কর্ম কর্মফল নিষ্কাম কর্ম নিষ্কাম কর্মতত্ত্ব নিষ্কাম কর্মতত্ত্ববাদ এবং...
কর্ম করিও !
কিন্তু কর্মফল
কামনা করিও না !
কিন্তু
ফল চাহিনা বলে
কর্মে বিরত হইও না !
কর্ম অবশ্যই করিবে
কিন্তু কর্মফল কামনা করিয়া
কর্ম করিবে না !
এটাই নিষ্কাম কর্ম
এবং নিষ্কাম কর্মতত্ত্ব
এবং নিষ্কাম কর্মতত্ত্ববাদ !
এইরূপ
মানুষের হিতকর
মহামহিমময় ধর্মোক্তি
জগতে
আর কখনও
ভারতবর্ষ ছাড়া কোথাও
প্রচারিত হয় নি !
হবেও না !
কেবল ভগবানের
প্রসাদেই
সনাতন ধর্মের
হিন্দুরা
এই রকম
অতি পবিত্র
ধর্মতত্ত্ব
লাভ করেছিলেন !
এখানে কর্ম অর্থে
বেদ-বর্ণিত
যাগ-যজ্ঞ ইত্যাদি
কর্ম
বোঝানো হয়েছে !
অন্য যে কোন কর্ম
মানেই
কর্ম নয় !
বেদোক্ত
এবং
শাস্ত্রোজ্ঞ
যাগ-যজ্ঞই
আসলে কর্ম !
ফলহীন
এবং
ফলাফলহীন
দিশাহীন
নিষ্কাম কর্মই
কর্ম !
সেই নিষ্কাম কর্মের
ফাঁকে
এবং নিষ্কাম কর্মতত্ত্বের
ফাঁদে
মুসলমানরা
ক্ষেপে ক্ষেপে
ভারতবর্ষ
আটশো বছর ধরে
লুঠ
সন্ত্রাস
হত্যা
বেদখল ইত্যাদি
কায়েম
করেছিল !
হাজার হাজার
মন্দির
ধ্বংস করেছিল !
রাম মন্দিরের ওপর
বাবরি মসজিদ-এর
পাথরের চাঙড় বসিয়েছিল !
কৃষ্ণ মন্দির
বিশ্বনাথ মন্দির
কলুষিত
করেছিল !
হাজার হাজার
লক্ষ লক্ষ
কোটি কোটি
হিন্দুদের
ধর্মান্তর ঘটিয়েছিল !
হিন্দু নারীদের
লুঠ করেছিল !
ধর্ষণ করেছিল !
হিন্দু সভ্যতা
হিন্দু সংস্কৃতি
ধ্বংস করেছিল !
বিশ্ববন্দিত
প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি
প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
পুঁথি-পত্র সমেত
ধ্বংস করে
আগুন ধরিয়েছিল !
সুতরাং
কর্ম কর্মফল নিষ্কাম কর্ম নিষ্কাম কর্মতত্ত্ব নিষ্কাম কর্মতত্ত্ববাদ ইত্যাদি ইত্যাদি সব শাস্ত্রীয় মতবাদগুলি
মতভেদগুলি
আপাতত দু-চার শতাব্দ-এর জন্য
মুলতুবি রাখতে হবে !
এবং...
ভারতকে
আবার
আগের সুগৌরবের জায়গায়
হিন্দুসভ্যতার আঙ্গিনায়
বিজয়ী বানিয়ে
তুলে আনতে হবে !
* প্রেক্ষিত : মহান ভগবত গ্রন্থ, শ্রীমদ্ভাগবতগীতা অবলম্বনে লিখিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন