শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৮

ওঁ মাস্টারমশাই-ছাত্র সংবাদ


ওঁ মাস্টারমশাই-ছাত্র সংবাদ



ওঁ মাস্টারমশাই-ছাত্র সংবাদ !



ওঁ সহ নাববতু।
সহ নৌ ভুনক্তু।
সহ বীর্যং করবাবহৈ।
তেজস্বি নাবধীতমস্তু।
মা বিদ্বিষাবহৈ।
ওঁ শান্তিঃ ! শান্তিঃ !! শান্তি !!!

ওঁ শিক্ষিকা-ছাত্রী সংবাদও অনুরূপ !

সূত্র : 'শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্'।

আত্মার আটটি গুণ


আত্মার আটটি গুণ



আত্মার আটটি গুণ !

সকল প্রাণির প্রতি দয়া ! হিন্দু শাস্ত্রের, মত অনুযায়ী, সকল প্রাণিরই আত্মা আছে ! এমন কী উদ্ভিদের ওপরও দয়া ! কারণ, উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে ! ( জগদীশচন্দ্র )।

ক্ষমা

অনসূয়া ! হিংসা না করা !

শৌচ ! দেহের বাইরের এবং দেহের ভেতরেরও, পবিত্রতা রক্ষা করা !

অনায়াস ! স্বতঃস্ফূর্ততা !

মঙ্গল

অকৃপণতা ! ( উদারতা )।

অস্পৃহা ! কামনা না থাকা !

এগুলি, আত্মার আটটি গুণ !

তবে আত্মা যদি নির্গুণ হন, তবে সেই আত্মা, 'পরমাত্মা' হয়ে যান !

গুণও গুণ !
নির্গুণও গুণ !
সগুণও গুণ !

গুণ = ধর্ম !



*শ্বেতা ৩৮০।

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

অষ্ট দেবযোনি


অষ্ট দেবযোনি



অষ্ট দেবযোনি।
ব্রহ্মা
প্রজাপতি
দেব
গন্ধর্ব
যক্ষ
রাক্ষস
পিতৃগণ
পিশাচ !

*শ্বেতা.৩৮০।

আমাদের অষ্ট ভাব


আমাদের অষ্ট ভাব



আমাদের অষ্ট ভাব।
জানুন।
একটু কষ্ট করে
পড়ুন !



আমাদের অষ্ট ভাব।
ধর্ম
জ্ঞান
বৈরাগ্য
ঐশ্বর্য
অধর্ম
অজ্ঞান
অবৈরাগ্য
অনৈশ্বর্য !

*শ্বেতা.৩৮০।

শরীরের অষ্টধাতু


শরীরের অষ্টধাতু



শরীরের অষ্টধাতু !
শরীরের অষ্ট উপাদান !
একবার চেক করে নিও
বানান !

ত্বক
চর্ম
মাংস
রক্ত
মেদ
অস্থি
মজ্জা
বীর্য !

* সূত্র : 'শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৮০, গোরক্ষপুর, উত্তর প্রদেশ, পিন ২৭৩০০৫, ভারত।

বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮

আট প্রকারের প্রকৃতি


আট প্রকারের প্রকৃতি



আট প্রকারের প্রকৃতি !
পৃথিবী
জল
অগ্নি
বায়ু
আকাশ
মন
বুদ্ধি
অহংকার।

* সূত্র :
শ্রীনদ্ভগবদ্গীতা ( ৭।৪ )।
পৃথিবী, জল,  অগ্নি, বায়ু,  আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং অহংকার-- এই হল অাট ভাগে বিভক্ত অপরা প্রকৃতি ! অপরা প্রকৃতি, জড় প্রকৃতি !

এ ছাড়া, অন্য প্রকৃতি, যাঁর দ্বারা, এই সম্পূর্ণ জগৎ, ধৃত আছে, তাঁকে আমরা, জীবরূপা পরা প্রকৃতি বলে, মানি ! ( ৭।৫ )।

শিবাজী


    শিবাজী


     ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন            প্রণব কুমার কুণ্ডু



তথ্য সংগৃহীত (গুগুল / উইকিপিডিয়া)

#রাজ্যাভিষেক- ৬ জুন, ১৬৭৪

#পূর্ণ_নাম- শিবাজী শাহজী ভোঁসলে।

#উপাধি- ক্ষত্রিয় কুলাবতংস, গো-ব্রাহ্মণ প্রতিপালক।

#উত্তরসূরি - শম্ভোজী।

#দাম্পত্যসঙ্গীরা-
সাই বাঈ
সোয়রাবাঈ
পুতলাবাঈ
কাশীবাঈ
সগুনাবাঈ
মঞ্জুলাবাঈ
শকবারবাঈ
গুণবতীবাঈ

#সন্তানাদি- সম্ভাজী, রাজারাম এবং ছ'টি কন্যা।

#পিতা-শাহজি
#মাতা-জিজাবাঈ

#ধর্মবিশ্বাস-হিন্দুধর্ম

শিবাজী ভোঁসলে অথবা ছত্রপতি শিবাজী রাজে ভোঁসলে (১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৬৩০ - ৩ এপ্রিল, ১৬৮০), (মারাঠি : छत्रपती शिवाजीराजे भोसले) হলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।

শিবাজী বিজাপুরের আদিলশাহি সালতানাতের সাথে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং হেরে যান।

তিনি একটি স্বাধীন মারাঠা সাম্রাজ্যের পত্তন করেন, যার রাজধানী ছিল রায়গড়ে।

তিনি ১৬৭৪ সালে মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজা 'ছত্রপতি' হিসেবে মুকুট ধারণ করেন।
শিবাজী হিন্দাভী স্বরাজ্যের (স্বাধীনতা) মতবাদকে সমর্থন দান করেন। তিনি মারাঠা শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তিনি তার সুশৃঙ্খল সামরিক বাহিনী এবং সুগঠিত শাসন কাঠামোর মাধ্যমে একটি দক্ষ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন।

তিনি একজন কুশলী সামরিক কৌশলবিদ ছিলেন এবং গেরিলা যুদ্ধের ধারণার সূচনা করেন।

শিবাজি ১৬২৭ খ্রিস্টাব্দে শিবনেরি পার্বত্য দূর্গে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন শাহজী ভোঁসলে ও মাতা জীজাবাঈ। শিবাজির পিতা শাহজী বিজাপুরের সুলতানের অধীনে কার্যভার গ্রহণ করায়, শিশুপুত্র শিবাজীসহ জীজাবাঈ দাদাজী কোণ্ডদেব নামে এক বিচক্ষণ ব্রাহ্মণের তত্ত্বাবধানে পুনায় থেকে যান। ধর্মপরায়ণ মায়ের প্রভাব শিবাজীর জীবনে গভীর রেখাপাত করেছিল। মায়ের কাছে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী শুনে শিশুকালেই শিবাজীর মনে বীরত্ব ও দেশপ্রেমের সঞ্চার হয়েছিল। মায়ের মতো কোণ্ডদেবও শিবাজীর চরিত্র গঠনে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

বাল্যকালেই মহারাষ্ট্র দেশ সম্পর্কে এবং স্থানীয় পার্বত্য মাওয়ালি জনগোষ্ঠীরর সাথে শিবাজীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। এই মাওয়ালিদের নিয়েই তিনি সর্বপ্রথম বিশ্বস্ত এক সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে কোণ্ডদেবের মৃত্যুর পর, শিবাজী রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করেন। রোলিনসন (Rawlinson) মনে করেন যে, বিদেশী শাসন থেকে স্বদেশকে মুক্ত করাই শিবাজীর রাজ্যজয়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সম্পদের লোভে লুঠতরাজ করা তাঁর অভিপ্রেত ছিল না। সরদেশাই বলেন, সারা ভারতে হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপন করাই শিবাজীর লক্ষ্য ছিল।

বিজাপুর রাজ্যে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে শিবাজী ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম তোরণা দুর্গটি দখল করে নেন। এরপর তিনি একে একে বড়মতি, রায়গড়, পুরন্দর, প্রভৃতি স্থানের দুর্গগুলি দখল করে নেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং শিবাজীকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজাপুরের সুলতান শিবাজীর পিতা শাহজীকে কারারুদ্ধ করেন। এই অবস্থায় শিবাজী দাক্ষিণাত্যের মোঘল শাসককর্তা মুরাদের সাহায্য চান। বিজাপুরের সুলতান ভীত হয়ে শাহজীকে মুক্ত করে দেন। কিছুকাল শিবাজী নিশ্চুপ থাকেন। ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা ঔরাঙ্গজেবের সঙ্গে বিজাপুরের সুলতানের সংঘাতের সুযোগ নিয়ে শিবাজী জাওলি নামে এক অঞ্চল দখল করেন। ইতিমধ্যে ঔরাঙ্গজেব শাহজাহানের অসুস্থতার সংবাদে দিল্লী চলে গেলে, বিজাপুরের সুলতান শিবাজীকে দমন করার জন্য সেনাপতি আফজল খাঁকে পাঠান। আফজল খাঁ শিবাজীকে দমন করতে ব্যর্থ হলে প্রতারণার আশ্রয় নেন। আফজল খাঁ শিবাজীকে তার শিবিরে আমন্ত্রণ জানান। শিবাজী আফজল খাঁর দুরভিসন্ধির কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন। সুতরাং তিনি প্রস্তুত হয়েই আফজল খাঁর শিবিরে আসেন। আফজল খাঁ আলিঙ্গনের সুযোগে শিবাজীকে ছুরির আঘাত করতে উদ্দ্যত হলে শিবাজী লোহার তৈরি 'বাঘনখ' অস্ত্রের সাহায্য-এ আফজল খাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেন। সেনাপতির মৃত্যুতে বিজাপুরের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে শিবাজী কোলাপুর দখল করে নেন।

শিবাজী ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সামান্য এক জায়গিরদারের অবহেলিত পুত্র শিবাজী নিজের প্রতিভাবলে স্বাধীন হিন্দু রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি শতধা বিভক্ত ও পারস্পরিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-এ লিপ্ত মারাঠাদের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করে এক শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত করেছিলেন। তাঁর শাসননীতির লক্ষ্য ছিল ন্যায়পরায়ণতা ও উদারতা।

(মারাঠি: मराठा साम्राज्य) হল একটি ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য, যা খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দী হতে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগ পর্যন্ত (১৬৭৪ - ১৮১৮) ভারতবর্ষের প্রায় সমগ্র অংশ জুড়ে বিদ্যমান ছিলো। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মারাঠা সাম্রাজ্য পেশওয়ার অধীনে বহুগুণ বিস্তৃত হয়।বিস্তারের সর্বোচ্চ সময়ে এটি উত্তরে পেশোয়ার থেকে দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।মুঘল সাম্রাজ্য ধ্বংস হলে ভারতে শেষ হিন্দু সাম্রাজ্য হিসেবে মারাঠা সাম্রাজ্যকেই বিবেচনা করা হয়। ১৭৬১ সালে মারাঠারা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে পরাজিত হয় যা উত্তর দিকে তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তার রোধ করে।এর ফলে উত্তরভারত কার্যত কিছুদিন মারাঠা সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে যায়। যদিও ১৭৭০ সালে উত্তরভারত আবার মারাঠাসাম্রাজ্যের অধীনে আসে। পরবর্তীতে মারাঠা সাম্রাজ্য সম্রাটের অধীনে কেন্দ্রীয় ভাবে শাসিত হওয়ার পরিবর্তে পেশোয়াদের অধীনে বিভক্ত হয়ে যায় ও কনফেডারেসি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।১৮১৮ সালের মধ্যে ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে মারাঠা সাম্রাজ্য চূড়ান্ত পরাজয় স্বীকার করে।এর ফলেই কার্যত ভারতের উপর ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।

শিবাজী যে শুধুই মারাঠা জাতির স্রষ্টা ছিলেন এমন নয়, তিনি ছিলেন মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান জাতীয় স্রষ্টা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শিবাজী উৎসব কবিতায় বলেছিলেন:
মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক কন্ঠে বলো
'জয়তু শিবাজি'।
মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি,
এক সঙ্গে চলো মহোৎসবে সাজি।
আজি এক সভাতলে ভারতের পশ্চিম-পুরব
দক্ষিণে ও বামে,
একত্রে করুক ভোগ একসাথে একটি গৌরব
এক পুণ্য নামে।।



মহম্মদ রফি ও কিশোর কুমার



    মহম্মদ রফি ও কিশোর কুমার



    ফেসবুক থেকে       শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু


হৃদয়ের রাজা মহম্মদ রফি কি প্রতিদ্বন্দ্বী কিশোর কুমারকে হিংসে করতেন ?
সময়টা সত্তরের দশক | মহম্মদ রফির জনপ্রিয়তা কমছে | কিশোর কুমার উঠে আসছেন | শচীন দেব বর্মনের জমানা শেষ | ছেলে রাহুল দেব বর্মন জাকিয়ে বসেছেন | তিনি নরম গলার রফিকে খুব একটা পছন্দ করতেন না | তার পছন্দ রাফ এন্ড টাফ গলার কিশোর কুমারকে | সব দেখেও শচীন কর্তা কিচ্ছু বলতে পারছেন না | এদিকে মনে মনে গুমরাচ্ছেন রফি | ‘আরধনা’ হিট করতেই সবাই রাজেশ খান্নাকে মাথায় নিয়ে নাচছে | সুপার স্টার-এর সিংহাসনে বসেই রাজেশের ফতোয়া, রফি নয় তার লিপের সব গান কিশোর গাইবেন | শুনে কষ্ট পেলেন বর্মন কর্তা | মন খারাপ রফির | শেষে আর থাকতে না পেরে বর্মন সাহাব ছেলেকে বললেন, ‘একবার রফিকে গান দিয়ে দেখ-ই না | ও পারবে.’ বাবার কথা ফেলতে না পেরে পঞ্চম, রফি সাহাবকে ডেকে ‘শান’ ছবির ‘ইয়াম্মা ইয়াম্মা’ গান দিয়ে বললেন, ‘গাইতে পারবেন?’ চুপচাপ বাড়ি ফিরে এলেন রফি | গোটা দিন ভাবলেন | পরের দিন ষ্টুডিও এসে গান রেকর্ডিং করলেন | গান সুনে রাহুল চুপ |‘ইয়াম্মা ইয়াম্মা’ সুপার হিট | এই ছিলেন মহম্মদ রফি | কম কথার মানুষ | ভীষণ নরম, ভদ্র |নিজের কাজ দিয়ে যা জবাব দেওয়ার, দিতেন |
ব্যক্তি মহম্মদ রফি কেমন ছিলেন? নিতান্ত ছাপোষা,আটপৌরে | একই সঙ্গে সামান্য রক্ষনশীল | রফির আমলে পাপারাৎজিদের হামলা ছিল না | তাই, ব্যক্তি জীবনে রফি কেমন ছিলেন, খুব কম লোকেই তা জানত | রফির মৃত্যুর পর জেসমিন, রফির দ্বিতীয় পুত্রবধু শ্বশুরমশাইকে নিয়ে লিখেছিলেন ‘মাই আব্বা মহম্মদ রফি ’ সেখানে ছোট ছোট ঘটনায় জেসমিন ছবি আঁকার চেষ্টা করেছেন শিল্পীর অন্তর্মুখী সত্তার |
জেসমিনকে মহম্মদ রফি যখন প্রথম দেখেছিলেন তখন জেসমিনের বয়স কত হবে? এই পনেরো কি ষোল! বলিউড-এর সেলিম-জাভেদ জুটির সেলিম খান ওই পুচকে মেয়ের চাচা | রফি সাহেবের ছেলের জন্য বিয়ের সম্বন্ধ এনে ছিলেন উনি | তখন অল্প বয়সেই শাদী হত অনেকেরই | তাই জেসমিনের বাড়ির লোক খুব একটা অবাক হননি | পাত্র আর তার বাড়ির লোকের কথা শোনার পর চোখ কপালে মেয়ের! চাচা কার বাড়িতে পাঠাচ্ছেন তাকে? মহম্মদ রফির বাড়ি! যার গান শুনে সে বড় হয়েছে! যার গলার রোম্যান্টিশিজম তাকে প্রেম করতে শিখিয়েছে! সে কিনা যার অন্ধ ভক্ত!
খবরটা কানে আসার পর থেকেই কেমন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে কাটল জেসমিনের | তার মত সামান্য মেয়েকে রফি সাহাবের পছন্দ হবে? তারপর হঠাৎ চাচা একদিন হাঁফাতে হাঁফাতে এসে বললেন, ‘শিগগির তৈরী হয়ে নে জেসমিন | রফি সাহাব আসছেন তোকে দেখতে |’ ষোলো বছরের ছোট মেয়েটা ঘেমে-নেয়ে অস্থির | একে স্বপ্নের মানুষের মুখোমুখি এই প্রথম | কেমন সাজলে তার পছন্দ হবে! এত রোমান্টিক গলা যার, তিনি নিশ্চয় মারাত্মক সুন্দর হবেন | তার মন পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা? জেসমিন ভুলেই গেছিলেন, বিয়েটা রফি সাহাবের দ্বিতীয় ছেলে খালিদের সঙ্গে হচ্ছে | রফি সাহাবের সঙ্গে নয়!
যাই হোক, নির্দিষ্ট দিনে জেসমিন মনের মত করে সাজলো | অনেক বেছে নরম গোলাপী শিফনের শাড়ি পড়ল | গলায়, কানে, হাতে মুক্তর হালকা গয়না | রফি এলেন খালিদ আর বাড়ির অন্য লোকেদের নিয়ে | প্রথমে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা সারলেন | তারপর ডাক পড়ল জেসমিনের | গোলাপী শাড়ি-গয়নায় জেসমিন যেন সদ্য ফোটা জুই! রফি-র মুখোমুখি হতেই আতকে উঠলো বছর ষোলোর মেয়ে | কোথায় কার্তিকের মত চেহারা? এ তো একদম পাশের বাড়ির কাকু! জেসমিন ততক্ষণে ঠিক করে ফেলেছে খালেদকে কিছুতেই বিয়ে করবে না | এমন সময় সেই রোমান্টিক গলা প্রশ্ন করলো, আমাদের বাড়িতে শাড়ির সঙ্গে লম্বা হাতার ব্লাউজ পরা হয় | তুমি তেমনটা পরবে তো? সাপের মাথায় যেন ধুলো পড়ল | এই গলাকে অগ্রাহ্য করে কি করে জেসমিন? পুতুলের মত ঘাড় নেড়ে জানালো, পারবে | সঙ্গে সঙ্গে মায়াবী গলার মালিক মৃদু হেসে জানালেন, আমরা রাজি | এবার আপনাদের পালা!
এ তো গেল বিয়ের আগে শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে বৌমার পয়লা মোলাকাতের গপ্পো | বিয়ের পর কি হলো? অনেক স্বপ্ন নিয়ে জেসমিন শ্বশুর ঘরে এসেছেন | যত না আগ্রহ নিজের স্বামীকে নিয়ে তার ডাবল শ্বশুরকে ঘিরে | বিয়ের আগে শুনেছিলেন, কত ফিল্ম স্টার নাকি দুবেলা আসেন বাড়িতে | যাদের পর্দায় দেখতেন তাদের এবার বাড়ি বসে জ্যান্ত দেখতে পাবেন, ভাবতেই আল্হাদে আঠখানা জেসমিনের মন| কনে বউ হয়ে পা রাখতেই সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন রফি | খুব মৃদু কিন্তু দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিলেন, বাইরের মানুষের সামনে হুটহাট বেরোনো চলবে না | বিশেষ করে ফিল্মি দুনিয়ার লোকজনের সামনে | জেসমিনের মাথায় হাত | হায় হায়! এ কোন ঘরে এসে পড়লেন! যিনি সারাক্ষণ প্রেমের গান গাইছেন তিনি আদতে এতটাই প্রাচীনপন্থী! জেসমিনের আশা, একদিন গান রেকর্ডিং দেখতে যাবেন | তাতেও জল ঢাললেন রফি জেসমিনের বাবার বাড়ির লোককে রেকর্ডিং দেখিয়ে আনলেন | তবু বৌমাকে নিয়ে গেলেন না!
শ্বশুরবাড়িতে আসতে আসতে পুরনো হলেন জেসমিন | রফি সাহাব তখন শ্বশুর কম, বাবা বেশি | জেসমিনকে ‘বহু’-র বদলে ‘বিটিয়া’ বলে ডাকছেন | একদিন বিকেলে জেসমিন বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়চারী করছেন | দেখলেন, ক্লান্ত পায়ে রফি গাড়ি থেকে নামলেন | জেসমিন পায়ে পায়ে গিয়ে দাড়ালেন শ্বশুর-এর সামনে | তাকে দেখে রফির গলা থেকে একরাশ ব্যথা ঝরলো, ‘বিটিয়া, ওরা বড্ড খারাপ | এক তো আমায় দিয়ে উল্টোপাল্টা গান গাওয়াচ্ছে | তার ওপর বলে কিনা আমি কিশোরকে হিংসে করি! সত্যি আমি এত ছোট মনের?’
কি বলবেন জেসমিন! তিনি নিজের চোখে দেখেছেন, কিশোরজিকে ডেকে তার আব্বা কত প্রসংসা করেছেন! বলেছেন, ‘তুমি গায়ক-নায়ক | তুমি স্টেজ-এ গাইলে আরো নাম করবে |’ এদিকে খবরের কাগজে ফলাও করে ছাপছে দুজনের মিথ্যে ঝগড়ার কথা! সেদিন রফি তার বিটিয়া-কে বলেছিলেন, ‘এবার বুঝতে পারছ, কেন ফিল্মি দুনিয়ার আশপাশে তোমায় যেতে দিইনি!’ রেকর্ডিং-এ না নিয়ে যাওয়ার অনেকটা ক্ষোভ অনেকটা অভিমান জমে ছিল জেসমিনের মনে | রফির সেদিনের কথা শোনার পর জেসমিন বুঝেছিলেন, মহম্মদ রফি আগে ‘আব্বা’ পরে ‘তারকা’| তাই সংবেদনশীল মানুষটি পরিবাব্রের গায়ে যাতে আঁচ না লাগে তার জন্যই সারাক্ষণ আগলাতেন ওরকম করে!



ভারতীয় সংবিধান ( দুই )



ভারতীয় সংবিধান ( দুই )








ভারতীয় সংবিধান


ভারতীয় সংবিধানে
৩৯৫টি ধারা !
২২টি তফসিল !

আমাদের সংবিধানে
প্রতিভাত হয়নি
'হিন্দুত্ব' !

নেই
আমাদের 'হিন্দুস্থান' নামের
'মহত্ব' !

এবং
'হিন্দুস্থান' নামের
'দেশত্ব' !

পরে ১৯৭৬ সালে ব্যতীক্রমী ভাবে
ভারতীয় সংবিধানে যোগ করা হয়েছে
'ধর্মনিরপেক্ষতা' !

'ধর্মনিরপেক্ষতা' যোগ করা
মুসলমানদের জন্য
ইন্দিরা গান্ধির মনের কথা !



মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮

আমার লেখার মধ্যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বলতে পারেন এই কী চিকিৎসে !


আমার লেখার মধ্যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে
বলতে পারেন এই কী চিকিৎসে !




Monday, August 27, 2018


স্বাধীনতার পরে পরে


স্বাধীনতার পরে পরে


স্বাধীনতার পরে পরে
আমরা পূর্ববঙ্গের বাঙালিরা 
পশ্চিমবঙ্গে এসে ছিলাম কারা ?

স্বাধীনতার পরে পরে
আমরা পূর্ববঙ্গের বাঙালিরা 
পশ্চিমবঙ্গে এসে ছিলাম বাস্তুহারা !

স্বাধীনতার পরে এখন  আমরা 
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা
কারা ?

স্বাধীনতার পরে এখন আমরা 
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা
ছন্নছাড়া !


ভারতের হিন্দু মহাসভা


ভারতের হিন্দু মহাসভা



ভারতের হিন্দু মহাসভা
সে ভাবে হিন্দুদের
সমর্থন পায়নি !

তখন বাংলার
এবং
ভারতের হিন্দুরা

আঙুলের ডগায়
চুন নিয়ে
ডলেছিল খৈনি !

ফেলে ছিল
বারে বারে পিক
ধিক তারে ধিক !

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার


ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার



ভগবান বিষ্ণুর
'দশ' অবতার।

মৎস্য
কূর্ম
বরাহ
নৃসিংহ
বামন
পরশুরাম
রামচন্দ্র
কৃষ্ণ-বলরাম
বুদ্ধ
কল্কী।

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮

মৃত্যু


মৃত্যু



মৃত্যু স্বাভাবিক !
মৃত্যুর গতিছন্দ
স্বাভাবিক !
মৃত্যু সাত্ত্বিক
সার্বিক !
মৃত্যু সার্বত্রিক
সর্বত্রব্যাপী
সর্বত্রগামী
সর্বকালিক
সার্বজনিক
সর্ববিদিত
সার্বভৌমিক !
মৃত্যু সর্বজনীন !
মৃত্যু
সকলের পক্ষে
অসীম হিতকর
অবস্থান্তর !
মৃত্যুর পরেও‌
মৃত্যু খোঁজা
নিতান্তই অবান্তর !

কংগ্রেসি তৃণমূলের মুলো


কংগ্রেসি তৃণমূলের  মুলো



ল্যাংটা পুঁটো
তৃণমূলের দল !
তোরা বিবেকানন্দকে
মাপতে যাচ্ছিস ?

ওরে ! বেসুরো গাধারা !
মাইকে মাইকে
ছয়লাপ করে
চ্যাঁচালে
তোদের বিবেক জাগবে
কী ?

তোরা তো
থোড় বড়ি খাড়া
খাড়া বড়ি থোড় !
তোদের কালরাত্রি কেটে গিয়ে
আসবে কি ভোর ?

তোরা কংগ্রেসি
তৃণমূলের মুলো !
যেখানে দিবি
সেখানে দে !
দিবি দে !
দিব্যি দে !
জনগণের চোখে-মুখে
দিবি দে ধুলো !

অহং এবং বিবেক


অহং এবং বিবেক


আমাদের
অহং-এর ভাব
এবং আমাদের
অহং-এর অভাব
এই দুটোর
পরিণত অবস্থাতে
পরিস্ফুট হয়
আমাদের পরিপূর্ণ বিবেক !

প্রথম অবস্থায়
পরিস্ফুট হয়
অসৎ বিবেক !
আর দ্বিতীয় অবস্থায়
পরিস্ফুট হয়
যথার্থ সৎ বিবেক !

অহং-এর ভাব
দূর হলে
অহং-এর
অবিদ্যমানতা
এসে যায় !
অহং-এর ভাব
থেকে গেলে
বিবেক-এর সৎইচ্ছা
প্রতিহত করে !

আমাদের মনের
এবং চিন্তার
জড়তা দূর হলে
সেই সময় থেকে
আমাদের চৈতন্য
বুদ্ধি
বোধ সব
কেবল সৎ বিবেক-এ
পরিণত হয় !

শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৮

সত্তা


সত্তা



ঈশ্বরের
এবং আমার
একই সত্তা হওয়া উচিত !

তবে আমার কেবল
অহং-আফিঙের
সত্তা !

ঈশ্বরের সেখানে
কেবল চিন্ময়
সত্তা !

তত্ত্বজ্ঞান ব্রহ্মজ্ঞান


তত্ত্বজ্ঞান ব্রহ্মজ্ঞান



সত্যি সত্যি
এক চিন্ময় সত্তা ছাড়া
আমাদের অন্য কোন
রূপ বা স্বরূপ নেই !

একেই বলে
'তত্ত্বজ্ঞান' হওয়া
বা 'ব্রহ্মজ্ঞান' হওয়া !
আমরা কেবল ঈশ্বর-জ্ঞানের ছাত্র !

তত্ত্বজ্ঞান বা ব্রহ্মজ্ঞান হলে
ঈশ্বরের গতিপথের বাঁক ডিঙ্গিয়ে
ঈশ্বরের কাছে এগিয়ে যাওয়ার
একটু চেষ্টা করা যায় মাত্র !

মুক্তি এবং মহামুক্তি


মুক্তি এবং মহামুক্তি



আমাদের
স্বরূপ হলো
আমাদের সত্তা !

আমাদের চিন্ময় সত্তার সঙ্গে
প্রকৃতির অন্য কিছুর মিশ্রণ
দ্রবণ

রাসায়নিক সংশ্লেষণ
ঘটলে বন্ধন !
না ঘটলে মুক্তি !

আমাদের সত্তার সঙ্গে
ঈশ্বরের সত্তার
সংযুক্তি ঘটলে মহামুক্তি !

আমার সকল সন্তানদের উৎপত্তি


আমার সকল সন্তানদের উৎপত্তি



আমার মহৎ-ব্রহ্মস্বরূপ
মূলপ্রকৃতি
আমার প্রেয়সী

আমার সকল সন্তানদের
উৎপত্তির যোনি
অর্থাৎ গর্ভাধানস্থান !

আমি সেই স্থানে
চেতনরূপ
গর্ভস্থাপন করি !

প্রেমিকার সেই
জড় ডিম্বাণু
আর আমার চেতন

শুক্রাণুর
সংযোগে-সংস্পর্শে-সংস্কারে
আমার সন্তানদের উৎপত্তি !

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৮

উপমেয়-উপমিত


উপমেয়-উপমিত



উপমেয় উপমিত।
ও দুটোকেও হতে হবে
পরিমিত !

তবে দুটোকেই হতে হবে 
প্রকাশাত্মক !
দুটোকেই হতে হবে  ধনাত্মক !

বহ্নি প্রকাশাত্মক !
গর্ভ
প্রকাশাত্মক !

তবে প্রকাশের জন্য
হতে হয়
আগ্রহআত্মক !

'আল্ল হো আকবর' বলা
সম্ভবত
দেশাত্ববোধাত্মক !


ওগুলো যদি
আপনার জীবনের সাথে
না মেলে

তবে ধরে নেবেন
ওগুলো
ভ্রমাত্মক !

Chaitali Chowdhury তার কভার ফটো আপডেট করেছেন।


Chaitali Chowdhury তার কভার ফটো আপডেট করেছেন।

Chaitali Chowdhury তার কভার ফটো আপডেট করেছেন।

মন্তব্যগুলি
Pranab Kumar Kundu শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা

শুভেচ্ছা
পরিচালনা করুন