বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭

বিজ্ঞ


বিজ্ঞ




পশুপতি শিব
সর্বজ্ঞ হলেও
পশুরূপী
সকল জীব
অল্পজ্ঞ !

মনে হচ্ছে
আমি এখন
ক্রমশ হয়ে উঠছি
আরও আরও
বিজ্ঞ !

খণ্ড-অখণ্ড


খণ্ড-অখণ্ড



আত্মা স্বরূপ আবস্থায় অখণ্ড !
সেই আত্মা বিস্কিটের মতো ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাওয়া যাবে না !

তবে খেতে হলে
আত্মার অন্যরূপ অবস্থায়
ভেঙ্গে ভেঙ্গে
খণ্ড খণ্ড করে
চায়ে ডুবিয়ে
খেতে হবে !

আমাদের জীবন ২


আমাদের জীবন ২



আমাদের জীবনের পাঁচটি মূল উপাদান !
ক্ষিতি
অপ্
তেজঃ
মরুৎ
ব্যোম !

ঐ পাঁচটি পঞ্চমহাভূত !

ভারি অদ্ভুত !

আমাদের জীবন


আমাদের জীবন



পঞ্চকোষ নিয়ে আমাদের জীবন !
অন্ন
প্রাণ
মন
বিজ্ঞান
আনন্দ !

অন্নের জন্য লক্ষ্মী
প্রাণের জন্য দুর্গা
মনের জন্য শ্রীভাগবত
বিজ্ঞানের জন্য সরস্বতী
আনন্দের জন্য দোল !

হরিবোল ! হরিবোল !

মোদিজি শুনেছেন ?


মোদিজি শুনেছেন ?



যেখানে
স্ত্রীলোকের আদর নাই
স্ত্রীলোকে নিরানন্দে থাকেন
সেই দেশের কখনও
উন্নতির আশা নাই !

ব্রহ্মচারী জ্ঞান মহারাজের
মহাবাক্য ওটি !

মোদিজি শুনেছেন ?

দেবতা


দেবতা



দেবতারা কিন্তু আগে অমর ছিলেন না !
সমুদ্রমন্থনে প্রাপ্ত ক্ষীর সমুদ্রের অমৃত খেয়ে, দেবতারা অমর হয়েছিলেন !
জানেন নাকি,  কতজন দেবী,  সেই অমৃত পেয়েছিলেন ?

বিজেপির পদ্ম


বিজেপির পদ্ম



ভগবান বিষ্ণু তাঁর নীচের ডান হাতে পদ্মকলি ধারণ করে থাকেন !

পদ্ম নির্লিপ্ততা নির্বিকারত্ব ও নিরাসক্তির প্রতীক !

পদ্ম কাদা জলে জন্মায়, কিন্তু কাদা কিংবা কাদার গন্ধ, পদ্মে ছড়ায় না !

লাল আভাযুক্ত পদ্মফুল, পদ্মফুলের সৌন্দর্য ও গন্ধঅনুভূতি মনকে নাড়া দেয় !

পদ্ম প্রতীকের মাধ্যমে, বিষ্ণু, সর্বসুখময় সমৃদ্ধি দান করেন !

বিজেপির প্রতীক সেই পদ্ম !

পদ্মের কাছে চালবাজদের ফুল হয়ে যাবে জব্দ !






শঙ্খ


শঙ্খ



শঙ্খ
এক বলয়ের !
এক বলয়িত !

 শঙ্খ
এক সুন্দর অস্তিত্বের
এক সুন্দর বিদ্যমানতার
প্রতীক !

শঙ্খ
সুন্দর !
শঙ্খ
ভূরি ভূরি !

শঙ্খ-শব্দ
মঙ্গলদায়ক !
তৃপ্তিদায়ক !

সুদর্শন চক্র


সুদর্শন চক্র



বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র !
মারাত্মক অস্ত্র !

সেই অস্ত্র দিয়ে
বিষ্ণু
আত্মাহীন সতীর দেহ
৫১ ভাগে
খণ্ড-বিখণ্ড
করেন !

সতীর
যোনি পড়ে
আসামের কামাখ্যায় !

ছিঃ !
সেখানে আবার লোকে
জলের ভেতরে
যোনিতে
হাত দেয় !

আঙুল দিয়ে
সমজায় !

জলে
হাত
ধুয়ে যায় !

ধর্ষণ


ধর্ষণ



ধর্ষণ।
কারোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে
শারীরিক
এবং অথবা মানসিক
শক্তি প্রয়োগ করাই
ধর্ষণ !

তা  সে
মানসিক ভাবে হোক
শারীরিক ভাবে হোক
জোর-জবরদস্তি-জুলুমবাজিতে হোক
ইচ্ছার বিরুদ্ধে হোক
স্বইচ্ছায় হোক
অনিচ্ছায় হোক
অনুরোধ-উপরোধে হোক
কিংবা কিছু  না-ই বা হোক
সবই ধর্ষণ !

বৈবাহিক ধর্ষণ


বৈবাহিক ধর্ষণ



বৈবাহিক ধর্ষণ !
ফৌজদারি অপরাধ নয় !

বিবা্হ
নাকি এক
সামাজিক প্রতিষ্ঠান !

তার আছে
নিজস্ব
মান-সম্মান !

আছে
bedroom
code !

ভোগ
বেটি
ভোগ !

স্ত্রীরা
করতে পারেন
স্বামিদের হেনস্তা !

স্বামী-স্ত্রীর
relation
কি অতই
সস্তা ?

সুতরাং
স্বামিরা
স্ত্রীদের
নিয়মমাফিক
নিয়ত ধর্ষণ
করে যাও !

স্ত্রীরা এখনও
কেঁদে কেঁদে
শুধু কেঁদে কেঁদে
ফুঁপিয়ে-ফাঁপিয়ে
ধরণি ভাসিয়ে দাও !

শ্রীলক্ষ্মী


শ্রীলক্ষ্মী



শ্রীলক্ষ্মীর গলায় পদ্মফুলের মালা !
হাতে পদ্মফুল !
দাঁড়িয়ে থাকেন ফুটন্ত পদ্মফুলের ওপর !
শ্রীলক্ষ্মীর চারিধারে পদ্মফুলের গন্ধে মো মো !

শ্রীলক্ষ্মী গজলক্ষ্মী !
শ্রীলক্ষ্মী সমুদ্রতনয়া !

শ্রীলক্ষ্মী ভগবান শ্রীবিষ্ণুর গলায়, টাটকা লাল পদ্মফুলের মাল্য দিয়ে মাল্যদান করে, শ্রীবিষ্ণুর বক্ষে আশ্রয় গ্রহণ করেন !

শ্রীবিষ্ণুর বক্ষে তো আমি, নিজ চক্ষে, শ্রীময়ী শ্রীলক্ষ্মীকে দেখি নি !

ছবিতে যখনই ওঁদের দু'জনকে একসাথে দেখি, দেখি, তখনই শ্রীমতী শ্রীলক্ষ্মী, কেবলই নিবিষ্ট একমনে, শ্রীবিষ্ণুভগবানের দুই পা টিপে চলেছেন ! দুই পা টিপে চলেছেন !

ঐ ছবি দেখে কি বাঙালি বধুরা, কিছু, কিংবা কোন, শিক্ষা নিয়েছেন ?

বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

রহিম


রহিম



রহিম।
পরম কৃপাময় ঈশ্বর।
তিনি কি আল্লাহ ?
না আল্লার প্রিয়তম
নবি ?

নবি।
ঈশ্বর প্রেরিত দূত। পয়গম্বর।
ভবিষ্যদ্‌বক্তা।
হজরত মোহম্মদ।
আরবিতে 'নবীহ্'।

নবিশ


নবিশ



নবিশ।
লেখক।
লিপিকার।
নকলবিশ।
ফারসিতে 'নবীস'।

নবিশ।
নতুন শিক্ষার্থী।
শিক্ষানবিশ।
আনাড়িলোক।
ইংরেজিতে  novice !



ধর্ম ৩


ধর্ম



ধর্ম
মানুষের সৎ-অসৎ ন্যায়-অন্যায় এইসব অনুভূতি জাগিয়ে দেয় না !
কেননা ধর্ম তা জাগিয়ে দিতে পারে না !

সৎ-অসৎ ন্যায়-অন্যায় বিচার,  কেবল আপনার সৎ-বিবেকই একমাত্র জাগাতে পারে !

ধর্ম
পূজা-আর্চ্চি করিয়ে,  পুরোহিতদের ধান্দাবাজি !

ধর্ম
ধার্মীক  tradition-এর, উপায়-রোজগারের কারসাজি !

মহরম


মহরম



মহরম  basically
কাদের অনুষ্ঠান ?
শিয়াদের ?
সুন্নিরা কি ঐদিন
ফের তরোয়াল 'ধার' করেন ?
ভয় দেখান !
জ্ঞানি-গুণী জনগণ
পথ দেখান !

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

পুনর্জন্ম


পুনর্জন্ম



হিন্দু
বৌদ্ধ
জৈন
শিখ
খ্রিস্টান
প্রভৃতি ধর্মাবলম্বিরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী !

সম্ভবত, মুসলিমরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী নন !
তবে সেখানে কথার মারপ্যাঁচ আছে !
শাস্তি দেয়ার বা পুরস্কৃত করার আগে, সম্ভবত আল্লাহ তাঁদের একবার পুনর্জীবিত করেন !
তবে তাঁরা আমাদের মতো এই পৃথিবীতে আর জন্মগ্রহণ করেন না !

তালাক

প্রণব কুমার কুণ্ডু,  'তালাক'  বিষয়টি সকলের সাথে ভাগ করে নিতে চান !


তালাক

তালাক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তালাক শব্দের অর্থ 'বিচ্ছিন্ন', ত্যাগ করা ইত্যাদি। ইসলাম ধর্মে আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদকে তালাক বলা হয়। স্বামী সর্বাবস্থায় তালাক দিতে পারেন। স্ত্রী শুধুমাত্র তখনই তালাক দিতে পারবেন, যদি বিয়ের সময় এর লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়।
পরিভাষায় তালাক অর্থ "বিবাহের বাঁধন তুলিয়া ও খুলিয়া দেওয়া, বা বিবাহের শক্ত বাঁধন খুলিয়া দেওয়া "স্বামী তার স্ত্রীর সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া।
জীবনে চুড়ান্ত বিপর্যয় থেকে স্বামী স্ত্রী উভয়কে রক্ষার জন্য ইসলামে তালাকের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয়,পরস্পর মিলে মিশে স্বামী স্ত্রী হিসেবে শান্তিপূর্ণ ও মাধুর্য মন্ডিত জীবন যাপন যখন একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়,পারস্পারিক সম্পর্ক যখন হয়েপড়ে তিক্ত,বিষক্ত,একজনের মন যখন অপরজন থেকে এমন ভাবে বিমূখ হয়ে যায় যে,তাদের শুভ মিলনের আর কোন সম্ভাবনা থাকেনা; ঠিক তখনই এই চূড়ান্ত পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসলামে। তালাক হচ্ছে নিরুপায়ের উপায়। স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে বেঁধে রাখার শেষ চেষ্টাও যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তখন বিবাহ নামকছে, সেখানে তালাক ঘোষণার কোন পদ্ধতি বলা হয়নি। মুসলিম পারিবারিক আইনে বলা হয়েছে- "কোন পুরুষ তাহার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাহিলে তাহাকে মুসলিম আইনে অনুমোদিত যে কোন পদ্ধতিতে ঘোষণার পরই তিনি তাহার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন এ মর্মে চেয়ারম্যানকে লিখিত ভাবে নোটিশ প্রদান করবেন এবং স্ত্রীকেও উহার নকল দিবেন" অর্থাৎ তালাক প্রদান বা ঘোষণার ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের প্রবর্তিত পদ্ধতিই হচ্ছে মুসলিম পারিবারিক আইনের পদ্ধতি। তাই শরীয়ত প্রবর্তিত তালাক সংক্রান্ত বিধানাবলি ভালভাবে জানা ও বুঝা খুবই জরুরী। বিশেষ করে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। এদিকে লক্ষ রেখে নিম্নে তালাকের সংঙ্গা,প্রকারভেদ, আমাদের করণীয় ইত্যাদি বিষয় সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হল।

পরিচ্ছেদসমূহ

তালাকের উদ্দেশ্য

তালাক প্রদানের উদ্দেশ্য হল অন্যায়,জুলুম ও নিদারুন কষ্ট,জ্বালাতন ও উৎপীড়ন ইত্যাদি অশান্তি হতে মুক্তি লাভ করা। প্রকৃতপক্ষে ইসলামে তালাক প্রদানের যে উদ্দেশ্য তা হল স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে যে সকল অশান্তি সৃষ্টিকারী কারণ সমুহ রয়েছে তা হতে সংশোধনের চেষ্টা করা বা দুর করা।

তালাক সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

তালাক শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নবী (সাঃ) তালাক সম্পর্কে বলেছেন তালাক অপেক্ষা ঘৃনার জিনিস আল্লাহ তায়ালা আর সৃষ্টি করেন নি হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত নিম্নোক্ত বাণী হতে তালাকের ভয়াভহতা উপলদ্ধি করা যায়।তোমরা বিয়ে কর কিন্তু তালাক দিয়োনা কেননা, তালাক দিলে তার দরুন আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে।

তালাক প্রদানের পূর্বে করনীয়

দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রী'র মধ্যে বিবাধ-বিরোধ মনোমালিন্য দেখা দিতেই পারে। স্বামী স্ত্রীর মাঝে এ ধরনের বিরোধ দেখা দিলে তাদের জন্য নসীহত রয়েছে যে আর তাহলে প্রত্যেকেই যেন অপরের ব্যাপারে নিজের মধ্যে ধৈর্য্য ও সহ্য শক্তি রক্ষা করে অপরের কোন কিছু অপছন্দনীয় হলে তা ঘৃনা হলেও সে যেন দাম্পত্য জীবন রক্ষার সার্থে তা অকপটে বরদাশত করতে চেষ্টা করে। এর পরেও যদি দাম্পত্য জীবন সংরক্ষন করতে ব্যার্থ হয় তবে সে সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন "তোমরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন বিরোধ মনোমালিন্য হয়েছে বলে ভয় কর তাহলে তোমরা স্বামীর পরিবারের থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। তারা দু'জন যদি বাস্তবিকই অবস্থার সংশোধন করতে চায় তাহলে আল্লাহ তাদের সেজন্য তওফীক দান করবেন এবং তার সংশোধন করে স্বমী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে মিল মিশ করার চেষ্টা করবেন। আর যদি মিলমিশ অসম্ভব বলে মনে করেন তবে তাদের মধ্যেবিচ্ছেদের ব্যাবস্থা করবেন।
মুসলিম পারিবারিক আইনে বিরোধ মিমাংসার জন্য এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আপোস করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান বা সালিসী পরিষদের উপর। তিনি উভয় পক্ষকে নটিশের মাধ্যমে উপস্তিত করার জন্য বলবেন। কোন পক্ষ যদি হাজির না হয় তবে তাকে হাজির করার ক্ষমতা তার নেই। স্বামী-স্ত্রী উভয় পক্ষের মধ্যে আপোস মীমাংসা করার চেষ্টা করা ছাড়া চেয়ারম্যানের আর কোন দ্বায়িত্ব নেই। তালাক কার্যকর অথবা অকার্যকর কোনটাই করার এখতিয়ার চেয়ারম্যানের নেই।

প্রকার

পদ্ধতিগত দিক দিয়ে তালাক তিন প্রকারঃ-
(ক) আহসান বা সর্বোত্তম তালাক ; (খ) হাসান বা উত্তম তালাক এবং (গ) বিদ'ই বা শরিয়া বিরূদ্ধ তালাক।
ক্ষমতা বা এখতিয়ার গত দিক দিয়ে তালাক পাঁচ প্রকারঃ- (১)তালাকে সুন্নাত (২) তালাকে বাদী (৩)তালাকে তাফবীজ (৪)তালাকে মোবারত ও (৫)খোলা তালাক।
কার্যকর হওয়ার দিক দিয়ে তালাক প্রধানত দুই প্রকারঃ- (১) তালাকে রেজী ও (২)তালাকে বাইন
তালাকে বাইন আবার দুই প্রকারঃ- (১)বাইনে সগির ও (২) বাইনে কবির।
মর্যাদা ও অবস্থানের দিক থেকে তালাক চার প্রকারঃ- (১)হারাম (২)মাকরুহ (৩)মুস্তাহাব ও (৪)ওয়াজিব
(ক)তালাকে হাসানঃ- তালাকে হাসানা তাকে বলে,যে তুহুরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সহবাস,যায়েজ অবস্থা কিংবা গর্ভাবস্থা নেই। উলালেখিত অবস্থা সমুহ নেই এমন তুহুর অবস্থায় শুধু মাত্র এক তালাক দিয়ে ইদ্দত পূর্ণ হতে দেওয়া। অর্থাৎ তিন তুহুর অতিক্রম করলে তালাকটি কার্যকর হয়ে যায়। এমতাবস্থায় স্ত্রী ইচ্ছা করলে অন্য যে কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে কিংবা তালাক প্রপ্তা স্ত্রী ইচ্ছা করলে এবং স্বামী চাইলে তারা পুনঃ বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে। এই ধরনের তালককে বলা হয় তালাকে আহসান।
"(খ) তালাকে হাসানঃ-" হাসান তালাক হলো প্রত্যেক তুহুরে একটি করে তালাক দিবে। এই নিয়মে তিন তুহুরে তিন তালাক দেওয়ার নিয়ম কে তালাকে হাসান বলে। তালাকে হাসান দিলে অর্থাৎ তিন তুহুরে তিন তালেক দিলে সেই স্ত্রী তার স্বামীর জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। সে তার স্বামীর নিকট রেজাত বা পূন বিবাহে আসতে পারবেনা। তবে স্ত্রীর যদি অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহ হয় এবং দ্বিতীয় স্বামী যদি কোন দৈবাত কারণে তালাক দেয় অধবা মৃত্যু বরণ করে তবে ইচ্ছা করলে পূর্বের স্বামীর সহিত বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হতে পারবে।
"(গ) তালােক েবদীঃ-" বিদায়াত তালাক হলো কোন ব্যক্তি একসাথে তিন তালাক দিয়ে দেওয়া বা হায়েয অবস্থায় তিন তালাক দেওয়া অথবা যে তুহুরে সহবাস করেছে সেই তুহুরে তিন তালাক দেওয়া। উল্লেখিত যে কোন প্রকারে তালাক দেওয়া হউক না কেন তালাক দাতা গুনাহগার হবে গর্ভাবস্থা প্রকাশ পাইনি এমন সন্দেহ জনক অবস্থায় তিন তালাক প্রদান করাও বিদায়াত বা হারাম। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ তালাক অনুষ্টিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইন অথবা শরীয়ত প্রবর্তিত পদ্ধতি কোনটাই অনুসরণ করা হচ্ছেনা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে চেয়ারম্যান,মেম্বার বা কোন গণ্য মান্য ব্যক্তি তালাকের নোটিশ সহি বা স্বাক্ষর করলেই তালাক হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তারা তালাকের ঘোষণা দেন না, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় তালাকের নোটিশে লিখা হয় এক তালাক,দুই তালাক, তিন তালাক ও বাইন তালাক। এমন ধরনের তালাক প্রকাশ্য তালাকে বিদয়ীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যারা এধরনের তালাক অনুষ্ঠিত করিয়া থাকেন তারা সবাই গুনাহ্গার হবেন।
ক্ষমতা বা এখতিয়ার গত দিক দিয়ে তালাক পাঁচ প্রকারঃ-

ইদ্দত কাল

ইসলামে তালাকের পর একজন মহিলাকে ইদ্দত পালন করতে হয়।সেই (ইদ্দত কালীন) সময়ের মধ্যে একজন মুসলীম নারীর পুন:বিবাহ ইসলামে নিষিদ্ধ। একজন মুসলীম নারীর জন্য ইদ্দত দুই প্রকার বা ভাগে ভাগ করা সম্ভব।
১)তালাকের পর ২)স্বামীর মৃত্যুর পর
প্রথমত তালাকের পর, একজন মুসলীম নারীকে তার তালাকের পর ৯০ দিন বা তিন চন্দ্রমাস অপেক্ষা করতে হবে ।এই ৯০ দিন হচ্ছে ইদ্দত কালীন সময়।

তালাকের পর পুনর্বিবাহ

তালাকের পর স্বামী ও স্ত্র্রী পুনর্বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে তবে তা শর্তসাপেক্ষ। শর্তটি এই যে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে অন্য কারো সঙ্গে শরিয়া অনুসরণপূর্বক যথাযথভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে এবং নতুন স্বামী তালাক প্রদানের পর আগের স্বামীর সঙ্গে পুনর্বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। এই শর্তটি কঠিন কারণ ইসলাম সামান্য অজুহাতে বা রাগের মাথায় উত্তেজনাবশতঃ তালাক দেয়ার বিপক্ষে।

তালাকের প্রবণতা

২০০৮ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে দেখা যায় বাংলাদেশে পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যেই তালাক প্রবণতা বেশী।[১]

তথ্যসূত্র

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

জাতিভেদ


জাতিভেদ



সূচনায়, জন্মগত জাতিভেদ হিন্দুধর্মে ছিল না !
হিন্দুধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল, কর্মগত জাতিভেদ,  for better performance !
জন্মগত জাতিভেদ, সামাজিক অবক্ষয় !
আর ব্রাহ্মণদের শয়তানি !

ক্ষত্রিয়রা, অর্থাৎ রাজারা, এবং গীতায় ভগবান শ্র্রীকৃষ্ণ নিজে, ব্রাহ্মণদের সুযোগ করে দিয়েছেন !
শ্রীকৃষ্ণ, খোলাখুলি ভাবে, ব্রাহ্মণদের জন্য ওকালতি করেছেন !

এখন যে জাতিভেদ আমরা দেখি, তার পেছনে ইংরেজদের 'দান' রয়েছে !

ইংরেজরা, এই জন্মগত জাতিভেদ-কে, প্রশ্রয় ও আশ্রয় দিয়েছেন !

তার  basis-এ  quota system  চালু হয়েছে !

সেই অনৈতিক  tradition, এখনো  চলছে !

ভারত-ছাড়া বনাম পশ্চিমবঙ্গ-ছাড়া


ভারতছাড়া বনাম পশ্চিমবঙ্গ-ছাড়া



আমি গেরুয়া শিবিরকে
ভারত ছাড়া
করব !

আমি বিজেপিকে
ভারত ছাড়া
করব !

আমি মুসলমানদের
আবার
ডেকে আনব !

আমি
মুসলমানদের ধর্মভিত্তিক
জঙ্গি সন্ত্রাসকে মদত দেব !

আমি হিন্দুদের
ভারত ছাড়া
করব !

আমি বিশ্বহিন্দু পরিষদকে
ভারত ছাড়া
করব !

আমি বজরঙ্গ দলকে
ভারত ছাড়া
করব !

এসব করতে গিয়ে
যিনি এতকিছু বলছেন
তিনিই পশ্চিমবঙ্গ-ছাড়া হয়ে যাবেন !

গণেশ ২


গণেশ ২



গণেশ পরম শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান !
ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থ তিথিতে গণেশের জন্ম !
গণেশের কুষ্ঠিতে লগ্নে বৃশ্চিক রাশি ও গ্রহ মঙ্গল বিরাজ করছে !

মনে ধরছে ?

বড্ড মনে পড়ে


বড্ড মনে পড়ে



কেষ্টই ছিল
আমার প্রকৃত
বন্ধু !
সে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে
চলে গেল !

দীপু ছিল
আমার
বন্ধু !
সে-ও
চলে গেল !

দু'জনকেই
বড্ড‌
মনে পড়ে !
ওরা আবার জন্মাবে কি
কোন এক আঁতুড় ঘরে ?

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

চৈতালি চৌধুরির পোস্ট


চৈতালি চোধুরির পোস্ট

Chaitali Chowdhury is remembering the past.
মনটা কেমন হালকা লাগছে,/ মনে হচ্ছে জীবনে কোনো চিন্তা নেই ভাবনা নেই,/ মেঘলা আকাশে মাঝে মাঝে শরতের মেঘ উঁকি দিচ্ছে-/ আজ খুব ছাদে যেতে ইচ্ছে করছে! খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মেঘের সাথে খেলতে ইচ্ছা করছে, - /সেই ছোটবেলার মতো! /মেঘ রোদ্দুর বৃষ্টি আর আকাশের সাথে আমিও লুকোচুরি খেলব/প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবো,/ ছোটবেলার মতন চিৎকার করে বলব , 'বাপী টুটি' /কিন্তু তা যে হওয়ার নয়, বাপীও বুড়ো হয়ে গেছে আর আমিও বড়ো হয়ে গেছি!

মন্তব্য করুন

বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

পৈতে ২


পৈতে ২



এক সময়ে ব্রাহ্মণরা পশু-চামড়ার পৈতে পরতেন !   ( হরপ্রসাদ )

এক সময়ে, বিবেকানন্দ,  তাঁর সমস্ত অব্রাহ্মণ গুরুভাইদের,  পৈতে পরানোর চেষ্টা করেছিলেন ! সেইজন্য অনেকগুলি পৈতে কিনিয়ে আনিয়েছিলেন !
বিবেকানন্দ এক সময়ে চেয়েছিলেন, সমস্ত অ-ব্রাহ্মণদের, ব্রাহ্মণে উন্নীত করতে !

শ্রীঅরবিন্দ, মানুষদের, দেবতা বানাতে চেয়েছিলেন !

পৈতে ধারণের অধিকার, শুধু মাত্র, ব্রাহ্মণদের নয় ; অধিকার, ক্ষত্রিয়দের এবং বৈশ্যদেরও !

তবে শূদ্রদের পৈতে ধারণের অধিকার, শাস্ত্রে, শূদ্রদের দেয়া হয় নি !


মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

ভোটের হিসাব


ভোটের হিসাব



পশ্চিমবঙ্গে, এরপরে,  ৩০% মুসলিম ভোটের বেশির ভাগটাই তৃণমূল পাবে !
সিপিএম গোষ্ঠী  ও কংগ্রেস অল্প কিছুটা করে পাবে.....

বাকি  ৭০%  হিন্দু ভোট, ক্রমান্বয়ে, বিজেপির দিকে ধেয়ে আসবে.....

তখন তৃণমূল কি করবে.....

ভাসবে, না ডুববে.....

নির্বাচন না এলে, নির্বাচন না হলে, ফলাফল না বেরোলে, কিছুই বোঝা যাবে না.....

না তৃণমূল, বিজেপির ছত্রছায়ায় চলে যাবে.....

পশ্চিমবঙ্গে এখন অনেক নতুন নতুন পাকা শৌচাগার তৈরি হয়েছে.....

তৃণমূল, এক বান্ডিল বিড়ি ও এক বাক্স দেশলাই এবং বদনা ভর্তি জল নিয়ে, পাকা শৌচাগারে বসে, গভীর ভাবে চিন্তা করবে.....

শম-দম


শম-দম



'শম' শব্দটির প্রকৃত অন্তর্নিহিত অর্থ  'আত্মশাসন' !
'শম' এবং 'দম'  দুটো  'ধাতু'-ই  প্রায় সমপর্যারের !
শম্ ধাতুর উত্তর 'ক্ত' প্রত্যয় করে শান্ত !
আর 'দম্' ধাতুর সঙ্গে 'অনট্' প্রত্যয় যোগ করে  'দমন' !
দমন  নিজেকে শাসন !
শমন  অন্যকে শাসন !
মৃত্যু  শরীরের স্বাভাবিক নিয়ম !
মৃত্যু  বিশ্বের ভারসাম্য রক্ষা করে  তাই
মৃত্যু  'শমন' !
যমও  'শমন' !*

শম।
শান্তি। নিবৃত্তি। কাম-ক্রোধ ইত্যাদির উপশম !
চিত্তের স্থিরতা বা সংযম !
বাসনার নিবৃত্তি !

দম।
শাসন। দমন।
ইন্দ্রিয় সংযম !
কুকর্ম থেকে চিত্তের নিবারণ !

দমক।
দমনকারী !
চমকানো !

দমন।
দণ্ড দেওয়া ! শাস্তিদান !
শাসন।
সংযম !
নিবারণ।

দমন।
শাস্ত্রের শাসন।
অনুশাসন।
স্কুল-কলেজে  অন্যত্রও  সব জায়গাতেও  সবার জন্যও  থাকতে হবে  অনুশাসন !

অনুশাসন।
উপদেশ !
শিক্ষা !
আদেশ !
আজ্ঞা !
নির্দেশ !
বিধান !



*সূত্র : শ্রীশ্রীঅানন্দমূর্ত্তির  'আনন্দ রচনামৃতম' !

পুরুষকার


পুরুষকার



ঠাকুর-দেবতার পুজো দিয়ে দুঃখ-বেদনা ঘুচবে না !
জীবন সুন্দর এবং শান্তিরও হবে না !
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন !
পূজা যদি করতেই হয়  নিজেকে নিজেই পূজা করুন !
পুরুষকার-এর জন্য আন্তরিক চেষ্টার  প্রচেষ্টা করুন !
পুরুষকার-এর বিকল্প ঠাকুর-দেবতা নয় !
পুরুষকার-এর বিকল্প  পূজারি ব্রাহ্মণও নয় !
পুরুষকার-এর বিকল্প  কেবল  পুরুষকার-ই !

সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

ঈশ্বর লাভ

ঈশ্বর লাভ



স্বামী বিবেকানন্দ ঈশ্বর লাভ করেন নি !
শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বর লাভ করেছিলেন কিনা, তা শ্রীরামকৃষ্ণই বলতে পারবেন !
তবে শ্রীরামকৃ্ষ্ণের চেলারা যথারীতি ঢাক-ঢোল পেটাচ্ছেন !
আপনারা সম্ভবত তা শুনতে পারছেন !
ঈশ্বরলাভ  hallucination-এর অন্তস্তল !

অর্থনৈতিক অবরোধ


অর্থনৈতিক অবরোধ



সৌদি অারব
সংযুক্ত আরব আমিরাত
বাহরিন
এবং মিশর।

আরব দুনিয়ার
এই চার দেশের
অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে
ভুগছে কাতার !

এগিয়ে এসেছে
ইরান !
যেন সে
এক নতুন ভাতার !

Ethiics Committee


Ethics Committee



ভারতের রাজ্যসভার
Ethics Committee !
ওটা  Ethics maintain  করার  committee ?
Ethics maintain  করানোর  committee ?

না গোঁজ দেবার  committee ?
না গোঁজামিল দেবার   committee ?

Ethics committee
অনেক দিন হল
নির্বাক !

আমরা
দেশবাসিরা
হতবাক !





খেঁকশিয়াল


খেঁকশিয়াল



মানুষ যদি
কাঠ মাটি বা পাথরে

জন্মান্তরে
রূপান্তরিত হয়

তাহলে ওগুলোর যেহেতু
brain  থাকে না
 
তাই
বুঝতে পারে না !

তখন
মুক্ত হয়ে যায় !

মুক্তি
পেয়ে যায় !

তবে
খেঁকশিয়ালরা

হুক্কা-হুয়া
রব তুলে

চ্যাঁচায় !
খালি চ্যাঁচায় !

অ-মানুষ


অ-মানুষ



মানুষ
কখনও
কোনো অবস্থাতেই
পশু-পাখি কীট-পতঙ্গ সরীসৃপ জলজ প্রভৃতি
যোনি
লাভ করে না !

একবার
কলেজে ভর্তি হলে
আর
পাঠশালায়
শিক্ষানবীশ
হিসাবে যায় না !

একবার
কোনক্রমে
মানুষ হলে
আর
অ-মানুষ
হয় না !

হজ


হজ



মুসলমানেরা  যে
হজ করতে
মক্কার কাবায় যায়
মাথা কামায়
সাদা কাপড় পরে
সাত বার কাবা
চক্কর দেয়
সে সব তো
হিন্দুদের
রীতি !

তবে
কালো যোনিপীঠে
চুমা
দেওয়া

ওটা বোধহয়
যৌনতার
ঘোরতর
বিকৃতি !

