প্রণব কুমার কুণ্ডু
ইউরিক অ্যাসিড
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
হেলথ টিপস
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
BY BANGLA FREE TIPS · NOVEMBER 7, 2018
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
আধুনিক শহুরে জীবনে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু সচেতন হয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধিতে কী ধরনের খাবার গ্রহণ
করতে হবেঃ
আমাদের শরীরে দুই ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রয়োজন পড়ে। একটি আবশ্যক (এসেনশিয়াল) অ্যামাইনো অ্যাসিড।
আরেকটি অনাবশ্যক (নন এসেনসিয়াল) অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। কারণ শরীরে পিউরিন তৈরি হয় এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড চলে আসে।
কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে চলে যায়।
নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল। আমরা যদি দেহের চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে থাকি বা খাবারে যদি এলকোহল জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকে, তা থেকে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই পিউরিনের শেষ উৎপাদন (এনডপ্রডাক্ট) হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
এই ইউরিক অ্যাসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমেপ্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। এই
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড সূক্ষ্ম স্ফটিক (ক্রিস্টাল) আকারে জয়েন্টের মধ্যে বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা সৃষ্টি করে।
এ ছাড়া আমাদের দেহের শ্বেত কণিকা এই ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিককে ফরেন বডি মনে করে আক্রমণ করে। ফলে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয় বা ফুলে যায়। এই অবস্থাকে টোফেস বলে। প্রথম অবস্থায় শুধু পায়ে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পা ফোলা, হাঁটু ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। ফলে ইউরিকঅ্যাসিড আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটতেও সমস্যা হয়। হাইপারইউরিসেমিয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন : বাত, কিডনিতে পাথর, কিডনি অর্কাযকর হওয়া, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।
হাইপারইউরিসেমিয়া বা ইউরিক অ্যাসিডে যেসব খাবার পরিহার করতে হবেঃ
১. অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন : গরুর মাংস খাসির মাংস,
ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।
২. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস (অর্গান
মিট) খাওয়া যাবে না। যেমন : লিভার, কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।
৩. খোসাযুক্ত প্রাণী পরিহার করতে হবে। যেমন : চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
৫. কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন : পালং শাক,পুঁই শাক, ফুলকপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ , পাকা টমেটো ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
৬. অ্যালকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন : চা, কফি, কোমল পানীয়, কারো ক্ষেত্রে চকোলেট খাওয়া যাবে না।
৭. মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোস থাকে যা ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়। তাই মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।
যেসব খাবারে বাধা নেইঃ
১. চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন : মুরগির মাংস। মাছ, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।
২. অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন : সবজি-শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়।
৩. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।
৪. এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ জল পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে।
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা:
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬-সাড়ে ৬ থাকতে হবে। কিন্তু যার আগে গাউট বা কিডনি স্টোন হয়েছে তেমন ক্ষেত্রে ৬-এর মধ্যে থাকতে হবে এবং এর সামান্য উপরে গেলেই চিকিৎসা শুরু করা দরকার। আবার যারা
অ্যাসিম্পটোম্যাটিক গ্রুপে পড়ছেন, তাদের এই মাত্রা ৮ বা অধিক হলে তারপর চিকিৎসা করা যেতে পারে।
একে কি তাহলে জিনগত রোগ বলা যায়:
না, ইউরিক অ্যাসিডকে ঠিক জিনগত রোগ বলা যায় না। কারণ জিনগত কারণের সঙ্গে জীবনধারার কারণেও এটা হতে পারে। তাই বাবা-মায়ের থাকলেই যে সন্তানের ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে, এমন নয়। আবার এক পরিবারে ভাই-বোনের মধ্যে স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য সমস্যা থাকলে কার গাউট বা কিডনি স্টোন হবে, নাকি হবে না, সেটা আগাম বলা যায় না। বরং বেহিসেবি জীবনধারা, নিয়মিত জাঙ্ক ফুড, রেড মিট, অ্যালকোহল সেবন থেকে এই সমস্যা হতেই পারে।
টমেটো খেলে ইউরিক অ্যাসিড নাকি বাড়ে? তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের ডায়েট চার্ট কেমন হবে। টমেটো এমনিতে খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। এর নানা গুণ আছে। তবে এটা সত্যি যে, এর ফলে ইউরিক অ্যাসিড সামান্য হলেও বাড়ে, তাই
বীজ বাদ দিয়ে টমেটোর শাঁসটুকু খান। এ ছাড়া পালং শাক, মসুর ডাল, সয়াবিনসবেতেই উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকায় কম খেতে বলা হয়। তবে মনে রাখবেন যাবতীয় এই খাদ্য, সবজি বাদ দিয়েও ইউরিক অ্যাসিড হয়তো কমতে পারে মাত্র ০.৫।
ফলে নজর দিতে হবে জীবনধারায়। শুধু পালং শাক, মসুর ডাল বাদ দেয়াটাই শেষ কথা নয়। কী খাব আর কী বাদ দেব, ভেবেই রোগী চিন্তায় রক্তচাপ বাড়িয়ে ফেলেন।
ইউরিক অ্যাসিড
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
হেলথ টিপস
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
BY BANGLA FREE TIPS · NOVEMBER 7, 2018
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কি হয়? জানুন এর প্রতিকার!
আধুনিক শহুরে জীবনে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু সচেতন হয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধিতে কী ধরনের খাবার গ্রহণ
করতে হবেঃ
আমাদের শরীরে দুই ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রয়োজন পড়ে। একটি আবশ্যক (এসেনশিয়াল) অ্যামাইনো অ্যাসিড।
আরেকটি অনাবশ্যক (নন এসেনসিয়াল) অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। কারণ শরীরে পিউরিন তৈরি হয় এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড চলে আসে।
কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে চলে যায়।
নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল। আমরা যদি দেহের চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে থাকি বা খাবারে যদি এলকোহল জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকে, তা থেকে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই পিউরিনের শেষ উৎপাদন (এনডপ্রডাক্ট) হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
এই ইউরিক অ্যাসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমেপ্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। এই
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড সূক্ষ্ম স্ফটিক (ক্রিস্টাল) আকারে জয়েন্টের মধ্যে বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা সৃষ্টি করে।
এ ছাড়া আমাদের দেহের শ্বেত কণিকা এই ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিককে ফরেন বডি মনে করে আক্রমণ করে। ফলে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয় বা ফুলে যায়। এই অবস্থাকে টোফেস বলে। প্রথম অবস্থায় শুধু পায়ে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পা ফোলা, হাঁটু ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। ফলে ইউরিকঅ্যাসিড আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটতেও সমস্যা হয়। হাইপারইউরিসেমিয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন : বাত, কিডনিতে পাথর, কিডনি অর্কাযকর হওয়া, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।
হাইপারইউরিসেমিয়া বা ইউরিক অ্যাসিডে যেসব খাবার পরিহার করতে হবেঃ
১. অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন : গরুর মাংস খাসির মাংস,
ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।
২. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস (অর্গান
মিট) খাওয়া যাবে না। যেমন : লিভার, কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।
৩. খোসাযুক্ত প্রাণী পরিহার করতে হবে। যেমন : চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
৫. কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন : পালং শাক,পুঁই শাক, ফুলকপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ , পাকা টমেটো ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
৬. অ্যালকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন : চা, কফি, কোমল পানীয়, কারো ক্ষেত্রে চকোলেট খাওয়া যাবে না।
৭. মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোস থাকে যা ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়। তাই মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।
যেসব খাবারে বাধা নেইঃ
১. চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন : মুরগির মাংস। মাছ, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।
২. অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন : সবজি-শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়।
৩. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।
৪. এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ জল পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে।
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা:
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬-সাড়ে ৬ থাকতে হবে। কিন্তু যার আগে গাউট বা কিডনি স্টোন হয়েছে তেমন ক্ষেত্রে ৬-এর মধ্যে থাকতে হবে এবং এর সামান্য উপরে গেলেই চিকিৎসা শুরু করা দরকার। আবার যারা
অ্যাসিম্পটোম্যাটিক গ্রুপে পড়ছেন, তাদের এই মাত্রা ৮ বা অধিক হলে তারপর চিকিৎসা করা যেতে পারে।
একে কি তাহলে জিনগত রোগ বলা যায়:
না, ইউরিক অ্যাসিডকে ঠিক জিনগত রোগ বলা যায় না। কারণ জিনগত কারণের সঙ্গে জীবনধারার কারণেও এটা হতে পারে। তাই বাবা-মায়ের থাকলেই যে সন্তানের ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে, এমন নয়। আবার এক পরিবারে ভাই-বোনের মধ্যে স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য সমস্যা থাকলে কার গাউট বা কিডনি স্টোন হবে, নাকি হবে না, সেটা আগাম বলা যায় না। বরং বেহিসেবি জীবনধারা, নিয়মিত জাঙ্ক ফুড, রেড মিট, অ্যালকোহল সেবন থেকে এই সমস্যা হতেই পারে।
টমেটো খেলে ইউরিক অ্যাসিড নাকি বাড়ে? তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের ডায়েট চার্ট কেমন হবে। টমেটো এমনিতে খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। এর নানা গুণ আছে। তবে এটা সত্যি যে, এর ফলে ইউরিক অ্যাসিড সামান্য হলেও বাড়ে, তাই
বীজ বাদ দিয়ে টমেটোর শাঁসটুকু খান। এ ছাড়া পালং শাক, মসুর ডাল, সয়াবিনসবেতেই উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকায় কম খেতে বলা হয়। তবে মনে রাখবেন যাবতীয় এই খাদ্য, সবজি বাদ দিয়েও ইউরিক অ্যাসিড হয়তো কমতে পারে মাত্র ০.৫।
ফলে নজর দিতে হবে জীবনধারায়। শুধু পালং শাক, মসুর ডাল বাদ দেয়াটাই শেষ কথা নয়। কী খাব আর কী বাদ দেব, ভেবেই রোগী চিন্তায় রক্তচাপ বাড়িয়ে ফেলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন