তাবিজ-কবচ এবং মুসলমান
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
Nazmun Nahar এতে♥ নারীদের আমল ঘর ♥
"তাবিজ" ব্যবহার করা হারাম। নিন্মে রেফারেন্স সহ দলীল সমূহ পেশ করা হল:
1) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
( ﻣﻦ ﻋﻠﻖ ﺷﻴﺌﺎ ﻭﻛﻞ ﺇﻟﻴﻪ )
“যে ব্যক্তি কোন জিনিষ লটকাবে, তাকে ঐ জিনিষের দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে”।
[তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী (রঃ) হাসান বলেছেন। ( দেখুনঃ সহীহুত্ তিরমিযী হা নং- ২০৭২ )]
1) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
( ﻣﻦ ﻋﻠﻖ ﺷﻴﺌﺎ ﻭﻛﻞ ﺇﻟﻴﻪ )
“যে ব্যক্তি কোন জিনিষ লটকাবে, তাকে ঐ জিনিষের দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে”।
[তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী (রঃ) হাসান বলেছেন। ( দেখুনঃ সহীহুত্ তিরমিযী হা নং- ২০৭২ )]
2) কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন লোক পাঠিয়ে বলে দিলেন যেঃ
ﺃَﻥْ ﻻَ ﻳَﺒْﻘَﻴَﻦَّ ﻓِﻲ ﺭَﻗَﺒَﺔِ ﺑَﻌِﻴﺮٍ ﻗِﻼَﺩَﺓٌ ﻣِﻦْ ﻭَﺗَﺮٍ ﺃَﻭْ ﻗِﻼَﺩَﺓٌ ﺇِﻻَّ ﻗُﻄِﻌَﺖْ
“কোন উটের গলায় ধনুকের রশি বা গাছের ছাল দিয়ে তৈরী হার ঝুলানো থাকলে অথবা যে কোন মালা থাকলে সেটি যেন অবশ্যই কেটে ফেলা হয়।”
[বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব।]
ﺃَﻥْ ﻻَ ﻳَﺒْﻘَﻴَﻦَّ ﻓِﻲ ﺭَﻗَﺒَﺔِ ﺑَﻌِﻴﺮٍ ﻗِﻼَﺩَﺓٌ ﻣِﻦْ ﻭَﺗَﺮٍ ﺃَﻭْ ﻗِﻼَﺩَﺓٌ ﺇِﻻَّ ﻗُﻄِﻌَﺖْ
“কোন উটের গলায় ধনুকের রশি বা গাছের ছাল দিয়ে তৈরী হার ঝুলানো থাকলে অথবা যে কোন মালা থাকলে সেটি যেন অবশ্যই কেটে ফেলা হয়।”
[বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব।]
3) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺮُّﻗَﻰ ﻭَﺍﻟﺘَّﻤَﺎﺋِﻢَ ﻭَﺍﻟﺘِّﻮَﻟَﺔَ ﺷِﺮْﻙٌ )
“ঝাড়-ফুঁক করা, তাবীজ লটকানো এবং স্বামী বা স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা সৃষ্টির জন্যে যাদুমন্ত্রের আশ্রয় নেয়া শির্ক”।
[আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী হাদীছ সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে সহীহা হাদীছ নং- (৬/১১৬১)। এখানে যে ঝাড়ফুঁক করাকে শির্ক বলা হয়েছে, তা দ্বারা শির্কী কালামের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক উদ্দেশ্য। তবে ঝাড়ফুঁক যদি আল্লাহর কালাম, আল্লাহর সিফাত বা সহীহ হাদীছে বর্ণিত কোন বাক্যের মাধ্যমে হয়, তাতে কোন অসুবিধা নেই।]
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺮُّﻗَﻰ ﻭَﺍﻟﺘَّﻤَﺎﺋِﻢَ ﻭَﺍﻟﺘِّﻮَﻟَﺔَ ﺷِﺮْﻙٌ )
“ঝাড়-ফুঁক করা, তাবীজ লটকানো এবং স্বামী বা স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা সৃষ্টির জন্যে যাদুমন্ত্রের আশ্রয় নেয়া শির্ক”।
[আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী হাদীছ সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে সহীহা হাদীছ নং- (৬/১১৬১)। এখানে যে ঝাড়ফুঁক করাকে শির্ক বলা হয়েছে, তা দ্বারা শির্কী কালামের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক উদ্দেশ্য। তবে ঝাড়ফুঁক যদি আল্লাহর কালাম, আল্লাহর সিফাত বা সহীহ হাদীছে বর্ণিত কোন বাক্যের মাধ্যমে হয়, তাতে কোন অসুবিধা নেই।]
4) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য এক হাদীছে বলেনঃ
( ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻖَ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً ﻓﻼ ﺃﺗﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﻭﻣﻦ ﻋﻠﻖ ﻭﺩﻋﺔ ﻓﻼ ﻭﺩﻉ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ)
“যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো, আল্লাহ্ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন। আর যে ব্যক্তি রুগমক্তির জন্যে শামুক বা ঝিনুকের মালা লটকালো, আল্লাহ্ যেন তাকে শিফা না দেন”।
[ হাকেম, (৪/২১৯। ইমাম আলবানী (রঃ) হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে যঈফা, (৩/৪২৭)]
( ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻖَ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً ﻓﻼ ﺃﺗﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﻭﻣﻦ ﻋﻠﻖ ﻭﺩﻋﺔ ﻓﻼ ﻭﺩﻉ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ)
“যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো, আল্লাহ্ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন। আর যে ব্যক্তি রুগমক্তির জন্যে শামুক বা ঝিনুকের মালা লটকালো, আল্লাহ্ যেন তাকে শিফা না দেন”।
[ হাকেম, (৪/২১৯। ইমাম আলবানী (রঃ) হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে যঈফা, (৩/৪২৭)]
5) তিনি অন্য এক হাদীছে বলেনঃ
( ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻖَ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺷْﺮَﻙَ )
“যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো সে শির্ক করল”।[ মুসনাদে আহমাদ, (৪/১৫৬) ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, দেখুন সিলসিলায়ে সহীহা হাদীছ নং- (১/৮০৯)]
( ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻖَ ﺗَﻤِﻴﻤَﺔً ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺷْﺮَﻙَ )
“যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো সে শির্ক করল”।[ মুসনাদে আহমাদ, (৪/১৫৬) ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, দেখুন সিলসিলায়ে সহীহা হাদীছ নং- (১/৮০৯)]
6) নবী (সাঃ) এক ব্যক্তির হাতে পিতলের একটি আংটা দেখে বললেনঃ এটি কী? সে বললঃ এটি দুর্বলতা দূর করার জন্যে পরিধান করেছি। তিনি বললেনঃ
( ﺍﻧْﺰِﻋْﻬَﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺰِﻳﺪُﻙَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫْﻨًﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﻟَﻮْ ﻣِﺖَّ ﻭَﻫِﻲَ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻣَﺎ ﺃَﻓْﻠَﺤْﺖَ ﺃَﺑَﺪًﺍ )
“তুমি এটি খুলে ফেল। কারণ এটি তোমার দুর্বলতা আরো বাড়িয়ে দিবে। আর তুমি যদি এটি পরিহিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর, তাহলে তুমি কখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে না”।
[মুসনাদে আহমাদ, দেখুনঃ আহমাদ শাকেরের তাহকীক, (১৭/৪৩৫) তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
( ﺍﻧْﺰِﻋْﻬَﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺰِﻳﺪُﻙَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫْﻨًﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﻟَﻮْ ﻣِﺖَّ ﻭَﻫِﻲَ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻣَﺎ ﺃَﻓْﻠَﺤْﺖَ ﺃَﺑَﺪًﺍ )
“তুমি এটি খুলে ফেল। কারণ এটি তোমার দুর্বলতা আরো বাড়িয়ে দিবে। আর তুমি যদি এটি পরিহিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর, তাহলে তুমি কখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে না”।
[মুসনাদে আহমাদ, দেখুনঃ আহমাদ শাকেরের তাহকীক, (১৭/৪৩৫) তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
7) হুজায়ফা (রাঃ) দেখলেন এক ব্যক্তির হাতে একটি সুতা বাঁধা আছে। তিনি তা কেটে ফেললেন এবং কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেনঃ
) ﻭَﻣَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺃَﻛْﺜَﺮُﻫُﻢْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺇﻻَّ ﻭَﻫُﻢْ ﻣُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ (
“তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে”। (সূরা ইউসুফঃ ১০৬)
৮) সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) বলেনঃ
যে ব্যক্তি কোন মানুষের শরীর থেকে একটি তাবীজ কেটে ফেলল, সে একটি গোলাম আযাদ করার ছাওয়াব পেল। সাঈদ বিন জুবায়েরের এই কথাটি নবী (সাঃ) হতে বর্ণিত মারফু হাদীছের পর্যায়ভুক্ত
) ﻭَﻣَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺃَﻛْﺜَﺮُﻫُﻢْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺇﻻَّ ﻭَﻫُﻢْ ﻣُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ (
“তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে”। (সূরা ইউসুফঃ ১০৬)
৮) সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) বলেনঃ
যে ব্যক্তি কোন মানুষের শরীর থেকে একটি তাবীজ কেটে ফেলল, সে একটি গোলাম আযাদ করার ছাওয়াব পেল। সাঈদ বিন জুবায়েরের এই কথাটি নবী (সাঃ) হতে বর্ণিত মারফু হাদীছের পর্যায়ভুক্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন