শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা

 

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

RANAKPUR

RANAKPUR

SHARED BY PRANAB KUMAR KUNDU

PRANAB KUMAR KUMDU

 

Ranakpur
 
 

Ranakpur Banner.jpg

Ranakpur is a village in Rajasthan in the West of India. It is famous for its exquisite white marble Jain Temple. Ranakpur Temple is open to tourists in the afternoon only. Mornings are reserved for prayers. Visitors are welcome from noon to 5pm.

Get in

From Jodhpur, take a train to Falna station (INR250) and get a taxi to Ranakpur (INR~350). Ranakpur is reachable by car or bus from Udaipur as well.

Distances:

Get around

Ranakpur is a small village, and there are no rickshaws or taxis to take you around. Near the Ranakpur Temple, you can hire a private car to take you to hotels in and around the village. Most tourists make Ranakpur a stop on a day trip from Udaipur, although there are a number of nice hotels nearby.

See

Ranakpur Temple
 
Ranakpur Temple

The Ranakpur Temple is one of the most famous Jain temples in Rajasthan and dedicated to the first Jain Tirthankar (enlightened human) of our time cycle, Adinath (aka Lord Rishabha). It is a very big temple (ceiling around 7m high), constructed of white marble and has sculptures of the same quality but of a different type than Dilwara

The exterior is also striking. 

It has approximately 1440 exquisitely carved white marble columns, none of which are alike.

To enter the temple, you must be appropriately dressed. Women need to cover their legs well below the knee. Leather products (including belts) are not allowed. If you are carrying a camera you will need to "donate" 100 rupees (Feb 2013) for each camera. If you have a cell phone with a camera, you will need another ticket for that or leave the cell phone in your taxi. The guard at the entrance will find it with a metal detector and tell you "one ticket, one camera."

Be aware that if approached by a Jain monk and he offers to show you various "special" images that are usually shrouded, he will rather aggressively and persistently "ask" for a "donation."

Nearby, there are two smaller temples built after two other Jain Tirthankars, Neminath and Parsvanath. There is also a small temple built near the main temple for the Hindu Sun God, Surya.

Ranakpur Temple is open to tourists in the afternoon only. Mornings are reserved for prayers. Visitors are welcome from noon to 5pm.

Sleep

  • Hotel Maharani Bagh, Tel: 91-2934-285151, spacious, clean rooms set among a mango grove. Doubles are around INR5,000 per night. Room service is slow, especially in the morning.
  •  
  • You can get a room in the temple premises for INR200 a night. The rooms, which were constructed for temple devotees, are spartan but have attached toilet/bathrooms. Hot water for bathing is available in the morning. A breakfast thali is available for INR15. The temple has a right to refuse you a room, so it's best to present yourself in a humble manner and be willing to learn more about Jainism. Hindus should have no problem getting a room.
  •  
  • Shivika Lake Hotel, Near Jain Temple (Near Ranakpur temple, below the Aravali mountain range, on the shore of lake Nalwania), 0091-9829191099, [1]. checkin: 12:00 noon; checkout: 12:00 noon. Shivika Lake Hotel is set in an idyllic setting with hills all around. Shivika Lake Hotel has in total 13 rooms and 5 tented accommodations. All rooms are tastefully and traditionally furnished with local material, colour & design. The rooms give a camp atmosphere with modern amenities. You can also trek or have a safari from there.  edit
  •  
  • Fateh Bagh, Ranakpur, Ranakpur Road, Ranakpur, District Pali, Rajasthan, 02934 286 186, [2]. Fateh Bagh is a recreation of 200 years old beautiful ruined palace of Rawla Koshilav Palace with period furniture and ethnic décor with each guest room seems to have staged a story indigenously recreated into marvelous luxury hotel.  edit
  •  
  • Mana Hotels, Ranakpur, Sadari, Ranakpur Road, Near Ranakpur Temple Ranakpur, Rajasthan 306702 India, 01148080000, [3]. Spread over 3 acres, Mana Hotels, Ranakpur is a beautiful modern interpretation of traditional Rajasthani architecture. The hotel provides full modern amenities while giving guests a chance to experience local culture, cuisines and religions. The hotel is a short 15 minute drive from the Ranakpur Jain Temple.  edit


Do

  • Jeep Safari or nature hike through the Ranakpur Valley or the nearby Kumbhalgarh Wildlife Sanctuary [[5]]
  •  
  • Horseback Safari through the Aravalli Mountains, the Ranakpur Valley and the Kumbhalgarh Wildlife Sanctuary [[6]]
  •  
  • Virendra Singh Shaktawat (info@princesstrails.com), Udaipur, +91-98290-42012, [4]. Arranges horseback safaris from Udaipur to Ranakpur, around the Aravalli Mountains and through the Kumbhalgarh Wildlife Sanctuary. Contact also for jeep safaris, night drives and nature hikes around Ranakpur.  edit

Get out

A local bus to Udaipur stops right outside the Ranakpur Temple every hour and costs INR45. The journey back to Udaipur takes around 3 hours.

You may go by bus to Mount Abu, a relaxing, peaceful hill resort, a nice place to rest and hike. A bus goes every 30 minutes to Sandera. From there buses leave to Mt. Abu or Abu Road (27km downhill from Mt. Abu, around INR200 for uphill taxi).


Shared by Pranab Kumar Kundu, Naihati, Pin 743165



রেডিয়াম কন্যারা

 

রেডিয়াম কন্যারা 

শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু

প্রণব কুমার কুণ্ডু


অন্ধকারে আজও দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন যারা


১৯২৭ সালের ১৫ই অক্টোবর, শরতের এক সকালে নিউ জার্সির রোজডেল সেমেটেরিতে জড়ো হয়েছেন কিছু মানুষ। সারি সারি সমাধি পেরিয়ে তারা হাজির হলেন একটি বিশেষ সমাধিস্তম্ভের সামনে। সেখানে শায়িত মানুষটির নাম অ্যামিলিয়া মলি ম্যাগিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের রেডিয়াম কর্পোরেশন, United States Radium Corporation (USRC) এর এই কর্মচারী গত হয়েছেন পাঁচ বছর আগেই। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে সিফিলিস। যদিও এটি মেনে নেয়নি তার পরিবার এবং পরিচিতজনেরা। এর পাঁচ বছর পর মলির কবর খোঁড়া শুরু হলো। মাটির নিচ থেকে উঠানো হলো তার কফিন। মৃত্যুর সময় বন্ধ করে দেওয়া সেই কফিনের ঢাকনা খোলা হলো আবার। সাথে সাথে হতভম্ব হয়ে গেলো উপস্থিত সবাই। খুব মৃদুভাবে, মলির প্রাণহীন দেহ থেকে আলো বিকিরিত হচ্ছে। মলি জ্বলছে। আর এর কারণও বুঝতে বাকি রইলো না কারোরই।

কারখানায় কাজ করছেন রেডিয়াম কন্যারা; Source: cnn.com

সময়টা তখন বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ। বাজারে তখন আভিজাত্য এবং শৌখিনতার প্রতীক হয়ে এসেছিল এমন কিছু ঘড়ি, যেগুলোর ডায়াল অন্ধকারে জ্বলত। ঘড়িগুলোর এ দীপ্তির জন্য সূর্যালোকে চার্জ দেবারও কোনো প্রয়োজন হতো না! অন্ধকারে এই ঘড়িগুলো যেমন ছিল উপকারী, তেমনই জনপ্রিয়। ঘড়িগুলোর এমন উজ্জ্বলতার পিছনে ছিল এক বিশেষ ধরনের রং, যার বদৌলতেই ঘড়িগুলোর কাঁটা এবং নম্বরগুলো অন্ধকারে জ্বলতো। ব্যাপারটি তখনকার মানুষের কাছে ছিল যেন এক জাদুর মতোই।

এই ধরনের ঘড়ি প্রস্তুতকারী প্রথম কারখানা স্থাপিত হয় ১৯১৬ সালে, নিউ জার্সিতে। মাত্র ৭০ জন নারী কর্মচারী দিয়ে শুরু হওয়া এই কারখানার শ্রমিক পরবর্তীতে কয়েক হাজারে পরিণত হয়, কারখানার সংখ্যাও বাড়ে বহুগুণ। অন্ধকারে জ্বলা এই ঘড়িগুলোর ডায়াল রং করার কাজটি ছিল বেশ সূক্ষ্ম। সূচারুভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সেই নারী কর্মচারীদের ঐ বিশেষ রঙে ভেজা তুলির শীর্ষ ঠোঁট দিয়ে সূচালো করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু যে বিশেষ রং এ কাজের জন্য ব্যবহার করা হতো তার উপাদান ছিল রেডিয়াম নামক একটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ, যেটি আবিষ্কৃত হয়েছিল এর অল্প কয়েক বছর আগে। প্রতিটি তুলির আঁচড়ের সাথে সাথে একটু একটু করে রেডিয়াম গ্রহণ করছিল এই কারখানার নারী কর্মচারীরা। পরবর্তীতে তাদের নাম হয়, ‘রেডিয়াম গার্লস’

সে আমলে রেডিয়াম মিশ্রিত জল রেডিথর স্বাস্থ্যবর্ধক টনিক হিসেবে সেবন করা হতো; Source: cnn.com

সকল রোগের মহৌষধ

১৮৯৮ সালে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করেন। “আমার সুন্দর রেডিয়াম”, বলতেন কুরি, রেডিয়ামের মায়ায় মুগ্ধ ছিলেন খোদ তার আবিষ্কারকই। মানুষের শরীরের টিস্যু ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকায় একে ক্যান্সারের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয় অচিরেই। ‘দ্য রেডিয়াম গার্লস’ এর লেখক কেট মুর বলেন,

“যেহেতু ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিয়ামের ব্যবহার সুফল আনে, সেকারণে মানুষের মাঝে একে ‘সর্বরোগের মহৌষধ’ হিসেবে মনে করার চল হয়। আমরা যেভাবে ভিটামিন সেবন করি, ঠিক সেভাবে রেডিয়ামকে বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে সেবন করার প্রবণতা দেখা দেয়। রেডিয়াম নিয়ে মানুষের এতটাই আকর্ষণ ছিল।” 

রেডিয়ামের উন্মাদনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বক্ষেত্রে। নিত্যদিনের ব্যবহার্য বস্তু- টুথপেস্ট, প্রসাধনী, এমনকি খাবার এবং পানীয়তেও ব্যবহার করা হয় রেডিয়াম। এরকম একটি দ্রব্য ছিল রেডিথর, যা মূলত ডিস্টিলড ওয়াটার এবং রেডিয়ামের মিশ্রণ ছাড়া আর কিছুই না। অথচ বিজ্ঞাপনে একে ‘জীবন্মৃতের নিরাময়’ তথা ‘A Cure for the Living Dead’ বা ‘Perpetual Sunshine’ বলে প্রচার করা হতো। বাতের ব্যথা থেকে শুরু করে আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হতো!

‘স্ট্রেইঞ্জ গ্লো: দ্য স্টোরি অব রেডিয়েশন’ বইয়ের লেখক অধ্যাপক টিমোথি জর্গেনসন বলেন,

“সেই সময় মানুষ জানতো যে, রেডিয়াম থেকে শক্তি বিকিরিত হয়। সে কারণে তারা নিজেদের শরীরে বাড়তি শক্তি যোগ করার মধ্যে কোনো দোষ খুঁজে পায়নি। যেসকল রোগে ব্যক্তির মধ্যে ক্লান্তি দেখা দিত, সেসবের চিকিৎসার জন্য রেডিয়াম দ্বারা প্রস্তুতকৃত দ্রব্য ব্যবহার করা হতো, তা অবসাদ থেকে শুরু করে ধ্বজভঙ্গ– সবখানেই।”

কিন্তু আদতে রেডিয়াম ছিল ভয়ঙ্কর এক তেজষ্ক্রিয় পদার্থ। এবেন বাইয়ার্স নামের একজন ক্রীড়াবিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত রেডিয়াম পানি সেবনের জন্য পরিচিত ছিলেন, রেডিয়ামের বিষক্রিয়ায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩২ সালে। মৃত্যুর সময় তার চোয়াল খুলে এসেছিল।

রেডিয়াম মিশ্রিত রঙের বিজ্ঞাপন; Source: cnn.com

এক ভয়ঙ্কর মন্থর ঘাতক

সেবনের পর রেডিয়াম হয়ে ওঠে অত্যন্ত বিপদজনক। কারণ, এটি অনেকটা ক্যালসিয়ামের মতো আচরণ করে। এর ফলে মানবদেহ একে ক্যালসিয়াম হিসেবে হাড়ের গঠনের কাজে ব্যবহার করে। এর ফলস্বরূপ পরবর্তীতে তেজষ্ক্রিয়তায় হাড়ের ক্ষয়, অস্থি ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়। কবে আক্রান্ত হবে তা নির্ভর করতো ব্যক্তির রেডিয়াম গ্রহণের মাত্রার ওপর। আর রেডিয়াম গার্লস তথা রেডিয়াম কন্যাদের বেলায় এই মাত্রা ছিল অনেক বেশি। ঘড়ির ডায়ালে ব্যবহৃত সেই ফ্লুরোসেন্ট রং ছিল রেডিয়ামে প্রস্তুতকৃত দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে সফল আবিষ্কার। আর সেই রঙে ভেজা তুলি নিজেদের মুখে প্রবেশ করানোর কারণে তেজষ্ক্রিয়তার ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে পড়ে কারখানার সেই কর্মী নারীরা।

কেনই বা তারা এ কাজটি করতে গেলেন? ঘড়ির ডায়ালের উপর নম্বর রং করার এই সূক্ষ কাজ করতে তুলিটির সূঁচালো শীর্ষের প্রয়োজন, আর ঠোঁটের মাঝে দিয়ে সেটি করাটা ছিল সবচেয়ে সহজ উপায়। কিন্তু রেডিয়াম কন্যারা একেবারে অন্ধভাবে এ কাজে জড়িয়ে পড়েননি। কাজের শুরুতেই, রেডিয়াম ক্ষতিকারক কিনা, এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। স্বভাবতই তারা সেই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেয়। ফলে নিশ্চিন্ত মনে কাজটি শুরু করে দেন রেডিয়াম কন্যারা।

রেডিয়াম সহযোগে চুলের ট্রিটমেন্টের বিজ্ঞাপন; Source: cnn.com

‘চকচক করলেই সোনা হয় না’

যখন অন্ধকারে জ্বলা ঘড়িগুলোর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে, তখনই মানুষ ধীরে ধীরে রেডিয়ামের কুফল সম্পর্কে জানতে শুরু করে। কিন্তু যেহেতু তখনও রেডিয়ামের বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ প্রকাশিত হয়নি, সেহেতু রেডিয়াম ঘড়ি উৎপাদন অব্যাহত থেকেছে। মুর বলেন,

“রেডিয়ামের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এটি ‘স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী’ এমন একটি ভ্রম সৃষ্টি করে, কিন্তু আসলে তা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি বয়ে আনে। অল্প রেডিয়াম সেবনে রক্ত সঞ্চালন সুগম হলেও তাতে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া ঠিকই ঘটতে থাকে।”

মজার বিষয় হলো, রেডিয়াম কন্যারা মনে করতেন যে, সেই সময়ের সবচেয়ে মূল্যবান পদার্থ নিয়ে কাজ করে তারা আরো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হচ্ছেন। এক গ্রাম রেডিয়ামের মূল্য তখন যা ছিল, তা আজকের হিসাবে প্রায় ২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার! রেডিয়াম তখন ছিল আভিজাত্যের অন্য নাম। আর ‘রেডিয়াম গার্লস’দের বেতন ছিল অনেক বেশি। সমাজে রেডিয়াম কন্যাদের শিল্পীর মর্যাদা দেওয়া হতো। স্বভাবতই অর্থ এবং সম্মানের জন্য দলে দলে নারীরা এই পেশায় যোগ দেন। এর মধ্যে কিশোরীরাও ছিল।

রেডিয়াম ঘড়ির কারখানাগুলোতে কাজ করার সময় এর কিছু কিছু লেগে যেত এই নারীদের চুল এবং পোশাকে। রেডিয়ামের উজ্জ্বলতায় আরো উজ্জ্বল হতেন তারা। অনেকে নিজেদের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরে কাজে যেতেন, যাতে সেই উজ্জ্বলতা নিয়ে তারা বিভিন্ন পার্টিতে বেড়াতে যেতে পারতেন। অনেকে নিজেদের রূপ লাবণ্য বাড়াতেও এই পেশায় অংশ নিতেন।

গ্রেস ফ্রেইয়ার, যে সাহসী রেডিয়াম কন্যা প্রথম এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন; Source: thehorrorzine.com

রেডিয়াম চোয়াল

‘২০ এর দশকের শুরুর দিকে রেডিয়াম কন্যাদের অনেকের মাঝে তেজষ্ক্রিয় বিষক্রিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। যেমন- দাঁতে ব্যথা, অবসাদ ইত্যাদি। রেডিয়াম বিষক্রিয়ায় প্রথম মৃত্যু ঘটে ১৯২২ সালে। মারা যান ২২ বছর বয়সী অ্যামিলিয়া মলি ম্যাগিয়া। শুরুতে যার কথা বলা হয়েছিল, সেই মলি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সিফিলিসকে দায়ী করা হলেও আদতে তিনি যে সমস্যায় ভুগছিলেন তার নাম হলো ‘রেডিয়াম চোয়াল’ (Radium Jaw)। তার নিচের চোয়ালের হাড় এতটাই ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল যে, ডাক্তার সেটি ধরে টান দেওয়া মাত্রই তা খুলে এসেছিল! মুর এ বিষয়ে বলেন,

“রেডিয়ামের কারণে সেই নারীদের হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছিল। একপর্যায়ে জীবদ্দশাতেই রেডিয়ামের কারণে তাদের চোয়ালের হাড়ে রীতিমত ফুটো তৈরি হয়। এতটাই প্রাণসংহারী হয়ে উঠেছিল তা।”

অনেকের দাঁত পচে যেতে শুরু করে, ডাক্তার সেই দাঁত ফেলে দিলেও দেখা যেত যে, সেই ফেলে দেওয়া দাঁতের স্থানটি আলসারে আক্রান্ত হতো। অনেকে স্পর্শ করা মাত্রই তাদের হাড় ভেঙে যেতো, চামড়া ফেটে যেতো। অধিকাংশেরেক ই মৃত্যু হতো শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে তীব্র রক্তপাতের কারণে। কিন্তু এসব ঘটনার পরও কোম্পানিগুলোর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আরোও দুই বছর সময় লেগে যায়, কেননা কারখানার কর্মচারীর প্রাণের চেয়ে তাদের কাছে ব্যবসার মুনাফার মূল্যটাই ছিল যে বেশি!

আরেকটি বিষয় ছিল। রেডিয়ামের ভয়াবহতাকে অধিকাংশই মেনে নিতে পারেনি যে এসব কিছু সত্যিই রেডিয়ামের কারণে হচ্ছে কিনা। তাছাড়া রেডিয়াম বিষক্রিয়ার যেসব লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল, সেগুলো দেখতে অন্যান্য রোগের (যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, এনজাইনা ইত্যাদি) মতো ছিল বিধায় একে ঠিকমতো শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।

আদালতে শুয়ে রেডিয়াম কন্যাদের কিভাবে কাজ করতে হয় তার বর্ণনা দিচ্ছেন আরেক রেডিয়াম কন্যা ক্যাথরিন ডনোহিউ; Source: pinterest.com

১৯২৫ সালে গ্রেস ফ্রেইয়ার নামের এক নারী ভাবলেন, এভাবে আর চলতে পারে না। গ্রেস ছিলেন নিউজার্সির সেই প্রথম রেডিয়াম ঘড়ি কোম্পানির একজন কর্মচারী। কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, কিন্তু তার সাথে লড়তে রাজি হবেন এমন একজন আইনজীবীকে পেতে তার আরো দুই বছর সময় লাগে। লিওনার্ড গ্রসমান নামের একজন আইনজীবী তাকে বিনামূল্যে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন। এরপর লিওনার্ড এবং ক্যাথরিন ডনোহিউ সহ চার জন রেডিয়াম কন্যাকে সাথে নিয়ে সেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গ্রেস। গোটা পৃথিবীর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে রেডিয়ামের ভয়াবহতার কথা।

১৯২৮ সালে রেডিয়াম কন্যাদের পক্ষে রায় দেয় আদালত, জিতে যান রেডিয়াম কন্যারা। সেই সাথে আদালতের এ রায় স্থাপন করে পেশাগত ঝুঁকি আইনের মাইলফলক। ততদিনে রেডিয়ামের ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে যায়। ঠোঁটে তুলি স্পর্শ করার কৌশলের স্থলে কারখানার কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হয়। পরবর্তীতে আরো অনেক নারী এগিয়ে আসেন এবং তাদের কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। রেডিয়াম কোম্পানিগুলোও আপিলের আবেদন করতে থাকে। কিন্তু ১৯৩৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট আপিলের সর্বশেষ আবেদনটি খারিজ করে।

রেডিয়ামের তেজষ্ক্রিয়তায় বেঁচে যাওয়াদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ সংশোধিত করে নথিভুক্ত করা হয়। রেডিয়াম যুক্ত খাদ্য এবং পানীয় বাজারে নিষিদ্ধ করা হয়। ধীরে ধীরে রেডিয়াম রঙের ব্যবহার উঠে যেতে থাকে এবং ১৯৬৮ সালের পর তা ঘড়িতে ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।

 

১৯২৮ সালে রেডিয়াম কন্যাদের পক্ষে আদালতের রায় শোনার পর উচ্ছ্বসিত এক রেডিয়াম কন্যা; Source: pinterest.com

ইতিহাসের পাতায় রেডিয়াম গার্লস

রেডিয়াম তেজস্ক্রিয়তায় ভুক্তভোগী রেডিয়াম কন্যাদের সঠিক সংখ্যা আজও নির্ধারণ করা যায়নি। ধারণা করা হয়, তাদের সংখ্যা কয়েক হাজারেরও বেশি। অনেকের ক্ষেত্রে তেজষ্ক্রিয়তার লক্ষণ দেখা গেছে বেশ কয়েক বছর পর। রেডিয়াম কন্যারা যে ভয়াবহতা ও যাতনার ভেতর দিয়ে গেছেন তার ফল হিসেবেই এসেছে তৎকালীন শ্রম অধিকার আইনের সংশোধন। তাদের মাধ্যমে তেজষ্ক্রিয়তা বিষয়ক অনেক অজানা জ্ঞান লাভ করাও সম্ভব হয়েছে। কেট মুর বলেন,

“রেডিয়াম কন্যাদের অনেকেই পঞ্চাশের দশকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এমনকি বিভিন্ন পরীক্ষার বিষয় হতে রাজি হয়েছিলেন। আজ মানবদেহের ভেতর তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাব সম্পর্কে আমরা যা জানি তার জন্য আমরা ‘রেডিয়াম গার্লস’-এর কাছে ঋণী।”

রেডিয়াম কন্যাদের ত্যাগের অবদান ভোগ করেছে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম। একই সাথে মুনাফালোভী কোম্পানির স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়ে গেছেন গ্রেস ফ্রেইয়ার। রেডিয়ামের অর্ধজীবন প্রায় ১৬০০ বছর, অর্থাৎ প্রায় শত বছর পরও রেডিয়াম কন্যাদের শরীরে আজও রেডিয়াম আছে, থাকবে। কফিনের অন্ধকারে তারা জ্বলতে থাকবেন, আরো বহুকাল ধরে।

ফিচার ইমেজ: Daily Herald Archive/SSPL/Getty Images

Reactions or Comments Below

মুসলিমদের জাতিভেদ

 মুসলিমদের জাতিভেদ 

 শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু

প্রণব কুমার কুণ্ডু

 

 

 

Bagchi Meghnath
Raju Biswas
এবং
আরও 4
জনের সাথে।

একজন জিজ্ঞাসা করল-----
" মৌলভী সাহেব, জান্নাতে কে যাবে? "
 
মৌলভী :----"মুসলমান'
 
"কোন মুসলমান- শিয়া না সুন্নী?"
 
মৌলভী :-"বেশক সুন্নী জনাব"
 
আচ্ছা সুন্নী তো দুই রকমের, মুকল্লিদ আর গের-মুকল্লিদ ?
 
মৌলভী :-- "মুকল্লিদ"
 
আচ্ছা মুকল্লিদের তো চার ভাগ । ওদের মধ্যে কে জান্নাতে যাবে?
 
মৌলভী :--" হানফি যাবে জান্নাতে, আরকিছু?"
 
না মানে হানফি র তো দুটো ভাগ- দেববন্দী আর বরেলবী?
 
মৌলভী বলল :-" দেববন্দী যাবে জান্নাতে"।
 
ধন্যবাদ, কিন্তু দেববন্দী র দুটো ভাগ- হায়াতি আর মমাতি। তো এদের মধ্যে কোন দেববন্দী যদি তা যদি একটু খুলে বলেন?
 
এরপর মৌলভী উধাও। 
 
হিন্দুদের জাতি/বর্ণ ভেদ নিয়ে চর্চা করা মুসলিমদের জাতিভেদ নিয়ে একটু জ্ঞান রাখা ভালো😂😂
.
.
.

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০

জাতীয় পতাকা

 

স্মৃতি :  জাতীয় পতাকা

সেটিংস
আমরা আশা করি আপনি Facebook-এ আপনার অতি সাম্প্রতিক স্মৃতিগুলি থেকে অনেক দিন আগের স্মৃতিগুলি আবার ফিরে দেখা উপভোগ করবেন।
 
এই দিনে
1 বছর আগে
13 আগস্ট, 2019
সবাই এর সাথে শেয়ার করা হয়েছে
সবাই
🇮🇳 পতাকার ইতিহাস 🇮🇳
কোনো পতাকাই কেবল এক খন্ড রঙিন কাপড় মাত্র নয় -- প্রতীক ৷
জাতীয় পতাকা হল রাষ্ট্রের প্রতিনিধি তথা প্রাণময় জীবন-দর্শন যার মাধ্যে দিয়ে প্রতিবিম্বিত হয় জাতির সামগ্রিক রাষ্ট্র-চরিত্র |
 
জাতীয় পতাকার মর্যাদা সম্পর্কে কতখানি অনুভূতিপ্রবণ ও কর্তব্যনিষ্ঠ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে একটা ঘটনার কথা তুলে ধরলাম ১৯৬৮ সালের ১লা জানুয়ারী ভারত - ওয়েষ্ট ইণ্ডিজের তৃতীয় টেষ্টের তৃতীয় ম্যাচে কলকাতার রনজি ষ্টেডিয়ামে হঠাৎ গোলমাল শুরু হয়ে যায় | ষ্টেডিয়ামের এক কোনায় আগুন দেখা যায় সেই খানেই যুগপৎ উড়ছিল দুই দেশের জাতীয় পতাকা , সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর আগুনের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ দলের সেবারের দলের সহ-অধিনায়ক কনারড় হান্ট এবং পাতনোন্মুখ ওয়েষ্ট ইণ্ডিজের পতাকা কাঁধে তুলে নিয়ে প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে বেরিয়ে এলেন ,
জাতীয় পতাকা জীবনের চেয়েও বড় তার একটি দূষ্টান্ত রাখলেন হান্ট I
 
পরাধীন ভারত স্বাধীন হবে ,স্বাধীন ভারতে জাতীয় পতাকা কেমন হবে তার চর্চা শুরু হয়েছে ,
ধারাবাহিকভাবে জাতীয় পতাকা তৈরির প্রচেষ্ঠা শুরু হয় বঙ্গভঙ্গের সময়, ১৯০৫ সালে।
 
১৯০৫ সালে বারাণসীতে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেসন বসে ,ভগিনী নিবেদিতার নিবাসে জান জাতীয় নেতৃবৃন্দ , নিবেদিতার কাছে জাতীয় পতাকার পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত চান | নিবেদিতা যে পতাকার প্রস্তাব দেন.তা ছিল পূর্ণ #গৈরিক ৷ পতাকার মাঝখানে ছিল একটি বজ্রচিহ্নি এবং দেবনাগরীতে লেখা বন্দেমাতরম l পরের লক্ষ্মৌ অধিবেসনে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণবসত সেটি আর স্বীকৃত বা গৃহীত হয় নি |
 
তারপর ১৯০৬ সালের ৭ই আগষ্ট 'বয়কট দিবসে' কলকাতায় জাতীয় কংগ্রের প্রথম দলীয় পতাকা উত্তোলণ করেন রাষ্ট্রগুরু.সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ,যা পর্যায়ক্রমে গাঢ় সবুজ , গাঢ় হলুদ এবং গাঢ় লাল | সবুজ অংশে ছিল আটটি শ্বেত পদ্ম, হলুদ অংশে দেবনগরীতে লেখা বন্দেমাতরম ,লাল অংশে বাঁ দিকে সাদা রঙের সূর্য আর ডান দিকে সাদা রঙের অর্ধেচন্দ্র ও তারা ৷
 
১৯১৭ সালে কংগ্রেসের পাতাকা পরিবর্তন করে হোমরুল পতাকা করা হয় ,পরে অবশ্য এই পতাকাও বাতিল করা হয় ৷
 
১৯২০ সালে জাতীয় পতাকার কথা চিন্তা করা হয় আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য , বিজয়ওয়াড়া কংগ্রেস অধিবেশনে মাদাম কমা প্রস্তাবিত তেরঙা পতাকা টা ছিল এই রকম যথাক্রমে সবুজ মুসলিমদেয় জন্য ,সাদা খৃষ্টান আর লাল হিন্দুদের জন্য আর মাঝ খানে একটি চরকা | এখানেও নিবেদিতার প্রস্তাবিত গেরুয়া স্থান পেল না, দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দুদের জন্য দেওয়া হলো লাল তাও আবার সবার নীচে | 
 
এই সিদ্ধান তেও সবাই রাজি নন, পতাকাটি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির অনুমোদন না পাওয়া সত্বেও বিভিন্ন কংগ্রেস সন্মেলনে কিন্তু উত্তোলিত হতে থাকে ৷
 
গঠন করা হলো ফ্ল্যাগ কমিটি ১৯৩১ সালে করাচীতে কংগ্রেসের জাতীয় কার্যকরী সমিতির অধিবেশনে | ৭ জন বিশিষ্ট সদস্য কে নিয়ে গঠিত হয় ফ্ল্যাগ কমিটি ,আহায়ক ছিলেন ডঃ পট্টভি সীতারামাইয়া , অন্যান্য সদস্যরা হলেন জহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ ডি পি কালেলকর, ডঃ এন এস হার্ডিকর এবং মাষ্টার তারা সিং |
 
ফ্ল্যাগ কমিটি কিছু প্রশ্নমালা তৈরি করে বিভিন্ন প্রদেশে পাঠানো হলো যে স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা কেমন হওয়া উচিত ,মতামত জানানোর শেষ দিন ১ জুন ধার্য করা হলেও ৫ জুলাই পর্যন্ত গৃহীত হয় |
 
১৯৩১ সালের ৮ ও ৯ জুলাই ফ্ল্যাগ কমিটির দুটি বৈঠক রাখা হয় , সমস্থ প্রদেশের লিখিত মতামত আসে ,তাতে দেশের জাতীয় পতাকা হবে পূর্ণ #গৈরিক সবাই এই মতদেন l
 
ফ্ল্যাগ কমিটি সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের জাতীয় পতাকা হবে পূর্ণ গৈরিক আর তার মাঝে একটা অন্য রঙের চরকা থাকবে , এটা ছিল সিদ্ধান্ত ৷ কংগ্রেসের তিরঙা পতাকা নিয়েও বিস্তর চিন্তা ভাবনা চলে , এক প্রকার জোর করেই পাশ করা হয় কংগ্রেসের তিরঙা পতাকাকে I
 
এবার দেখা যাক, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কারো সঙ্গে কারো যোগাযোগ নেই তা সত্তেও জাতীয় পতাকা পূর্ণ গৈরিক হোক একি ভাবনা সবার মনে এলো কোথা থেকে |
 
গৈরিক পতাকা ভারতে প্রাচীন পরম্পরা অনুসারে প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে 
 
*ছোট ছোট রাজ্য কে একত্রিত করে এক বিরাট রাষ্ট্রের স্থাপন করে ছিলেন ইন্দ্র ,ইন্দ্রের পতাকা ছিল #গৈরিক |
 
*বাল্মিকি রামায়ণে উল্লেখ আছে রামের স্বর্ণধ্বজার ৷
 
*মহাভারতে পাওয়া যায় অর্জুনের রত্নজ্যেতি সিন্দুর অর্থাৎ #গেরুয়া পতাকার কথা,
 
* শ্রীকৃষ্ণের রথের মাথায় উড়তো গরুড় চিহ্নিত #গেরুয়া পতাকা।
 
* কৌরব দের একমাত্র বোন দুঃশলার স্বামী সিন্ধুর রাজা জয়দ্রথের ছিল বরাহ চিহ্নিত #গৈরিক পতাকা ৷
 
*ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পতাকা ছিল #গৈরিক ৷
 
*হরিহর বুক্ক ,প্রতাপ রুদ্র প্রভৃতি রাজা নিজের স্বাধীন রাজ্যের প্রতীক ছিল #গৈরিক I
 
প্রাচীন এতিহ্যের সঙ্গে পরম্পরাগতভাবে সম্পর্কিত তা হল গৈরিক ,তাই সমস্থ ভোট গৈরিক পতাকে সমর্থন করেছিল ৷
১৯২৯ সালে শিখ প্রতিনিধিরা গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় পতাকা যাতে গৈরিক হয় তার চাপ সৃষ্টি করেছিল |
বৌদ্ধদেরও আপত্তির কোনো কারণ ছিল না ,স্বয়ং বুদ্ধদেব ছিলেন গৈরিক ধারী মন্ন্যাসী |
 
মুসলিম দেরো আপত্তির কোনো কারণ ছিল না , 
 
শোনা যায় পয়গম্বর হজরত মহম্মদ নিজেও একটি যুদ্ধে গৈরিক পতাকা বহন করেছিলেন (১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর , অর্গানাইজার পত্রিকাতে প্রকাশিত তথ্য) এবং Constituent Assembly তে পতাকা সম্পর্কে আলোচনা চলাকালীন এক মুস্লিম সদস্য সৈয়দ মহম্মদ সাদুল্লা গৈরিক পতাকা কেই সমর্থন করেন I
 
ডাঃ হেডগেওয়ার, ডাঃ রাধাকৃষ্ণন্‌ ,ডাঃ সুনীতিকুমার চ্যাটার্জী ,ডঃ আম্বেদকর প্রমূখ ব্যাক্তিত্ব গৈরিক পতাকার সমর্থনেই ছিলেন |
 
শেষ পর্যন্ত ১৯৪৭ সালের ২২ শে জুলাই গান্ধী-নেহরু মানসিকতাবাদীদের সমর্থনের জোরে ১৯৩১ সালের প্রস্বাবিত তেরঙা পতাকাই গৃহীত হল | 
তবে ডঃ আম্বেদকরের আপ্রাণ প্রচেষ্টার ফলে কংগ্রেসের চরকার বদলে হলো অশোকের ধর্মচক্র | 
গান্ধীজি এতেও রাজি হচ্ছিলেন না | 
পণ্ডিত নেহরু গান্ধীকে আশ্বস্ত করেন যে এই চক্রটি আসলে চরকারই চাকা এবং যথেষ্ট সদ্ধেহ থাকা সত্তেও গান্ধীজী নেহরুর কথা মেনে নেন ৷ 
দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে মহামতি অশোক প্রতিষ্ঠিত মহান ধর্মের পরিবর্তনশীল চক্র কে শেষ পর্যন্ত চরকার চাকা বলে চালাতে হল I
 
১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট লালকেল্লায় চক্র শোভিত তেরঙা পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয় ৷ বলা হয় এটি ভারতবাসীর প্রগতির প্রতীক ৷
এই পতাকা নির্ধারিত হয়ে যাবার পরও ঠিক হল ভারতের প্রদেশগুলির রাজ্যপালরা জাতীয় পতাকার পাশাপাশি.ব্যবহার করবেন অশোকস্তম্ভ ও `সত্যেমেব জয়তে' লেখা #গেরুয়া পতাকা ৷
 
প্রচ্ছন্নভাবে হলেও স্বীকার করে নেওয়া হলো গৈরিক পতাকাই ভারতবর্ষের সনাতন পরম্পরার জাতীয় প্রতীক |
 
এই হলো ভারতের জাতীয় পতাকার ইতিহাস |
 
আমি গর্বিত আমি ভারতবাসী এবং তিরঙা পতাকার প্রতি আমার যথাযোগ্য সন্মান |
 
তথ্যসুত্র:- *.গৈরিক পতাকা,
*স্বস্তিকা পত্রিকা ৷
বুবুল মাহাত
এই দিনে
1 বছর আগে
13 আগস্ট, 2019
সবার সাথে শেয়ার করা হয়েছে
 
 
 
 
 
 
 
 
 
প্রণব কুমার কুণ্ডু

নদীয়া, মুর্শিদাবাদ , মালদহ ও পশ্চিম দিনাজপুর এই চারটি জেলার এবং ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রাম থানা এলাকার মানুষ স্বাধীনতার আনন্দ উৎসবে অংশ নিতে পারেনি

নদীয়া, মুর্শিদাবাদ , মালদহ ও পশ্চিম দিনাজপুর এই চারটি জেলার এবং ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রাম থানা এলাকার মানুষ স্বাধীনতার আনন্দ উৎসবে অংশ নিতে পারেনি

সবার সাথে শেয়ার করা হয়েছে
 প্রণব কুমার কুণ্ডু

নদীয়া জেলার ভারতভুক্তি 
 
১৫ আগস্ট ১৯৪৭ দেশভাগের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এলো । কিন্তু নদীয়া, মুর্শিদাবাদ , মালদহ ও পশ্চিম দিনাজপুর এই চারটি জেলার এবং বনগ্রাম থানা এলাকার মানুষ স্বাধীনতার আনন্দ উৎসবে অংশ নিতে পারেননি সেদিন। বরং উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছেন সেদিন। ভারত না পাকিস্তান – কোন দেশের অধীনে তাঁরা থাকবেন এই অনিশ্চয়তা নিয়ে অনন্ত দুটি বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছিলেন তাঁরা। স্বাধীনতার আনন্দ পেতে তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল অন্তত দুদিন। যখন ১৭ আগষ্ট নদীয়া জেলার ভারত ভুক্তির ঘোষনা হল। তারপরই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার বিলম্বিত উৎসব। যদিও নদিয়ার কোথাও কোথাও অনেকে ১৮ আগস্ট ১৯৪৭ কে নদিয়ার ভারতভুক্তির দিবস ধরে ঐ দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করেন।
ঠিক কি হয়েছিল ? কেন এই বিলম্বিত স্বাধীনতা?
১৬ মে ১৯৪৬ বৃটিশ পার্লামেন্ট–এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ জুলাই ১৯৪৬ গঠিত হল ভারতের সংবিধান সভা (The Constituent Assembly of India ) । প্রথম সভা বসল ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৬ । ৩ জুন ১৯৪৭ বৃটিশ পার্লামেন্ট ভারতের দেশভাগ মেনে নিল । ১৮ জুলাই ১৯৪৭ বৃটিশ পার্লামেন্ট ১৯৩৫ সালের Government of India Act, 1935 কে সংশোধন করে Indian Independence Act, 1947 পাশ করল।এই Indian Independence Act, 1947 এর বলে ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ দিনটিকে ভারত ও পাকিস্থান দুটি পৃথক দেশ গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দিল । ১৯০৫ সালে যা ছিল ‘বঙ্গভঙ্গ’এর মহড়া এই Act এ তা কারযকরী করা হল ‘পূর্ববঙ্গ’ ও ‘পশ্চিমবঙ্গ’ নামে দুটি প্রদেশ তৈরির মধ্য দিয়ে । ১৯০৫ সালে আঁকা মানচিত্রকে ভিত্তি করে একটি মানচিত্র এর সঙ্গে যুক্ত করা হল ।এই মানচিত্র অনুযায়ী দিনাজপুর,মালদহ, মুর্শিদাবাদ,নদীয়া, যশোহর এবং বনগাঁ থানাকে ‘পূর্ববঙ্গ’এর মধ্যে ধরা হয় । যদিও বলা হয় Bengal Boundary Commission এর পেশ করা রিপোর্টের উপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩০ জুন ১৯৪৭ গভর্নর জেনারেলের ঘোষণা(Ref. No.D50/7/47R) মোতাবেক Sir Cyril Radcliffe কে চেয়ারম্যান করে পাঁচ জনের Bengal Boundary Commission গঠিত হয় । ৩০ জুন থেকে ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ মাত্র ৪৫ দিন হলেও প্রকৃত পক্ষে ১৮ জুলাই ১৯৪৭ থেকে ১২ আগস্ট ১৯৪৭ মোট ২৫ দিন কমিশন হাতে পায় । আর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৬ থেকে ১৯ এবং ২১ থেকে ২৪ জুলাই ১৯৪৭ মাত্র ৮ দিন পাওয়া যায়। ১২ আগস্ট ১৯৪৭ Radcliffe রিপোর্ট পেশ করেন। ১৪/১৫ আগস্ট ১৯৪৭ মাঝরাতে যথারীতি দ্বি-খন্ডিত স্বাধীনতা ঘোষিত হল ।১৯০৫ সালের আঁকা মানচিত্রকে রিপোর্টে পেশ করা হয়েছে বলে সুকৌশলে প্রচার করে মুসলিম লীগ ময়দানে নেমে পড়ে ।
১২ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ১৪/১৫ আগস্ট ১৯৪৭ স্বাধীনতা ঘোষনা মাঝের মাত্র দুদিনে মানুষ Radcliffe রিপোর্টের সঙ্গে পেশ করা নতুন মানচিত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না । ১৫ আগস্ট সকালে মুসলিম লীগের হৈ চৈ মিছিল মিটিং করে পাকিস্থানের পতাকা উত্তোলনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভা, নিউ বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাও বিভ্রান্ত হন । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে Radcliffe রিপোর্ট ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে থাকে ।শুরু হয় তৎপরতা।বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মহারাণী জ্যোতির্ময়ী দেবী, মুর্শিদাবাদের ওয়াসেদ আলী মীর্জা সহ নানা স্তরের ব্যক্তিত্বের তরফ থেকে রাজ্য ও সর্ব ভারতীয় স্তরে যোগাযোগ করা শুরু হয়।১৬ আগস্ট তৎপরতা তুঙ্গে উঠে ।
কলকাতা থেকে দিল্লী প্রশাসনিক স্তরে চিঠি চালাচালি ও দরবারের পর ১৭ আগস্ট বিকালে নতুন নোটিফিকেশন জারী করে
বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। নোটিফিকেশন নং 58G.A. Dated 17.08.1947.u/s. 7(1) of Cr.pc.,1898 বলে আগেকার সব নোটিফিকেশনকে বাতিল ঘোষণার মাধ্যমে নদীয়াকে দ্বি-খন্ডিত করে ‘নবদ্বীপ’ ও ‘কুষ্টিয়া’ জেলা গঠন করা হয় ।‘নবদ্বীপ’ জেলার অধীনে কৃষ্ণনগর ও রাণাঘাট মহকুমা অন্তর্ভুক্ত হয় ।
Radcliffe এর ‘রায় পরিষ্কার বুঝা যায়নি বলে এই বিভ্রান্তি’ কথাটি যথার্থ নয় । ‘মুসলিমলীগ রণকৌশলে’ যেমন তিনদিন ‘পাকিস্থান ধোঁয়াশা’ ছিল তেমনি নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকতে এবং সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখতে ‘কংগ্রেসী রণকৌশলে’ Radcliffe এর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ‘রায় না বুঝতে পারা’র কথা প্রচার করা হয় । নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ,পশ্চিম দিনাজপুর এবং ২৪ পরগণার বনগ্রাম থানা যে ভারতের অংশ সেটার নতুন ঘোষণা ১৮ আগস্ট ১৯৪৭ নয়, ১৭ আগস্ট ১৯৪৭ তারিখেই করা হয়েছিল ।
লেখক : সঞ্জিত দত্ত,কৃষ্ণনগর ,নদীয়া
সবার সাথে শেয়ার করা হয়েছে

রমেশচন্দ্র দত্ত

 রমেশচন্দ্র দত্ত 

 

 
 
 
শেয়াার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু

স্মরণ করি ও শ্রদ্ধা জানাই ...
##############################
রমেশচন্দ্র দত্ত (১৩ আগস্ট ১৮৪৮ - ৩০ নভেম্বর ১৯০৯) হলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের অনুরোধে বাংলা উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন এবং বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন।
রমেশ চন্দ্র দত্ত একটি বিশিষ্ট বাঙালি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পরিবারের প্রায় সবাই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত৷ তার বাবা ছিলেন ঈসাম চন্দ্র দত্ত এবং মা ছিলেন ঠাকামাণী৷ তাঁর বাবা ঈসাম চন্দ্র তৎকালীন বাংলার ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন৷ অফিস চলাকালীন সময়ে রমেশ চন্দ্র দত্ত তার সঙ্গে থাকতেন৷ রমেশ চন্দ্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী মথুরানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পড়াশুনা করেছেন। এছাড়াও তিনি ডেভিড হেয়ার প্রতিষ্ঠিত হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেন৷ নৌকা দূর্ঘটনায় তার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ১৮৬১ সালে তার কাকা শশী চন্দ্র দত্ত, যিনি একজন প্রখ্যাত লেখক ছিলেন, তাঁর অভিভাবকত্ত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ রমেশ চন্দ্র তার কাকা সম্পর্কে লিখেছেন যে রাতের বেলা তিনি পরিবারের অন্যান্যদের সাথে বসতেন এবং তাদের প্রিয় বিষয় ছিল ইংরেজী কবিদের কবিতা চর্চা করা৷
রমেশ চন্দ্র ১৮৬৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন৷ পরে ১৮৬৬ সালে তিনি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে এবং স্কলারশীপ অর্জনের মাধ্যমে আর্টস পরীক্ষায় পাস করেন৷ ১৮৬৮ সালে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় পরিবারের অনুমতি না নিয়ে তিনি এবং তার দুই বন্ধু বিহারী লাল গুপ্ত এবং সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান৷ রমেশ চন্দ্র সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃতিত্বকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ সে সময় দীর্ঘ সময় ধরে ১৮৫৩ সালের আগে ও পরে, যখন ইংল্যান্ডে আইসিএস পরীক্ষা চালু করা হয়, তার পূর্বে মূলত বিট্রিশ কর্মকর্তারাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন৷ ১৮৬০ সালের দিকে ভারতীয়রা, বিশেষ করে বাঙালি বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের লোকজন হতে ভারতীয় উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে আসীন হতে শুরু করেন৷
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এ রমেশ ব্রিটিশ লেখকদের নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ তিনি লন্ডনের মিডল ট্যাম্পল এ আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ তিনি ১৮৬৯ সালের ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এর ওপেন এক্সামিনেশন এ তৃতীয় স্থান লাভের মাধ্যমে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন৷
১৮৭১ সালে রমেশ চন্দ্র দত্ত আলীপুরের সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইসিএস(ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) এ যোগদান করেন৷ পদটিতে তার নিয়োগ ১৮৫৮ সালের ১লা নভেম্বর রাণী ভিক্টোরিয়ার রঙ ও ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সমান সুযোগের ঘোষণার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে৷
ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের কারণে ১৮৭৪ সালে নদীয়া জেলার মেহেরপুরে এবং ১৮৭৬ সালে ভোলা জেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ এলাকাগুলোতে জরুরী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এবং দূর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ রমেশ চন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷ ১৮৮২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রমেশ চন্দ্রকে সার্ভিসের নির্বাহী শাখায় নিয়োগ দেয়া হয়৷ তিনিই প্রথম ভারতীয়, যাকে নির্বাহী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়৷ ১৮৯৩ সালে তিনি বর্ধমান জেলার জেলা অফিসার এবং ১৮৯৪ সালে বর্ধমান বিভাগের কমিশনার হন৷ রমেশ চন্দ্র ১৮৯৫ সালে উড়িষ্যার বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব লাভ করেন৷ ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি বিভাগীয় কমিশনার পদে আসীন হন৷
রমেশ চন্দ্র নরমপন্থী জাতিয়তাবাদী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন৷ কংগ্রেসের শুরুর দিকে তিনি কংগ্রেসের সাথে জড়িত ছিলেন৷ ১৮৯৯ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন৷
১৮৯৪ সালে রমেশ চন্দ্র বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নবীনচন্দ্র সেন পরিষদটির সহ-সভাপতি ছিলেন৷ বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৮৯৩ সালে পরিষদটি গঠন করা হয়৷
সূদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অনেকগুলো বই লিখেছেন৷ এছাড়াও তিনি মহাভারত ও রামায়ন অনুবাদও করেছেন৷ তিনি ১৯০৯ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান৷
রমেশচন্দ্রের চারটি ঐতিহাসিক উপন্যাস বঙ্গবিজেতা (১৮৭৪), মাধবীকঙ্কণ (১৮৭৭), জীবন-প্রভাত (১৮৭৮) এবং জীবন-সন্ধ্যা (১৮৭৯) যথাক্রমে আকবর, শাজাহান এবং আওরঙ্গজেব এবং জাহাঙ্গীরের সময়ের ঘটনা অবলম্বনে রচিত হয়েছিল । মুঘল সাম্রাজ্যের শতবর্ষের ইতিহাসের ঘটনা নিয়ে এই উপন্যাসগুলি রচিত হয়েছিল বলে এগুলি একসাথে শতবর্ষ (১৮৭৯) নামে সঙ্কলিত হয়েছিল ।
সংসার (১৮৮৬) এবং সমাজ (১৮৯৩) রমেশচন্দ্রের দুটি সামাজিক উপন্যাস । সুকুমার সেনের মতে এই দুটি সামাজিক উপন্যাস তাঁর ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলির থেকে উপাদেয় ছিল ।
উপন্যাস :
বঙ্গবিজেতা (১৮৭৪)
মাধবীকঙ্কণ (১৮৭৭)
মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত (১৮৭৮)
রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (১৮৭৯)
সংসার (১৮৮৬)
সমাজ (১৮৯৪)
শতবর্ষ, (বঙ্গবিজেতা, রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা, মাধবীকঙ্কণ ও মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত একত্রে, ১৮৭৯)
সংসার কথা – (সংসার উপন্যাসের পরিবর্তিত সংস্করণ, ১৯১০)
(সৌজন্যৈ:উইকিপিডিয়া)

কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল তৈরি করে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন

কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল তৈরি করে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু





নিউজ ফীড
Gopal Das


সারা পৃথিবীতে বাঙালির সংখ্যা ২৯ কোটি। তারমধ্যে হিন্দু বাঙালির সংখ্যা ৯ কোটি।অর্থাৎ ৩১%। অথচ মাত্র একশো বছর আগেও হিন্দু বাঙালিরা সংখ‍্যাগরিষ্ঠ ছিল। এমনকি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ও হিন্দু বাঙালি ছিল ৪৬%। বিভাগোত্তর ৭২ বছরে হিন্দু-বাঙালি সংখ‍্যায় কমেছে ১৫%। দেশ ভাগের সময় পশ্চিম বঙ্গে হিন্দু ছিল ৮৩% ; এখন সেখানে হিন্দু ৬৬% । পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমার অনেক কারণ আছে। কিন্তু পূর্ববঙ্গ থেকে এত হিন্দু পশ্চিম বঙ্গে গেল ; তা সত্ত্বেও সেখানে হিন্দু জনসংখ্যা হার এত ভয়ানক ভাবে হ্রাস পেল কেন ? পরবর্তী ৩০ বছর পরে কি হবে ? এসব নিয়ে কোন হিন্দু গবেষণা করছে না। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে, হিন্দুদের কেবল ধর্মশাস্ত্র নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য সংকট নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা-গবেষণা করতে হবে। অতীতের ভুলসমূহ থেকে শিক্ষা নিয়ে, জাতিকে কিভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় ― সেটাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
মুসলিম লীগের সেই ডাইরেক্ট আ্যাকশনের বিশিষ্ট নেতা, জ‍্যোতি বসুকে নিয়ে, হিন্দুদের আবেগের শেষ নেই। কমিউনিষ্ট ভদ্রলোক বর্ণহিন্দুরা, জ‍্যোতি বসুর নেতৃত্বে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির দাবিতে ধুতিকে লুঙ্গি বানিয়ে বহুত নাচ-গান করেছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম লীগ, এই কমিউনিষ্ট বর্ণহিন্দু গুলোর পশ্চাৎ দেশে এমন লাথি মেরেছে, এই বজ্জাত গুলোর নিম্নাঙ্গে কোন বস্ত্র ছিল না। এই বেইমান গুলো পশ্চিম বঙ্গে এসে সেক‍্যুলারিজম প্রচার শুরু করলো।
ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় এত বিশাল সংখ্যক রিফিউজির বোঝা নিয়েও, পশ্চিম বঙ্গকে ভারতের এক নম্বর রাজ‍্যে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু কমিউনিষ্ট বেইমানরা পরিকল্পিত শ্রমিক আন্দোলন করে,কল-কারখানা সব ধ্বংস করে দিল। লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে গেল। বিশাল সংখ্যক হিন্দু যুবক-যুবতীর বিয়েই হলো না। যারাও বা বিয়ে করলো, তারা একটি বা সর্বোচ্চ দুটির বেশি বাচ্চা নিতে পারলো না। কমিউনিষ্ট বেইমানরা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় এলো। জ‍্যোতি বসুরা ক্ষমতায় এসে প্রথমে ইংরেজি শিক্ষা বন্ধ করে দিলো, তারপর বন্ধ করলো কম্পিউটার শিক্ষা। কমিউনিষ্টরা বললো, বাঙালি ছেলে মেয়েরা ইংরেজি ও কম্পিউটার শিখে, ভারতের অন‍্যান‍্য রাজ‍্যে গিয়ে চাকরি পাচ্ছে, আমরা দলের জন্য কমরেড (সার্বক্ষণিক কর্মী) পাই না। সৃষ্টি হলো বিরাট সংখ‍্যক শিক্ষিত বেকার। এদের অনেকে বিয়ে করতে পারলো না ; অনেকে অধিক বয়সে বিয়ে করলো ঠিকই, কিন্তু সন্তান হলো না। পশ্চিম বঙ্গে হিন্দু জনসংখ্যা হার কি এমনি এমনি কমেছে ! হিন্দুরা বাবু মানুষ ; এরা সৌখিন ; পেটে ভাত নেই ; শরীর দুর্বল ; পরিশ্রমের কাজ করবে কিভাবে ! সুযোগ নিলো, প্রতিবেশী সম্প্রদায়। পশ্চিম বঙ্গের শ্রমঘন পেশা সমূহ একচেটিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দখলে চলে গেল। তাদের আয় রোজগার ভালো। ৮/১০ টা করে বাচ্চা। হিন্দু মেয়েদের বিয়ে হয় না ; উপযুক্ত পাত্র যদিও বা পাওয়া যায়, জাতপাতের কারণে সম্বন্ধ ফিরে যায়। আইবুড়ো হিন্দু মেয়েদের দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে গণ্ডায় গণ্ডায় সন্তান উপহার দিতে লাগলো প্রতিবেশী সম্প্রদায়। মাত্র তিন দশকের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গের জন-বিন‍্যাস আমূল বদলে গেল।
হিন্দু নারীদের গর্ভে বিধর্মীর ঔরসে যে ভাগিনেয় সম্প্রদায় জন্মগ্রহণ করেছে, তারা মাতুল হিন্দু জাতিকে কংস মামার মতো ধ্বংস করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। এই বিধ্বংসী ভাগিনেয় সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে একজন ব্রাহ্মণ পদবীধারী ভদ্রমহিলা। এই কুচক্রী মহলের বহুমুখী যড়যন্ত্র সহজ-সরল হিন্দুরা বুঝে উঠতে পারছে না। পশ্চিম বঙ্গে টাটা কোম্পানি কারখানা নির্মাণ করলো। ঐ কুচক্রী মহল প্রমাদ গুনলো। টাটা সফল হলে, পশ্চিম বঙ্গে অন‍্যান‍্য কোম্পানি এসে আরো কল-কারখানা স্থাপন করবে। হিন্দুরা যুবক-যুব মহিলারা তুলনামূলক অনেক শিক্ষিত, তাদের কর্ম সংস্থান হবে - তারা অধিক সংখ্যক সন্তান জন্ম দেবে - হিন্দুর সংখ্যা বাড়বে। কুচক্রী মহল প্রতিবেশী সম্প্রদায়কে বোঝলো, তোমরা ঐ টাটার কারখানায় কাজ পাবে না ; কাজ পাবে তোমাদের শত্রুরা। শত্রুরা কাজ পেলে তাদের শক্তি বাড়বে - তোমাদের দাপট কমে যাবে। কাজেই তোমাদের প্রধান কর্তব্য ঐ কারখানা ভাঙা। ঐ কারখানা যদি তোমরা না ভাঙো, তাহলে এরকম আরো অনেক কারখানা তৈরি হবে, তোমাদের শত্রুদের শক্তি দিনকে দিন বাড়তে থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবেশী সম্প্রদায় টাটা কোম্পানির কারখানা ভাঙলো। এরপর আর ভারতের কোন কোম্পানি, পশ্চিম বঙ্গে কারখানা করার কথা মুখে আনতেও সাহস পায় নি। ইন্দোনেশিয়ার এক কোম্পানির মালিক এসে কোলকাতায় হোটেলে উঠেছিলেন ; সংবাদ পাওয়া মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাগিনেয় সম্প্রদায়কে নিয়ে তাকে এমন ধাওয়া দিলেন, আর কোন বিদেশি বিনিয়োগকারী পশ্চিম বঙ্গে আসে না। বিনিয়োগ না হওয়ায় - কল কারখানা স্থাপিত না হওয়ায় পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়।
পশ্চিম বঙ্গে শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। বর্ণহিন্দু পদবীধারী কিছু বেজন্মা, প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের সাথে মিলে আন্দোলন করছে - অবাঙালি হিন্দুদের পশ্চিম বঙ্গ থেকে তাড়াতে হবে। ১০% অবাঙালি হিন্দুদের যদি পশ্চিম বঙ্গ থেকে তাড়ানো হয়, তাহলে সেখানে হিন্দু জনসংখ্যা হার ৬৬% থেকে ৫৬% - এ নেমে আসবে। ষড়যন্ত্রকারীদের পরবর্তী লক্ষ্য মায়ানমারের রোহিঙ্গা, ইরাক - সিরিয়া - ইয়ামেন প্রভৃতি দেশের উদ্বাস্তুদের পশ্চিম বাংলায় ঢুকিয়ে, জন-বিন‍্যাস এমন ভাবে বদলে দেওয়া - যাতে হিন্দুর সংখ্যা ৫০% - এর নিচে নেমে আসে। কুচক্রীরা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দানের বিরোধিতা করছে ; কারণ বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের রাষ্ট্রহীন করতে পারলেও, পশ্চিম বঙ্গ হিন্দু-সংখ‍্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। পশ্চিম বঙ্গে যদি হিন্দু জনসংখ্যা ৫০% - এর নিচে নেমে আসে, তাহলে হিন্দুরা কাশ্মীরের মতো পলানোর পথ পাবে না ; কোথাও আশ্রয় পাবে না। আজ তৃণমূলের ভাগিনেয় সম্প্রদায় অত‍্যন্ত মিষ্টি ভাষায় 'যত মত তত পথ' - তত্ত্ব প্রচার করছে ; পশ্চিম বঙ্গে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে গেলে,কাশ্মীরের মতো একটাই আওয়াজ উঠবে, 'হিন্দু তাড়িয়ে পাকিস্তানের সাথে সংযুক্তি চাই।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের আগাম ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন। রচয়িতা দেবাশীষ মুখার্জী।
 


শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন