শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

দক্ষিণায়নে সূর্য দেবতা


দক্ষিণায়নে সূর্য দেবতা



শরীর অসুস্থ হলে, অনেক সময়, ঘুম বেড়ে যায় !

তামসিক প্রকৃতিরও লোক বেশি ঘুমোয় !

দেবতারা, সূর্যের দক্ষিণায়ন সময়, ছয় মাস, ঘুমিয়ে থাকেন !

তখন সূর্য দেবতা কিন্তু, জেগে থাকেন !


দক্ষিণায়ন।
উত্তর দিকের অয়নান্তরেখা
বা
কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে
সূর্যের ক্রমশ
দক্ষিণে যাওয়া !

বা
সূর্যের উক্ত গমনকাল !

অর্থাৎ
একুশে জুন থেকে
বাইশে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় !

বা
সূর্যের উক্ত গমনপথ !

দান


দান



দান করাই গৃহীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম !
স্বামীই সংসারে সবচেয়ে বড় সুহৃদ !

যাঁরা,  পূর্বজন্মে দান করেননি,  তাঁরাই নাকি, এ জন্মে, দারিদ্র-দুঃখ ভোগ করছেন !

কে বলছেন ?

না কেউ বলছেন না !
নাকি ধান্দাবাজেরা বলছেন !

আপনাকে ফুসলাচ্ছেন !

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮

বরাহ


বরাহ



বরাহ !

বরাহকল্প !
বিষ্ণুর
বরাহ অবতারের
কল্প !
বর্তমান কল্প !

বরাহদ্বাদশী !
বিষ্ণুর প্রিয়
মাঘ মাসের
শুক্লদ্বাদশী !

বরাহপুরাণ !
বরাহ অবতারের
বিষয়ের
পুরাণ !



*ব.শ.কো/১৪৬২।

প্রজা সৃষ্টিতে বাধা


প্রজা সৃষ্টিতে বাধা



মহাদেবের পত্নী সতী।
তিনি সর্বসময়ে এবং সর্বপ্রকারে, পতিসেবায়, নিরতা থাকতেন !
কিন্তু তিনি, গুণে ও স্বভাবে, না নিজের, না মহাদেবের অনুরূপ, অথবা, নিজের বা মহাদেবের সমকক্ষ, কোন পুত্র-কন্যা লাভ করেন নি !
তার কারণ হিসাবে, মনে করা হয়, সতীর পিতা দক্ষ, মহাদেবের কোনো অপরাধ না থাকলেও, মহাদেবের সঙ্গে, প্রতিকূল ব্যবহার করেছিলেন !
সেই কারণে, সতী, রোষবশত, যোগ অবলম্বন করে, তাঁর যৌবনেই, নিজ দেহ, ত্যাগ করেছিলেন !
ফলে, অন্তত, নিজের মেয়ের ক্ষেত্রে, প্রজাপতি দক্ষের নির্বুদ্ধিতায়, প্রজাপতির দক্ষের প্রজা-সৃষ্টিতে, বাধা সৃষ্টি হয়েছিল !



* সূত্র :  'শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৭৭।

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

কল্কি অবতারের কল্কে


কল্কি অবতারের কল্কে



ব্রাহ্মণ অবতারেরা !
আমরা
অব্রাহ্মণেরা
তোমাদের পায়ের নীচে !

ব্রাহ্মণ আর ব্রহ্ম
দুটি সাজুয্যপূর্ণ শব্দ !

অনেক সময়ই
একটির জায়গায়
অন্যটির ব্যবহার
তোমরা ব্রাহ্মণরা কর !

যখন যেমন সুবিধা !
যেটির যেখানে ব্যবহারে
ব্রাহ্মণেরা
হাতে কল্কে পায় !

ব্রহ্ম দান দেন না !
ব্রহ্মাও
দান দেন না !
ব্রাহ্মণরাও
কাওকে
দান দেন না !

এবারে ব্রাহ্মণেরা
কল্কি-অবতারের  'কল্কে'
হাতে পাবে !

তবে হাত ফস্কে
পায়ে পড়লে
কল্কের আগুনে
পা পুড়বে

তাতে অবিশ্যি
মুখ বাঁচবে
হনুমান হবে না !

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

আজকের স্মৃতিগুলো


আজকের স্মৃতিগুলো ( ২৪।০৩।২০১৮ )



আজকের স্মৃতিগুলো, এলো এবং চলে গেল, শেয়ার করা গেল না !
ফেসবুক সহযোগিতা করছে না !
কোন বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয় নি !
ফেসবুক-কে নিন্দাবাদ জানাচ্ছি !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

গালগল্পে তুলসী


গালগল্পে তুলসী



তুলসী  শেষজন্মে হয়েছিলেন তুলসী গাছ !

সেই তুলসী, তাঁর ভবিষ্যৎ পরম্পরায়, এখনো, গাছ হিসাবে, বেঁচে-বর্তে,  বহাল তবিয়তেই, গৃহিদের আঙ্গিনায়, গৃহিদের সঙ্গেই আছেন !

একসময়ে তুলসী ছিলেন, মহাপরাক্রমশালী অসুর,  শঙ্খচূড়ের স্ত্রী !
দেবতাদের বরে, শঙ্খচূড়-অসুর ছিলেন অজেয় !

শিব ও বিষ্ণু, দুজনেই,  ছলনার আশ্রয় নিয়ে, শঙ্খচূড়কে হত্যা করেন !
তাতে ক্ষুব্ধ তুলসীকে সন্টুষ্ট করতে, বিষ্ণু, তুলসীকে বর দেন !
তুলসী,  অলীক বিষ্ণুপদে, অলীক স্থান, লাভ করেন !

কিন্তু শিবকে ক্ষমা করেন নি তুলসী !
তুলসী, শিবকে অভিশাপ দেন !
সেইজন্য, শিবপূজায় তুলসী-পত্র নিষিদ্ধ !
তবে তুলসী মঞ্জরিতে দোষ নেই !
মঞ্জরি তো পরকালের তুলসী গাছ !

রবিবারে
একাদশী তিথিতে
চন্দ্রগ্রহণের সময়ে রাত্রিকালে
সূর্যগ্রহণের সময়ে দিবাভাগে
তুলসীপত্র চয়ন নিষিদ্ধ !

তুলসীবৃক্ষে পা ঠেকাবেন না !
ওটি অন্যায় !
অসঙ্গত !
পাপ কাজ !

শিবের মতন
গণেশের পূজাতেও
তুলসী পাতার ব্যাবহার নিষিদ্ধ !

গণেশ তো
শিব-বাপের
বাপকা বেটা !

তবে, গণেশ, শিবের ঔরসজাত সন্তান নন !
গণেশ, পার্বতীর, গায়ের ময়লা !

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

পুজারি বামুন


পুজারি বামুন



বৌদ্ধরা জৈনরা
বৈদিক কর্মকাণ্ডের বিরোধী।

আমাদের দেশে যদি বৌদ্ধরা আর জৈনরা
সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকত
তবে
পুজারি বামুন-রা
না খেতে পেয়ে মরত !

আঠারো


আঠারো



আঠারো পর্বের মহাভারত।

গীতার আঠারো অধ্যায়।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ আঠারো দিনের।
দুপক্ষের আঠারো অক্ষৌহিণী সৈন্য।

আঠারো পুরাণ।

আঠারো উপপুরাণ।

পুরাণ ৩


পুরাণ ৩



বিভিন্ন পুরাণে আছে
বিভিন্ন  ধর্মীয় তত্ত্ব
এবং বিভিন্ন দর্শনের
বিস্তৃত ব্যাখ্যান !
বিশদ বিবরণ বা বর্ণন !

সেই সঙ্গে আছে
প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাস
ভূগোল
প্রাকৃতিক পরিবেশ
এবং সাংস্কৃতিক
রাজনৈতিক
অর্থনৈতিক
তথা সামাজিক জীবনের
বিস্তৃত ঘটনা !

ভগবানের স্বরূপশক্তি


ভগবানের স্বরূপশক্তি



সন্ধিনী
সংবিৎ
এবং হ্লাদিনী ভেদে
স্বরূপশক্তির
তিনটি প্রকার ভেদ !

সন্ধিনীশক্তি
অস্তিত্ববাচক !

সংবিৎশক্তি
চৈতন্যবাচক !

হ্লাদিনীশক্তি
আনন্দবাচক !

যে শক্তির দ্বারা
অনাদি অনন্ত কাল ধরে
ভগবান বিরাজিত
তাই ভগবানের সন্ধিনীশক্তি !

যে শক্তির দ্বারা
ভগবান স্বয়ং
চৈতন্য বা জ্ঞানবাচক
তা ভগবানের সংবিৎশক্তি !
সংবিৎ।
চৈতন্য।
জ্ঞান।
Consciousness.
সংবিৎশক্তি।
বৈষ্ণবমতে, ভগবানের স্বরূপশক্তির মধ্যে, যে-শক্তির দ্বারা, ভগবান চৈতন্যময় !

যে শক্তির দ্বারা
ভগবান নিজে
আনন্দিত হন
এবং
যে শক্তি
ভক্তচিত্তে
আনন্দ দান  করে
তা ভগবানের
হ্লাদিনীশক্তি !



* সূত্র : ড. মৈত্রেয়ী চৌধুরী, 'প্রসঙ্গ শ্রীচৈতন্যদেব'।



বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

ভ্যানিশ


ভ্যানিশ



মহারাজা পৃথুর পর, তাঁর পুত্র, পরম যশস্বী বিজিতাশ্ব,  রাজা হয়েছিলেন !

বিজিতাশ্ব,  দেবরাজ ইন্দ্রের কাছ থেকে, অন্তর্ধানের বিদ্যা,  আয়ত্ব করেছিলেন !

আঃ হাঃ !
ঐ অন্তর্ধানের বিদ্যা, আমি যদি, দেবরাজ ইন্দ্রের কাছ থেকে, বা, অন্য কারও কাছ থেকে, লাভ করতে পারতাম, তবে, আপনাদের চোখের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই, আমি, 'ভ্যানিশ' হয়ে গিয়ে, আপনাদের বেজায় চমকে দিতে পারতাম !

বনবাসে ( দুই )


বনবাসে ( দুই )



বনবাসের শুরুতেই

রাম
লক্ষ্ণণ-এর সঙ্গে

বরাহ ( শূকর, শুয়োর )
ঋষ্য ( কৃষ্ণসার হরিণ )
পৃষত ( শ্বেতবিন্দুযুক্ত হরিণ )
ও মহারুরু (হরিণবিশেষ )

এই চার প্রকার
অন্তত চারটি
পশু
বধ করলেন !

এবং ঐ গুলির
পবিত্র মাংস
সকলে মিলেই
গ্রহণ করলেন !



* সূত্র : 'বাল্মীকি রামায়ণ', হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য কর্তৃক অনুবাদিত, পৃষ্ঠা ২১৮।

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮

সাম ( দুই )


সাম (দুই )



সাম
দণ্ড
ভেদ
দান
ইত্যাদি নীতিগুলির মধ্যে
'সাম'  অর্থাৎ
স্তুতি-প্রশংসাকেই
শাস্ত্রে
সর্বশ্রেষ্ঠ বলে
মানা হয় !

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ তুড়ি মেরে বলেছেন, যেখানেই বিশেষ কোন শক্তি অনুভব করবে,  জানবে,   সেখানেই আমার ( অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের ) বিশেষ প্রকাশ !

সাম


সাম



মহাকবি কালিদাস-এর কথা !
"স্তোত্রং কস্য ন তুষ্টয়ে" !

পৃথিবীতে এমন কোন মানুষই নেই, যিনি স্তুতির দ্বারা,  প্রভাবিত এবং প্রসন্ন হন না !

শাস্ত্রে স্তুতি-প্রশংসাকেই, শ্রেষ্ঠ বলে মানা হয় !

রাজনীতিতে বলা যেতে পারে, 'সাম' বা স্তুতি দ্বারা,  রক্ষস্, মার্কসবাদী, তৃণমূল, কংগ্রেস প্রভূতি  'ভয়ঙ্কর'  প্রাণীদেরও বশীভূত করা যায় !

সাম সেখানে তোষণ !

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

সদাশিব


সদাশিব



সদাশিব।

সদা।
সকল সময়ে !
সর্বদা !

সদাশিব।
সতত মঙ্গলকর শিব ( মহাদেব ) !
সদাই যিনি শিব ( শুভদ ) !

তিনিই একমাত্র মহান শক্তিধর পুরুষ !

তিনি মানুষ জাতির আদি গুরু !

তিনি মানুষ জাতির আদি পিতা !

তিনি পরমপুরুষ সদাশিব !
তিনিই তারক ব্রহ্ম !

মানব সমাজে তিনি প্রথম বিবাহ-প্রথার প্রচলন করেছিলেন !

সঙ্গীত-নৃত্য শিখিয়েছিলেন !

সদাশিব কিন্তু অনার্য ছিলেন !

সদাশিব তন্ত্রসাধনার প্রবর্তক !

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮

স্বামী বিবেকানন্দ ৩


স্বামী বিবেকানন্দ ৩



বিভিন্ন বৈদান্তিক সম্প্রদায়গুলি, পরস্পর বিরোধী নয় !

সেগুলি পরস্পর সাপেক্ষ !

হতে পারে, একটি অন্যটির পরিণতি-স্বরূপ !
একটি অন্যটির সোপান-স্বরূপ !

এবং যার সর্বশেষ চরম লক্ষ্য ও পরিণতি অদ্বৈতে ! এবং অদ্বৈতবাদে !

অর্থাৎ, কেবল, 'তত্ত্বমসি'তে পরিণত ! ও পর্যবসিত !

তখন অদ্বৈতবাদের সেই সব দেখানোই ছিল, স্বামী বিবেকানন্দের, একমাত্র,  জীবনের ব্রত !



* সূত্র : 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা'. পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২১।

মুনির মত


মুনির মত



যে মুনির মত
অন্য মুনির মত-এর সঙ্গে
ভিন্ন নয়
তিনি
মুনিই নন !

এসম্বন্ধে, সংস্কৃত শ্লোকও রয়েছে :-

নাসৌ মুনির্যস্য
মতং ন ভিন্নম্ !

বাংলায় চলতি কথা :-

নানান মুনির নানান মত !



* পটভূমিতে :   'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২০।

শক্তিস্য শিবস্য শক্তি


শক্তিস্য শিবস্য শক্তি



শক্তিস্য শিবস্য শক্তি !
সব শক্তির উৎস শিব !

তাই একে-ওকে পূজা করার দরকারই নেই !
তাতে পূজা দরকচড়া বেঁধে যাবে !
পুজোর প্রসাদ পিঁপড়েয় খাবে !

শিবকে জানো !

শিবকে মানো !

শিবকেই পুজো করো !

যত্র জীব ! তত্র শিব !

জীবিত নর-নারায়ণের পূজা এবং সেবা করা
প্রকৃত পক্ষে
শিবকে
পূজা করা !

* সূত্র :
সুশান্ত দেব।
আনন্দনগর !

রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮

শিবলিঙ্গ ( দুই )


শিবলিঙ্গ ( দুই )



বলা হয়, শিবলিঙ্গ তিন প্রকারের !

উত্তম
মধ্যম
ও অধম !

যেইটি চার আঙ্গুল উচ্চ এবং দেখতে সুন্দর, সেইটি উত্তম !

তার অর্ধেক মধ্যম !

তারও অর্ধেক অধম !

তবে উত্তম হোক
মধ্যম হোক
বা অধম হোক
সব শিবলিঙ্গই
যথার্থ শিবলিঙ্গ !



* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৫৩।

বারুণী


বারুণী



শতভিষানক্ষত্র-যুক্ত চৈত্রমাসের কৃষ্ণত্রয়োদশী তিথি,  ও তৎ-সংশ্লিষ্ট, পর্ববিশেষ।
ঐ দিনে, গঙ্গা স্নানে, শত সূর্যগ্রহণকালীন গঙ্গাস্নানের ফললাভ হয় !
দিনটি শনিবারে পড়লে, তা, মহাবারুণী নামে অভিহিত !
আর শুভযোগযুক্তা শনিবার হলে, মহা-মহাবারূণী হয় !

বারুণী।
বরুণের স্ত্রী বা কন্যা !
সমুদ্রমন্থনজাত সুরার অধিদেবতা !
( তৈত্তিরীয় আরণ্যক )।

ঋষি


ঋষি



বৈখানস।
ব্রহ্মার মুখ থেকে উৎপন্ন !
ব্রাহ্মণদের মতন !

বালখিল্য।
ব্রহ্মার লোম থেকে উৎপন্ন !

মরিচিপ।
এঁরা সূর্যকিরণ পান করে, জীবনধারণ করেন
তবে সেই  technique  জানা যায় না, ওঁনারা সূর্যকিরণ, কী-ভাবে ধরেন !

সংপ্রক্ষাল।
এঁরা ভগবান বিষ্ণুর পাদপ্রক্ষালন-করা জল থেকে, উৎপন্ন !

অশ্মকুট্ট।
অপক্ককুট্টিতান্ন ভোজনে, জীবনধারণ করেন !

আকাশনিলয়।
এঁরা সর্বদা অনাবৃত স্থানে বাস করেন !

অনবকাশিক !
এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকেন !
কখনো পা বদলিয়ে, 'পা'-টিকে, বিশ্রাম দেন না !

দন্তলূখল।
সব কিছু আহার্যই, দাঁতে চিবিয়ে, ভক্ষণ করেন !

অশয্যা।
কখনও  'শোন'  না, বা, নিদ্রাও, যান না !
সে ব্যাপারে, এঁনারা, অর্জুনকে, হারিয়ে দিতে পারেন !

পত্রাহার।
গাছের পত্র ভোজনে, জীবনধারণ করেন !

উন্মজ্জক।
এঁরা আকণ্ঠ জলে দাঁড়িয়ে, ভগবানের ধ্যান করেন !

গাত্রশয্যা।
এঁনারা ভুতলে শয়ন করেন !

বায়ুভক্ষ।
বায়ু ভক্ষণ করে জীবনধারণ করেন !
এঁদের দেহে নিশ্চয়, ক্লোরোফিল থাকে !

জলাহার।
কেবল জলপান করে জীবনধারণ করেন !

আদ্রপট্টবাস।
আদ্রবস্ত্রে অবস্থান করাই এঁদের নিয়ম !

স্থণ্ডিলশায়ী।
যজ্ঞভূমিতে শুয়ে রাত্রিযাপন করেন ‍

ঊর্ধ্ববাস।
গিরিশিখরে অবস্থান করাই, এঁদের নিয়ম !

তপোনিষ্ঠ।
সকল সময়েই, এঁনারা, তপস্যা নিয়েই থাকেন !

পঞ্চ-তাপান্বিত।
এঁরা গ্রীষ্মকালেও, পঞ্চতাপের মধ্যে, তপস্যা করেন !
চারপাশে চারটি অগ্নিকুণ্ডের তাপ, এবং, ঊর্ধ্বদিকে সূর্যেরও তাপ, এই পাঁচটি অগ্নির তাপের মধ্যে, তপস্যাকারী ! কঠিন
তপস্যাকারী !

সজপ।
এঁরা, সবসময়ই, জপ করেন !



তাছাড়া, মহাভারতে,
বাণপ্রস্থ
ফলাহারী
মূলাহারী
প্রভৃতি ঋষিদের
দেখতে পাওয়া যায় !



* সূত্র : 'সরল বাঙ্গালা অভিধান', সুবলচন্দ্র মিত্র, পৃষ্ঠা ২৭৬।

বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮

লালকেল্লা


লালকেল্লা



লালকেল্লা, এক সময়ে ছিল, বিদেশী শাসক,  বৃটিশদের, একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্যাম্প !

বর্তমানে, দিল্লিতে,  এটি একটি,  পর্যটন কেন্দ্র,  ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের, একটি শক্তিশালী নিদর্শন-প্রতীক !

ভারতের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিবছর, ১৫ই আগষ্ট, স্বাধীনতা দিবসে, লালকেল্লার লাহোর-গেট সংলগ্ন স্থান থেকে, ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন !

ইউনেস্কো, বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে, 'লালকেল্লা'কে, ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে, স্বীকৃতি দেয় !

মোঘল সম্রাট, শাহজাহান কর্তৃক, লালকেল্লার নির্মাণ, ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয়ে,  ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয় !

একদা ব্রিটিশ ক্যান্টনমেন্ট, এই লালকেল্লাতেই, নেতাজির নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা প্রয়াসী,  আজাদহিন্দ ফৌজের, যুদ্ধবন্দিদের,  বিচার হয় !

লাহোর গেট, লালকেল্লার প্রধান দরজা !
ওখানেই, চট্টাচক বাজার !
এক সময়ে, লালকেল্লার  'দুর্গে', সম্রাটের পরিবারবর্গ বাস করতেন !        

বুদ্ধি ও ইচ্ছা


বুদ্ধি ও ইচ্ছা



ভারতীয় ন্যায়দর্শনের মতে,
বুদ্ধি ও ইচ্ছা
আত্মার গুণ !

শ্রুতি-মতে
বুদ্ধি-ইচ্ছা-সংকল্প প্রভৃতি
মনের রূপভেদ !

মানুষের জীবন
শুধু বুদ্ধির দ্বারা
নিয়ন্ত্রিত নয় !

তবে বুদ্ধি
নিশ্চিত ভাবে
পথ নির্দেশ করে !

মানুষের জীবন
নিয়ন্ত্রিত হয়
ইচ্ছাশক্তি

বা
will power-এর
দ্বারা !



* সূত্র : জ্যোতির্ময় নন্দ-এর লিখিত, জ্যোতির্ময় রচনাঞ্জলি।

ফড়িঙের গুহ্যদেশে তৃণের শক্ত কাঠি


ফড়িঙের গুহ্যদেশে তৃণের শক্ত কাঠি



জনৈক মাণ্ডব্যমুনি যখন বালক ছিলেন, তখন তিনি মজা করার জন্য, একদিন,  একটি ফড়িঙের গুহ্যদেশে, তৃণের শক্ত কাঠি, গুঁজে দিয়েছিলেন !

যতদূর দেখা গিয়েছিল, ব্যথা-বেদনায়,  ফড়িঙটা,  তরতরিয়ে শূন্যে উঠে গিয়েছিল !

সেই পাপের জন্য, মাণ্ডব্যমুনিকে, কেবল,  একদিন ও একরাত-এর জন্য, অদৃষ্টের ফেরে,  শূলে চড়িয়ে, শাস্তিভোগস্বরূপ,  কষ্টভোগ করতে হয়েছিল !

কিন্তু, দৈবক্রমে,  মুনি মহোদয়,  সমাধিস্থ থাকায়, শূলাঘাতের বেদনা, মুনিকে,  বিশেষ অনুভব করতে হয় নি !

তবে, পাপের শাস্তিভোগ, তপস্বী মাণ্ডব্যমুনিকেও, পেতে হয়েছিল !




* তথ্যসূত্র : জয়দয়াল গোয়েন্দকা কর্তৃক লিখিত,  'ভগবানের পাঁচটি নিবাসস্থল',  'বই'টির, পৃষ্ঠা সংখ্যাগুলি, ২৯ থেকে
৩২।

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

নাভিসরোবর


নাভিসরোবর



পাতাল, বিরাট পুরুষের পদযুগল !

চরণের অগ্র ও পশ্চাৎভাগই রসাতল !

গুলফদ্বয় ( গোড়ালি দুটি ),  মহাতল !

দুই জঙ্ঘা ( হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত দেহাংশ, ঊরু, জাং ),  তলাতল !

দুই জানু ( হাঁটু ), সুতল !

ঊরুদ্বয় ( কুঁচকি থেকে হাঁটু পর্যন্ত দেহাংশ ), বিতল আর অতল !

মহীতল, জঙ্ঘা !

নাভিসরোবর, আকাশ !

আমি দেখছি, ছোটবেলায়, যে আকাশে আমি ঘুড়ি ওড়াতাম, তা বিরাট পুরুষের নাভিসরোবর !




* শ্রীমদ্ভা.১৪৪।

শ্রীভগবানই ধারণার বিষয়


শ্রীভগবানই ধারণার বিষয়



জল
আগুন
বাতাস
আকাশ
অহংকার
মহত্তত্ব
এবং প্রকৃতি
এই সাতটি আবরণে
এই ব্রহ্মাণ্ড কোষরূপ শরীর
আবৃত আছে !

এই ব্রহ্মাণ্ডরূপ শরীরের মধ্যে
অন্তর্যামী রূপে
যে বিরাট পুরুষ
শ্রীভগবান
অবস্থান করছেন

সেই ভগবানই
আমাদের সকলের
ধারণার বিষয়....





* সূত্র ও সংযোজনা, 'শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ১৪৩-১৪৪।

পশ্চিম বঙ্গে হিন্দু বাঙালি !


পশ্চিম বঙ্গে হিন্দু বাঙালি !



পশ্চিম বাংলার কোন কোন জায়গার ভাষা, বাংলায় কথা বলাই যায় না !

সেটা যে কি ভাষা, উর্দু না হিন্দি, তাও, বোঝাই যায় না !

পশ্চিম বঙ্গে, হিন্দু বাঙালিরা,  কি সংখ্যালঘু হয়ে গেছেন ?

না সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছেন ?

বৈষ্ণবদের মহামন্ত্র


বৈষ্ণবদের মহামন্ত্র



বৈষ্ণবদের মহামন্ত্র !

হরে কৃষ্ণ
হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ
হরে হরে।

হরে রাম
হরে রাম
রাম রাম
হরে হরে।।

এই মহামন্ত্র, শ্রীভগবৎপ্রেম, শ্রীবিষ্ণুপ্রেম, শ্রীরামপ্রেম, শ্রীকৃষ্ণপ্রেম
বৃদ্ধিকারী

" টনিক " !

প্রেমাশ্রু


প্রেমাশ্রু



শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, কীর্তন করবার সময়,  প্রেমে এত মশগুল ও মগ্ন হয়ে যেতেন,  যে, তাঁর,  দু'চোখ দিয়ে, প্রেমাশ্রু ধারা, প্রবাহিত হত !

চোখ দিয়ে, প্রেমঅশ্রু ধারা প্রবাহিত হবে, এটা আর কি বড় ব্যাপার ?
বিশেষত তিনি যদি, শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর মতন ব্যক্তি হন !

আমার ধারণা ছিল, হয়তো, শ্রীচেতন্যমহাপ্রভুর ক্ষেত্রে, প্রেমাশ্রূ ধারা, হৃদয় থেকে নিঃসারিত হত ! 

বোরখা আবিষ্কার !


বোরখা আবিষ্কার !



নবীর স্ত্রীরা, নাকি, খোলা বালুকা ভূমিতে, মলত্যাগ করতেন !
একদিন,  'উমর'  দেখে ফেললেন !

সূত্র : 'তসলিমা নাসরিন', ফেসবুক !

তখন থেকে, নাকি,  'বোরখা'র, উৎপত্তি !

উলঙ্গ পাছা, দেখে দেখুক !
মুখ যেন, চিনতে না পারে !

তাই, বোরখা আবিষ্কার !

আত্মারা আসে কোথা থেকে ?


আত্মারা আসে কোথা থেকে ?



মেয়েদের মধ্যে, মাতৃত্বটা, থাকে বীজাকারে !

সেই বীজাকারের বীজগুলি থাকে, পুরুষের অণ্ডকোষের জঠরে !

আত্মাটা আসে কোথা থেকে ?

পরমাত্মার কাছ থেকে, ফস্কে !