#বালুচ_বুকে_কালাটেশ্বরী_কালী, #মাথা_ঝোঁকায়_পাকিস্তানও
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
মৌলবাদের ঘুণধরা পাকিস্তানে জাগ্রত কালী মায়ের মন্দির! পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির থাকা অনেকটা চাঁদে জল থাকার মতোই অবাস্তব লাগে শুনতে। সেখানে পাকিস্তানে বুকে কালী মন্দির থাকাটা সত্যি আশ্চর্যজনক ঘটনা। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের বেশির ভাগ হিন্দুর ভারতে চলে আসার কারণে,ধর্মীয় আগ্রাসনে পাকিস্তানে শত শত মন্দির ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বা জবর দখল করে সেগুলিতে বসতবাড়ি, হোটেল বা পাঠাগার হয়েছে।কিন্তু কয়েকটি বিখ্যাত মন্দির অটুট রয়ে গেছে। কারণ, এশিয়াতে ইসলাম প্রবেশ করার আগেই তৈরি হওয়া মন্দিরগুলি স্থানীয় ইসলাম, খ্রীস্টান, শিখ ধর্মের জনগণের জীবনযাপনেও জড়িয়ে গেছে।ফলে ভাঙ্গতে গেলে হাত কেঁপেছে হানাদারদের,পারেনি।কোনও এক অজ্ঞাত ভয়ে পিছিয়ে এসেছে।
পাকিস্তানের খনিজ পদার্থ সম্বৃদ্ধ প্রদেশ বালুচিস্তান।হিন্দুদের পবিত্র তীর্থ, একান্ন পিঠের অন্যতম পীঠ মরুতীর্থ হিংলাজ বা বিবি নানীর মন্দির এই প্রদেশেই । কিন্তু পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আরেক জাগ্রত ও বিখ্যাত দেবী আছেন, ক’জন ভারতীয় তা জানেন! হ্যাঁ, স্বয়ং মা কালী ১৯৪৪ বছর ধরে অবস্থান করছেন ওই অঞ্চলে। তখন অবশ্য বালুচিস্তান বা পাকিস্তানের জন্মই হয়নি, দক্ষিণ এশিয়াতে ইসলামেরও আগমন হয়নি। আজ কট্টর মৌলবাদী পাকিস্তানের বুকে এই দেবীর পূজা হয় মহাসমারোহে। এই রণচন্ডী, উগ্রমূর্তি দেবীকে সমীহ করে পুরো পাকিস্তান। মন্দিরের সমস্ত অনুষ্ঠানে যথাসম্ভব সাহায্য করেন বালুচ মুসলিমরা। সদা ক্রোধান্বিতা, রণরঙ্গিনী, করাল-বদনা দেবীর নাম কালাট কালী মাতা। কেউ ডাকেন মা কালাটেশ্বরী। মা এখানে পূজিত হচ্ছেন কয়েক হাজার বছর ধরে। সেই ৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে, মন্দিরের দ্বারে তা উর্দু ভাষায় লেখাও আছে। প্রতিবছর হাজারে হাজারে হিন্দুভক্ত সারা পাকিস্তান থেকে কালাট কালীমাতার দর্শনে আসেন। ভোগ দেন, ষোড়শ উপচারে পূজা করেন। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় চলে ভীষণ জাগ্রতা এই কালী মার নিত্যপূজা।ভক্তদের আতিশয্য থেকে বিগ্রহকে আলাদা রাখতে কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।প্রায় কুড়িফুট উঁচু বিগ্রহটির দশটি হাতে গদা ,তরবারি,ঢাল,শঙ্খ,খড়্গ,ত্রিশুল,চক্র,ধনুক,নরমুন্ড,খঞ্জর।রণ সাজে সজ্জিতা কালীমাতা এখানে কালচে-নীলবর্ণা, গলায় সত্যিকারের করোটির মালা। বিরাট জিভ বার করে মহাদেবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। এই মন্দিরে কালীমাতার বিগ্রহের সামনে রাখা আছে গুরু নানকের ছবি। বালুচিস্তানের শিখদের কাছেও অত্যন্ত পবিত্র এই মন্দির। স্থানীয় লোকগাথা থেকে জানা যায় অনেক শিখ গুরু এই মন্দিরে বিভিন্ন সময় এসেছেন।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
মৌলবাদের ঘুণধরা পাকিস্তানে জাগ্রত কালী মায়ের মন্দির! পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির থাকা অনেকটা চাঁদে জল থাকার মতোই অবাস্তব লাগে শুনতে। সেখানে পাকিস্তানে বুকে কালী মন্দির থাকাটা সত্যি আশ্চর্যজনক ঘটনা। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের বেশির ভাগ হিন্দুর ভারতে চলে আসার কারণে,ধর্মীয় আগ্রাসনে পাকিস্তানে শত শত মন্দির ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বা জবর দখল করে সেগুলিতে বসতবাড়ি, হোটেল বা পাঠাগার হয়েছে।কিন্তু কয়েকটি বিখ্যাত মন্দির অটুট রয়ে গেছে। কারণ, এশিয়াতে ইসলাম প্রবেশ করার আগেই তৈরি হওয়া মন্দিরগুলি স্থানীয় ইসলাম, খ্রীস্টান, শিখ ধর্মের জনগণের জীবনযাপনেও জড়িয়ে গেছে।ফলে ভাঙ্গতে গেলে হাত কেঁপেছে হানাদারদের,পারেনি।কোনও এক অজ্ঞাত ভয়ে পিছিয়ে এসেছে।
পাকিস্তানের খনিজ পদার্থ সম্বৃদ্ধ প্রদেশ বালুচিস্তান।হিন্দুদের পবিত্র তীর্থ, একান্ন পিঠের অন্যতম পীঠ মরুতীর্থ হিংলাজ বা বিবি নানীর মন্দির এই প্রদেশেই । কিন্তু পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আরেক জাগ্রত ও বিখ্যাত দেবী আছেন, ক’জন ভারতীয় তা জানেন! হ্যাঁ, স্বয়ং মা কালী ১৯৪৪ বছর ধরে অবস্থান করছেন ওই অঞ্চলে। তখন অবশ্য বালুচিস্তান বা পাকিস্তানের জন্মই হয়নি, দক্ষিণ এশিয়াতে ইসলামেরও আগমন হয়নি। আজ কট্টর মৌলবাদী পাকিস্তানের বুকে এই দেবীর পূজা হয় মহাসমারোহে। এই রণচন্ডী, উগ্রমূর্তি দেবীকে সমীহ করে পুরো পাকিস্তান। মন্দিরের সমস্ত অনুষ্ঠানে যথাসম্ভব সাহায্য করেন বালুচ মুসলিমরা। সদা ক্রোধান্বিতা, রণরঙ্গিনী, করাল-বদনা দেবীর নাম কালাট কালী মাতা। কেউ ডাকেন মা কালাটেশ্বরী। মা এখানে পূজিত হচ্ছেন কয়েক হাজার বছর ধরে। সেই ৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে, মন্দিরের দ্বারে তা উর্দু ভাষায় লেখাও আছে। প্রতিবছর হাজারে হাজারে হিন্দুভক্ত সারা পাকিস্তান থেকে কালাট কালীমাতার দর্শনে আসেন। ভোগ দেন, ষোড়শ উপচারে পূজা করেন। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় চলে ভীষণ জাগ্রতা এই কালী মার নিত্যপূজা।ভক্তদের আতিশয্য থেকে বিগ্রহকে আলাদা রাখতে কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।প্রায় কুড়িফুট উঁচু বিগ্রহটির দশটি হাতে গদা ,তরবারি,ঢাল,শঙ্খ,খড়্গ,ত্রিশুল,চক্র,ধনুক,নরমুন্ড,খঞ্জর।রণ সাজে সজ্জিতা কালীমাতা এখানে কালচে-নীলবর্ণা, গলায় সত্যিকারের করোটির মালা। বিরাট জিভ বার করে মহাদেবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। এই মন্দিরে কালীমাতার বিগ্রহের সামনে রাখা আছে গুরু নানকের ছবি। বালুচিস্তানের শিখদের কাছেও অত্যন্ত পবিত্র এই মন্দির। স্থানীয় লোকগাথা থেকে জানা যায় অনেক শিখ গুরু এই মন্দিরে বিভিন্ন সময় এসেছেন।
মাথায় সিল্কের ফেট্টি বেঁধে মা কালাটেশ্বরীর দরবারে এসে মাথা ঝোঁকাননি এমন পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতা ও সেলিব্রেটি মেলা ভার।সবাই মানেন,তাঁর দরবারে মাথা ঠুকলে সব সমস্যার সমাধান।
মূলত পাকিস্তানের হিন্দকো ভাটিয়া সম্প্রদায় মন্দিরটির দেখভাল করে আসছেন যুগের পর যুগ ধরে। দুর্গসদৃশ এই মন্দিরের গঠন আর পাঁচটা হিন্দু মন্দিরের মতো নয়। হিন্দু মন্দিরের চিরাচরিত গোপুরম এই মন্দিরে অনুপস্থিত। মন্দিরটিকে নিশ্ছিদ্র, ছোটোখাটো দুর্গ মনে হয়। বালুচিস্তানের কালাট অঞ্চলটিতে একসময় রাজত্ব করতেন কিম্বদন্তী হিন্দু বালুচ বীর ‘সেবা’। তাই হিন্দুবীর ‘সেবা’র প্রতিষ্ঠা করা দুর্গসদৃশ কালীমন্দিরটিকে বলা হয় কালাট-ই-সেবা।সেখান থেকে শহরটির নামও হয়ে গেছে কালাট-ই-সেবা। হিন্দুরা বলেন মা কালীর নাম থেকেই শহরের নাম হয়েছে কালাট। কেউ বলেন হিন্দুবীর ‘সেবা’র ‘কিল্লা’ বা দুর্গ থেকে শহর বা জেলারও নাম হয়েছে কালাট।
শত শত বছর ধরেই বছর ধরেই এই অঞ্চলের হিন্দুরা স্থানীয় বালুচ ও পাশতুনদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। ১৯৪৭ শে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে সেই সম্পর্কে আঘাত পড়ে। দলে দলে হিন্দু বালুচিস্তান ছাড়েন। অথচ বালুচিস্তানের অর্থনীতিতে হিন্দুদের অবদান কোনওদিন অস্বীকার করা যাবেনা।আর অঞ্চলটি বরাবরই ছিলো হিন্দুদের দখলে। ১৯৪১ সালে অঞ্চলটিতে প্রায় ৫৬,০০০ হিন্দু বাস করতেন। যদিও অঞ্চলটি তখন ছিলো ‘খান’ যুবরাজদের অধীনে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় ‘খান’রা কালাট অঞ্চলটিকে ভারতভুক্তির দাবি জানিয়ে জওহরলাল নেহেরুকে চিঠি লেখেন । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নেহেরু নাকচ করে দেন প্রস্তাবটি। কালাটের হয়ে এগিয়ে আসেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু তিনিও পারেননি। অবশেষে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় প্রিন্সলি স্টেট কালাট।
পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা কমলেও কমেনি কালাটেশ্বরী কালী মাতার মহিমা। বরং তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। কালাটেশ্বরী কালী মন্দিরে কালীপূজা, দশহরা, হোলি, গুরুপূর্ণিমা জাঁকজমক সহকারে হয়ে থাকে।মাঝে মধ্যে উগ্রবাদীরা মন্দিরটা ধ্বংস করার জন্য প্ররোচনামূলক মিটিং মিছিল করে। ঘুরিয়ে বলে এই অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ভারত প্রশয় দিচ্ছে তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে। কেউ বলে এই অঞ্চলেই আছে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা পরীক্ষা কেন্দ্র চাঘাই। তাই পাকিস্তানের নিরপত্তার স্বার্থে এখানে কোনও হিন্দুমন্দির থাকা উচিত না। এই মন্দিরের পুরোহিতদের মহারাজা বলা হয়।প্রবীণতম ও শ্রদ্ধেয় মহারাজা লক্ষীচাঁদ গড়জী ও দুই সেবককে ২০১০ সালে অপহরণ করে মৌলবাদীরা। কিন্তু পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় জীবিত অবস্থায়।যা রীতিমতো বিস্ময়কর।তাই এই মন্দিরটি ভাঙার হুজুগ ওঠে, রাজনীতি মাঝে মাঝে পালে হাওয়াও দেয়। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তা করা সম্ভব হয়না। শোনা যায়, মন্দির ভাঙতে চেষ্টা করা অনেক মানুষের অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই। আর বর্তমানের পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলি জানে এই মন্দিরটি ভাঙলে বালুচিস্তানের মুসলিমরাও ছেড়ে কথা বলবেননা। এমনিতেই স্বাধীনতার আন্দোলন বালুচিস্তানে জোর হাওয়া পেয়েছে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। বালুচরা মনে করছেন পাকিস্তানের কবলমুক্ত হয়ে বালুচিস্তানের স্বাধীন হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
যাই হোকনা কেন, মা কালাটেশ্বরীকে স্থানচ্যুত করা ১৯৪৪ বছর ধরে সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও হবেনা,কত শক, হুন, পাঠান, মোগল, ইংরেজ এলো গেলো। মা কালাটেশ্বরী একই জায়গায় স্বমহিমায় বিরাজ করছেন এবং করবেনও।
মূলত পাকিস্তানের হিন্দকো ভাটিয়া সম্প্রদায় মন্দিরটির দেখভাল করে আসছেন যুগের পর যুগ ধরে। দুর্গসদৃশ এই মন্দিরের গঠন আর পাঁচটা হিন্দু মন্দিরের মতো নয়। হিন্দু মন্দিরের চিরাচরিত গোপুরম এই মন্দিরে অনুপস্থিত। মন্দিরটিকে নিশ্ছিদ্র, ছোটোখাটো দুর্গ মনে হয়। বালুচিস্তানের কালাট অঞ্চলটিতে একসময় রাজত্ব করতেন কিম্বদন্তী হিন্দু বালুচ বীর ‘সেবা’। তাই হিন্দুবীর ‘সেবা’র প্রতিষ্ঠা করা দুর্গসদৃশ কালীমন্দিরটিকে বলা হয় কালাট-ই-সেবা।সেখান থেকে শহরটির নামও হয়ে গেছে কালাট-ই-সেবা। হিন্দুরা বলেন মা কালীর নাম থেকেই শহরের নাম হয়েছে কালাট। কেউ বলেন হিন্দুবীর ‘সেবা’র ‘কিল্লা’ বা দুর্গ থেকে শহর বা জেলারও নাম হয়েছে কালাট।
শত শত বছর ধরেই বছর ধরেই এই অঞ্চলের হিন্দুরা স্থানীয় বালুচ ও পাশতুনদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। ১৯৪৭ শে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে সেই সম্পর্কে আঘাত পড়ে। দলে দলে হিন্দু বালুচিস্তান ছাড়েন। অথচ বালুচিস্তানের অর্থনীতিতে হিন্দুদের অবদান কোনওদিন অস্বীকার করা যাবেনা।আর অঞ্চলটি বরাবরই ছিলো হিন্দুদের দখলে। ১৯৪১ সালে অঞ্চলটিতে প্রায় ৫৬,০০০ হিন্দু বাস করতেন। যদিও অঞ্চলটি তখন ছিলো ‘খান’ যুবরাজদের অধীনে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় ‘খান’রা কালাট অঞ্চলটিকে ভারতভুক্তির দাবি জানিয়ে জওহরলাল নেহেরুকে চিঠি লেখেন । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নেহেরু নাকচ করে দেন প্রস্তাবটি। কালাটের হয়ে এগিয়ে আসেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু তিনিও পারেননি। অবশেষে ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় প্রিন্সলি স্টেট কালাট।
পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা কমলেও কমেনি কালাটেশ্বরী কালী মাতার মহিমা। বরং তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। কালাটেশ্বরী কালী মন্দিরে কালীপূজা, দশহরা, হোলি, গুরুপূর্ণিমা জাঁকজমক সহকারে হয়ে থাকে।মাঝে মধ্যে উগ্রবাদীরা মন্দিরটা ধ্বংস করার জন্য প্ররোচনামূলক মিটিং মিছিল করে। ঘুরিয়ে বলে এই অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ভারত প্রশয় দিচ্ছে তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে। কেউ বলে এই অঞ্চলেই আছে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা পরীক্ষা কেন্দ্র চাঘাই। তাই পাকিস্তানের নিরপত্তার স্বার্থে এখানে কোনও হিন্দুমন্দির থাকা উচিত না। এই মন্দিরের পুরোহিতদের মহারাজা বলা হয়।প্রবীণতম ও শ্রদ্ধেয় মহারাজা লক্ষীচাঁদ গড়জী ও দুই সেবককে ২০১০ সালে অপহরণ করে মৌলবাদীরা। কিন্তু পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় জীবিত অবস্থায়।যা রীতিমতো বিস্ময়কর।তাই এই মন্দিরটি ভাঙার হুজুগ ওঠে, রাজনীতি মাঝে মাঝে পালে হাওয়াও দেয়। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তা করা সম্ভব হয়না। শোনা যায়, মন্দির ভাঙতে চেষ্টা করা অনেক মানুষের অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই। আর বর্তমানের পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলি জানে এই মন্দিরটি ভাঙলে বালুচিস্তানের মুসলিমরাও ছেড়ে কথা বলবেননা। এমনিতেই স্বাধীনতার আন্দোলন বালুচিস্তানে জোর হাওয়া পেয়েছে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। বালুচরা মনে করছেন পাকিস্তানের কবলমুক্ত হয়ে বালুচিস্তানের স্বাধীন হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
যাই হোকনা কেন, মা কালাটেশ্বরীকে স্থানচ্যুত করা ১৯৪৪ বছর ধরে সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও হবেনা,কত শক, হুন, পাঠান, মোগল, ইংরেজ এলো গেলো। মা কালাটেশ্বরী একই জায়গায় স্বমহিমায় বিরাজ করছেন এবং করবেনও।
লেখক: রূপাঞ্জন গোস্বামী
তথ্য সৌজন্যে: অনলাইন নিউজ পোর্টাল
তথ্য সৌজন্যে: অনলাইন নিউজ পোর্টাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন