মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮

রূপক রায়ের কলাম


  রূপক রায়ের কলাম


  ফেসবুক থেকে          শেয়ার করেছেন                প্রণব কুমার কুণ্ডু




হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না ঠিক আছে, কিন্তু গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা পরে কেনো ?
ধর্ম নিয়ে চুলকানো মুসলমানদের স্বভাব| এই চুলকাতে গিয়ে মুসলমানরা নানা প্রশ্ন করে আপনাকে ক্ষতবিক্ষত করবে, আপনি যদি ঠিকঠাক মতো জবাব দিতে না পারেন, মুসলমানদের কাছে আপনি হেয় হবেন এবং এই সুযোগে বস্তাপঁচা ইসলামকে তারা শ্রেষ্ঠধর্ম হিসেবে তুলে ধরবে।
মুসলমানদের অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো গরু সংক্রান্ত। তাই মুসলমানদের প্রশ্নবান থেকে আপনাদের রক্ষা করার জন্য, এই পোস্টে দিলাম, আমার জানা, গরু সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের জবাব:
মুসলমান : আপনারা হিন্দুরা গরুর মাংস খান না কেনো ?
হিন্দু : আপনারা শুয়োরের মাংস খান না কেনো ?
- আমাদের ধর্মে নিষেধ আছে, তাই।
- গরুর মাংস খাওয়াও হিন্দু ধর্মে নিষেধ আছে। বরাবর ?
- হুম, কিন্তু আপনারা গরুর মাংস না খেলেও তো গরুর দুধ খান ?
- এজন্যই তো গরু কেটে তার মাংস খাই না। গরু জাতির প্রতি এটা আমাদের হিন্দুদের কৃতজ্ঞতা। ছোট বেলায় মায়ের দুধের পাশাপাশি গরুর দুধ খেয়েছি, তাই গরু আমাদের দুধমাতা। হালিমা যেমন ছিলো আপনাদের নবীর দুধমাতা, নবীর কাছে তার যথেষ্ট সম্মান ছিলো। আমাদের কাছেও তেমনি গরুর সম্মান। তাছাড়াও সারা বছর গরুর দুধ খাই, যা আদর্শ খাদ্য। খাওয়ার জন্য নির্বিচারে গরু কেটে খেয়ে ফেললে, এই আদর্শ খাদ্য পাবেন কোথা থেকে ? আপনারাও তো এই গরুর দুধ ছোটবেলায় খেয়েছেন, এখনও খান; তাহলে গরুর প্রতি আপনাদের কোনো কৃতজ্ঞতা নেই কেনো ?
এটাও মনে রাখবেন, মানুষ মায়ের দুধ খায় মাত্র এক বছর, কিন্তু গরুর দুধ খায় সারাজীবন। এই সূত্রে, গরু শুধু মাতৃসমতুল্যই নয়, মায়ের চেয়েও বেশি।
-হুম, তা না হয় বুঝলাম। গাই গরু না হয় দুধ দেয়, তাই তার মাংস খান না; কিন্তু বলদ গরু তো আর দুধ দেয় না, তার মাংস খান না কেনো ?
- আপনার জন্ম নিশ্চয় আপনার মা একা দেয় নি ? আশা করি আর বেশি কিছু বলতে হবে না। তাছাড়া চাষের কাজে বলদ গরু এখনও অপরিহার্য। আর এই উপমহাদেশে গরুর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিলো কৃষিকাজ, যা আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন, আরব্য মরুভূমির সংস্কৃতির প্রভাবে সেটা আপনারা ভুলে যেতে পারেন, আমরা হিন্দুরা কিন্তু সেটা ভুলি নি। সবচেয়ে বড় কথা, আপনারা শুকর খান না, শুকরকে ঘৃণা করেন বলে; আর আমরা গরু খাই না, গরুকে শ্রদ্ধা করি বলে, দুটোর মধ্যে কিন্তু আকাশ পাতাল প্রভেদ। আচ্ছা, বলতে পারবেন, এমন কোন প্রাণী আছে, যাকে আপনারা শ্রদ্ধা করেন এবং কিন্তু তাকে হত্যা করে তার মাংস খান না ?
এরপর হয়তো কেউ কেউ বলতে পারে, ছাগলও তো দুধ দেয়, তাহলে ছাগলের মাংস খান কেনো ?
বলবেন, বেদ এর নির্দেশ হলো-
‘দুধের উৎস এবং কৃষিকাজ বাঁচাতে তোমরা গরু হত্যার কারণ হইও না’,
আমরা সেই নির্দেশ ফলো করে গরু হত্যার কারণ হই না, এটাই মূল বিষয়। ছাগল, আমাদের এই দুটি উদ্দেশ্যের কোনটাই পূরণ করে না, তাই ছাগলের মাংস খেতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ছাগল তো কৃষিকাজে লাগেই না, আর ছাগলের দুধও এত পর্যাপ্ত নয় যে, তা দিয়ে কোনো, গরুর দুধের মতো ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠতে পারে; ছাগলের যেটুকু দুধ হয়, তা তার ২টা বাচ্চার জন্যই প্রয়োজন, এক সাথে ছাগলের যদি ৩টা বাচ্চা হয়, তাহলেই তাদের দুধের সংকট পড়ে যায়, এজন্যই প্রবাদ বাক্যের সৃষ্টি হয়েছে- “ছাগলের তিন নং বাচ্চা” মানে তার ভাগে কিছুই আর নেই। তাছাড়া ছাগলের দুধ কোনো আদর্শ খাদ্য নয় এবং ১% মানুষও তার সারাজীবনে কোনো দিন ছাগলের দুধ নিয়মিত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। এরপর প্রশ্ন করবেন, আপনি কি কোনোদিন ছাগলের দুধ খেয়েছেন ?
এরপর দেখবেন, ধর্ম নিয়ে চুলকানোর জন্য, যে মুসলমান আপনাকে প্রশ্ন করেছিলো, সে চুপ মেরে গেছে। কিন্তু এরপরও যদি কেউ আপনাকে এই প্রশ্ন করে যে, সবই তো বুঝলাম। গরুর মাংস খান না, ঠিক আছে, কিন্তু গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি ঢাক পূজায় বাজান কেনো, আর গরুর চামড়ার জুতা পায়ে পরেন কেনো ? এই প্রশ্নের জবাব জানার জন্য পড়ুন, পোস্টের নিচের এই অংশটি:
# হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না কেনো ? এই প্রশ্নের দাঁত ভাঙ্গা জবাব যখন দিলাম। তখন মুসলমানরা আবার প্রশ্ন তুললো, তাহলে হিন্দুরা গরুর চামড়ার জুতা পড়ে কেনো ? এরপর হয়তো এই প্রশ্ন করবে যে, হিন্দুরা গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি ঢাক বাজিয়ে পূজা করে কেনো ? এজন্য সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একসাথেই দিলাম এবং সেটা যে খুব ভদ্র ভাষায় নয়, সেটা একটু পরেই বুঝতে পারবেন।
গাছ কাটলে কাঠ হয়, আর কাঠ পুড়লে হয় কয়লা । একটা বাচ্চাও এই গাছ, কাঠ ও কয়লার পার্থক্য বুঝবে। কিন্তু সীলগালা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মুসলমানরা এটা কখনো বুঝবে না। গাছের, কাঠের এবং কয়লার ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ আলাদা। এ তিন জিনিস কখনোই এক নয়, তাই তাদের আলাদা আলাদা নাম। একই ভাবে গরু, গরুর মাংস এবং গরুর চামড়া তিনটিই সম্পূর্ণ পৃথক জিনিস।
আপনি যদি জঙ্গলে গিয়ে বাস করতে বাধ্য হন, তাহলে জংলীদের কিছু বৈশিষ্ট্য আপনাকে পালন করতেই হবে, না হলে আপনি জঙ্গলে টিকতে পারবেন না। তেমনি মুসলমানদের দেশে বাস করতে গেলে, ইসলামিক সংস্কৃতির কিছু অংশ আপনাকে যেমন পালন করতেই হবে, তেমনি তার কিছু কিছু রেশ আপনার অজান্তেই আপনার কালচারে ঢুকে যাবে। গরুর চামড়া দিয়ে জুতা বা ঢাক বানানোর ব্যাপারটিও এই রকম। মুসলমানরা এই উপমহাদেশে আসার আগে থেকেই হিন্দুরা তাদের পূজা-প্রার্থনা এবং তাতে গান-বাজনা করে আসছে। তখন কি ঢাক এ গরুর চামড়া ব্যবহার করা হতো ? আর গরুর চামড়া ব্যবহার করলেও তাতে করতো মৃত গরুর চামড়া, কোনো কারণে যে গরু মারা গিয়েছে, তাকে হত্যা করা হয় নি, এই কাজটি করতো হিন্দু সম্পদ্রায়েরই মুচি বা ঋষিরা। এছাড়া মহাদেব শিবের পরিধানে আমরা দেখি বাঘের চামড়া, এর অর্থ হলো মৃত পশুর চামড়া ব্যবহার শাস্ত্র সম্মত এবং তাতে কোনো দোষ নেই। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, মৃত গরুর চামড়া ব্যবহার করলে আমরা হিন্দুরা কিন্তু গরু হত্যার কারণ হচ্ছি না, যেটা আমাদের শাস্ত্রীয় নির্দেশ যে, ‘গো হত্যার কারণ হইও না’, একারণে মৃত গরুর চামড়া ব্যবহারে কোনো শাস্ত্রীয় নিষেধ নেই।
এখানে বলে রাখি, ঢাকের এক পাশে বর্তমানে ব্যবহার করা হয় গরু বা মহিষের মোটা চামড়া, অন্য পাশে ছাগল বা ভেড়ার পাতলা চামড়া; চিকন এবং মোটা এই দুই ধরণের শব্দ তৈরির জন্যই এই ব্যবস্থা।
বাংলাদেশে যেহেতু গরুর চামড়ার ব্যবহার বেশি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের পর কোনটা কিসের চামড়া তা বোঝা যায় না, সেহেতু ঢাক তৈরির কারিগরদের অজ্ঞাতে মহিষের চামড়ার পরিবর্তে গরুর চামড়া ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে বা গরুর চামড়ার সহজলভ্যতার জন্যও এটা ঘটতে পারে।
উপরের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে, হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না এবং তা থেকে উৎপন্ন কোনো জিনিসও সজ্ঞানে ব্যবহার করে না। যেটুকু ব্যবহার করে বা করতে বাধ্য হচ্ছে, তা মুসলমানদের কারণেই। কারণ, মুসলমানরা আছে বলেই গরু জবাই হচ্ছে, তা থেকে চামড়া আসছে, আর সেই চামড়ার তৈরি ঢাক বা জুতা হিন্দুদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। মুসলিমরা না থাকলে এর কোনোটিই হতো না। যেমন ধানের গাছ না থাকলে ভাতই হতো না, তাহলে ভাত খাওয়ার আবার প্রশ্ন কী ?
হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না বলেই এ নিয়ে মুসলমানদের যত ক্ষোভ আর প্রশ্ন। ওদের মতো রাক্ষস হলে, এসব প্রশ্ন যে আর করতো না সেটা নিশ্চিত। এই রাক্ষসরা সবকিছু খেলেও শুয়োরের মাংস খায় না। আর এর কারণ হিসেবে তারা যা বলে; সেসব হলো, শুয়োরের দেহে এক ধরণের পরজীবী বাস করে, তাই শুয়োর খেলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উম্মাদ হয়ে যায়; গরুর দেহেও পরজীবী থাকে, তাই গরুর মাংস খেলে ফিতা ক্রিমি এবং ম্যাড কাউ রোগ হয়, এছাড়াও হয় উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টোরল বৃদ্ধি, হার্ট এ্যাটাক, চক্ষু রোগ, কিডনি রোগ, এলার্জিসহ আরো বহুবিধ রোগ। আরও বলে, শুয়োর নোংরা; কিন্তু মুরগী এর চেয়ে বেশি নোংরা। শুয়োর ময়লা অবর্জনায় বাস করে, কিন্তু ফার্মের শুয়োরের এ সমস্যা নেই। আবার বলে, কোরান হাদিস অনুযায়ী, শুয়োর জবাই করলে পাক হয় না; দেখেন মজা; না খাবি, না খা। তাই ব'লে উল্টা পাল্টা যুক্তি দেওয়ার কি দরকার ?
এখানে পাক-নাপাক নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। পাক মানে পবিত্র। পবিত্র অপবিত্র এর ধারণাটাই আসলে বোগাস। বাস্তবে কোনো জিনিস নোংরা বা পরিষ্কার হতে পারে, কিন্তু অপবিত্র বা পবিত্র হতে পারে না; এটা সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের ব্যাপার। কেউ কখনো পবিত্র বা অপবিত্রতার ব্যাপারটি প্রমাণ করে দেখাতে পারবে না।
যা হোক, শুয়োর না খাওয়ার নানা কুযুক্তি মুসলমানরা দেখালেও, তারা কিভাবে নিয়মিত শুয়োর খেয়ে যাচ্ছে, নিচেই তা দেখুন। এটি লিখেছে *ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন* নামের একজন আলেম, অধ্যাপক, গবেষক, প্রাবন্ধিক -
"পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষত ইউরোপ, আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় শুকরের চর্বি (Lard,Pigfat) খাদ্যদ্রব্য রান্না ও প্রসাধন সামগ্রী তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে দামে সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে বাটার অয়েলের পরিবর্তে রান্নায় শুকরের চর্বি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রান্নার পাশাপাশি রুটি, পিজা, পিঠা, কেক, স্ন্যাক্স, সস, স্যান্ডউইচ, বার্গার, বিস্কুট, মিষ্টি ও ঝাল খাবারে শকুরের চর্বির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়। এছাড়াও সাবান, লোশন, চকোলেট, চিপস, শ্যাম্পু, লিপষ্টিক ক্যান্ডি, শেভিং ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট তৈরিতে শূকরের চর্বি অপরিহার্য উপাদান। এসব খাদ্য ও কসমেটিকস সামগ্রীতে যে আঠালো পদার্থ আছে তার বৈজ্ঞানিক নাম Gelatin। এটা শূকরের হাড় ও পায়ের খূরের চর্বি থেকে সংগৃহীত হয়।
বহুজাতিক কোম্পানি তাদের দেশের খাদ্য প্রশাসন বিভাগের সহায়তায় ব্যবসায়িক স্বার্থে উপাদানের ক্ষেত্রে সরাসরি (শূকরের চর্বি) না লিখে ইদানিং E-codes ‘ই-কোডস’ ব্যবহার করতে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডা. আমজাদ আলী খান জানিয়েছেন, যেসব পণ্যের প্যাকেটে নিম্নলিখিত ‘ই-কোডস’ লেখা থাকবে নিঃসন্দেহে সেখানে শূকরের চর্বি থাকবে।
ই-কোডগুলো হল এই রকম E100,E110,E120 ..........."   ***
লুণ্ঠনকারী জাতি মুসলমান, নবীর সময় থেকেই, যুদ্ধের নামে বিভিন্ন দেশ লুন্ঠন করে খেয়েছে। ঘোড়া আর তলোয়ারের যুগ শেষ হওয়ায় এখন আর লুঠপাঠ করতে না পেরে বিভিন্ন দেশ থেকে তারা ভিক্ষা অর্থাৎ আমদানী করে খাচ্ছে। তো উপরের এই লিস্টটা দ্যাখ, ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে তোরা যে সব পণ্য আমদানী করে খাচ্ছিস বা ব্যবহার করছিস, তার প্রত্যেকটিতেই শুয়োরের চর্বি আছে। তাহলে কি শুয়োর তোরা খাস না , না খাচ্ছিস না?
সবচেয়ে মজা পাবেন, নিচের এই তথ্য জানলে
"শুধু চামড়া সেলাই করার কাজে শূকরের পশম দ্বারা তৈরি সুতা ব্যবহার করা জায়েয বলে হাদীসে উল্লেখ আছে। (সংক্ষিপ্ত মাআরিফুল কুরআন মদিনা ১৪১৩-৮৮ পৃষ্ঠা)"
তো তোরা, শুয়োরকে ধরিস না, মারিস না, খাস না, পোষাও নিষেধ, তাহলে শুকরের পশম দ্বারা তৈরি সুতা ব্যবহার করিস কেনো ? নিজেরা যা খুশি করবি, তাতে কোন দোষ নেই ! আর হিন্দুরা বাধ্য হয়ে গরুর চামড়ার তৈরি জুতা-ঢোল ব্যবহার করলেই দোষ , তাই না ?
