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড সূক্ষ্ম স্ফটিক (ক্রিস্টাল) আকারে জয়েন্টের মধ্যে বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা সৃষ্টি করে।

এ ছাড়া আমাদের দেহের শ্বেত কণিকা এই ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিককে ফরেন বডি মনে করে আক্রমণ করে। ফলে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয় বা ফুলে যায়। এই অবস্থাকে টোফেস বলে। প্রথম অবস্থায় শুধু পায়ে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পা ফোলা, হাঁটু ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। ফলে ইউরিকঅ্যাসিড আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটতেও সমস্যা হয়। হাইপারইউরিসেমিয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন : বাত, কিডনিতে পাথর, কিডনি অর্কাযকর হওয়া, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।

হাইপারইউরিসেমিয়া বা ইউরিক অ্যাসিডে যেসব খাবার পরিহার করতে হবেঃ
১. অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন : গরুর মাংস খাসির মাংস,
ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।
২. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস (অর্গান
মিট) খাওয়া যাবে না। যেমন : লিভার, কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।

৩. খোসাযুক্ত প্রাণী পরিহার করতে হবে। যেমন : চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

৪. সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

৫. কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন : পালং শাক,পুঁই শাক, ফুলকপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ , পাকা টমেটো ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।

৬. অ্যালকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন : চা, কফি, কোমল পানীয়, কারো ক্ষেত্রে চকোলেট খাওয়া যাবে না।

৭. মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোস থাকে যা ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়। তাই মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।

যেসব খাবারে বাধা নেইঃ
১. চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন : মুরগির মাংস। মাছ, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।

২. অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন : সবজি-শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়।

৩. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।

৪. এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ জল পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে।

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা:

পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬-সাড়ে ৬ থাকতে হবে। কিন্তু যার আগে গাউট বা কিডনি স্টোন হয়েছে তেমন ক্ষেত্রে ৬-এর মধ্যে থাকতে হবে এবং এর সামান্য উপরে গেলেই চিকিৎসা শুরু করা দরকার। আবার যারা
অ্যাসিম্পটোম্যাটিক গ্রুপে পড়ছেন, তাদের এই মাত্রা ৮ বা অধিক হলে তারপর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

একে কি তাহলে জিনগত রোগ বলা যায়:
না, ইউরিক অ্যাসিডকে ঠিক জিনগত রোগ বলা যায় না। কারণ জিনগত কারণের সঙ্গে জীবনধারার কারণেও এটা হতে পারে। তাই বাবা-মায়ের থাকলেই যে সন্তানের ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে, এমন নয়। আবার এক পরিবারে ভাই-বোনের মধ্যে স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য সমস্যা থাকলে কার গাউট বা কিডনি স্টোন হবে, নাকি হবে না,  সেটা আগাম বলা যায় না। বরং বেহিসেবি জীবনধারা, নিয়মিত জাঙ্ক ফুড, রেড মিট, অ্যালকোহল সেবন থেকে এই সমস্যা হতেই পারে।

টমেটো খেলে ইউরিক অ্যাসিড নাকি বাড়ে? তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের ডায়েট চার্ট কেমন হবে। টমেটো এমনিতে খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। এর নানা গুণ আছে। তবে এটা সত্যি যে, এর ফলে ইউরিক অ্যাসিড সামান্য হলেও বাড়ে, তাই
বীজ বাদ দিয়ে টমেটোর শাঁসটুকু খান। এ ছাড়া পালং শাক, মসুর ডাল, সয়াবিনসবেতেই উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকায় কম খেতে বলা হয়। তবে মনে রাখবেন যাবতীয় এই খাদ্য, সবজি বাদ দিয়েও ইউরিক অ্যাসিড হয়তো কমতে পারে মাত্র ০.৫।

ফলে নজর দিতে হবে জীবনধারায়। শুধু পালং শাক, মসুর ডাল বাদ দেয়াটাই শেষ কথা নয়। কী খাব আর কী বাদ দেব, ভেবেই রোগী চিন্তায় রক্তচাপ বাড়িয়ে ফেলেন।





Dr B M Hegde Excellent Health Secrects Latest

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

Jesus



Jesus


Shared by :                  Pranab Kumar Kundu











Pranab Kumar Kundu




 BBC Documentary Proves Jesus Was A Buddhist Monk Named Issa
 BBC Documentary Proves Jesus Was A Buddhist Monk Named Issa


Jul 03 2017 posted to Ancient History

BBC Documentary Proves Jesus Was A Buddhist Monk Named Issa.

The life story of Jesus, one of the most famous of people ever said to have lived does have many gaping holes in it as between the ages of 13 and 29 there is no Biblical record of the whereabouts of Jesus in Palestine.

However, according to a documentary (watch at the end of the article) by the BBC Jesus was, in fact, a Buddhist monk and was not crucified.

Document Revealing Story Of Jesus Found In Buddhist Monastery.

A Russian doctor by the name of Nicolas Notovitch was traveling through India, Tibet, and Afghanistan during the 19th century and it was said that he spent time at a monastery in Tibet with the name of the Tibetan Buddhist Monastery, which was in Hemis, in Leh in India. He is said to have translated a document that tells the story of Jesus, aka Issa, which means son of God. The story said that he had been born during the first century into a family who was poor in Israel.

The tutors in the monastery called him the son of God from aged 13 to 29. It was said that Notovitch went on to translate 200 of the verses out of the 224 that were in the document.

A Lama explained to Notovitch the scope, along with the level of enlightenment, which Jesus had managed to achieve during his time at the monastery and this was said to be an extreme level. The Lama said that Jesus was a great prophet and had been the first following twenty-two Buddha’s. He went on to say that he was greater than all of the Dalai Lamas as he constituted the spirituality of the Lord.

Three Wise Men Could Have Been Buddhists Looking For Reincarnation Of Lama
The finding and translation of the documents at the monastery do happen to be in line with what has become known as The Lost Years of Jesus. Following the death of a Holy Man or great Buddhist, the wise men were said to have consulted the stars and then taken off on a long journey with the hope of finding the baby who they believed was the reincarnation of the Lama. Once that child reaches an age when he can be taken from his parents he is taken and then educated in the faith of Buddhism. Many experts are in agreement that this was the foundation of the origin of the story about the three wise men who visited the stable in Bethlehem on the night Jesus was born. There is the belief that Jesus went to India with the wise men when he was 13 and brought up as a Buddhist.

One of the senior Lama members of the monastery told a news agency that Jesus visited India to study Buddhism and he took inspiration from the wisdom and laws of Buddha. The verses have been documented by many people since, including Nicholas Roerich, who had in 1952 recorded the accounts of the time Jesus spent at the monastery.

Jesus A Buddhist Monk Hemis Roza Bal
Jesus Was Excommunicated And Fled To The Himalayas.
It was also said that Jesus had spent some of the time teaching in many holy cities, including Jagannath, Rajagriha and Benares and this led to Brahmins excommunicating him and Jesus then had to flee and went to the Himalayas to continue the study of Buddhism. A German scholar, Holger Kersten, wrote about Jesus early years and said that Jesus had settled in Sindh among the Aryans and he wanted to perfect himself.

The BBC made a documentary entitled “Jesus Was A Buddhist Monk, ” and it looks at the theory that Jesus was not crucified and when he was in his 30s he went back to the place he loved.

The documentary said that Jesus escaped death and went to stay in Afghanistan with Jewish settlers. Local people were said to have confirmed the fact that Jesus had spent many years in the Kashmir Valley and had remained there until he passed away at the age of 80 years. If Jesus did spend 16 years when he was a youth in the region, along with the last 45 years of his life, he would have spent around 61 years in total in India, Tibet, and regions close-by. There are locals who believe that Jesus was in fact laid to rest at the Roza Bal shrine in Srinagar in Kashmir.

Watch the documentary about Jesus.


সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

আরবান নকসাল


আরবান নকসাল


বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, নৈহাটি শাখার উদ্যোগে, গত ৬ই ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে, নৈহাটিতে, মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ১৬৬তম জন্মোৎসব পালন সভা, অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
উক্ত সভায়, শ্রোতা হিসাবে,  উপস্থিত হওয়ার জন্য,  আমি নিমন্ত্রিত হয়েছিলাম।

ঐ জন্মোৎসভায়, অধ্যাপক ড, মলয় রক্ষিত, প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন।
অধ্যাপক রক্ষিত, বর্তমানে, কর্মসূত্রে,  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আবদ্ধ।
এর আগে তিনি, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সাথে, যুক্ত ছিলেন।

অধ্যাপক রক্ষিত, তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে, প্রথমেই ৬ই ডিসেম্বরের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ব্যাপার তুলে ধরলেন, একজন 'আরবান নকসাল'-এর মতন, বস্তাপচা কথাবার্তা, মিনিট তিনেক ধরে বললেন ! উনি ভুলে গেলেন ঠিক কি ব্যাপারে উনি উক্ত সভায় এসেছেন !

এইরকম একজন 'আরবান নকসাল'কে, প্রধান অতিথি হিসাবে এনে, উদ্যোক্তারা, দৃষ্টিকটুভাবে,  শ্রোতাদের কাছ থেকে অবহেলাই পেলেন !



প্রণব কুমার কুণ্ডু








CURRENT RELIGIOUS STATISTICS IN INDIA...🌍*_ Are those correct ?



  CURRENT RELIGIOUS STATISTICS IN INDIA...🌍*_
  Are those correct ?



Shared from Facebook     by     Pranab Kumar Kundu


Pranab Kumar Kundu











CURRENT RELIGIOUS STATISTICS IN INDIA...🌍*_

_*🇮🇳OVER ALL INDIA🌍*_
_Hindu 74.33%_
_Muslim 14.20%_
_Christian 5.84%_
_Sikh 1.86%_
_Ethmoreligionist ( ? ) 1.35%_
_Buddhist 0.82%_
_Non religious 0.48%_
_Other 0.47%_

_*🇮🇳ANDHRA PRADESH*_
_Hindu 89.0%_
_Muslim 9.2%_
_Christian 1.6%(3.0%)_
_Other 0.2%_

_*🇮🇳ARUNACHAL PRADESH*_
_Hindu 34.6%_
_Ethnic religions 30.7%_
_Buddhist 13.0%_
_Christian 18.7%(25%)_
_Muslim 1.9%_

_*🇮🇳ASSAM*_
_Hindu 65%_
_Muslim 30.9%_
_Christian 3.7%(7.0%)_
_Buddhist 0.2%_
_Other 0.2%_

_*🇮🇳BIHAR*_
_Hindu 83.2%_
_Muslim 16.5%_
_Christian 0.1%(0.3%)_

_*🇮🇳CHATTISGARH*_
_Hindu 94.7%_
_Muslim 2.0%_
_Christian 1.9%(2.5%)_
_Other 1.5%_

_*🇮🇳DELHI*_
_Hindu 82%_
_Muslim 11.7%_
_Sikh 4.0%_
_Jain 1.1%_
_Christian 0.9%(1.86)_

_*🇮🇳GOA*_
_Hindu 65.8%_
_Christian 26.7%(41.5%) catholic_
_Muslim 6.8%_
_Other 0.2%_

_*🇮🇳GUJARAT*_
_Hindu 89.1%_
_Muslim 9.1%_
_Jain 1.0%_
_Christian 0.6%(1.2%)_

_*🇮🇳HARYANA*_
_Hindu 88.2%_
_Sikh 5.5%_
_Muslim 5.8%_
_Jain 0.3%_
_Christian 0.1%(0.3%)_

_*🇮🇳HIMACHAL PRADESH*_
_Hindu 95.4%_
_Muslim 2,0%_
_Buddhist 1.3%_
_Sikh 1.2%_
_Christian 0.1%(0.2%)_

_*🇮🇳JAMMU KASHMIR*_
_Muslim 67.0%_
_Hindu 29.6%_
_Sikh 2.0%_
_Buddhist 1.1%_
_Christian 0.2%(0.3%)_

_*🇮🇳JHARKHAND*_
_Hindu 68.6%_
_Muslim 13.8%_
_Tribal religion 13.0%_
_Christian 4.1%(6.0%)_

_*🇮🇳KARNATAKA*_
_Hindu 83.9%_
_Muslim 12.2%_
_Christian 1,9%(4.0%)_
_Jain 0.8%_
_Buddhist 0.7%_

_*🇮🇳KERALA*_
_Hindu 56.2%_
_Muslim 24.7%_
_Christian 19.0%(35.5%)_

_*🇮🇳MADHYA PRADESH*_
_Hindu 91.1%_
_Muslim 6.4%_
_Jain 0.9%_
_Christian 0.3%(2.2%)_
_Other 1.2%_

_*🇮🇳MAHARASHTRA*_
_Hindu 80.4%_
_Muslim 10.6%_
_Buddhist 6.0%_
_Jain 1.3%_
_Christian 1.1%(2%)_
_Other 0.4%_

_*🇮🇳MANIPUR*_
_Hindu 46%_
_Christian 34%(41.8%)_
_Muslim 8.8%_
_Other 11.2%_

_*🇮🇳MEGHALAYA*_
_Christian 70.3%(76%)_
_Hindu 13.3%_
_Muslim 4.3%_
_Other 11.8%_

_*🇮🇳MIZORAM*_
_Christian 87%(89.6%)_
_Buddhist 7.9%_
_Hindu 3.6%_
_Muslim 1.1%_

_*🇮🇳NAGALAND*_
_Christian 90%(93.1%)_
_Hindu 7.7%_
_Muslim 1.8%_

_*🇮🇳ORISSA*_
_Hindu 94.4%_
_Christian 2.4%(2.0%)_
_Muslim 2.1%_
_Other 1.1%_

_*🇮🇳PUNJAB*_
_Sikh 59.9%_
_Hindu 36.9%_
_Christian 1.2%(2.2%)_
_Muslim 1.6%_
_Other 0.4%_

_*🇮🇳RAJASTHAN*_
_Hindu 88.8%_
_Muslim 8.5%_
_Sikh 1.4%_
_Jain 1.2%_
_Christian 0.1%(0.4%)_

_*🇮🇳SIKKIM*_
_Hindu 60.9%_
_Buddhist 28.1%_
_Christian 6.7%(7.5%)_
_Muslim 1.4%_
_Other 2.6%_

_*🇮🇳TAMILNADU*_
_Hindu 88.1%_
_Christian 6.1%(19.0%)_
_Muslim 5.6%_
_Other 0.2%_

_*🇮🇳TRIPURA*_
_Hindu 85.6%_
_Muslim 8.0%_
_Buddhist 3.1%_
_Christian 3.2%(5.5%)_

_*🇮🇳UTTARPRADESH*_
_Hindu 80.6%_
_Muslim 18,5%_
_Sikh 0.4%_
_Buddhist 0.2%_
_Christian 0.1%(0.3%)_
_Jain 0.1%_

_*🇮🇳UTTARKAND*_
_Hindu 85%_
_Muslim 11.9%_
_Sikh 2,5%_
_Christian 0.3%(0.6%)_
_Buddhist 0.1%_
_Jain 0.1%_

_*🇮🇳WEST BENGAL*_
_Hindu 72.5%_
_Muslim 25.2%_
_Christian 0.6%(1.2%)_
_Buddhist 0.3%_
_Other 1.3%_



* Probably the percentages of population of Muslims were shown much less !


প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: Modi-ji !

প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: Modi-ji !: প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: Modi-ji ! : Modi-ji ! Shared from Facebook by Pranab Kumar Kundu Pranab Kumar kundu ...

প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: Modi-ji !

প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা: Modi-ji !: Modi-ji ! Shared from Facebook by Pranab Kumar Kundu Pranab Kumar kundu ‎ Avantika DN ‎   এতে   Nation wants to...

Modi-ji !



Modi-ji !

Shared from Facebook by Pranab Kumar Kundu


Pranab Kumar kundu


Avantika DN এতে Nation wants to know

নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি

প্রণব কুমার কুণ্ডু










নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি


বোম্বে প্রেসিডেন্সির, মহেসানা জেলার, বড়নগর নামক স্থানে, এক ঘাঞ্চী তেলি নিম্নবর্গের সম্প্রদায়ের পরিবারে, শ্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি, জন্মগ্রহণ করেন।
বর্তমানে, স্থানটি, গুজরাত রাজ্যে।

ঘাঞ্চী সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী, মোদিজির তেরো বছর বয়সে, যশোদাবেন চিমনলাল নামের একটি মেয়ের সঙ্গে, মোদিজির 'বিবাহ' ঠিক হয়।এবং মোদিজির আঠারো বছর বয়সে, তাঁদের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠান নিষ্পন্ন হয়।

গুজরাতের চারটি বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে, মোদিজি, তাঁর বিবাহ সম্ভন্ধে, নীরবতা অবলম্বন করেছিলেন !

কিন্তু ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত, ষোড়শ জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের মনোনয়ন-পত্র জমা দেওয়ার সময়, মোদিজি, যশোদাবেনকে, নিজের আইনত বৈধ স্ত্রী হিসাবে, স্বীকার করেছিলেন !

তন্ত্র


তন্ত্র




প্রণব কুমার কুণ্ডু










শ্বাস-প্রশ্বাসের বিশেষ ক্রিয়া, যা কিনা প্রাণায়াম, এবং বিশেষত কুম্ভক, তন্ত্রসাধনার প্রথম ধাপ।
তনুকে জাগানোই তন্ত্র।
শাস্ত্রীয় দৃষ্টিতে, এমনিতে, দেহের 'শিরা-উপশিরা'গুলি, স্তিমিত হয়ে থাকে, প্রাণায়াম এবং 'কুম্ভক' করলে, এবং মন্ত্রের সাহায্যে,  ঐগুলি জাগিয়ে তোলা যায় !
দেহ জাগলে, তবে তো ভগবান !
দেহ ঘুমিয়ে থাকলে, কি 'ভগবান'কে, ডাকা যায় ?
না তন্ত্রসাধনা করা যায় ?

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বড়ু চণ্ডীদাসের পুঁথি, শিল্পী যামিনী রায়দের বাড়ির দুর্গাপূজা













প্রণব কুমার কুণ্ডু











  বড়ু চণ্ডীদাসের পুঁথি, শিল্পী যামিনী রায়দের বাড়ির দুর্গাপূজা


  ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু


রথঘরে দেবীমুণ্ডের পুজো
************************

বাঁকুড়ার এক গ্রামে গোয়ালঘর থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ পুঁথি আবিষ্কার করেছিলেন বসন্তরঞ্জন রায়। শিল্পী যামিনী রায় তাঁরই খুড়তুতো ভাই। সেই পরিবারের দুর্গাপুজোর বিচিত্র প্রথা।
বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের কৃষ্ণপ্রেম ও টেরাকোটার মন্দিরের শিল্পকলার খ্যাতি তত দিনে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ছুটে আসছেন মল্লরাজধানী বিষ্ণুপুরে। বিষ্ণুপুরের কাছে রাধানগর সংলগ্ন কাঁকিল্যা গ্রামের এক গোয়ালঘরের মাচায় তখনও পড়ে ছিল এক পুঁথি, বিচিত্র কৃষ্ণকথা— প্রাক্‌-চৈতন্য যুগে যা রচনা করে গিয়েছিলেন কবি বড়ু চণ্ডীদাস।
সেই পুঁথি জনসমক্ষে এল ১৯০৯ সালে। আর তা সম্ভব হয়েছিল বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা বসন্তরঞ্জন রায়ের হাত ধরে। গোয়ালঘরের মাচা থেকে তাঁরই মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ঢুকে পড়ল সেই পুঁথি। বসন্তরঞ্জনই বড়ু চণ্ডীদাসের সেই পুঁথির নামকরণ করলেন ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।
বসন্তরঞ্জন রায়ের আরও একটি পরিচয়, সম্পর্কে তিনি বরেণ্য চিত্রকর যামিনী রায়ের দাদা। বেলিয়াতোড়ে এই রায় পরিবার ‘জমিদার পরিবার’ নামে খ্যাত। প্রাচীন এই পরিবারের দুর্গাপূজাটিও ঐতিহ্যমণ্ডিত। মল্লরাজাদের আমল থেকে প্রচলিত এই পুজোকে অনেকে ‘মুণ্ড পুজো’ও বলেন। কারণ এখানে কেবল দেবীর মুখমণ্ডলের মূর্তিরই পুজো করা হয়।
সেই গল্পই শোনাচ্ছিলেন এই পরিবারের উত্তরসূরি তাপস রায়। জানালেন, মল্লরাজাদের আমলে বর্গি আক্রমণের জেরে প্রাণভয়ে বাংলাদেশ থেকে বিষ্ণুপুরে এসে পড়েছিলেন বাংলার বারো ভুঁইয়ার এক ভুঁইয়া, রাজা প্রতাপাদিত্য রায়ের এক ভাই। তিনি ‘কচু রায়’ নামে পরিচিত হন। মল্লরাজারা কচু রায়কে আশ্রয় দিয়েছিলেন, বেলিয়াতোড়ে তাঁকে জায়গিরও দেন। সেই থেকেই রায় পরিবারের বাস শুরু বেলিয়াতোড়ে। কচু রায়ের তিন ছেলে— বড় রায়, মেজ রায় ও ছোট রায়। বসন্তরঞ্জন, যামিনী রায়েরা মেজ রায়ের বংশধর ছিলেন। তাপসবাবু ছোট রায়ের উত্তরসূরি।
তাপসবাবুর থেকেই জানা গেল, বেলিয়াতোড়ের রায় পরিবারের মুণ্ড পুজো তিনশো বছর বা তারও বেশি পুরনো। এই পুজো শুরুর আগে থেকেই অবশ্য রায় পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছিল বিষ্ণুপুরে। তখন এই পরিবারের বাস ছিল সেখানেই। দেবীর সেই প্রাচীন দশভুজা মূর্তি বিষ্ণুপুর শহরের গোপালগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত। এখনও নিত্যপুজো হয়, তার যাবতীয় খরচ বেলিয়াতোড় থেকেই সামলান রায় পরিবারের বর্তমান সদস্যেরা।
শোনা যায়, কচু রায়ের এক বংশধর পুরীতে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই এক সাধু তাঁর হাতে ওই প্রাচীন দশভুজা দেবীমূর্তি তুলে দিয়েছিলেন। সেই বিগ্রহেরই প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয় গোপালগঞ্জে। পরবর্তী কালে রায় পরিবার বেলিয়াতোড়ে এসে বসবাস শুরু করে। তখনও মুণ্ড পুজোর প্রচলন হয়নি। জনশ্রুতি, পরিবারের কাউকে দেবী স্বপ্নাদেশে নির্দেশ দেন, দশভুজারূপে যেহেতু তিনি বিষ্ণুপুরে পূজিতা হচ্ছেন, তাই পুজোর চার দিন বেলিয়াতোড়ে কেবল দেবীর মুখমণ্ডল গড়ে পুজো করতে হবে। সেই থেকেই বিষ্ণুপুরে দেবীর নিত্যপূজার পাশাপাশি বেলিয়াতোড়েও রায় পরিবারের বাৎসরিক দুর্গাপুজো শুরু হয়।
বেলিয়াতোড়ে পুজো সামলানোর পাশাপাশি রায় পরিবারের সদস্যেরা বিষ্ণুপুরেও দেবীর পুজোয় যোগ দিতেন। এক বার বিষ্ণুপুরের পুজোয় যোগ দিতে যাওয়ার পথে কী এক অঘটন ঘটে। তার পর থেকেই পরিবারের সদস্যেরা দুর্গাপুজোর চার দিন বিষ্ণুপুরের প্রাচীন পুজোয় যাওয়া বন্ধ করে দেন। এটিই ক্রমে পারিবারিক প্রথা হয়ে দাঁড়ায়। শুরু হয় ‘বাহক’ প্রথা। পরিবারের লোক অনুপস্থিত থাকলেও বিষ্ণুপুরের পুজোর নৈবেদ্য বা যাবতীয় উপকরণ বেলিয়াতোড় থেকে পাঠানো হত। বেলিয়াতোড় সংলগ্ন বনগ্রাম এলাকার কিছু গ্রামবাসী জমিদারের ‘বাহক’ হিসেবে সেই সব নিয়ে বিষ্ণুপুরে যেতেন। ষষ্ঠী থেকে একাদশী পর্যন্ত বাহকেরা বিষ্ণুপুরে দেবীর মন্দিরেই থাকতেন। পরে ফিরে আসতেন বেলিয়াতোড়ে। শতাব্দীপ্রাচীন সেই প্রথা আজও বর্তমান। বনগ্রামের কিছু বাসিন্দা এখনও রায়বাড়ির বাহক হিসেবে পুজোর উপকরণ নিয়ে ষষ্ঠীতে বিষ্ণুপুরের দশভুজা মন্দিরে যান।
বেলিয়াতোড়ে রায়বাড়ির নিজস্ব দুর্গামন্দিরে প্রাচীন সেগুন কাঠের রথঘর রয়েছে। পুজোর সময়ে দেবীর মুখমণ্ডলের মূর্তি সেই রথঘরে রাখা হয়। রথঘরের গায়ে রং-তুলি দিয়ে চারপাশে বাহন সমেত লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ও শিবের ছবি আঁকা হয়।
বিষ্ণুপুরে রায়বাড়ির আদি পুজোয় ঢাক বাজানো হলেও বেলিয়াতোড়ের পুজোয় ঢাকের বদলে কাড়া-নাকাড়া বাজানো হয়। নবপত্রিকা স্নানের সময়ে ও বিসর্জনের সময়ে কাড়া-নাকড়ার ছন্দ শোনা যায়। রায়বাড়ির বারোটি পরিবার এখন পুজো চালান।
বসন্তরঞ্জন বহু বছর আগেই বেলিয়াতোড় ছেড়েছিলেন। আর ফেরেননি। তাঁর কোনও এক নাতি পরিবার নিয়ে সত্তরের দশকে কয়েক বছর বেলিয়াতোড়ে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। বেলিয়াতোড়ে থাকাকালীন তিনি পরিবারের এই পুজোয় যোগও দিতেন। যদিও পরে তিনি বসন্তরঞ্জনের বসতভিটে বিক্রি করে সপরিবার চলে যান।
বসন্তরঞ্জনের পরিবারের আর কোনও খোঁজ পাননি বেলিয়াতোড়ে রায় পরিবারের বর্তমান সদস্যেরা। মুণ্ড পুজো অবশ্য চলছে নির্বিঘ্নেই।
source-- ananda bazar patrika
৬ অক্টোবর, ২০১৮

কুমারী পূজা


কুমারী পূজা



প্রণব কুমার কুণ্ডু





 







  কুমারী পূজা

  ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু


রানা চক্রবর্তী গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য


কুমারী পূজার ইতিবৃত্ত: কুমারী পূজা কি? কেন করা হয়? শাস্ত্র, পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থে কুমারী পূজার ব্যাখ্যা, স্বামী বিবেকানন্দের কুমারী পূজার ইতিহাস এবং কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ব:

(তথ্যসূত্র:
শ্রীশ্রীচণ্ডী, অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।
পূজা-বিজ্ঞান, স্বামী প্রমেয়ানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা
পৌরাণিকা : বিশ্বকোষ হিন্দুধর্ম (প্রথম খণ্ড অ-ন), অমলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ফার্মা কেএলএম প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা।
সাধন-সমর, ব্রহ্মর্ষি শ্রীসত্যদেব, সাধন-সমর কার্যালয়।
স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী, উদ্বোধন কার্য্যালয়, কলকাতা।)



রানা চক্রবর্তী  কুমারী পূজা কি? কেন করা হয়? শাস্ত্র, পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থে কুমারী পূজার ব্যাখ্যা, স্বামী বিবেকানন্দের কুমারী পূজার ইতিহাস এবং কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ব: 


বিবেকানন্দের কুমারী পূজার ইতিহাস এবং পূজার দার্শনিক তত্ত্ব:ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন,- “ দিব্যচক্ষু চাই। মন শুদ্ধ হলেই সেই চক্ষু হয়। দেখনা কুমারীপূজা। হাগা-মোতা -মেয়ে, তাকে ঠিক দেখলুম সাক্ষাৎ ভগবতী।” তিনি আরও বলেছেন,- “সারদা মা কে কুমারীর ভিতর দেখতে পাই বলে কুমারীপূজা করি।” কুমারী হল শুদ্ধ আধার।কুমারী পূজা হলো তন্ত্রশাস্ত্রমতে অনধিক ষোলো বছরের অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পূজা। বিশেষত দুর্গাপূজার অঙ্গরূপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কালীপূজা, জগদ্ধাত্রীপূজা এবং অন্নপূর্ণা পূজা উপলক্ষে এবং কামাখ্যাদি শক্তিক্ষেত্রেও কুমারী পূজার প্রচলন রয়েছে।প্রতিবছর দুর্গাপূজার মহাষ্টমী পূজার শেষে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয় তবে মতান্তরে নবমী পূজার দিনও এ পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে।সূদূর অতীত থেকেই কুমারী পূজার প্রচলন ছিলো এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায় "কুমারীপূজাপ্রয়োগ" গ্রন্থের পুথি থেকে।


● বর্ণনা: যোগিনীতন্ত্র, কুলার্ণবতন্ত্র, দেবীপুরাণ, স্তোত্র, কবচ, সহস্রনাম, তন্ত্রসার, প্রাণতোষিণী, পুরোহিতদর্পণ প্রভৃতি ধর্মীয় গ্রন্থে কুমারী পূজার পদ্ধতি এবং মাহাত্ম্য বিশদভাবে বর্ণিত হযে়ছে। বর্ণনানুসারে কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয়, এমনকি বেশ্যাকুলজাত কুমারীও। তবে সাধারণত ব্রাহ্মণ কুমারী কন্যার পূজাই সর্বত্র প্রচলিত। এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেযে়র পূজা করা যায়। বয়সের ক্রমানুসারে পূজাকালে এই সকল কুমারীদের বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।


১) এক বছরের কন্যা — সন্ধ্যা। 
২) দুই বছরের কন্যা — সরস্বতী।
৩) তিন বছরের কন্যা — ত্রিধামূর্তি।
৪) চার বছরের কন্যা — কালিকা।
৫) পাঁচ বছরের কন্যা — সুভগা।
৬) ছয় বছরের কন্যা — উমা।
৭) সাত বছরের কন্যা — মালিনী।
৮) আট বছরের কন্যা — কুষ্ঠিকা।
৯) নয় বছরের কন্যা — কালসন্দর্ভা।
১০) দশ বছরের কন্যা — অপরাজিতা।
১) এগারো বছরের কন্যা — রূদ্রাণী।
১২) বারো বছরের কন্যা — ভৈরবী।
১৩) তেরো বছরের কন্যা — মহালক্ষ্মী।
১৪) চৌদ্দ বছরের কন্যা — পীঠনাযি়কা।
১৫) পনেরো বছরের কন্যা — ক্ষেত্রজ্ঞা।
১৬) ষোলো বছরের কন্যা — অন্নদা বা অম্বিকা।
● কুমারী পূজা বিষয়ে বিভিন্ন শাস্ত্রীয় ও পৌরাণিক ধারনা: বৃহদ্ধর্মপুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী দেবতাদের স্তবে প্রসন্ন হয়ে দেবী চণ্ডিকা কুমারী কন্যারূপে দেবতাদের সামনে দেখা দিয়েছিলেন। দেবীপুরাণে বিস্তারিত এ বিষয় উল্লেখ আছে। তবে অনেকে মনে করেন যে, দুর্গা পূজায় কুমারী পূজা সংযুক্ত হয়েছে তান্ত্রিক সাধনামতে। এক সময় শক্তিপীঠ সমূহে কুমারী পূজার রীতি প্রচলিত ছিল। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদেও কুমারীর কথা উল্লেখ আছে। আর এ থেকে অনুমান করা কঠিন নয় যে, দেবীর কুমারী নাম অনেক পুরনো। দেবীর কুমারী নাম যেমন পুরনো, তার আরাধনা ও পূজার রীতিনীতিও তেমনি প্রাচীন এবং ব্যাপক। যোগিনীতন্ত্রে কুমারী পূজা সম্পর্কে উল্লেখ আছে ব্রহ্মাশাপবশে মহাতেজা বিষ্ণুর দেহে পাপ সঞ্চার হলে সেই পাপ থেকে মুক্ত হতে হিমাচলে মহাকালীর তপস্যা শুরু করেন। বিষ্ণুর তপস্যায় মহাকালী খুশি হন।দেবীর সন্তোষ মাত্রেই বিষ্ণুর পদ্ম হতে সহসা 'কোলা' নামক মহাসুরের আবির্ভাব হয়। সেই কোলাসুর ইন্দ্রাদি দেবগণকে পরাজিত করে অখিল ভূমণ্ডল, বিষ্ণুর বৈকুণ্ঠ এবং ব্রহ্মার কমলাসন প্রভৃতি দখল করে নেয়।তখন পরাজিত বিষ্ণু ও দেবগণ 'রক্ষ' 'রক্ষ' বাক্যে ভক্তিবিনম্রচিত্তে দেবীর স্তব শুরু করেন। বিষ্ণু ও আদি দেবগণের স্তবে সন্তুষ্টা হয়ে দেবী বলেন“হে বিষ্ণু! আমি কুমারীরূপ ধারণ করে কোলানগরী গমন করে কোলাসুরকে সবান্ধবে হত্যা করিব।” অতঃপর তিনি কোলাসুরকে বধ করলে-সেই থেকে দেব-গন্ধর্ব, কিন্নর-কিন্নরী, দেবদেবীগণ সকলে সমবেত হয়ে কুসুম-চন্দন-ভারে কুমারীর অর্চনা করে আসছেন।
পুরাণে আছে, ব্রহ্মার নির্দেশানুসারে শ্রীরামচন্দ্র দেবীপূজার আয়োজন করলেন। কিন্তু দেবী কি তখন জাগ্রত না নিদ্রিত? দেবী কি এখন আবির্ভূত হতে প্রস্তুত। তাই ধ্যানে খোঁজ নিলেন যে দেবী এখন কোথায় আছেন? ধ্যানমানসে উদ্ভাসিত হলেন দেবী এবং জানতে পারলেন যে, দেবী তখন কুমারীরূপে শায়িত আছেন বিল্বশাখায়। স্রষ্টা ব্রহ্মার নির্দেশ অনু্যায়ী শ্রীরামচন্দ্র শুক্লা ষষ্ঠীর সকালে কল্পারম্ভ এবং সন্ধ্যায় বিল্ব বৃক্ষমূলে শুরু করলেন দেবীর বোধন। ষষ্ঠীতে বোধিত হলেন দেবী। সপ্তমীতে ষোড়শোপচারে দেবীকে পূজা করলেন শ্রীরামচন্দ্র; কিন্তু তখন পর্যন্ত দেবীর কোন সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। তখন অষ্টমী তিথিতে সকল যোগিনীদের ডেকে আবার সমস্ত পূজা-অর্চনা করে আরাধনা করা হল দেবীকে। দেবী তখনও কোন সাড়া দিলেন না। আগত যোগিনীদের হৈ-চৈ-তে দেবী তখন কেবল একটু নড়ে চড়ে পাশ ফিরে শয়ন করলেন। কিন্তু জাগ্রত হলেন না। তখন অষ্টমীর শেষ এবং নবমীর শুরুতে মহা সন্ধিক্ষণে করলেন দেবীর আবার বিশেষ পূজা। যাকে বলা হয় সন্ধিপূজা। অষ্টমীর ২৪ মিনিট এবং নবমীর ২৪ মিনিট নিয়ে মোট ৪৮ মিনিটের পূজা হল সন্ধিপূজা। সন্ধিপূজা হল দেবী চামুন্ডার বিশেষ পূজা। শ্রীরামচন্দ্র তখন চামুন্ডা দেবীকে আবাহন করে বললেন-যেভাবেই হোক দেবী দুর্গাকে জাগাতে হবে। চামুন্ডার সহযোগীতায় দেবী তখন জেগে উঠলেন নবমী তিথিতে। শ্রীরামচন্দ্র দেবীকে যোগিনীদের সঙ্গে বিশেষ পূজা করলেন। এবং দেবীকে দর্শন করলেন কুমারীরূপে। সেই থেকে কুমারীরূপী দেবীপূজা শুরু। শ্রীরামচন্দ্র দেবী দুর্গাকে একসঙ্গে একশ আটটি নীলপদ্ম অঞ্জলি দিলেন এবং দেবী নবমীর দিন কুমারীরূপে পূজিতা হলেন।
মহাভারত অনুসারে, বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন কুমারী পূজা করেন। শ্বেতাশ্বর উপনিষদেও কুমারী পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাচীন শাস্ত্র ও গ্রন্থ থেকে নেপাল, ভুটান ও সিকিমেও কুমারী পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়।

● স্বামী বিবেকানন্দের কুমারী পূজার ইতিহাস: স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম কুমারী পূজা করেন ১৮৯৮ সালে, তাঁর কাশ্মীর ভ্ৰমণকালে। তিনি যখন ১৮৯৮ সালে কাশ্মীর ভ্রমণে গেছিলেন, তখন তিনি এক মুসলমান মেয়েকে কুমারীপূজা করেছিলেন। শাস্ত্ররীতিতে ব্রাহ্মণ কন্যাকেই কুমারীপূজার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি সমস্ত রীতির উর্ধ্বে গিয়ে পূজা করেছেন মুসলমান -কন্যাকে। তিনি জাতপাতের উর্ধ্বে দেবী দর্শন করেন। দেবীত্ব কেবল ব্রাহ্মণত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বা দেবীত্ব ও মাতৃ্ত্ব কারোর একচেটিয়া সম্পদ নয়। মাতৃত্ব ও দেবীত্ব প্রতিটি নারীর আজন্ম সম্পদ। স্বামীজির ধ্যানে ও দর্শনে তা প্রমাণিত। তাই তিনি মুসলমান -কন্যার মধ্যে দেবীত্বের সন্ধান পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন দর্শকদের, যেদিকে তাকাচ্ছি দেখছি কেবল মা’র মূর্তি। অবাক হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা স্বামীজির ভাবমূর্তি দেখে।

১৮৯৯ সালে তিনি কন্যাকুমারী শহরে ডেপুটি একাউণ্ট্যাণ্ট জেনারেল মন্মথ ভট্টাচার্যের কন্যাকে কুমারী রূপে পূজা করেছিলেন।

১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ, বেলুড় মঠে দুর্গা পূজা ও কুমারী পূজা শুরু করেন।
১৯০১ সালে বেলুড় মঠের প্রথম কুমারী পুজায় স্বামী বিবেকানন্দ নয় জন কুমারী কে পূজা করেন।
এখন বেলুড়মঠে একজনকেই করা হয়ে থাকে। এটাই নাকি শাস্ত্রীয় রীতি। স্বামীজির দিব্যদৃষ্টিতে সকল কুমারীই দেবীর এক-একটি রূপ। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি পূজা করেছিলেন ৯ জন কুমারীকে। স্বামীজি প্রতিটি কন্যাকে ভক্তিভরে পূজা করেছিলেন। ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করেছিলেন শ্রদ্ধাভরে। এই নয়জন কন্যার মধ্যে একজন ছিলেন গৌরীমার পালিতা কন্যা দুর্গামা। যাঁর কপালে টিপ পরাতে গিয়ে স্বামীজি ভাবাবিষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন। চন্দনের টিপ পরানোর সময় তিনি ভাবে শিহরিত হয়েছিলেন। আবেগভরে তিনি বলেছিলেন- “ আঃ! দেবীর বোধ হয় তৃ্তীয় নয়নে আঘাত লেগে গেল।” তাঁর দৃষ্টি ঠিকই। আমাদের দুটো চোখ থাকলেও, তৃ্তীয় চোখ থাকে দেবী দুর্গার। তিনি সেই কুমারীর মধ্যে তৃ্তীয় নয়ন প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তাঁর দৃষ্টিতে তিনি যেমন ‘সেদিন দুর্গারূপে প্রতিষ্ঠিতা’- পরবর্তীকালেও সেই কন্যা দুর্গামা নামে পরিচিতা হয়েছিলেন। স্বামীজির স্নেহধন্যা ছিলেন এই কন্যা। স্বামীজির কুমারীপূজায় যেন সত্যিই সত্যি ঠিক ঠিক দুর্গামারূপে তিনি পরিগণিতা হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ‘দুর্গামা’ অধ্যক্ষারূপে প্রতিষ্ঠিতা হয়েছিলেন সারদেশ্বরী আশ্রমে। স্বামীজির অন্তর্দৃষ্টি যেন বাস্তবায়িত হয়েছিল এই কুমারীপূজার মধ্য দিয়ে। অবশ্য এই নয়জন কুমারীর মধ্যে দুর্গামা যেমন ছিলেন, তেমনি শ্রীরামকৃষ্ণের ভাইপো রামলালদাদার কনিষ্ঠা কন্যা রাধারানীও ছিলেন। স্বামীজি এই পূজার দ্বারা যেন একটা নূতন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। সমস্ত নীতির উর্ধ্বে গিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন এক নূতন নীতি। তিনি নারীজাতির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা নিদর্শন করেছেন এই কুমারীপূজার মধ্য দিয়ে। শুধু তাই নয়, ইদানীং যে দুর্গাপূজার সময় জীবন্ত কন্যাকে কুমারীপূজা করার প্রচলন তা স্বামীজিরই আবিষ্কার বা তিনিই এর প্রচারক।
অন্য একটি ঘটনার মধ্যে আমরা পাই তাঁকে দিব্যভাবের পূজক হিসাবে। তিনি তখন উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে (খুব সম্ভবত ১৯০০ সাল)। সেখানে এক প্রবাসী বাঙালির কুমারী মেয়েকে কুমারীপূজা করেছিলেন। সেই মেয়েটির নাম ছিল মণিকা। পরবর্তীকালে এই মণিকাদেবী হয়ে উঠেছিলেন যশস্বিনী সন্ন্যাসিনী। এ যেন স্বামীজির ঐ দিব্য বীজের বপন, যেন অনাঘ্রাত কুসুমকে দেবসেবায় উৎসর্গ করা। যথার্থ তাঁর দেবী দর্শন। কুমারীপূজায় উৎসর্গীকৃ্তা মণিকা যেন দেবীমূর্তিতে প্রতিষ্ঠিতা। এই মণিকাদেবী শেষজীবনে সন্ন্যাসিনী হয়ে যশোদা-মাঈ নামে পরিচিতা হয়েছিলেন জগতে। এও স্বামীজির এক অন্য আবিষ্কার।
● দার্শনিক তত্ত্ব: কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ত্ব হলো নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। 

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যে ত্রিশক্তির বলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ক্রিয়া সাধিত হচ্ছে, সেই ত্রিবিধ শক্তিই বীজাকারে কুমারীতে নিহিত। 
কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। এ সাধনপদ্ধতিতে সাধকের নিকট বিশ্বজননী কুমারী নারীমূর্তির রূপ ধারণ করে; তার নিকট নারী ভোগ্যা নয়, পূজ্যা। পৌরাণিক কল্পকাহিনিতে বর্ণিত আছে, এ ভাবনায় ভাবিত হওয়ার মাধ্যমে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে ষোড়শীজ্ঞানে পূজা করেছিলেন।



মন্তব্যগুলি