অথবা
সুকৃতি !



* সূত্র : Hindoo-হিন্দু, ২১/০৮/২০১৭। ফেসবুক !

মক্কার কাবা


মক্কার কাবা



মক্কার কাবায়
কালো পাথরটা
যোনিপীঠ !

যোনিপীঠের
শিবলিঙ্গটা
দৌরাত্বের ফলে

ছুঁড়ে
ছুঁড়ে ফেলার ফলে

ভেঙ্গে ভেঙ্গে
টুকরো টুকরো
হয়ে গেছে !

মুসলমানেরা
চুমা দেয়
যোনিপীঠে !

লেখো
ঠিকমতো শিখে !



* সূত্র : Hindoo-হিন্দু, ২১/০৮/২০১৭। ফেসবুক ! 

রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

খোয়াই



খোয়াই



শান্তিনিকেতনের খোয়াই !
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খোয়াই !

মুলত বৃক্ষহীন এলাকায়
বর্ষার বৃষ্টির জল
ও সেই জল প্রবাহের দরুণ
ভূমিক্ষয়ের মধ্যে
খোয়াই নদীটির জন্ম !

বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে
এক সময়ে ছিল
সেই নদী !

এখন মরা নদী !
লাল মাটিতে ভরা নদী !
খোয়াই !

খোয়াই !
আর নাই !
নাই ! নাই ! নাই !




আরএসএস-এর আজগুবি ভাবনা


আরএসএস-এর আজগুবি ভাবনা


রবীন্দ্র ভাবনায়
জাতীয়তাবাদ
আর মানবতাবাদের
মধ্যে ফাটল !

মির্জা গালিবের কবিতা।

চিত্রকর মুকবুল ফিদা হুসেনের আত্মজীবনী।

ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক
একপেশে
ও ভিত্তিহীন !

কিছু রাখা যাবে না !

আরএসএস-এর
অশিক্ষিত
আজগুবি
বায়না !

আরএসএস-এর আজগুবি ভাবনা


আরএসএস-এর আজগুবি ভাবনা


রবীন্দ্র ভাবনায়
জাতীয়তাবাদ
আর মানবতাবাদের
মধ্যে ফাটল !

মির্জা গালিবের কবিতা।

চিত্রকর মুকবুল ফিদা হুসেনের আত্মজীবনী।

ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক
একপেশে
ও ভিত্তিহীন !

কিছু রাখা যাবে না !

আরএসএস-এর
অশিক্ষিত
আজগুবি
বায়না !

ঘোমটা ৩



ঘোমটা ৩



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাথায় ঘোমটা দেন।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলও মাথায় ঘোমটা দিতেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল পদ্মজা নাইডুও মাথায় ঘোমটা দিতেন।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য-রাজনীতিতে মাথায় ঘোমটা বা চাদর বা ওড়না একজনই দেন না !
অবিশ্যি মুসলিম ধর্মীয় সমাবেশে তিনি তা দিয়ে থাকেন !
মহিলাদের মাথায় ঘোমটা বা কাপড় দেওয়াটা  ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতিতে  শালীনতার পরিচয় !

ঘোমটা।
অন্য নাম ঘুঙট !
স্ত্রীলোকের মুখাবরণ !
পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ  বা চাদরের যে প্রান্তভাগ  মাথার ওপরে থাকে !

ঘোমটা ২




ঘোমটা ২



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাথায় ঘোমটা দেন।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলও মাথায় ঘোমটা দিতেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল পদ্মজা নাইডুও মাথায় ঘোমটা দিতেন।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য-রাজনীতিতে মাথায় ঘোমটা বা চাদর বা ওড়না একজনই দেন না !
অবিশ্যি মুসলিম ধর্মীয় সমাবেশে তিনি তা দিয়ে থাকেন !
মহিলাদের মাথায় ঘোমটা বা কাপড় দেওয়াটা  ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতিতে  শালীনতার পরিচয় !

ঘোমটা।
অন্য নাম ঘুঙট !
স্ত্রীলোকের মুখাবরণ !
পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ  বা চাদরের যে প্রান্তভাগ  মাথার ওপরে থাকে !

শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

রিলিজিয়ন


রিলিজিয়ন



আবরাহাম-ইক তিনটি রিলিজিয়ন,  ধার্মীক রিলিজিয়ন,  ঈশ্বর বিশ্বাসী রিলিজিয়ন,  পরম সত্যের ওপর নির্ভরশীল রিলিজিয়ন,   এগুলো সব অলৌকিকতার   এবং অবাস্তবতার  ওপর ভি্ত্তি করা রিলিজিয়ন !

সেই হিসাবে, আমার মনে হয়, নিরীশ্বরবাদিদের রিলিজিয়ন-ই,  প্রকৃত রিলিজিয়ন !

সেখানে মানুষই ঈশ্বর !

বুদ্ধদেবের প্রচারিত রিলিজিয়ন, নাস্তিক !

জৈনরা নাস্তিক !

নাস্তিক।
পরলোক নাই, এতে যাদের মতি !
পরলোকে অবিশ্বাসী !
নাস্তিকরা মনে করেন না,  যে ঈশ্বর  ঠিক করবেন  তাঁদের  ultimate  গতি !

নাস্তিকদের সুখ-স্বর্গ নেই !
নাস্তিকদের নরক নেই !
নাস্তিকদের নরকের যন্ত্রণাও নেই !

আমাদের দেশে ছয় ধরণের মতবাদের নাস্তিক আছেন !
১। মাধ্যমিক
২। ষোগাচার
৩। সৌত্রান্তিক
৪। বৈভাষিক
৫। দিগম্বর
৬।চার্বাক

সংক্ষেপে আমি আমার বক্তব্য রাখলাম !

আমি কোনো ধর্মকে ভুয়ো ধর্ম বলব না !

আমার এই লেখাটার প্রেক্ষিত হচ্ছে, ফেসবুকে  Binod Sardar  Prasanta Kumar Mondol-এর পোস্ট শেয়ার করেছেন, ১৯/০৮/২০১৭ তারিখে, তার ওপর।

এতলোক ঈশ্বর-ভিত্তিক ধর্মের ওপর বিশ্বাস রাখেন, আমি অপাঙ্‌ক্তেয়র মতো বলবো না, সেই সব ধর্মগুলো,  'ভুয়ো' !

ভুয়ো।
বা ভুয়া।
অমূলক।
অসার।
শূণ্যগর্ভ।
অলীক।
মিথ্যা !

অন্যদের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে হয় !

অন্যদের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে শিখতে হয় !

অন্যদের শ্রদ্ধা করতে হয় !

অন্যদের শ্রদ্ধা করতে শিখতে হয় !

ঘোমটা


ঘোমটা



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাথায় ঘোমটা দেন।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলও মাথায় ঘোমটা দিতেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল পদ্মজা নাইডুও মাথায় ঘোমটা দিতেন।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য-রাজনীতিতে মাথায় ঘোমটা বা চাদর বা ওড়না একজনই দেন না !
অবিশ্যি মুসলিম ধর্মীয় সমাবেশে তিনি তা দিয়ে থাকেন !
মহিলাদের মাথায় ঘোমটা বা কাপড় দেওয়াটা  ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতিতে  শালীনতার পরিচয় !

ঘোমটা।
অন্য নাম ঘুঙট !
স্ত্রীলোকের মুখাবরণ !
পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ  বা চাদরের যে প্রান্তভাগ  মাথার ওপরে থাকে !

পাতাল রেল


পাতাল রেল



লন্ডনের টেমস্ নদীর নীচ দিয়ে, পাতাল  রেলের জন্য, সুরঙ্গ কাটা হয়েছিল,  ১৮৭০  খ্রিস্টাব্দে।
আমাদের কলকাতা-হাওড়ার গঙ্গার নীচ দিয়ে, টানেল কাটা শুরু হল  ২০১৭  সালে।
মাঝে সময়ের ব্যবধান,  ১৪৭ বৎসর।
১৪৭  বছর ছিল, অর্বাচীনদের অবসর।

মহাত্মা


মহাত্মা



আমাদের দেশে
একজন
পুরুষ
মহাত্মা
আছেন...

তিনি
কিন্তু
গুলি খেয়ে
দিল্লিতে
মরেছেন...

মহিলা
মহাত্মার
কথা
আমি
শুনিনি...

আপনারা
কি
কেউ
কখনও
শুনেছেন...

আমাদের
দেশ
পুরুষ প্রভাবিত
সনাতন
দেশ...

মহিলা
মহাত্মা হলে
পুরুষেরা
হয়ে যাবে
শেষ...

আত্মা


আত্মা



আত্মা !
সমাসে পূর্বপদ...
অাত্মা থেকে আত্ম...
যেমন
আত্মসম্বিত ইত্যাদি...

আত্মা !
বহুব্রীহিতে উত্তরপদ...
যেমন
মহাত্মা
তদাত্মা ইত্যাদি...

মহাত্মা আবার
পুরুষ

স্ত্রী
দুই-ই হয়...

মহাত্মা ব্যক্তি
অন্যসব
আত্মাদের
সাথে
কথা কয়...

আত্মাভূ


আত্মাভূ



আত্মাভূ !
ব্রহ্মা !

ব্রহ্মাকে ধরে
তাঁর দুই কানে

দিয়ে দাও
'ফুঁ' !

'ফুঁ' !
'ফুঁ' মন্তর !

'ফুঁ' !
ফুস মন্তর !

আত্মাপুরুষ


আত্মাপুরুষ



আত্মাপুরুষ !
'পুরুষ'নামী
দেহস্থ আত্মা !

জীবাত্মা !
জীব !
প্রাণ !

'আত্মানারী'
হয় না
কেন ?

কেননা সনাতন
হিন্দুধর্মে
নাই

নারীদের জন্য
উপযুক্ত
স্থান !

আত্মাপুরুষ


আত্মাপুরুষ



আত্মাপুরুষ !
'পুরুষ'নামী
দেহস্থ আত্মা !

জীবাত্মা !
জীব !
প্রাণ !

'আত্মানারী'
হয় না
কেন ?

কেননা সনাতন
হিন্দুধর্মে
নাই

নারীদের জন্য
উপযুক্ত
স্থান !

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

আমি বাঙালি


আমি বাঙালি



আমি বাঙালি !
বাঙালি বলে দিও-না গালি !
আমি গণতান্ত্রিক দেশে, গণতন্ত্রের ভোটে, 'রিগিং' করতে পারি !
অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখাতে পারি !
আমি বাঙালি !
বাঙালি বলে দিও-না গালি !
কোন দল জিতে যাওয়ার জন্য. তোমরা সবাই মিলে দিয়ো,  গর্বের হাততালি !

জন্মান্তর


জন্মান্তর



আমরা হিন্দুরা জন্মাষ্টমীতে বিশ্বাসী !
আমরা হিন্দুরা জন্মান্তরেও বিশ্বাসী !
আমরা জানি, জন্মান্তরে, কোন ব্যক্তির, 'লিঙ্গ' পাল্টি খেয়ে, বদলাতে পারে !
জাঙ্গিয়া ছেড়ে, ব্রেসিয়ার ( brassiere )  পরতে হতে পারে !
জন্মান্তরে মানুষের উপজীব্য, জন্মসংস্থানও, পালটাতে পারে !
এমন কী মানুষই বদলে যেতে পারে !
চরিত্রের, খাদ্য-অভ্যাসের পরিবর্তন হতে পারে !
এমন কি ধর্ম পরিবর্তনও হতে পারে !

তাই নাকি ?
তাই-রে !
তাইরে-নারে-নাইরে !

চিন্তা-ভাবনা এবং ব্যক্তিত্ব


চিন্তা-ভাবনা এবং ব্যক্তিত্ব



আমাদের চিন্তা-ভাবনার সাথে, আমাদের দিনযাপনের কি কোন সম্পর্ক আছে ?
সম্ভবত আছে !

আমাদের মানসিক ভাবগুলির মধ্যে, যেগুলি অধিক স্থায়ী, সেগুলি,  ভাবগুলির অধিক স্থায়ীত্বের জন্য, ক্রমশ, আমাদের ব্যক্তিত্বের ওপর প্রভব বিস্তার করে !
হয়তো আমাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়কও হয় !

বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

তন্মাত্রা


তন্মাত্রা



তন্মাত্রা।
একটি বস্তুর সূক্ষ্মতম রূপকে  বলা যেতে পারে তন্মাত্রা !
পঞ্চ'ধাতু' দিয়ে তৈরি এই পৃথিবী !
এই পঞ্চধাতুকে আলাদা আলাদা করে বলে, এক একটি,  তন্মাত্রা !

পঞ্চধাতু হল তন্মাত্রা, যা  unmixed,  এবং  unalloyed,  এবং  pure. !






পঞ্চধাতু।
১। ক্ষিতি
২। অপ্
৩। তেজঃ
৪। মরুৎ
৫। ব্যোম
এই পঞ্চভূত !

ভূত।
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুনিচয়ের মূল উপাদান।

এইসব জেনে শুরু হল
আমার শাস্ত্রবিজ্ঞানের
শাস্ত্রজিজ্ঞাসার
জয়যাত্রা !

প্রারব্ধ


প্রারব্ধ



প্রারব্ধ।
এক রকমের কর্মফল !

যে সব কর্ম আমরা পূর্বজন্মে করেছি
এ জন্মে তার ফল দিতে
আরম্ভ করেছে
সেই সব কর্ম
এবং কর্মসমষ্টি
প্রারব্ধ কর্ম !

এখন যা আমরা ভোগ করছি
এবং পরেও
যা ভোগ করব
তাও
ব্যাপক অর্থে
কর্মফল !

সূর্পনখার নাসিকা


সূর্পনখার নাসিকা



অধুনা মহারাষ্ট্রের নাসিক
সেই স্থান
যে স্থানে
লক্ষ্মণ
সূর্পনখার
নাসিকা
ছেদন করেছিলেন !

নাসিকাটি
কেটে
লক্ষ্মণ
সূর্পনখার
হাতে
ধরিয়ে
দিয়েছিলেন !

সূর্পনখা
কাটা নাসিকাটি
নিয়ে গিয়ে
দাদা
রাবণকে
দেখিয়ে
ছিলেন !

রাবণ
তাতে
ভীষণ
ভাবে
রেগে
গিয়ে
ছিলেন !

বোন
সূর্পনখাকে
রাবণ
একটা খুব সুন্দর
নাসিকা
বানিয়ে
দিয়েছিলেন !

মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

বিজেপি


বিজেপি



বিজেপির জন্ম এপ্রিল ১৯৮০।

বিজেপি এখন পর্যন্ত দেশকে দিয়েছে,
২ জন প্রধানমন্ত্রী !
১ জন রাষ্ট্রপতি !
১ জন উপরাষ্ট্রপতি !

আর অগণিত শৌচালয় !

অগণিত। অগনতি। অগুনতি।অসংখ্য। যা গণনার অতীত।যা গুনে শেষ করা যায় না ! [ সং. ন + গণিত ]।

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

নন্দির গল্প


নন্দির গল্প



নন্দি একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন !

তাঁর পবিত্রতা এত বেশি হয়েছিল, যে, সেই পবিত্রতার তেজ, তাঁর পক্ষে ধরে রাখা, সম্ভবপর ছিল না !

তাই তাঁর দেহকোষের মধ্যের অণুগুলি, বিশ্লিষ্ট হয়ে, পরমাণুগুলি, আলাদা আলাদা ভাবে থেকে গিয়ে, দেবদেহে পরিণত হয়েছিল !

তাই দেবতাদের ছোঁয়া যায় না !

তেঁনারা সব  charged particle !

ছুঁতে গেলে  shock  খাবেন !



* বি-১০/২১৯।

সংগ্রাম


সংগ্রাম



আমরা সাধারণত, আমাদের পারিপাশ্বিক অবস্থার চেয়ে দুর্বল !

ঐ দুর্বল অবস্থার পরিবর্তন করার নাম, সংগ্রাম !

সংগ্রাম !
সম্ ( সঙ্গত ) গ্রাম ( গ্রামবাসী ) যাহাতে !
যে বিবাদে, একশ্রেণির গ্রামবাসিরা মিলিত ! অন্যেরা প্রতিদ্বন্দ্বী !
এটা মুখ্য অর্থ !
গৌণ অর্থ, যুদ্ধ ! সমর ! । লড়াই ! প্রতিদ্বন্দ্বিতা !

সংগ্রামে, কণ্ঠযুদ্ধ করতে হয় !

বন্ধ ডাকতে হয় !

প্রয়োজনে বোমা ছুঁড়তে হয় !

গুলি করতে হয় !

অগ্নিসংযোগ করতে হয় !

ভোজালি চালাতে হয় !

রণঢক্কা বাজাতে হয় !

ইত্যাদি ! ইত্যাদি !



* বি-১০/২১৯।



শয়তান


শয়তান



শয়তান নানান ছদ্মবেশে আসে !
ক্রোধের বেশে !
ন্যায়ের বেশে !
কামনার বেশে !
রাজনৈতিক নেতার বেশে !
আবার কর্তব্যেরও বেশে !

শয়তান !
ইহুদি খৃস্টান ও মুসলমান ধর্মশাস্ত্রে, পাপের প্রবর্তক, উপদেবতাবিশেষ !

শয়তান !
ঈশ্বরবিদ্বেষী দেবদূতবিশেষ !

শয়তান !
পাপাত্মা !
অতিদুর্বৃত্ত লোক !
অতিদুষ্ট লোক !

শয়তান শব্দটি এসেছে, আরবি শব্দ,  'শৈতান্'  থেকে !



* বি-১০/২২০।

সংরক্ষণ


সংরক্ষণ



মুসলমানেরা
যে সব
সংরক্ষণ
পায়

তা কি
আল্লাহ-এর
বিধান অনুযায়ী
পায় ?

না হলে
মুসলমানেরা
সেই সব সংরক্ষণ
কেন নেয় ?

তখন কি তাহলে
মুসলমানেরা
আপাত হিন্দু হয়ে
যায় ?

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

উন্মাদ উন্মাদন উন্মাদনা


উন্মাদ উন্মাদন উন্মাদনা



উন্মাদ।
চিত্তবিভ্রম।
মতিভ্রংশ।

এটা
একটা
সঞ্চারি ভাব !

উন্মাদ।
স্বাভাবিক জীবনের
প্রমাদ।



উন্মাদন।
পঞ্চবাণের
একতম।



উন্মাদনা।
প্রবল
উত্তেজনা।

প্রবলতার প্রতি
উত্তেজনার
প্ররোচনা।

উন্মাদ


উন্মাদ



উন্মাদ !
অতিশয় আনন্দ !
আপদ ও বিরহ
ইত্যাদিতে
চি্ত্তবিভ্রম !
অট্টহাস্য !
নৃত্য !
সংগীত !
ব্যর্থপ্রচেষ্টা !
প্রলাপ !
ধাবন !
চিৎকার !
ক্রিয়ার
বিপরীত ক্রিয়া
ইত্যাদি !

ওগুলো সবই
উন্মাদের লক্ষণ !


উন্মাদ !
উন্মত্ততা !
পাগলামি !
হিতাহিতজ্ঞান শূন্য !

উন্মাদ
উন্মাদেই
মাত !

ওভাবেই কাটায়
সারাদিন
সারারাত !




সূত্র : 'শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত', পৃষ্ঠা ১৮২।