যত সব আবাল কোথাকার।
এরপরও কোনো কোনো মুসলমান প্রশ্ন তুলে,
“গরু হিন্দুদের মা, গরুর পেট থেকে তো গরুর_বাচ্চা হয়.! koi.??? মানুষের_বাচ্চা তো হয়না.! তাহলে গরু কি করে মানুষের মা হয়?”
যেন এই বিষয়টি মুসলমানদের এক বিশাল চিন্তার বিষয়। গরুকে হিন্দুরা যে মায়ের মতো সম্মান করে, এটা নিয়েই মুসলমানদের যত গাত্রজ্বালা। রাক্ষস মুসলমানদের মতো হিন্দুরাও যদি গরুকে কেটে রাক্ষসের মতো খেতো, তাহলে এটা নিয়ে বোধহয় মুসলমানরা কোনো চুলকানি থাকতো না।
যে প্রাণী, যার পেট থেকে জন্ম নেয়, সেটাই তার প্রকৃত মা; আর মায়ের ভূমিকা পালনকারী অন্যরা হয় তার মায়ের মতো। জন্ম দেওয়ার পর মায়ের মৃত্যু হলে, সেই শিশু শুধু মাত্র গরুর দুধ খেয়ে বাঁচতে পারে, এছাড়াও গরুর দুধ একটি আদর্শ খাবার, যে খাবার আমরা খাই সারাজীবন ধরে, এই সূত্রে হিন্দুরা গরুকে মায়ের মতো মনে করে এবং তাকে মায়ের মতো সম্মান করে, হিন্দুরা গরুকে মা মনে করে না, মনে করে মায়ের মতো।
মুসলমানরা আরও প্রশ্ন তুলেছে,
“গরুর পেট থেকে তো গরুর বাচ্চা হয়। মানুষের বাচ্চা তো হয়না! তাহলে গরু কি করে মানুষের মা হয় ?”
গরুর পেট থেকে হিন্দুদের জন্ম হয় না, তাই গরুকে হিন্দুরা মা মনে করবে কেনো ? গরু, সব মানুষের ক্ষেত্রেই পালন করে মায়ের ভূমিকা, তাই হিন্দুরা কৃতজ্ঞতাবশত গরুকে মায়ের মতো মনে করে, মা মনে করে না, যেটা একটু আগেও বলেছি। এখন কথা হচ্ছে, মুসলমানদের ক্ষেত্রেও গরু তো মায়ের মতো ভূমিকা ই পালন করে, কিন্তু মুসলমানরা তো অকৃতজ্ঞের জাত, তাই তারা গরুকে হত্যা করে তার মাংস খায়, হিন্দুরা কৃতজ্ঞ বলেই এটা করে না। এই সূত্রে হিন্দুরা কৃতজ্ঞ আর মুসলমানরা অকৃতজ্ঞ জাতি।
মানুষ নিজের দেশকেও মা হিসেবে সম্মান করে, এজন্যই বলে জন্মভূমি হলো মাতৃভূমি। তাহলে কি মুসলমানদের নির্বোধ সূত্র- মায়ের মতো মনে করলেই তাকে তার পেট থেকে জন্ম নিতে হবে- এই সূত্রানুসারে কি দেশের সব মানুষকে দেশের মাটি ফেটে জন্ম নিতে হবে ? মুসলমানরা নিশ্চয় বাংলাদেশকে মায়ের মতোই মনে করে, তাহলে তারা কি দেশের মাটি ফেটে জন্ম নিয়েছে ?
মুসলমানরাও তো সম্মান করে মুহম্মদের মায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলে, মা আমিনা; আবাব মুহম্মদের বেটিকে বলে, মা ফাতেমা; আর মুহম্মদের সব বউ তো কোরানের নির্দেশেই মুসলমাদের মা। তাহলে এরা সবাই কি মুসলমানদের মা, না মায়ের মতো ?
মানুষের মূর্খামির একটা সীমা থাকা দরকার। কিন্তু মুসলমানদের মূর্খামির সীমা, কবে, কোথায় ছিলো ?
জয় হিন্দ।
From: Krishna kumar das


💜 জয় হোক সনাতনের 💜


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন