মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

গান্ধি

 





Benu Gopal Ayer
,
Subrata Das
-এর সাথে।

অনেকেই জানেন না, গান্ধী আসলে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা "M I 5"এর অফিসার ছিলেন। ইংরেজ এদেশে বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতি মানুষের সমর্থনকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে নিয়ে আসার জন্যই গান্ধীকে দায়িত্ব দিয়ে এদেশে পাঠিয়েছিল শান্তির প্রতীক গান্ধী প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে দেশের যুবসমাজকে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে যুদ্ধ করতে উৎসাহ দেন। ভগতসিং রাজগুরু সুখদেবের ফাসীর হুকুম রদ করার জন্য কোনো আন্দোলন অনশন করেনি গান্ধী বরং ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি বড়লাট আর উইনকে পরামর্শ দেন যাতে কোনো মতেই দেশের লোকের চাপে ইংরেজ ভগতসিংদের মৃত্যুদণ্ডের আজ্ঞা বাতিল না করে। ভগতসিং রাজগুরু সুখদেবকে জনগণের চাপে মুক্তি দিতে রাজি ছিল ব্রিটিশ। সুভাষচন্দ্র এমনই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন যে ২৪মার্চ ভগতসিং দের নির্দ্ধারিত ফাসীর তারিখেই ফিরোজপুর জেলে হামলা করত বিপ্লবীরা। পাঞ্জাব মহারাষ্ট্র উত্তরভারত বাংলায় ব্যাপক বিদ্রোহ দেখা দেয়। ইংরেজ দিশাহারা হয়ে পড়ে। সেইসময় গান্ধী লর্ড আই উইনকে পরামর্শ দেন যে কাউকে না জানিয়ে সমস্ত নিয়ম ভেঙে ২৩মার্চ সন্ধ্যেবেলায় গোপনে ভগতসিং রাজগুরু সুখদেবকে জেলের ভেতরে হত্যা করা হলে ২৪তারিখ সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা তথা সাধারণ মানুষ আর ভগতসিংদের বাচাতে পারবেনা। ইংরেজ রাতের অন্ধকারে ২৩মার্চ ভগতসিংদের ফাসীতে ঝুলিয়ে দিয়ে তাদের শবদেহ গুলোকে কুড়াল দিয়ে কেটে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল গান্ধীর পরামর্শে। বিপ্লবী যতীন দাস যখন ৬৩দিন নির্জলা অনশন করে লাহোর জেলে প্রাণ দিলেন তখন গান্ধী বলেছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করে তারা শয়তান। তাই তাদের মৃত্যু শয়তানের মৃত্যু।বারবার সুভাষ বসুর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে নানা ছলে বলে কৌশলে সুভাষচন্দ্রকে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করার জন্যও দায়ী গান্ধী। পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করা আর হিন্দুস্তানকে ভেঙে টুকরো করার যে পরিকল্পনা ইংরেজ নিয়েছিল তার পিছনেও ছিল গান্ধী । গুজরাট রাজস্তান নয়, পাঞ্জাব ও বাংলা যেহেতু বিপ্লবীদের মূল ঘাটি ছিল তাই ভগতসিং এর পাঞ্জাব আর নেতাজীর বাংলাকেই ভারত থেকে কেটে পাকিস্তানের সাথে ঢুকিয়ে দেয়ার খলনায়ক হিসেবেও ছিল গান্ধী ও নেহেরু। সুতরাং গান্ধীজি অহিংসায় বিশ্বাসী ছিলেন না। গান্ধী ছিলেন না। গান্ধী ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের নিযুক্ত গুপ্তচর। 
 
1)গান্ধীর অপকর্ম
লেখক অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী
2)স্বাধীনতা সংগ্রামী চরিতাবিধান
লেখক অধ্যাপক ননীগোপাল দেবদাস।






সবাই

আপনি সম্পন্ন করেছেন
 
আপনার আরও স্মৃতি দেখতে আগামীকাল আবার পরীক্ষা করুন!
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন