বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮

বিবেকানন্দের ভাবনায় আয়-ব্যয়


বিবেকানন্দের ভাবনায় আয়-ব্যয়



গৃহস্থের
আয় অনুযায়ী
ব্যয় করার নিয়ম।

আয়ের এক চতুর্থাংশ
পরিবারের ভরণপোষণে

এক চতুর্থাংশ
দানে
স্বভাবতই
রামকৃষ্ণ মিশনে

এক চতুর্থাংশ
সঞ্চয়ে

এক চতুর্থাংশ
নিজের জন্য
ব্যয়।

এক চতুর্থাংশ
নিজের জন্য
ব্যয় করলে

গিন্নি
কান্নাকাটি করে
তাঁর
অংশবিশেষের জন্যে
চাপ দিয়ে
কাড়াকাড়ি শুরু করবেন !




* ভাবনায় : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২০।

সঙ্গীতজ্ঞ রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী


সঙ্গীতজ্ঞ রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী



সঙ্গীতজ্ঞ রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী।
বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে।
জন্ম-মৃত্যু  ১৮৬৩-১৯২৪।

তিনি
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের
আদি ব্রাহ্মসমাজের
সঙ্গীতাচার্য ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি গানে
তিনি
সুরসংযোজনা করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ
রাধিকাপ্রসাদের
পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।



*সুবল/১১২০।

কুশণ্ডিকা


কুশণ্ডিকা



কুশণ্ডিকা।
ওটি বিবাহের পর
অনুষ্ঠেয়
মাঙ্গলিক যজ্ঞবিশেষ।
যাদের 'বাসি বিয়ে' আছে
তাদের ক্ষেত্রে
পরের দিন সকালে
বাসি বিয়েতেও
কুশণ্ডিকার মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান
হতে পারে।

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

কোষ্ঠবদ্ধতা


কোষ্ঠবদ্ধতা



কোষ্ঠবদ্ধ ( constipated ) রোগির পক্ষে
ফল-আহার
উপযুক্ত !



* স্বামী বিবেকানন্দ-এর মত। দেখতে পারেন, 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২০।

সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮

হজরত মোহাম্মদ


হজরত মোহাম্মদ



হজরত মোহাম্মদ
তাঁর চল্লিশ বছর বয়সে
সর্বসাধারণের সংস্পর্শে
এসেছিলেন

এবং তাঁর
বাষট্টি বছর বয়সে
তিনি
দেহ রেখেছিলেন।

হজরত হিসাবে
মোহাম্মদ-এর
আয়ুষ্কাল ছিল
মাত্র বাইশ বছর !

স্তোত্র স্তব শ্লোক মন্ত্র


স্তোত্র স্তব শ্লোক মন্ত্র



স্তোত্র।
মাহাত্ম্য-বর্ণনাকারী
পদ
বা শ্লোক বা স্তব।
স্তোত্র
বৈদিক সাহিত্যের অংশ।

স্তব।
স্তুতি।
মাহাত্ম্যকীর্তন।
গুণকীর্তন।
স্তোত্র।
স্তব
বৈদিক সাহিত্যের অংশ।

শ্লোক।
কবিতা।
পদ্য।
বা কবিতার
বা পদ্যের
অংশবিশেষ।
শ্লোক
বৈদিক সাহিত্যের অংশ।


মন্ত্র।
যে পবিত্র শব্দ
বা বাক্য
উচ্চারণ করে
দেবতার উপাসনা
করা হয়।

মন্ত্র।
যে পবিত্র শব্দ
বা বাক্য
উচ্চারণ করে
বা মনন করে
ত্রাণ পাওয়া যায় ।

মন্ত্র।
বৈদিক সাহিত্যের অংশ।

স্তোত্র স্তব শ্লোক মন্ত্র
এগুলির
সঠিক উচ্চারণ বিধি
ও অর্থ জানতে হলে
সংস্কৃত ভাষার
জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
সঠিক
উচ্চারণ বিধির জন্য
নিয়মিত
অভ্যাসও প্রয়োজন।

স্তোত্র স্তব শ্লোক মন্ত্র
এগুলি সবই
বৈদিক সাহিত্যের অংশ।

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮

জ্যামিতির উদ্ভব


জ্যামিতির উদ্ভব



বৈদিক যজ্ঞের
বেদি থেকে
জ্যামিতির উদ্ভব !

জ্যামিতি
অঙ্ক বিজ্ঞানের
অংশ !

যজ্ঞপ্রিয় হিন্দুরা
নাচো নাচো
আর করো কলরব !

বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

ভগবান বুদ্ধ


ভগবান বুদ্ধ



ভগবান বুদ্ধ বারবার জীবদেহ ধারণ করেছিলেন।
ঐ সকল জন্মগ্রহণের ফলে
নিজের আত্মার বলে
এবং কর্মফলে
বুদ্ধ
বুদ্ধত্ব
লাভ করেছিলেন।

বুদ্ধদেব
ঈশ্বর মানতেন না !
আরে বাব্বা !
ঈশ্বর না থাকলে
পুনর্জন্ম করাতেন কে ?

ঈশ্বর না মানলে
বুদ্ধ
আত্মা কোথা থেকে পেতেন ?

আত্মা হারালে
বুদ্ধদেব তো
সবই হারাতেন !

বুদ্ধদেব তো হিন্দুর ঘরে জন্মেছিলেন ! তখন তিনি ঈশ্বর মানতেন ! পরে কেন তিঁনি ঈশ্বরের ব্যাপারে নির্লিপ্ত হয়েছিলেন ?





* লেখাটির পিছনে 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা' দশম খণ্ডের ১৯৬ পাতার প্রভাব রয়েছে।

দুর্গম অসুর


দুর্গম অসুর



দুর্গম নামে এক বিখ্যাত অসুর ছিল।
সে ছিল রুরুর মহাবলবান পুত্র।
সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ পৃষ্ঠা ৪৩৩ এই পৌরাণিক গল্পের সূত্র।

ব্রহ্মার বরে দুর্গম অসুর চারবেদ হস্তগত করেছিল।
তখন তো বেদ ছিল শ্রুতিতে।
শুনে শুনে মুখের কথায় ছিল তার ব্যাপ্তি।
বেদের ছিল দারুণ প্রশস্তি।
বেদ যুগ যুগ ব্যাপী সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়েছিল।

তখনকার বেদ তো আর বই-এর আকারে ছিল না।
আর বই থাকলেও যে তার মাত্র একটাই কপি থাকবে তারও কোন মানে নেই।
সুতরাং দুর্গম অসুরের বেদ হস্তগত করা যুক্তিতে টেঁকে না।

দেখা যাচ্ছে পুরাণে গল্প আছে কিন্তু গল্পের টাইট বাঁধন নেই।

পুরোহিত ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়


পুরোহিত ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়



ভারতবর্ষে
ক্ষত্রিয়জাতিদের মধ্যে থেকেই
শ্রেষ্ঠ মনীষীদের
উদ্ভব হয়েছিল !

পুরুতদের মধ্যে থেকে নয়
বা পুরুত ভিন্ন অন্য ব্রাহ্মণদের
মধ্যে থেকেও নয় !

আমাদের অবতার পুরুষেরা
প্রায় সকলেই
ক্ষত্রিয় ছিলেন !

শ্রীরাম
শ্রীকৃষ্ণ
এঁনারা ক্ষত্রিয় ছিলেন !

ক্ষত্রিয়রা ছিলেন
দেশের শাসনকর্তা !
রাজ্যশাসন এবং যুদ্ধ করা
ছিল তাদের কাজ !

ক্ষত্রিয়রা ছিলেন
দার্শনিক !

ক্ষত্রিয়রা ছিলেন
উপনিষদ-এর প্রবক্তা !

চিন্তায়
ধীশক্তিতে
ক্ষত্রিয়রা

অর্থগৃধ্নু
পুরোহিতবর্গ
থেকে ছিলেন
অনেক উঁচুতে !

অথচ
পুরোহিতরা
এবং ব্রাহ্মণরা
ক্ষত্রিয় রাজাদের
'ম্যানেজ' করে

দেশের অন্যান্য ক্ষত্রিয়
এবং দেশের অন্যান্য
জনসাধারণের ওপর

আধিপত্য
বিস্তার করেছিলেন !



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৭৬-৭।


স্বামী বিবেকানন্দের কথায় বর্তমান পুরোহিতরা


স্বামী বিবেকানন্দের কথায় বর্তমান পুরোহিতরা



স্বামী বিবেকানন্দের কথায় বর্তমান পুরোহিতরা !

" পুরোহিতরা 'অর্থগৃধ্নু'  'money grabbers' " !

অর্থগৃধ্নু
অর্থ
টাকার লোভ আছে এমন।

grabber
অর্থ
অর্থলিপ্সু ব্যক্তি।

অর্থলিপ্সু
অর্থ
অত্যুধিক টাকার লোভ আছে এমন।



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৭৬।

বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

বুদ্ধদেব হিন্দুধর্মের একজন সংস্কারক ছিলেন !


বুদ্ধদেব হিন্দুধর্মের একজন সংস্কারক ছিলেন !



বুদ্ধদেব
হিন্দুধর্মের
একজন সংস্কারক
ছিলেন !

এ কথা
স্বামী বিবেকানন্দ
কি
ঠিক বলেছিলেন ?



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২৩।

শবব্যবচ্ছেদ


শবব্যবচ্ছেদ



বৈদিক যুগে
শবব্যবচ্ছেদ বিদ্যা
সুউন্নত ছিল !

শবব্যবচ্ছেদ বিদ্যা
রপ্ত হয়েছিল
যজ্ঞের
পশুব্যবচ্ছেদ ব্যবস্থার
জ্ঞান থেকে !



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৯।


বেদ ( দুই )


বেদ ( দুই )



বেদ অনাদি

নিত্য !

বেদের
বাক্যসমূহ কিন্তু
অনাদি নয় !

শাশ্বতও নয় !

বেদের
আধ্যাত্মিক নিয়মসমূহ
অনাদি !

বেদের
অপরিবর্তনীয় নিয়মগুলি
বিভিন্ন সময়ে
বিভিন্ন ঋষিগণ দ্বারা
অনুভূত
অনুশীলিত
ও প্রমাণিত !



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০৮।

কাদম্বরী দেবী


কাদম্বরী দেবী



কাদম্বরী দেবী
রবীন্দ্রনাথের বৌদি !

কাদম্বরী দেবী
আফিম খেয়ে
নেশায় বুঁদ হয়ে
আত্মহত্যা করেছিলেন !

লোক জানাজানি হবার আগে
তাঁর শ্বশুর
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
কাদম্বরীর
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
সম্পন্ন করেছিলেন !

রবীন্দ্রনাথ
কাদম্বরীকে নিয়ে
কবিতা লিখেছিলেন !

রবীন্দ্রনাথের লেখালেখির প্রেরণা
তিনি ছিলেন !

রবীন্দ্রনাথ যা লিখতেন
কাদম্বরী দেবী কাছে থাকলে
রবীন্দ্রনাথ আগে তা
কাদম্বরী দেবীকে দেখাতেন !

কাদম্বরীর আত্মহত্যার আইনি ঝামেলা
ঠাকুর বাড়ির কাউকে
পোয়াতে হয় নি !



* সূত্র : 'রানার', শারদীয়, ১৪২১।পৃষ্ঠা ২৬।

শনিবার, ১৬ জুন, ২০১৮

কাঞ্চনজঙ্ঘা


কাঞ্চনজঙ্ঘা



কাঞ্চনজঙ্ঘা।
হিমালয় পর্বতের
পাঁচটি
শৃঙ্গবিশেষ !

ভারতের সিকিম প্রদেশ
ও নেপাল রাষ্ট্রের
মধ্যেকার
সীমানার মধ্যবর্তী
হিমালয় পর্বতের
পাঁচটি শৃঙ্গবিশেষ
কাঞ্চনজঙ্ঘা !

কাঞ্চনজঙ্ঘার
সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি
ভারতের সাগরতল থেকে
৮৫৮৬ মিটার উচ্চতায় !

জয় ! জয় !
কাঞ্চনজঙ্ঘা
জয় ! জয় !

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের
দার্জিলিং থেকে
কাঞ্চনজঙ্ঘার
পাঁচটি শৃঙ্গই
খালি চোখেই
খুবই ভালোই
দেখা যায় !

জয় ! জয় !
জয় ! জয় ! কাঞ্চনজঙ্ঘা !
জয় ! জয় !

কাঞ্চনজঙ্ঘারূপ
পাঁচটি শৃঙ্গকেই
সিকিম প্রদেশ
ও দার্জিলিং জেলার
মানুষেরা
অতি পবিত্র মনে করে
এবং পূজা দেয় !

জয় ! জয় !
জয় ! জয় ! কাঞ্চনজঙ্ঘা !
জয় ! জয় !

ভারতীয় উপমহাদেশ


ভারতীয় উপমহাদেশ



ভারতীয় উপমহাদেশে
১২২টি বিভিন্ন ভাষা !
১৬০০টি বিভিন্ন
উপভাষা !
যা কিনা
মূল ভাষার
বিভিন্ন
প্রাদেশিক
বা আঞ্চলিক সংস্করণের রূপ !
ইংরেজিতে dialect !
৭টি প্রধান ধর্ম !
একটি তেরঙ্গা পতাকা
মাঝে অশোক-চক্র !
একটি সংবিধান !
কেউ শত্রু নয় !
কোন দেশও
শত্রু নয় !
তবে
শত্রুতা করলে
চরম ও কঠোর
শাস্তি হওয়া উচিত !
ওটাই হওয়া উচিত
ভারতীয় সংবিধানের ভিত !

'সেকুলার-ইজম'


'সেকুলার-ইজম'



'সেকুলারিজিম' তো
ভারতীয় সংবিধানে
ছিল না !

ওটা ১৯৭৬ সালে
ভারতীয় সংবিধানে
যুক্ত করা হয়েছে !

যুক্ত করেছেন
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
ইন্দিরা গান্ধি !

এখন 'সেকুলারিজম'
বিযুক্ত করার
দিন এসেছে !

করুন
'হিন্দুত্ব'-এর সাথে
অটুট সন্ধি !

'সেকুলারিজম'
'ইন্দুত্ব'বিরোধী
অপশক্তি !

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১৮

ভারতীয় সংবিধান


ভারতীয় সংবিধান


ভারতীয় সংবিধানে
৩৯৫টি ধারা !
২২টি তফসিল !

আমাদের সংবিধানে
প্রতিভাত হয়নি
'হিন্দুত্ব' !

নেই
আমাদের 'হিন্দুস্থান' নামের
'মহত্ব' !

এবং
'হিন্দুস্থান' নামের
'দেশত্ব' !

পরে ১৯৭৬ সালে ব্যতীক্রমীভাবে
ভারতীয় সংবিধানে যোগ করা হয়েছে
'ধর্মনিরপেক্ষতা' !

'ধর্মনিরপেক্ষতা' যোগ করা
মুসলমানদের জন্য
ইন্দিরা গান্ধির মনের কথা !



বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮

সোডিয়াম-পটাসিয়াম


সোডিয়াম-পটাসিয়াম



আনেক সব্জিতে
তুলনামূলকভাবে
যেখানে পটাশিয়াম-এর পরিমাণ
বেশি থাকে
সেখানে সোডিয়াম-এর পরিমাণ
কম থাকে !

ভারতীয় বুলডোজার ওগুলো ভাঙতে পারবে কী


ভারতীয় বুলডোজার ওগুলো ভাঙতে পারবে কী


মোদিজি !
রাশিয়া থেকে
শখানেক
bulldozer
নিয়ে আসুন !
দেশজুড়ে
লেনিনের মূর্তিগুলো
ভাঙতে হবে
যে !

অনেক লেনিনের
মূর্তি
যা ভারি
আর শক্তপোক্ত
কালোপাথরের তৈরি
ভারতীয় 'বুলডোজার'
ওগুলো
ভাঙতে পারবে
কী ?

কমিউনিস্টরা আর রাঙাবেন না চোখ


কমিউনিস্টরা আর রাঙাবেন না চোখ


কলকাতার লেনিন সরণির নাম
আবার ধর্মঠাকুরের নামেই
ধর্মতলা 'সরণি'ই হোক !
আমি আগেই বলে রাখছি
কমিউনিস্টরা আর রাঙাবেন না চোখ !

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১৮

ঋষি অরবিন্দ


ঋষি অরবিন্দ



ঋষি অরবিন্দ।
তাঁর ছিল মহান ঋষির স্থিতধী এবং প্রজ্ঞা।

ঋষি অরবিন্দ ছিলেন
'স্বদেশ আত্মার বাণীমূর্তি'।

দেশপ্রীতি ছিল
শ্রীঅরবিন্দের মূলমন্ত্র।

জাতীয়তাবোধ ছিল
শ্রীঅরবিন্দের কাছে পরম ও চরম ধর্ম।

শ্রীঅরবিন্দ
ভারতবর্ষের গৌরবময় অতীতকে শ্রদ্ধা করতেন।

শ্রীঅরবিন্দ 'বেদান্তের মৃত্যুহীন প্রাণ'কে
অনুধাবণ করতেন।

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

পতঞ্জলি


পতঞ্জলি



আধ্যাত্মিক ও জাগতিক
উভয় ক্ষেত্রে
ক্রমবিকাশ নীতির
আদি প্রবর্তক পতঞ্জলি !*

আমি কিন্তু
পতঞ্জলিকে
যোগদর্শনের ভূমিকায়ই
দেখি !



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৮।

শ্রীকৃষ্ণ


শ্রীকৃষ্ণ



শ্রীকৃষ্ণের
সব বংশধরগণ
দুবৃত্ত ছিলেন !

শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের
পরস্পর পরস্পরকে দিয়ে
বিনাশ করিয়েছিলেন !

বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ


বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ



বৃন্দাবনের বনে
শ্রীকৃষ্ণ প্রেমের ছলাকলা শিক্ষার
নাইট স্কুল খুলেছিলেন !

চাঁদের জোছনায় শ্রীকৃষ্ণ
গোপীদের নিবিড়ভাবে
প্রেমভাগবত শিক্ষা দিয়েছিলেন !

ব্যবহারিক শিক্ষায়
শ্রীকৃষ্ণ নিজেকেও
ভালোরকম উচ্ছিষ্ট করেছিলেন !

নারদ মুনির কাশীপুরী দর্শন


নারদ মুনির কাশীপুরী দর্শন



নারদ
উত্তমক্ষেত্র কাশীপুরী পরিভ্রমণে গিয়েছিলেন।
কাশীপুর দর্শন করে
নারদ
কৃতার্থ হয়েছিলেন !

নারদ
ভগবান কাশীনাথকে
দর্শন করে
পরমপ্রেম
ও পরমানন্দ
লাভ করেছিলেন।

নারদ স্বয়ং
কাশীনাথের পূজা করেছিলেন।

তখন অবিশ্যি
কাশীর
বর্তমান বিশ্বনাথ মন্দির
তৈরি হয় নি ।



* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৭০-৭১।

ভস্ম ( দুই )


ভস্ম ( দুই )



ভস্ম
পবিত্র বস্তুকেও
আরো পবিত্র
করে তোলে।

ভস্ম
মঙ্গল
প্রদানকারী।

ভস্ম

মহাভস্ম

স্বল্পভস্ম
এই দুই ভাবে
পৃথক করা হয়।

মহাভস্ম
আবার
শ্রৌত স্মার্ত ও লৌকিক
এই তিন ভাগে
বিভক্ত।

ব্রাহ্মণেরা
বৈদিকমন্ত্র উচ্চারণ করে
ভস্মধারণ করবেন।

অন্যদের ক্ষেত্রে
মন্ত্রোচ্চারণের
কোন বাঁধাধরা
নিয়ম নেই।

গোবর পোড়া ভস্ম
আগ্নেয় ভস্ম।

ওটি
ত্রিপুণ্ড্রের বস্তু।

অগ্নিহোত্র থেকেও
যজ্ঞ থেকেও
ভস্ম পাওয়া যায়।

জলমিশ্রিত ভস্মে
অঙ্গ মর্দন
অঙ্গ লেপন
করা ষায়।

শিবের ত্রিশূলের
ত্রিফলা ছাপ
এবং তির্যক ত্রিপুণ্ড্রেরও
ব্যবস্থা আছে।

ভগবান শিব
ভগবান বিষ্ণু
তির্যক ত্রিপুণ্ড্র
ধারণ করেন।

ভগবান ব্রহ্মার
ত্রিপুণ্ড্র ধারণের ব্যাপার
শাস্ত্রে অনুল্লিখিত।



* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭।

রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮

জোয়ান অফ আর্ক


জোয়ান অফ আর্ক



১৪৩১ খ্রিস্টাব্দের
৩০শে মে
ফ্রান্সের স্বাধীনতাকামী
'জোয়ান অফ আর্ক'-কে
পুড়িয়ে মারা হয়।

ডাইনি অপবাদ দিয়ে
এক ইংরেজ পাদ্রির অধীনে
বিচার চলে
এবং শাস্তি বিধান হয়
পুড়িয়ে মেরে।

জোয়ান অফ আর্ক( Joan of Arc )-এর
প্রকৃত নাম
'জীন ডার্ক'।

ইংরেজরা তাঁকে
পুড়িয়ে মেরেছিল !

শূদ্র ( দুই )


শূদ্র ( দুই )



শূদ্র সঙ্কীর্ণ জাতি !
ওরা পৌণ্ড্র প্রভৃতি
দেশজাত !
বৈদিক ক্রিয়ালোপের ফলে
ওরা শূদ্রতাপন্ন ক্ষত্রিয় !

লাক্ষা লবণ কুসুম্ব
দুধ ঘি মধু মাংস
প্রভৃতি বিক্রেতা !

শূদ্রস্পৃষ্টের জল
এক সময়ে ছিল
অপবিত্র !



* সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা ২০৪০।

শূদ্র


শূদ্র



শূদ্র।
বর্ণচতুষ্টয়ের
চতুর্থ বর্ণ !

অবরবর্ণ !
বৃষল !
দাস !

কখনো বলা হয়
প্রজাপতির
পাদদ্বয় থেকে
শূদ্রের উৎপত্তি !
( ঋগ্বেদ ১০.৯০.১২ )

তবে মনুসংহিতা মতে
ব্রহ্মার
পদযুগল থেকে
শূদ্রের জন্ম !

ব্রাহ্মণ সমেত
বর্ণত্রয়ের সেবা
শূদ্রের বৃত্তি !

তাতে যদি
ভরণপোষণ না চলে
তবে শূদ্ররা
বৈশ্যের বৃত্তি নিতে পারেন
বিশেষত ব্যাবসা-বাণিজ্য !

বৈশ্য


বৈশ্য



বৈশ্য।
বৈশ্যবর্ণগত !
চাতুর্বর্ণ্যের
তৃতীয় বর্ণ !

কৃষি
গোরক্ষা
পশুপালন
বাণিজ্য
সুদে টাকা খাটানো
ধান এবং শস্যবীজ সংরক্ষণ
প্রভৃতি এদের বৃত্তি।

ব্রাহ্মণদের দান করা
ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো
এই সব বৈশ্যধর্ম !

বৈশ্যদের ধর্ম-কর্মে
থাকতে নেই
কখনও
কোনদিনও
নিবৃত্তি !

বৈশম্পায়ন


বৈশম্পায়ন



বৈশম্পায়ন।
মুনিবিশেষ।
যজুঃসংহিতায়  expert.

ইঁনি
রোমহর্ষণ মুনির নিকট
পুরাণ পাঠের শিক্ষা
গ্রহণ করেন।

বৈশম্পায়ন
ছয়জন পৌরাণিকদের মধ্যে
অন্যতম।

তিনি
জনমেজয়কে
কুরুপাণ্ডব চরিত-কথা
বিস্তারিত ভাবে শোনান।

সেটাই
মহাভারত !

প্রতাপচন্দ্র মজুমদার ( দুই )


প্রতাপচন্দ্র মজুমদার ( দুই )



অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার।
তবে স্বনামধন্য
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার
হয়েছিলেন।

জন্ম : চাপড়া নদিয়া।
১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে।
মৃত্যু : ২৫ অক্টোবর ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে।

সেই যুগে উনি
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার
বিহারীলাল ভাদুড়ী মহাশয়ের
অল্পবয়স্কা
বিধবা কন্যাকে
বিবাহ করেছিলেন।

তিনি
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে
আমেরিকায়
World Columbian Exposition-এ
আমন্ত্রিত হন
এবং তিনি ঐ
হোমিওপ্যাথিক সংগঠনের
Vice-President-এর পদ
লাভ করেন।

প্রতাপচন্দ্র মজুমদার


প্রতাপচন্দ্র মজুমদার
(  জন্ম : ২-১০-১৮৪০
মৃত্যু : ২০-৫-১৯০৫ )




জন্ম হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়।
বড় হয়ে ওঠেন
গঙ্গার পূর্বপারে
নৈহাটির সন্নিকটে
গরিফায়।

১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে
ব্রাহ্মধর্মে
দীক্ষিত হন !

২৫ বৎসর বয়স থেকে
ব্রাহ্মধর্মপ্রচারে
ব্রতী হন।

ধর্মপ্রচার উপলক্ষে
তিনি
তৎকালীন ভারতবর্ষের
বিভিন্ন জায়গায়
গমন করেন।

ইউরোপে
তিনবার যান।

আমেরিকায়
দুইবার যান।

একবার জাপানেও
গিয়েছিলেন।

তিনি ভালো বক্তৃতা দিতে
পারতেন।

বক্তৃতায়
প্রচুর প্রশংসাও
পেতেন।

একযোগে প্রচারে
অন্য কোন
সমমর্যাদার ব্যক্তির বক্তৃতায়
বিভ্রান্ত হবেন না !

বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

প্রণব মুখার্জির ছবি !



  প্রণব মুখার্জির ছবি !                           শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু


  প্রণব মুখার্জির ছবি !
  নতুন সাজে !
  নতুন পোষাকে !
  আর বলার কী আছে ?





Rahul Mridha গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥


জয় !.....ভারত মাতার জয় !

যদি এমন হোত, কেমন হোত !

সমুদ্র আর নদী মিশে যায় যদি



 ্সমুদ্র আর নদী মিশে যায় যদি


নীচের এই সুন্দর জায়গাটা
কোথায় জানেন ?

মারাভান্থ রোড
কর্ণাটকের
উদিপি থেকে
উত্তরে
৫৫ কিলোমিটার দূরে !

রাস্তাটা
এন-এইচ ৬৬।
একপাশে আরব সাগর
অন্যপাশে সুপর্ণিকা নদী !

কী হবে বলুন
সমুদ্র আর নদী
মিশে যায় যদি !





 সৌজন্যে  Bijan Banerjee-এর একটি পোস্ট। 

শেয়ার করেছেন : প্রণব কুমার কুণ্ডু

শুভ বিকেল।


                                                                         কী হবে বলুন সমুদ্র আর নদী মিশে যায় যদি !

বেদের কয়েকটি বিখ্যাত ব্রাহ্মণ


বেদের কয়েকটি বিখ্যাত ব্রাহ্মণ



ঋগ্বেদের শাঙ্খায়নব্রাহ্মণ ও ঐতরেয়ব্রাহ্মণ।
সামবেদের তাণ্ড্যব্রাহ্মণ ও ষড়বিংশব্রাহ্মণ।
শুক্লযজুর্বেদের শতপথব্রাহ্মণ।
কৃষ্ণযজুর্বেদের তৈত্তিরিয়ব্রাহ্মণ।
অথর্ববেদের গোপথব্রাহ্মণ।

বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

রামমোহন


রামমোহন



রামমোহন জানতেন
বাংলা
সংস্কৃত
ফার্সি।

পরে
পাটনায় গিয়ে
শিখলেন আরবি।

এক নাবালিকার সঙ্গে
হল তাঁর বিয়ে !
সে নাবালিকা
মারা যায় অকালে !

ফের
দ্বিতীয় বিবাহ !

দুটি সন্তান 
রাধাপ্রাসাদ ও রমাপ্রসাদকে রেখে
সেই দ্বিতীয়া স্ত্রীও মারা যান !

এরপরে...
৫২ বৎসর বয়সে
রামমোহনের
তৃতীয় বিবাহ !

বিয়ের  hat trick !

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

পারস্যদেশ-এর সুফি আবু শাইদ-এর কথা


পারস্যদেশ-এর সুফি আবু শাইদ-এর কথা



যতদিন না
সমস্ত মসজিদ
ধ্বংস হয়ে যাবে..
ততদিন...

সত্যিকারের
কোন
পবিত্র কাজ হবে না !

যতই মাইক লাগিয়ে
চ্যাঁচাও না কেন

খোঁজো সেই বিসমিল্লার
ঠিকানা !

শ্রী রামপ্রসাদ গোস্বামীর, ফেসবুকের রচনা থেকে নেওয়া


শ্রী রামপ্রসাদ গোস্বামীর, ফেসবুকের রচনা থেকে নেওয়া

শেয়ার করেছেন                              প্রণব কুমার কুণ্ডু ।


সব মানুষই জন্মগতভাবে পশু। তাকে যদি মনুষত্বে উত্তীর্ণ হতে হয়- তাহলে তাকে পান্ডব হয়ে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। সেই যুদ্ধে তুমি জয়ী হবে কি করে.? মহাভারতের এই দর্শন তোমাকে শিখতে হবে, আর জীবনে তা প্রয়োগ করতে হবে। জীবনে যদি যন্ত্রণা মুক্ত হতে চাও, তাহলে হিন্দু দর্শন পড়তে তোমাকে হবেই। 
-

শনিবার, ২ জুন, ২০১৮

নীলাচলে অস্তাচলে...


         নীলাচলে অস্তাচলে...





        শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর অন্তর্ধান রহস্য জানুন ! অন্তর্ধান রহস্য পড়ুন !


        শেয়ার করেছেন                        প্রণব কুমার কুণ্ডু।




তারেই খুঁজে বেড়াই : অষ্টম পর্ব
সেবার একটানা বেশ কিছুদিন ছিলাম পুরীর রাধাকান্ত মঠ বা গম্ভীরায়। তখন কার্ত্তিক মাস চলছে। দামোদর মাসের ব্রত পালনের জন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লক্ষ লক্ষ মানুষ ভীড় জমিয়েছেন পুরীতে। গম্ভীরাকেই মনে হচ্ছে একটা মিনি ভারতবর্ষ। কতরকম ভাষা, সম্প্রদায়, পোশাক, ব্রত পালনের আচার, সাধনার ধারা। খুবই ঘনিষ্ঠ ভাবে মেশার সুযোগ হল বিভিন্ন ধরনের বৈষ্ণব সাধুসম্প্রদায়ের সঙ্গে। যারা শ্রীচৈতন্যকে নিয়ে গবেষণা করেছেন তাদের অনেকেই শুধু ইতিহাসের মধ্যেই আবদ্ধ থেকে অবহেলা করে গেছেন সেই সময়ের জীবন্ত ইতিহাসের ধারক ও বাহক ভারতবর্ষের এক বিশাল এলাকায় বিস্তৃত বৈষ্ণব ও সহজিয়া সাধকসমাজকে এবং আজও প্রবহমান তাদের সাধনার ধারাকে। সত্যের মূর্তিমান ব্যঞ্জনা শ্রীচৈতন্যের জীবনের সত্য কি শুধুই সামান্য কিছু লিপিবদ্ধ তথ্যের মধ্যে দিয়ে জানা সম্ভব? তাঁর প্রকাশ্য বা গুপ্ত সাধনা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, তাঁকে অনুভবের মধ্যে দিয়ে জানার চেষ্টা না থাকলে সেই মহাজীবন কেন ধরা দেবেন?
আবার ফিরে আসি গম্ভীরার কথায়। সেই সময় ওখানে থাকা বৈষ্ণব সাধক ও ভক্তগণ প্রতিদিন ব্রাক্ষমুহূর্তে মঙ্গলারতি ও কীর্তনের পর একটি পরিক্রমায় বেরোতেন। তা এতই ভালো লাগতো যে আমরাও জুড়ে যেতাম ওনাদের সঙ্গে। তখনও অন্ধকারের পর্দা ওঠেনি, ঘুমিয়ে রয়েছে পুরী শহরের জনহীন রাস্তা; খোল করতাল সহ উদাত্ত গলায় সংকীর্তন করতে করতে এগিয়ে চলেছেন সাদা ধুতি ও উত্তরীয় গায়ে বৈষ্ণবজন। "শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ......" যেন মুছে যাচ্ছে পাঁচশো বছরের সময়ের ব্যবধান। হয়তো আজও সামনে তিনিই রয়েছেন। একটু একটু করে ফুটছে ভোরের আলো আর আমরা যেন ক্রমশ মিশে যাচ্ছি সেই হারিয়ে যাওয়া সময়ের মধ্যে। এই পথের ধূলিকণায়, পুরীর আঁকে বাঁকে আজও তো তাঁরই স্পর্শ। স্বর্গদ্বার হয়ে পরিক্রমার পথ চললো সমুদ্রের ধার দিয়ে। সানরাইজ দেখতে জড়ো হওয়া ভীড়ও সরে গিয়ে অবাক হয়ে চেয়ে রইলো। সমুদ্রের জল আমরা ছিটিয়ে নিলাম মাথায়। তারপর চললাম হরিদাস ঠাকুরের সমাধিমন্দিরে।
এখানে দেখলাম আরও একটি অদ্ভুত ঘটনা। সমাধিমন্দিরে ঢোকার দরজার ঠিক ৮-১০ মিটার আগে, সমুদ্রের দিকে যাবার রাস্তার ওপরেই একটি ভাঙাচোরা, তালা দেওয়া ঘরের দরজার সামনে দেখতাম ছোট মোহন্ত মহারাজ থেকে শুরু করে সকল পরিক্রমাকারীই প্রতিদিন মাথা ঠেকাচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করায় বললেন, "গুরুস্থান"। এখন প্রশ্ন হলো কে এই গুরু? গম্ভীরায় গিয়ে জানলাম ওনাদের প্রথম মোহন্ত গোপালগুরু গোস্বামী থেকে শুরু করে বাকী সব গুরু মোহন্তদের সমাধি রয়েছে ওখানে। এখানেও উঠে আসে অনেকগুলো প্রশ্ন। যে কোনো সম্প্রদায়ের কাছেই তাদের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সমাধি অত্যন্ত আদরের হওয়া উচিত। আর তা মঠের মধ্যে বা পাশাপাশি হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেগুলো এতটাই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে কেন? ওই রকম একটি ছোট্ট ঘরে এত জনের সমাধি? নাকি সকলকেই অপ্রকট বলে প্রচার করার জন্য সমাধি এরকমই দূরে কোথাও রাখা প্রয়োজন? ব্যাপারটি একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে না? ঘরটি বাজারের মধ্যে, আশপাশে দোকান ও হোটেল। সেই দোকানদারেরা জানালেন ভিতরে সত্যি সমাধি আছে এবং হরিদাস মন্দির থেকে সেখানে পূজা হয়। হরিদাস ঠাকুরের সমাধিমন্দিরের কয়েকজনের কাছে এই বিষয়ে খোঁজ নিয়েও কোনো তথ্য পেলাম না। ঘরটি তালা দেওয়া থাকায় ভিতরে ঢুকে দেখার সুযোগ হয়নি। তবে এই সমাধিক্ষেত্র যদি হেঁজি পেঁজি কারো হতো তাহলে এতজন বৈষ্ণব ওখানে মাথা ঠেকাতেন কি? তাহলে কার সমাধি? এই প্রসঙ্গে পুরীর টোটা গোপীনাথ মন্দিরের এক প্রাচীন সাধক জানালেন ওটি হল মহাপ্রভুর ঘনিষ্ঠ পার্ষদ স্বরূপ দামোদরের সমাধি। খুবই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য।এর আগে পর্যন্ত স্বরূপ দামোদরের সমাধির কোথাও কোনো উল্লেখ পাইনি। ঘরটি তালাবন্ধ থাকায় ভিতরটা দেখতে পাই নি। সময়াভাবে এই রহস্যময় সমাধিগৃহটি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানেরও সুযোগ পাই নি। কারও যদি এই বিষয়ে কিছু জানা থাকে, দয়া করে জানালে খুবই উপকৃত হবো।
হরিদাস ঠাকুরের সমাধিমন্দিরে সংকীর্তনের পরে পরিক্রমাকারীরা যেতেন টোটা গোপীনাথ মন্দিরে। এই মন্দিরে রহস্যও কিছু কম নেই যার কিছুটা আমি আগের একটি পর্বে আলোচনা করেছি। সাধুসঙ্গে সুযোগ হলো গোপীনাথের চরণদর্শনের। অপূর্ব সে বিগ্রহ। যারা এই মন্দিরে গেছেন অথচ চরণদর্শন করেননি তারা সত্যিই একটা অসাধারণ কিছু miss করে গেছেন। টোটা গোপীনাথ মন্দিরের পর মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত চটক পর্বত, যমেশ্বর শিব ইত্যাদির পাশ দিয়ে ঘুরে এসে আমরা পরিক্রমা করতাম জগন্নাথ মন্দির। ভোরের বেলা অপেক্ষাকৃত নির্জন মন্দিরে এই পরিক্রমাকারীদের সঙ্গে সংকীর্তনে না এলে হয়তো জানতেই পারতাম না যে জগন্নাথ মন্দিরের compound এর মধ্যে মোট তিনটি চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির রয়েছে।
বেশ কিছুদিন এই সাধুসঙ্গে থাকায় একটা একাত্মতা অনুভব করছিলাম এনাদের সঙ্গে। তারপর চৈতন্য মহাপ্রভুর অযাচিত কৃপায় দেখার সৌভাগ্য হল তাঁর নিজের গোপন রহস্যময় সাধনক্ষেত্র। গম্ভীরায় রাধাকান্ত মন্দিরের সামনে দিয়ে বাঁ দিকে ঘুরে ভিতরের দালানে ঢুকে পড়লে বাঁ দিকেই একটা তালাবন্ধ বড় কাঠের দরজা চোখে পড়বে। আমাকে ওই দরজা দিয়েই ভিতরে ঢোকানো হয়েছিল। গম্ভীরায় যে মহাপ্রভুর ঘরটি আমরা দেখে থাকি এটি ঠিক তার পিছনের দিক। ভিতরে একটা কিরকম গা ছমছম করা, থমথমে পরিবেশ, যেন প্রচণ্ড serious একটা পরিস্থিতির মধ্যে এসে পড়েছি। আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছে খুব সরু একটি passage যার এক পাশে রয়েছে একটা ধ্যানঘর। একজন মানুষ তার ভিতরে বসলে আশপাশে ও মাথার ওপর অল্প জায়গাই ফাঁকা থাকে। সামনের ছোট কাঠের দরজা বন্ধ করে দিলেই জগৎ সংসারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাতাস চলাচলের জন্য দেওয়ালের গায়ে রয়েছে খুব সরু সরু ফাঁক। শ্রদ্ধায় মাথা আপনিই নেমে এল সুপ্রাচীন ওই তপস্যাস্থলের কাঁকুরে মেঝেতে। একের পর এক আরও কত চমক অপেক্ষা করছে তখন। দেখলাম কিছুটা দুরত্ব অন্তর অন্তর রয়েছে ছোট ছোট ধ্যানঘর। সেই সঙ্কীর্ণ passage টাই L shape এর মতো ঘুরে তিন চারটি ধ্যানকক্ষকে যুক্ত করে এসে মিশেছে একটি ঘরে। ঐ ঘরের পাশেই যে ধ্যানঘরটি রয়েছে সেটা তুলনামূলক বড় ও মাথাটা একটু চূড়া মতো করা। কে জানে, হয়ত এটাই নির্দিষ্ট করা ছিল মহাপ্রভুর জন্য। নিস্তব্ধ নিঃঝুম ঘ‍রটির সর্বত্রই যেন রয়েছে সেই রহস্যময় মানুষটির অস্তিত্ব । এই ঘরেরই দেওয়ালে, মেঝেতে প্রচণ্ড বিরহ যণ্ত্রণায় নাক মুখ ঘষে রক্তাত্ব হয়েছেন তিনি। দেওয়ালে রয়েছে আঙুলের স্পর্শ। আরও চমকে গেলাম, ওই ঘরেরই মেঝে ভেদ করে একটা ছোট চার চৌকো গর্তের মধ্যে দিয়ে নেমে গেছে একটি কাঠের সিঁড়ি। এবার যেন সত্যি সত্যিই উত্তেজনায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। একের পর এক বিস্ময় চোখের সামনে। নেমে পড়লাম ওই সিঁড়ি দিয়ে। মাটির নীচের ওই অংশে বেশ খানিকটা জায়গা একটু চওড়া। একটা সরু ঘরের মতই বলা যায়, যেখানে পাশাপাশি বসতে পারবেন দুজন। একটা কাঠের আসন চোখে পড়লো। জানি না, হয়তো ওনারই। হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম সেটি। সেই ঘ‍রটিরও অন্য দিকটি ক্রমশ সরু হয়ে গিয়েছে। শেষ প্রান্তে দেওয়ালে পাশাপাশি লাগানো রয়েছে দুটো পাথর। মাঝখানে যেটুকু ফাঁক রয়েছে তার মধ্যে দিয়ে কোনভাবে গলে যেতে পারে একটা মানুষ। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম সেটা একটা সুড়ঙ্গের মুখ। কৌতুহল, উত্তেজনা চেপে রাখা আর সম্ভব হচ্ছিল না। চেষ্টা করলাম ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে ঢুকতে। কিন্তু ঢোকার চেষ্টা করে বুঝতে পারলাম অন্য দিকটা এখন বন্ধ করা রয়েছে। ফিরে এসে একটু বসলাম ভুগর্ভের ওই রহস্যময় ঘরটিতে। সম্পূর্ণ অজানা, অচেনা এক ইতিহাসের, এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আমি। সেই সময়কার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে যেন ঢুকে গিয়েছিলাম। পাঁচশো বছরের বিরাট ব্যবধান পার হয়ে যেন পৌঁছে গিয়েছিলাম সেই হারিয়ে যাওয়া সময়ের মধ্যে। এই ঘোর কাটেনি আজও। যেন এক মাতালের মতই বুঁদ হয়ে, হয়তো বা একটু টলতে টলতেই ফিরে এসেছিলাম আমার ঘরে। আস্তে আস্তে মনে জমতে শুরু করলো হাজারো প্রশ্ন। কেন এইসব গুপ্তকক্ষ? কি প্রয়োজনে ব্যবহার হত সেগুলো? যা দেখে এলাম তাতে স্পষ্টই বুঝতে পারছি অন্তত পাঁচ সাতজন মানুষ ওর ভিতরে ঢুকে থাকলেও কাকপক্ষীতে টের পাওয়া সম্ভব নয়। কি হত ওখানে? কোনো গুহ্য সাধনা? এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজতে লাগলাম তারপর। আস্তে আস্তে সামনে আসতে লাগলো ইতিহাসের লুকিয়ে রাখা দিকগুলো। এক nonconventional গোপন সাধনা যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সপার্ষদ চৈতন্য মহাপ্রভু। সেই অজানা ইতিহাসের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর রহস্যময় অন্তর্ধান ও তার পরবর্তী অধ্যায়।

- স্নেহাশিস
পারুল আশ্রম


চিত্রে থাকতে পারে: এক বা আরও বেশি ব্যক্তি এবং ব্যক্তিগণ দাঁড়িয়ে রয়েছেন