রূপক রায়-এর কলাম ( দুই )
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
Rupok Roy
নবীর সুন্নত এবং নবীর আদর্শ !
কোরানের ৬৮/৪ নং আয়াতে মুহম্মদ সম্পর্কে বলা হয়েছে,
"এতে সন্দেহ নেই যে, তুমি নৈতিকতার অতি উচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত।"
এছাড়াও কোরানের ৩৩/২১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
"প্রকৃতপক্ষে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে এক সর্বোত্তম নমুনা বর্তমান।"
কোরানের এই দুই আয়াতের প্রেক্ষাপটে এবার নবীর জীবন থেকে কিছু ঘটনা আলোচনা করে দেখবো যে, আসলেই সেগুলো কোনো মানুষের পক্ষে পালন করা বা মেনে চলা সম্ভব কি না ?
ঘটনা- ১। মুহম্মদ, ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের বিধবা নারীকে, তার দুই যুবতী কন্যা থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করেছে, বর্তমানে কোনো মুসলমান যদি এটা করে তাকে সমাজ কী চোখে দেখবে? আর দুইটি বিবাহযোগ্যা কন্যা থাকা সত্ত্বেও যদি কোনো ৪০ বছর বয়স্কা মহিলা, কন্যাদেরকে বিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে নিজে কোনো যুবককে বিয়ে করে বসে, সেক্ষেত্রেই বা সমাজ তাকে কোন চোখে দেখবে ? এছাড়াও মুহম্মদ, খাদিজাকে বিয়ে করে খাদিজার বাড়িতেই ঘর জামাই ছিলো, ফলে ঘর জামাই থাকা নবীর সুন্নত, বর্তমানে কয়জন মুসলমান নবীর এই সুন্নত পালন করতে আগ্রহী ?
ঘটনা- ২। নবী, প্রাণ বাঁচানোর জন্য মক্কা থেকে মদীনায় পালিয়ে গিয়েছিলো। সর্বশক্তিমান আল্লার দোস্তকে এভাবে পালাতে হবে কেনো ? এছাড়াও এই ঘটনা আমাদেরকে এটা বলে যে প্রাণ বাঁচাতে পালানো নবীর সুন্নত, তাহলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে তো নবীর সুন্নতই পালন করেছে, সেক্ষেত্রে মায়ানমারের লোকজন, রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে নবীর সুন্নত পালনে সহায়তা করেছে বলা যায়, তারপরও রোহিঙ্গা বিতাড়নের জন্য মায়ানমারের লোকজনকে মুসলমানরা দায়ী করছে কেনো ?
ঘটনা- ৩। মদীনায় পালিয়ে পাওয়ার মাস ছয়েক পর থেকেই মুহম্মদ এবং তার অনুসারীরা, কোরাইশদের বাণিজ্য কাফেলায় হামলা করে কুরাইশদের টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি লুঠ করতে শুরু করে, এটাকে ডাকাতি বলা যায় কি না বা একজন নবী, যিনি একটি শান্তির ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, তিনি এমন কাজ করতে পারেন কি না ?
মুসলমানরা বলবে- না, নবী এই ধরণের কাজ করে নি। যারা এই কথা বলবে, তাদেরকে বলছি নিচের এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে-
" তোমরা কি এমন লোকদের সাথে লড়াই করবে না... যারা রসূলকে দেশ হতে বহিষ্কার করার সংকল্প করেছিলো ?" - (কোরান, ৯/১৩)
অবশ্য এর ব্যাখ্যায় মুসলমানরা বলবে, নবী আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধে মুসলমানদেরকে উপরের এই আয়াত দ্বারা যুদ্ধ করতে উদ্ধুদ্ধ করেছিলো। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ বলতে কিছু নেই, যেসব যুদ্ধ মুসলমানরা করেছে সবই আক্রমণাত্মক, শুধু বদরের যুদ্ধ ছিলো দুই পক্ষের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ, কিন্তু এই যুদ্ধও মুহম্মদ এবং তার ডাকাত বাহিনীর, কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলায় হামলার প্রত্যুত্তরেই ঘটেছিলো।
ঘটনা- ৪। মুহম্মদের এই সব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলায়, মুহম্মদ গুপ্ত ঘাতক পাঠিয়ে তিন জন ইহুদি কবিকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করায়, এতে মুহম্মদকে সন্ত্রাসী বলা যায় কি না ? যে সব মুসলমান, এই ঘটনাকে মিথ্যা বলবে, তাদেরকে প্রশ্ন করছি, কেনো ইসলামে কবিতা লিখা হারাম, সেই ব্যাখ্যাটা ক্ষমতা থাকলে দিয়ে যাস।
ঘটনা- ৫। মুহম্মদ, ৫০ বছর বয়সে ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছে এবং তার ৩ বছর পর আয়েশার সাথে সেক্স করেছে, নবীর কথা না বাদই দিলাম, একজন সাধারণ মুসলমানের পক্ষেও এই ধরণের কাজ করা শোভা পায় কি না ? এই আয়েশা ছিলো মুহম্মদের জিগিরি দোস্ত আবু বকরের মেয়ে, আপনি আপনার বৃদ্ধ বয়সে আপনার বন্ধুর শিশুকন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবেন কি না ?
না বলবেন না, মুহম্মদ কিন্তু মুসলমানদের জন্য সর্বোচ্চ আদর্শ, তার আদর্শ পালন করাই কিন্তু মুসলমানদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য এবং বেহেশতে গিয়ে ৭২ হুরকে দোচার একমাত্র পথ।
ঘটনাসমূহ- ৭। মুহম্মদ, বৃদ্ধ বয়সে ২০/২২ টা বিয়ে করেছে, কোনো সাধারণ মুসলমান তার এই সুন্নত পালন করার কথা ভাবতে পারবে কি না এবং কোনো মুসলমান যদি তার এই সুন্নত পালন করতে চায় বা যায়, সমাজের লোকজন তাকে লম্পট, চরিত্রহীন ও বিয়ে পাগলা বুড়ে বলবে কি না ?
ঘটনা- ৮। মুহম্মদ, তার পালক পুত্রের স্ত্রী জয়নাবকে বিয়ে করেছে, এটা কোনো সভ্য সমাজে মানায় কি না ?
মুহম্মদের এই কুকর্মকে অনুসরণ করে কোনো মুসলমান যদি তার ছেলের বউকে ধর্ষণ করে তাহলে সেই নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে এবং শশুরকে তার বিয়ে করতে হবে, এর দ্বারা মুসলমানদেরকে লাম্পট্যে উৎসাহিত করা হয়েছে কি না ?
ঘটনা- ৯। মুহম্মদের একাধিক যৌনদাসী ছিলো এবং মারিয়া কিবতিয়া নামক এক যৌনদাসীর গর্ভে মুহম্মদ ইব্রাহিম নামক এক পুত্রেরও জন্ম দিয়েছিলো, বর্তমানে কয়জন মুসলমান, মুহম্মদের এই আদর্শকে মনে লালন ও তাকে বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাখে ?
ঘটনা- ১০। মুহম্মদ, কুরাইজা গোত্রের প্রায় ৮০০ ইহুদিকে একদিনে হত্যা করে তাদের সকল সম্পত্তি ও নারী শিশুদেরকে দখল করে মুহম্মদ ও তার সাহাবী ভোগ করেছে, এতে মুহম্মদকে খুনী এবং সন্ত্রাসীদের গড ফাদার বলা যায় কি না বা একজন নবীর পক্ষে এমন কাজ করা মানায় কি না ?
ঘটনা- ১১। একই ঘটনা মুহম্মদ ঘটায় খয়বরের যুদ্ধে এবং যেদিন সাফিয়ার স্বামীকে হত্যা করে সেই রাতেই মুহম্মদ সাফিয়াকে বিয়ের নামে ধর্ষণ করে, এটা একজন ধর্ম প্রচারকের কোন ধরণের কাজ ? এতে মুহম্মদকে ধর্ষক বলা যায় কি না এবং এই ধরণের কাজ কোনো মানুষের পক্ষে করা শোভা পায় কি না ?
ঘটনাপ্রবাহ- ১২। যুদ্ধ থেকে ধরে এনে মুহম্মদ, তার অনুসারীদেরকে, অমুসলিম মেয়েদেরকে ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছে এবং নিজেও অনেক যুদ্ধবন্দিনীকে ধর্ষণ করেছে, এতে মুহম্মদকে ধর্ষক বলা যায় কি না এবং মুহম্মদের এই ধরণের কাজ অমানবিক কি না ?
ঘটনাপ্রবাহ- ১৩। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ধরে আনা নারী ও শিশুদেরকে মুহম্মদ এবং তার সাহাবীরা দাস হিসেবে বাজারে বিক্রি করতো, এটা অমানবিক কিনা এবং বর্তমানে কোনো মুসলমান এবং কোনো মুসলিম দেশের সরকার এটা করার ক্ষমতা রাখে কি না ?
শুধু তাই নয়, অমুসলিমদের সম্পদকে গনিমতে মাল আখ্যা দিয়ে সেগুলো লুট করে এনে ভোগ করা মুসলমানদের জন্য বৈধ করেছে মুহম্মদ, এটা কোন ধরণের নীতি ? এই গনিমতের মালের ভাগ আবার আল্লাও নেয়, এই আল্লা কোনো সৃষ্টির্কতা হতে পারে কি না ?
ঘটনাপ্রবাহ- ১৪। ইসলামের স্বার্থে মুহম্মদ, তার অনুসারীদেরকে মিথ্যা বলতে ও প্রতারণা করতে বলেছে, বর্তমানে কয়জন মুসলমান নবীর এই নীতিকে মন থেকে মেনে নিতে পারে বা পারবে ?
ঘটনাপ্রবাহ- ১৫। যে ব্যক্তি ইসলাম ত্যাগ করেছে, মুহম্মদ তাকে হত্যা করেছে, বর্তমানে কয়জন মুসলমান, মুহম্মদের এই সন্ত্রাসী নীতিকে পালন করতে সক্ষম ?
ঘটনাপ্রবাহ- ১৬। মুহম্মদের কাছে প্রতিজ্ঞার কোনো মূল্য ছিলো না, দেখুন নিচে-
“আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না। সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস-৪২৭”।
এছাড়াও প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেই সে মক্কা আক্রমন করেছিলো, মুহম্মদের এই আদর্শ যে ব্যক্তি পালন করবে, সে মানুষ হিসেবে গন্য হবে কি না ?
ঘটনাপ্রবাহ - ১৭। মুহম্মদের মদীনার জীবন শুধু খুন-ধর্ষণ-লুঠপাট ও ডাকাতিতে ভরা, এটা কিভাবে কোনো মানুষের আদর্শ হতে পারে ? আর এই নরপিশাচকে যারা অনুসরণ করে বা আদর্শ হিসেবে মানে তারা কিভাবে মানুষ হতে পারে ?
ঘটনাপ্রবাহ- ১৮। মুহম্মদ নিজে ২০/২২ টা বিয়ে করে তার অনুসারীদেরকে বলে গেছে সর্বোচ্চ চারটা স্ত্রী রাখতে, চার সতীনের সংসার কিভাবে একটি আদর্শ পরিবার হতে পারে ?
ঘটনা- ১৯। মুহম্মদ নিজে তার কন্যা ফাতেমার সাথে তার ভাতিজা আলীর বিয়ে দিয়েছে, এটা সমাজ বিজ্ঞানের কোনো নীতির মধ্যে পড়ে কি না ? বা বর্তমানের কোনো মুসলমানের পক্ষে এই সুন্নত মানা সম্ভব কি না ?
ঘটনাপ্রবাহ- ২০। মুসলমানরা মুহম্মদের আদর্শ মেনে- চাচাতো, মামাতো ফুফাতো বোনদেরকে বিয়ে করে, এর ফলে বিয়ের আগেই তাদের মধ্যে ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট হয়ে ধর্ষক ও ধর্ষিতার সম্পর্ক তৈরি হয় কি না ?
কোরানে বলা হচ্ছে, মুহম্মদ- মুসলমানদের জন্য সর্বোচ্চ আদর্শ; কিন্তু এই আদর্শ যদি কোনো মুসলমান মানতে যায় বা দেখাতে যায়, সে- ধর্ষক, লম্পট, খুনী, সন্ত্রাসী, লুটেরা, মিথ্যুক, এককথায় জঘন্যতম বর্বর অমানুষ হিসেবে প্রমানিত ও প্রতিষ্ঠিত হবে, যেমন হয়েছিলো আইএস জঙ্গীরা ইরাক ও সিরিয়ায়, যে কারণে বর্তমানে তারা নিশ্চিহ্ন ।
বাস্তবে মুহম্মদের কোনো আদর্শকে মুসলমানরা প্র্যাকটিক্যালি মানতে না পারলেও, মানসিকভাবে মুসলমানরা মুহম্মদকেই নিজেদের আদর্শ মানে, যা এক প্রকার ভণ্ডামী, এই ভণ্ডামীর মাধ্যমে তবু মুসলমানরা টিকে আছে, কিন্তু যখনই তারা মুহম্মদের আদর্শ মেনে নিজেদেরকে আসল মুসলমান হিসেবে তুলে ধরবে, অমনি তারা জঙ্গী হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং নিজ দেশের সরকার বা আমেরিকা রাশিয়ার বোমা গুলি খেয়ে মরবে; কেননা, সন্ত্রাসই হলো শান্তির ধর্ম ইসলামের মূল কথা, যে কথক মুহম্মদ স্বীকার করে গিয়েছে এই ভাবে-
"আমি বিজয়ী হয়েছি সন্ত্রাসের মাধ্যমে।" - (বুখারি, ৪/৫২/২২০)
জয় হিন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন