বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ঘুম


ঘুম



শিশুদের
ঘুম ভাঙাতে
নেই !

ঘুমের মধ্যেই
শিশুরা
বেড়ে ওঠে !

ঘুমোলে

বড়দেরও অনেক
মনের অসুখ
সেরে ওঠে !

মজলেম্/মাজলিম্


মজলেম্/মাজলিম্



শুধু লিঙ্গমুণ্ডের
ত্বক ছেদন করলে
আর নামাজ পড়লে
কেউ
মজলেম্ হয়ে
যায় না !

কোরান-এ
নাকি বলা আছে
কোন অপরাধী
আর মিথ্যুক
মাজলিম্ হতে
পারে না !



* মজলেম্/মাজলিম্ = moslem/muslim.

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ


শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ



শ্রীরামকৃষ্ণ, তাঁর নিজের ফোটো, নিজেই পুজো করেছিলেন !

শ্রীরামকৃষ্ণ-এর কাছে, তাঁর নিজের ছবিই, মহাযোগীর মূর্তি হিসাবে, প্রতিভাত হয়েছিল !

তাই দেখে, দক্ষিণেশ্বরের কালীমা, মুখ টিপে, হেসেছিল !

শুধু নিজের ছবিকে নয়, শ্রীরামকৃষ্ণ, তাঁর নিজের বৌকেও, পুজা করেছিলেন !

পুজো করে, শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীসারদা-মাকে,  "মন্ত্রদাতা গুরু-মা" বানিয়েছিলেন !



* লেখাটির পটভূমিতে, শ্রীশ্রীলাটুমহারাজের স্মৃতি !

সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

যোগবিভূতি


যোগবিভূতি



চেতন বা জড়
সমাধি
প্রাপ্তির পথে

সাধকের কতকগুলি
অলৌকিক শক্তি
জন্মায় !

তাকে বলে
সিদ্ধাই
বা যোগবিভূতি।

সেগুলির মধ্যে
অন্তর্যামিত্ব
এবং
অনাগত-জ্ঞাতৃত্ব
প্রধান....



* পটভূমিতে..... শ্রীশ্রীলাটু মহারাজের স্মৃতি....

শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আত্মা ৩


আত্মা ৩



সনাতন রাজ্যের
পথিকেরা !
তোমরা অমর !
অমর তোমাদের আত্মা !
তোমাদের আত্মা কি
মুক্ত ?
তোমাদের আত্মা কি
চিরআনন্দময় ? 

মানুষ মর্ত্যের দেবতা


মানুষ মর্ত্যের দেবতা



মানুষ
অমৃতের পুত্র !
নাকি অমৃতের-অধিকারী
পুত্র !
মানুষ !
তুমি মর্ত্যের দেবতা !
সত্যি ?
সত্যি সত্যি
সত্যি সে কথা ?

ক্যানসার


ক্যানসার



রবিবার ০৪।০২।২০১৮ তারিখে
বিশ্ব ক্যানসার দিবস।

ঐ দিনে কি মুখে মুখে
আরো ক্যানসার ছড়াবে ?

না ক্যানসার ছড়ানো
বন্ধ হয়ে
ক্যানসার তাড়াবে ?

না ক্যানসার সারাবে ?

শ্রীরামকৃষ্ণের প্রণাম-মন্ত্র


শ্রীরামকৃষ্ণের প্রণাম-মন্ত্র



শ্রীরামকৃষ্ণের প্রণাম-মন্ত্রের স্রষ্টা

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের
প্রাণাধিক-প্রিয়
শিষ্য
শ্রীবিবেকানন্দ স্বয়ং !

" ওঁ স্থাপকায় চ ধর্মস্য
সর্বধর্মস্বরূপিনে
অবতার বরিষ্ঠ
বরিষ্ঠায়
রামকৃষ্ণায়তে নমঃ !"

যে মরে যায়


যে মরে যায়



যে মরে যায় !
সে হারিয়ে যায় !

যে মরে যায় !
সে
মন থেকে
হারিয়ে যায় !

যে মরে যায়
'কাল' তাকে
কাল থেকে মহাকালে
নিয়ে যায় !

সেখানে সে
কালে এবং মহাকালে
চাপা পড়ে যায় !

পরে
ঝামা-পাথর
হয়ে যায় !

কর্কোটক


কর্কোটক



কর্কোটক।
নাগবিশেষ !

সূত্র পাবেন, ঋগ্বেদ-এর খৈলিক সূক্ত-এ ! ১৩.৫ - ১৭.৫-এ।

কর্কোটক, অষ্টনাগের অন্যতম !

নাগরাজ কর্কোটক -এর দংশনে,  'নল'-এর দেহ-আশ্রিত.  'কলি' ( কলি যুগ ! ),   বিষে বিষে জর্জরিত হয়ে, নলদেহে বাস করেছিল !

আরো জানতে, দেখতে পারেন,  "নল-দময়ন্তী"  উপাখ্যান !
গীতা প্রেস-এর বই। পৃষ্ঠা ২৬-২৭। বর্তমান মূল্য,  ছয় টাকা মাত্র !

'নল-দময়ন্তী'র  'গল্প', বেদব্যাস লিখিত, মহাভারতের অংশবিশেষ !



সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা ৫৫৪।

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

অশোকস্তম্ভ


অশোকস্তম্ভ



সারনাথে
সম্রাট অশোক কর্তৃক
নির্মিত
প্রস্তরস্তম্ভ !

অশোকস্তম্ভের
শীর্ষে রয়েছে
তিনটি
সিংহমূর্তি !

তিনটি সিংহমূর্তির
মাঝখানে রয়েছে
তিনটি চক্র !

স্তম্ভটি
স্বাধীন ভারতের
সরকারি
প্রতীক চিহ্ন !

অশোকচক্র
স্বাধীন ভারতের
জাতীয় পতাকায়
স্থান পেয়েছে !

অনেকে বলেন
তাতে
ভারতের
জাতীয় পতাকার
সৌন্দর্য বেড়েছে !

সম্রাট অশোক
মৌর্য বংশের
তৃতীয় রাজা !

স্বাধীন ভারতের
সরকারি প্রতীক চিহ্ন
এবং
স্বাধীন ভারতের
জাতীয় পতাকায়
স্থান পাওয়া

দুইটি বিষয়ই
সম্রাট অশোক
এবং বুদ্ধদেব
পেয়েছেন !

ভারতে
এখনও
বৌদ্ধধর্মের
জয়জয়কার !
বৌদ্ধধর্মের
জয়জয়ন্তী !

হিন্দুরা
এখন কেবল
লবডঙ্কা
চুষছেন !

ভারত
স্বাধীন
হ্ওয়ার সময়
যাঁরা
ক্ষমতার
শীর্ষবিন্দুতে
ছিলেন

তাঁরা
হিন্দুদের
ঠকিয়েছেন !

রামের জন্মতারিখ


রামের জন্মতারিখ



শ্রীরামের জন্মতারিখ,
৫১১৪  খ্রিস্টাব্দ-পূর্বাব্দের
১০ই জানুয়ারি !

ভারতীয় দিনপঞ্জি অনুযায়ী
সময়
ঐ নির্দিষ্ট দিনে
দুপুর ১২টা থেকে
১টার মধ্যে !

শঙ্খধ্বনি করুন।
উলুধ্বনি দিন !

ঐদিন ঐসময়ের মধ্যে
জন্মেছিলেন
শ্রীবিষ্ণুর এই মহান অবতার
শ্রীরামচন্দ্র !

দিনটি ছিল
চৈত্রমাসের
শুক্লপক্ষের
নবমী তিথি !



* সূত্র : আই সার্ভে, নাসা। ফেসবুক।

পিতৃগণ এবং


পিতৃগণ এবং



আগ্নিষ্বাত্ত, বর্হিষদ, সোমপ, এবং আগ্যপ, এঁরা হলেন, পিতৃগণ !

এঁদের মধ্যে, সাগ্নিক এবং নিরগ্নিক, দুই ধরণের, পিতৃপুরুষই আছেন !

সাগ্নিক।
অগ্নিহোত্রী। যজ্ঞ ইত্যাদি, সর্বদা প্রজ্বলিত রাখেন, এমন ব্যক্তি ! নিয়ত যজ্ঞকারী !

নিরগ্নিক।
যাঁরা, বেদনির্দিষ্ট আনুষ্ঠান, পালন-পোষণ করেন না !

ঐ সকল চার পিতৃগণের পত্নী, দক্ষকন্যা স্বধা !

স্বধার ছিল চারজন স্বামী !

মহাভারতের, দ্রৌপদীর ছিল, পাঁচজন স্বামী !

ঐ চার পিতৃগণ থেকে, স্বধার গর্ভে, ধারিণী এবং বয়ুনা নাম্নী, দু'টি কন্যা জন্মায় !

দুইজনেই ছিলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারঙ্গম !
তাঁরা দুজনেই ছিলেন, বিজ্ঞানী এবং বিদ্যাবতী !
তাঁরা দুজনেই আবার ছিলেন, ব্রহ্মবাদিনী !

ব্রহ্মবাদী।
ব্রহ্মবিদ্যার প্রবক্তা !
বেদাধ্যায়ী !
ব্রহ্মজ্ঞানী !
একেশ্বরবাদী !
কেবল, ব্রহ্মের অস্তিত্বে বিশ্বাসী !
আসলে, তিঁনি বা তাঁরা, বৈদান্তিক !

স্ত্রী-হলে, তিঁনি বা তাঁরা,  ব্রহ্মবাদিনী !

অবসর সময়ে তাঁরা,  'ব্রহ্ম'কে নিয়ে, টানা-হ্যাঁচরা, করতেন !

বাদ্যও বাজাতেন !



* পিতৃগণ  আসলে, দিব্যপিতৃগণ-দেবতাক।
   এই পিতৃগণ, সংখ্যায়, সপ্তক !

 ** চন্দ্রলোকের ঊর্ধ্বদেশে পিতৃলোক,  ( পিতৃদেবস্তর ) অবস্থিত  !




*** সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭৭।

আগুন


আগুন



অগ্নিঅভিমানী দেবতা, স্বয়ং, অগ্নিদেব !

অগ্নিদেব-এর পত্নী, স্বাহা !

স্বাহা,  পাবক-পবমান-শুচি নামে,  তিনটি পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন !

এঁরাও ছিলেন,  'অগ্নি' !

সেই কারণেই, ওঁরা, তিনজনই, হুতদ্রব্যভক্ষণকারী এবং অগ্ন্যভিমানী ছিলেন !
তাঁরা কিন্তু, স্বরূপত, তিনজনই অগ্নি !
ঐ তিনজন 'অগ্নি' থেকে, আরও, পঁয়তাল্লিশ প্রকারের  'অগ্নি'  উৎপন্ন হয়েছিল !

এঁরা, তিন পিতা, এবং, এক পিতামহ সমেত, মোট, উনপঞ্চাশ জন, অগ্নি !

এতো অগ্নি থাকাতে, আকাশ থেকে, এত অগ্ন্যুৎপাত, আগ্নেয়গিরি থেকে, এত অগ্ন্যুৎপাত, আর এত আগুন-টাগুন লেগে, ধ্বংস এবং ক্ষয়ক্ষতি করে চলে !

যদি, একটি অগ্নি থাকত, তবে, তাকে, নিয়ন্ত্রণ করা, অনেক সহজ-সাধ্য হোত !



* সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭৭।

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

নর এবং নারায়ণ


নর এবং নারায়ণ



ভগবান শ্রীহরির অংশভূত, নর এবং নারায়ণই, পৃথিবীর ভার হরণের জন্য, যদুকুলতিলক শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁরই সদৃশ, শ্যামবর্ণ, কৃষ্ণনামধারী, কুরুকুল শ্রেষ্ঠ অর্জুনরূপে, দ্বাপর যুগের শেষে, এই ধরাধামে, অবতীর্ণ হয়েছিলেন !
( মহাভারতের বিরাটপর্বে, অর্জুনের নাম ছিল, কৃষ্ণ ! )।

শ্রীরামকৃষ্ণদেব, একাধিক জায়গায়, বলেছিলেন, 'নর'-এর অবতার, ( অথবা নারায়ণের অবতার ),  শ্রীবিবেকানন্দ স্বয়ং !





* সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭৭।

গীতা প্রেস-এর বই


গীতা প্রেস-এর বই
গোরক্ষপুর, পিন ২৭৩০০৫।



১। বই-এর নাম,   "স্বনামধন্য ঋষি-মুনি", পৃষ্ঠা ৩৫,  sixth reprint 2016, Price Rs 25/-.
2। বই-এর নাম,  "ভগবান সূর্য", পৃষ্ঠা ১৬,  third reprint 2016, Price Rs 25/-.

৩৫ পৃষ্ঠার বই-এর দাম, পঁচিশ টাকা, আর, ১৬ পৃষ্ঠার বই-এর দামও পঁচিশ টাকা !

এটা কি করে হচ্ছে ?

গীতা প্রেস-এর কর্তৃপক্ষ, আর, উত্তর প্রদেশের, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর, দৃষ্টি আকর্ষণ করছি !


দক্ষকে নন্দীশ্বর-এর অভিশাপ


দক্ষকে নন্দীশ্বর-এর অভিশাপ



দক্ষ, প্রজাপতি হতে পারেন, কিন্তু, শিবের প্রধান অনুচর, নন্দীশ্বর, দক্ষকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, যে, দক্ষ কখনো, সনাতন ধর্মের,   " তত্ত্বজ্ঞান ", লাভ করতে পারবে না !



* সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৮০।

শিব এবং দক্ষ


শিব এবং দক্ষ



দক্ষের কথায়, শিব, সকল দেবতাদের মধ্যে, সব বিষয়েই, অধম !

যক্ষ বিধান দেন, শিব আর দেবযোগে, ইন্দ্র-উপেন্দ্র প্রমুখ দেবতাদের সঙ্গে, কোনো যজ্ঞভাগ পাবে না !

তাহলে, শিব কি আর সম্মান পাবে না ?

শিব, খেতেও পাবে না ?



* সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭৯।

শিব ৩


শিব ৩



শিব নিজে মাদকদ্রব্যাদি সেবন করে মত্ত থাকেন !

তেমনি, মত্তব্যক্তিরাই, শিবের প্রিয়পাত্র !

শিবের নিকৃষ্টস্বভাব !

শিব তমোগুণী !

শিব, ভূত-প্রেত-প্রমথ,  প্রভৃতি জীবদের অধিপতি !

প্রমথ।
নাচ-গান প্রভৃতিতে, পারদর্শী !

শিব, আচার-বিচারহীন, অপবিত্র !

শিব-নিন্দুক, দক্ষ !



* সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭০।

শিব ২


শিব ২



শিব।
সর্বপ্রকার সদাচার-বর্জিত !
সর্বদা অপবিত্র !
দুর্বিনীত !
ধর্মের মর্যাদা লঙ্ঘনকারী !

শিব
প্রেতদের আবাসস্থল, ভয়ঙ্কর শ্মশানে, ভূত-প্রেত পরিবৃত হয়ে, উন্মত্তের মতো বেশে, কখনও নগ্নদেহেও, বিচরণ করেন !
কখনো হাসেন !
কখনো কাঁদেন !

শিব
তাঁর সারা শরীরে, চিতাভস্ম মাখিয়ে রাখেন। যেন চিতাভস্ম দিয়েই স্নান করেছেন !
গলায়, প্রেতের পক্ষেই পরিধানযোগ্য, নরমুণ্ডের মালা। 
তা ছাড়া, মৃতের অস্থিও, অলংকাররূপে, শিব,  ব্যবহার করে থাকেন !

শিব
বস্তুত শুধু নামেই শিব, প্রকৃতপক্ষে, ঘোর অশিব, অশিষ্ট, এবং অমঙ্গলরূপী !



* সূত্র : 'শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭০।



মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মনের বিশ্রাম


মনের বিশ্রাম



আমাদের মনেরও বিশ্রাম দরকার !

কী ভাবে, মনের বিশ্রাম, দেবেন ?

মনকে, বসে থাকতে দেবেন ?
শোয়াবেন ?
ঘুম পাড়াবেন ?

মনকে, কোন কাজ করতে দেবেন না ?
চিন্তা ছাড়ুন !
কোন চিন্তাও করবেন না ?

মনের সর্বোত্তম বিশ্রাম, অখণ্ড নীরবতায় !
চোখ বুজে, নিঃশব্দ নীরবতায় !
আর উৎকণ্ঠা, না হওয়ায়।
চিন্তাহীন প্রাণায়ামেও !

কথা নয়।
কথা নয় !
এমন কী, মনে মনেও, কথা নয় !

কথা নয়, চোখে চোখেও !

চেষ্টা করুন, চেষ্টা করে যান,  মনকে বিশ্রাম দিতে !

শ্রীমা ভাষিত সুভাষিত


শ্রীমা ভাষিত সুভাষিত



শ্রীমা, শ্রীশ্রীশারদা-মা,  বলতেন......  ঠাকুর ! আমার ছেলেদের একটু মাথা রাখবার জায়গা কোরো ! দু'টি খাবার সংস্থান কোরো।

বেলুড় মঠে, মা দুর্গার আরাধনার পর, মা-র আকুল প্রার্থনা, মা-দুর্গার কৃপায়, বাছাদের সর্বপ্রকার কল্যাণ, সুখ-শান্তি, লাভ হোক !

ঠাকুর এখানে, শ্রীরামকৃষ্ণদেব !
দক্ষিণেশ্বরের কালীঠাকুর নন !

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

দক্ষপ্রজাপতি


দক্ষপ্রজাপতি



ব্রহ্মার পুত্র, দক্ষপ্রজাপতি !

দক্ষপ্রজাপতি, মনুর কন্যা, প্রসূতিকে, বিবাহ করেছিলেন !

প্রসূতির গর্ভে, দক্ষপ্রজাপতির, ষোলটি কন্যার জন্ম হয়েছিল !

দক্ষপ্রজাপতি, তাঁর তেরোটি কন্যাকে, ধর্মের হাতে সমর্পণ করেছিলেন !

তাঁরা

শ্রদ্ধা
মৈত্রী
দয়া
শান্তি
তুষ্টি
পুষ্টি 
ক্রিয়া
উন্নতি
বুদ্ধি
মেধা
তিতিক্ষা 
হ্রী
এবং মূর্তি !

অতগুলো বৌ পেয়ে, ধর্মের, সে কী স্ফূর্তি !



*মদ্ভাগ৩৭৫।

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ষাট হাজার


ষাট হাজার



ঋষিবর 'ক্রতু'র ( ব্রহ্মার মানসপুত্রবিশেষ ), পত্নী, 'ক্রিয়া', ব্রহ্মতেজে মহাদীপ্তশালী  'বালখিল্য'  নামক, ষাট হাজার ঋষির জন্ম দিয়েছিলেন !

সূর্য বংশীয় রাজা, 'সগর'-এরও, ষাট হাজার ( দ্বিতীয়া পত্নী  'সুমতি'র, ওরফে, 'বৈদর্ভী'র গর্ভে ), 
ও, আর এক টি পুত্র, নাম, অসমঞ্জ, ও, একটি কন্যা,  ( প্রথমা পত্নী,  'কেশিনী'র, ওরফে,  'শৈব্যা'র গর্ভে, ),
সন্তানসকল ছিল !

ষাট হাজার, ( বা ষাট হাজার একটি পুত্রসকল, বা, ষাট হাজার দুইটি সন্তানসকল ), ঐ-সংখ্যাগুলো, মোটেই কম ছিল না !



*মদ্ভাগ৩৭৫, ব.শ.কো.২০৯৪,সুবল১২১৭।

কুবের, রাবণ-কুম্ভকর্ণ-বিভীষণ, এবং খর


কুবের, রাবণ-কুম্ভকর্ণ-বিভীষণ, এবং খর



বিশ্রবা মুনির পত্নী, ইড়াবিড়া, ওরফে, ইলবিলা-র গর্ভে, যক্ষেশ্বর কুবেরের জন্ম।

বিশ্রবার অপর পত্নী, কেশিনীর, ( ওরফে, কৈকসীর ), গর্ভে, রাবণ-কুম্ভকর্ণ-বিভীষণ নামের তিন পুত্রের জন্ম হয়।

রাকা নাম্নী, আর এক পত্নীর গর্ভে, বিশ্রবার, 'খর' নামক, আর এক পুত্রের জন্ম হয়।

কুবের, রাবণ-কুম্ভকর্ণ-বিভীষণ, এবং 'খর', এরা সব  'সৎ'ভাই ছিলেন।



*মদ্ভাগ৩৭৫, সুবল৯৩৩।

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সরষের তেল মাখত


সরষের তেল মাখত



ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর
তাঁদের নিজ নিজ চিহ্নসমূহ
যথাক্রমে
কমণ্ডলু চক্র ও ত্রিশূল !

ব্রহ্মার চিহ্ন কমণ্ডলু।
কমণ্ডলু, ব্রহ্মার, হাতে ধরা থাকত !

বিষ্ণুর চিহ্ন চক্র।
চক্র, বিষ্ণুর আঙ্গুলে থাকত !

শিবের চিহ্ন ত্রিশূল।
ত্রিশূল, শিবের হাতেই থাকত !

এঁনারা, সকলেই, গায়ে, ঘষে ঘষে,  সরষের তেল মাখত !

মুনিশ্রেষ্ঠ অত্রি ( গদ্য রচনা )


মুনিশ্রেষ্ঠ অত্রি ( গদ্য রচনা )



মুনিশ্রেষ্ঠ অত্রি !
ঋগ্বেদের পঞ্চম মণ্ডলের, কতিপয় সূক্তের রচনাকার ঋষি।
একমনে, মন-প্রাণ ঢেলে, প্রাণায়াম করতেন।
আর  কেবলমাত্র বায়ুভোজন করতেন !

তিনি, একশো বছর, একপায়ে, ঠায়, দাঁড়িয়ে ছিলেন !

একপায়ে দাঁড়িয়ে থেকে, কী ভাবে, দণ্ডবৎ ভূলুণ্ঠিত হয়ে,  প্রণাম করা যায়, তা অত্রিমুনির কাছ থেকে শেখা যায় !

অত্রিমুনি, অবিশ্যি, ধপাস করে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন, আর বেজায়-রকম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন !



*মদ্ভাগ৩৭৩।

শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

চৈতালির কবিতা


চৈতালির কবিতা



Chaitali Chowdhury  my father    অনুভব করছেন।
আমার বাপি

বাপি বাপি বাপি!
তুমি কি খুব রাগী নাকি??
সবাই বলে, তুমি যেনো কেমন!
আমার মতে মানুষ যেমন, তেমন।
সহজ সোজা সরল পথে,
কাজ করতে নিজের মতে।
রোজ সকালে নিয়ম করে,
ট্রেন ধরতে কাকভোরে ।
দুই হাতে দুই ব্যাগ বয়ে,
জীবনভোর কষ্ট সয়ে।
আজকে তুমি বৃদ্ধ যখন,
মেজাজ হারাও যখন তখন ।
তবুও তুমি আমার বাপি,
সঙ্গে শুধু ভাই কে রাখি।
সুস্থ থাকো শান্ত থাকো,
নিজেকে একটু সামলে রাখো।
ছোট্ট মণি কোলে চড়ে ,
তোমার গলা জড়িয়ে ধরে। ,
লুকিয়ে বলে, 'টুটি, বাপি টুকি '
আজকে দাও না পড়ায় একটু ছুটি।
তোমার শাসন মাথায় করে,
চলবো সোজা রাস্তা ধরে।
আমি এখন দূরে থাকি,
তোমায় কেবল মনে রাখি।
হাসলে তুমি আমার বাপি,
রাগলে তোমার সঙ্গে থাকি।।

বিকল্প তন্ত্রবাদ


বিকল্প তন্ত্রবাদ



যদি মনে করা যায়,  'আদ্যাশক্তি মহামায়া'  , প্রতিটি মানব-মানবীর দেহে, শক্তিরূপে বিদ্যমান, তবে তো তিনি বিদ্যমানা !

এটাও ধরে নেওয়া যেতে পারে, নামটা তাঁর, তান্ত্রিকের দেওয়া নাম,  'কুলকুণ্ডলিনী' !

শুধু তন্ত্র সাধনায় নয়, যোগশাস্ত্রেও, ভক্তি দিয়েও, সেই আপাত নিদ্রিত কুলকুণ্ডলিনীকে, জাগ্রত করা যায় !

শক্তি যত উন্নত মানের হয়ে জাগ্রত হয়, সেই ব্যক্তি, সাধনার ব্যাপারে, তত শক্তিমান হয়ে ওঠে !

শক্তিমান সেই শক্তি, আমাদের চিৎশক্তির জাগরণ ঘটায় !
উত্তোরোত্তর তার শ্রীবৃদ্ধিও ঘটায় !
আধ্যাত্মিক চেতনার উৎসে এবং উৎকর্ষে, তা, মানব-মানবীকে, নিয়ে আসে !
অন্তত নিয়ে আসতে পারে, কিংবা, নিয়ে আসার চেষ্টা করে !



* সূত্র :  'মতুয়া দর্পণ', ৬৭ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ০৬-০৭।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

গঙ্গা ও উমা


গঙ্গা ও উমা



ধাতুর আকর, গিরিরাজ হিমালয়ের,  'মেনা'  নাম্নী, এক মনোরমা পত্নী আছেন।

মেনা, সুমেরুদুহিতা !
মেনার থেকে, হিমালয়ের দুই কন্যা জন্মে !
জ্যেষ্ঠা গঙ্গা।
কনিষ্ঠা উমা।
গঙ্গার ও উমার, দুজনেরই,  রূপ,  অতুলনীয়া !

দেবতারা, নিজেদের কার্যসিদ্ধির জন্য, হিমালয়ের নিকট থেকে, গঙ্গাকে, প্রার্থনা করেছিলেন !

হিমালয়, ত্রিলোকের, উপকার সাধনের জন্য,  'ত্রিপথ-বিহারিণী',   'লোক-পাবনী',   গঙ্গাকে,  'ধর্মানুসারে',   দেবতাদের নিকট, সমর্পণ করেছিলেন !

গঙ্গা, প্রথমে আকাশলোকে, তারপরে দেবলোকে, গিয়েছিলেন !
পরে অবিশ্যি, মর্ত্যলোকেও, এসেছিলেন !

এইভাবে,  'জলবাহিনী',    'পাপবিনাশিনী',   'পতিতপাবনী',   গঙ্গা,  নিজেকে তুলে, মেলে ধরেছিলেন !


আর, হিমালয়ের দ্বিতীয়া কন্যা, উমা, প্রথমে, তাপসী হয়েছিলেন !

উমা,  'সর্বজন-বন্দনীয়া',  হিমালয়ের  'তাপসী-কন্যা',  ছিলেন !

উমাকে, হিমালয়, পরে,  'অপ্রতিমরূপ',   'বিরুপাক্ষের' ( শিবের ) হাতে,  সম্প্রদান করেছিলেন !

তখন, উমা, 'বিরুপাক্ষী' হয়ে গিয়েছিলেন !



* সূত্র ও সংযোজনা : 'বাল্মীকি রামায়ণ', গদ্যানুবাদ, হেমচণ্দ্র ভট্টাচার্য, পৃষ্ঠা ৬৩।

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

তাড়কা


তাড়কা



গো-ব্রাহ্মণের হিতের জন্যে, অন্য সকলের ভালোর জন্যে, এবং দেশের হিতের জন্যে,  রামচন্দ্র,  এক জনমের যক্ষিণী, এবং অন্য জনমের রাক্ষসী,  'তাড়কা'কে বধ করেছিলেন !

তাড়কা।
সুকেতু যক্ষের কন্যা। সুন্দ অসুরের পত্নী। এবং মারীচ রাক্ষসের মাতা।

অগস্ত্যের শাপে, তাড়কা, দেবযোনি যক্ষযোনি থেকে, রাক্ষসযোনি, প্রাপ্ত হয়েছিল !

অগস্ত্য।
প্রসিদ্ধ মুনিবিশেষ।

মুনি বিশ্বামিত্রের সঙ্গে বন গমনের পথে, রাম, অগস্ত্যমুনির কাছ থেকে, ইন্দ্রদত্ত ইন্দ্রধনু, অক্ষয় তূণদ্বয়, শর ও খড়্গ, উপহার স্বরূপ পেয়েছিলেন।

রামচন্দ্রের মিথিলা গমন কালে, তাড়কা, রামচন্দ্র কর্তৃক নিহিত হয় !

তাড়কারি।
রামচন্দ্র !

তাড়কেয়।
মারীচ।

আবার রামমন্দির তৈরির তোড়জোড় হচ্ছে !
রামমন্দিরের সিংহাসনে রামজি ফের আসীন হবেন !
তবে ঝাম-ঝামেলা তো হবেই !
তাই মাঝের সময়গুলো, আপনারা সাবধানেই থাকবেন !

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মানস সরোবর


মানস সরোবর



ব্রহ্মা, কৈলাস পর্বতে, মন দ্বারা, একটি বড় ও উৎকৃষ্ট সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন !

ব্রহ্মার মানস-সৃষ্টি বলে, সরোবরটি, মানস সরোবর !

এরপর যখন কৈলাস পর্বতে যাবেন, সরোবরটা, দেখে আসবেন !

রাবণের মৃত্যু এবং শেষকৃত্য


রাবণের মৃত্যু এবং শেষকৃত্য



দেবতা
গন্ধর্ব
যক্ষ
ও রাক্ষস প্রভৃতিদের
কারোর হাতে
রাক্ষস রাবণের
মৃত্যু হবে না !

মানুষের হাতেই, রাবণের মৃত্যু হবে !

ব্রহ্মা ভগবান, রাবণের উদ্দেশে, ঐরকম, 'বর'রূপী অভিশাপ দি্য়ে, দেবতাদের শুনিয়ে রেখেছিলেন !

রাক্ষস রাবণের তো মানুষরূপী ভগবান রামের হাতেই মৃত্যু হয়েছে !

তবে, রাবণের বৌ মন্দোদরী এখনো সধবাই রয়েছে !

সুতরাং, এখনকার কোনো মানুষ এগিয়ে আসুন !

রাবণের শেষকৃত্য সম্পাদন করুন !

রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ফেসবুক ডট কম ৮


ফেসবুক ডট কম ৮



আজকের, ১১/০২/২০১৮, তারিখের,  'স্মৃতিগুলো'র  বিজ্ঞপ্তি না দেবার জন্য

'লোডশেডিং'  হওয়ার জন্য

এবং  'ইন্টারনেট' না থাকার জন্য

সব স্মৃতিগুলো
শেয়ার করা গেল না !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শিব ঠাকুরের পুজোয়


শিব ঠাকুরের পুজোয়

সূত্র : ফেসবুক : এবেলা:

শেয়ার করেছেন :       প্রণব কুমার কুণ্ডু

শিব ঠাকুরের পুজোয় কখনওই লোহা, স্টিল, অ্যালুমোনিয়ামের বাসন বা অন্য জিনিস ব্যবহার করবেন না। 
শিব ঠাকুরের পুজোয়,  ঐ ধাতুগুলির তৈরি পাত্রের ব্যবহারে নিষেধ রয়েছে ! 
শিব ঠাকুরের পুজোয় সোনা, রুপো, পিতল, কাঁসা, তামা অথবা অষ্টধাতুর জিনিসের  তৈরি পাত্রের, ব্যবহার করতে করতে পারেন। 
আর মাটির তৈরি পাত্র সমূহের ব্যবহারের ব্যাপারে, কিছু বলা হয় নি ! 

    From Vinod Goel


    From Vinod Goel
    Indian Birds

    Shared By            Pranab Kumar Kundu


    The first amphibians came some 370 million years ago. 
    We have our existence not more than 2 million years. 
    Most of the behaviors such as 
    proposing 
    dancing 
    offering gifts 
    hugging
    kissing 
    and mating 
    adopted by us 
    in the present times 
    have come 
    from the creatures 
    who occupied this earth 
    before us !

    পুরাকালে অতিথি


    পুরাকালে অতিথি



    পুরাকালে, কোন অতিথি, বাড়িতে এলে, তাঁকে, পাদ্য, অর্ঘ্য ও ফল-মূল ইত্যাদি দিয়ে, পূজা করা হত !

    তারপরে, সেই অতিথি, সেই খাদ্যদ্রব্যগুলো, বসে বসে, ভালোভাবে চিবত !




    * সূত্র : 'বাল্মীকি রামায়ণ', অনুবাদক, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য। পৃষ্ঠা ২৭।

    বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

    বৃহত্তর যৌন অঙ্গের অংশত যৌনচ্ছেদ





    বৃহত্তর যৌন অঙ্গের অংশত যৌনচ্ছেদ

     সূত্র : ফেসবুক : আনন্দবাজার পত্রিকা !
    ভোরা সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ক্লিটোরিস’ বা ‘ভগাঙ্কুর’কে ‘হারাম কি বোটি’ বা ‘পাপের মূল’ সূত্রও বলা হয়। অথবা আরও সহজ ভাষায় বললে অবাঞ্ছিত চামড়া। কয়েক দশকের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে। যদি মহিলার যৌনাঙ্গ ছেদ না করা হয়, তাহলে একজন নারী এর থেকে যে আনন্দ আসে, সেটা উপভোগ করবে। এরফলে বিয়ের পরে একজন মহিলা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে, যার জন্যে লজ্জায় পড়তে হতে পারে ভোরা সম্প্রদায়কে। তাই মহিলারা যাতে শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনও রকম আনন্দ উপভোগ না করতে পারে, সেই কারণেই ওই সম্প্রদায় ছোট ছোট মেয়েদের বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর আগেই, তাদের বৃহত্তর যৌন অঙ্গের,  অংশত যৌনচ্ছেদ করে দেয়।

    কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং আসপাতাল [ তিন ]


    কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল [ তিন ]



    কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এর  URO SURGERY OPD-তে দেখানো হয়েছিল, গত ১১।০১। ২০১৮ তারিখে।

    Medicine Slip নিয়ে, ওষুধ নিতে গিয়ে দেখা গেল,  Pharmacy-এর লোকজন সবাই, এমন কী পাহারাদারেরা পর্যন্ত, তালা লাগিয়ে, চলে গেছে !

    ওষুধ পাওয়া গেল না !

    তখনও OPD  চলছে !

    পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের, সরকারি হাসপতালে, কী সার্ভিস দিচ্ছে, দেখুন !

    আসলে ঐ হাসপাতালের বাবা-ও নেই, মা-ও নেই !

    অন্য কেউ দেখবারও নেই !

    তবু আশ্চর্য, হাসপাতাল চলছে !

    ভোটের সময় তৃণমূল ভোট-ও পাচ্ছে !

    রামচন্দ্র এবং বাল্মীকি রামায়ণ


    রামচন্দ্র এবং বাল্মীকি রামায়ণ



    বাল্মীকি রামায়ণ, সংস্কৃত ভাষায় রচনা।

    বাল্মীকি রামায়ণে, চব্বিশ হাজার শ্লোক আছে।
    আছে, পাঁচশত সর্গ।
    ছয়টি কাণ্ড।
    এবং অতিরিক্ত উত্তর কাণ্ড।

    উত্তরকাণ্ডে, সীতা পরিত্যাগ।
    চিরকালের জন্য ত্যাগ ?
    সীতার ভূগর্ভে প্রবেশ।

    মাটি খুঁড়ুন, আবার সীতাকে পেয়ে যাবেন !

    ফের অযোধ্যায়, রামমন্দির হবে !
    তখন সীতাকে নিয়ে এসে, রামের সাথে মিলাবেন।
    রামের পাশে বসাবেন।

    মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

    ফের রামরাজত্ব এলে


    বাল্মীকি রামায়ণ

    ফের রামরাজত্ব এলে



    ফের রামরাজত্ব এলে, কি হতে পারে !

    প্রজারা হৃষ্টপুষ্ট, আধিব্যাধি-বিবর্জিত হয়ে কাল কাটাবে !

    রামরাজত্ব দুর্ভিক্ষভয়শূন্য এবং ধার্মিক মনোভাবাপন্ন হবে !

    পিতা কখনও পুত্রের মৃত্যু দেখবে না !

    নারীরা সধবা ও পতিব্রতা থাকবে !
    তার মানে, স্ত্রীরা, স্বামির আগে মারা যাবে !

    রাজ্যে, অগ্নিভয়, বায়ুভয় তস্করভয় থাকবে না !

    কেউ জলে ডুবে মারা যাবে না !
    যদিও রামচন্দ্র নিজে সরযূনদীর জলে, ডুবে মারা গিয়েছিলেন !

    সকলে সত্যযুগের মতো, নিরন্তর সুখে থাকবে !

    বিদ্বান ব্রাহ্মণদের অনেক অনেক গাভি ও দান দেওয়া হবে !

    বর্ণচতুষ্টয় থাকবে !

    রাম দশ সহস্র দশ শত বছর রাজ্যশাসন করেছিলেন !

    অনেকে বলেন, রাম সীতাকে কষ্ট দিয়েছিলেন !

    রামের কন্যাসন্তান ছিল না !

    রামরাজত্বে, কন্যাসন্তানের জন্ম কমে যাবে !



    * সূত্র : বাল্মীকি রামায়ণ, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য কর্তৃক গদ্যানুবাদিত।পৃষ্ঠা ১৩।

    সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

    জটায়ু


    জটায়ু।



    জটায়ু।
    ইনি শ্যেনী গর্ভজাত অরুণের পুত্র।
    সম্পাতির অনুজ।
    দশরথের সখা।

    জটায়ু, সীতাদেবীকে রক্ষার জন্য, রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করে, ভীষণ ভাবে আহত হন, ও পরে নিহত হন !

    রামচন্দ্র, পিতৃবন্ধু জটায়ুর কাছে, সীতাহরণ সংক্রান্ত বৃতান্ত বিশদ ভাবে শোনেন !

    রামচন্দ্র, পিতৃবন্ধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, পিতৃবৎ শ্রদ্ধার সাথেই, সুসম্পন্ন করেন।



    * সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোশ', পৃষ্ঠা ৯১৮/১।

    সম্পাতি


    সম্পাতি



    সম্পাতি !
    বেগে উৎপাতী !
    পক্ষিবিশেষ !

    সম্পাতির পিতা অরুণ। মা শ্যেনী।
    জটায়ু কনিষ্ঠ ভ্রাতা !

    সম্পাতি, প্রথম যৌবনে, সূর্য জয় করার ইচ্ছায়, ভাই জটায়ুকে সঙ্গে নিয়ে, সূর্য অভিমুখে উড়তে আরম্ভ করেন !
    জটায়ু, সূর্যের প্রচণ্ড তাপে, অবসন্ন হয়ে পড়লে, সম্পাতি, নিজের ডানা দিয়ে, আদরের ভাইকে ঢেকে রাখেন !
    তাতে সম্পাতি, সূর্যতাপে দগ্ধপক্ষ হয়ে, বিন্ধ্যপর্বতে পতিত হন !
    পরে অবিশ্যি, সম্পাতির, নতুন করে এক জোড়া পাখা গজায় !
    সম্পাতি, নতুন করে উড়তে শেখেন !



    * সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা ২১৪৮-৯।

    রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

    রুদ্র

    রুদ্র কুপিত ব্রহ্মার মন্যু হতে, নীললোহিত কুমাররূপে উৎপন্ন হয়ে, রোদন করেছিলেন, সেই জন্য তিনি রুদ্র ! রুদ্র রোদয়িতা। রুদ্র ভীষণ। রুদ্র ভয়ঙ্কর ! রুদ্রের সন্তানগণ, 'রুদ্রগণ' ! মহাভারতে, ব্রহ্মার মানসপুত্র, স্থাণু থেকে, রুদ্রগণের উৎপত্তি ! বায়ুপুরাণে, রুদ্রগণ, শিবের অবতার ! শঙ্কর ইঁহাদের অধিদেবতা ! কাল সর্বক্ষয়কর ! বেদ পরবর্তী কালে, রুদ্র ও কাল অভিন্ন ! পুরাণে, রুদ্রই, মঙ্গলময় শিব ! সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোশ', পৃষ্ঠা ১৯২৪/১।

    শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

    তিলোত্তমা


    তিলোত্তমা



    তিলোত্তমা !
    স্বর্গের বেশ্যা !

    সুন্দ এবং উপসুন্দ নামক দেবদ্বেষী অসুরদ্বয়ের বিনাশের নিমিত্ত, বিরিঞ্চির নির্দেশে, বিশ্বের যাবতীয় উত্তম এবং সুন্দর পদার্থের তিল তিল নিয়ে, তিলোত্তমাকে নির্মাণ করেন, বিশ্বকর্মা !
    তিলোত্তমার, প্রাণ-সঞ্চারও করেন, বিশ্বকর্মা !

    তিলোত্তমাকে, বিশ্বকর্মা, স্বর্গের বেশ্যা বানান !

    যে সমস্ত মানুষেরা, স্বর্গে যাওয়ার এবং স্বর্গে থাকবার সুযোগ পান, তাঁরাও, তিলোত্তমাকে, উপভোগ করার সুযোগ পান !



    বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

    দময়ন্তী



    দময়ন্তী



    বিদর্ভদেশে, ভীমক নামে, এক রাজা ছিলেন।
    তিনি সর্বগুণবান এবং পরাক্রমশালী ব্যক্তি ছিলেন।

    দমন ঋষিকে, প্রসন্ন করে, ভীমক, চারটি সন্তান লাভ করেছিলেন।

    দমন ঋষি।
    একজন ব্রহ্মর্ষিবিশেষ ছিলেন।

    ভীমক রাজার পুত্রেরা, দম, দান্ত, দমন।
    এবং এক কন্যা, দময়ন্তী।

    দমন ঋষির নাম অনুসারে, তিন পুত্রের এবং কন্যারত্নটির, ঐরূপ নাম রাখা হয়।

    দময়ন্তীর, লক্ষ্মীর মতো রূপ ছিল !
    দময়ন্তীর, লক্ষ্মীর মতন গুণ ছিল !