1 আগস্ট, 2019
সবাই এর সাথে শেয়ার করা হয়েছে
28 জুলাই, 2019
৪৯ ‘বুদ্ধিজিবী’র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র লেখা আসলে জেহাদেরই প্রস্তুতি
দেবল থেকে দেগঙ্গা তারা সেই একই কৌশল অবলম্বন করে চলছে। আক্রমণ করার আগে একটা অজুহাত চাই। সিন্ধু আক্রমণের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে প্রচুর সংখ্যক আরব রাজা দাহিরের সেনাবাহিনীতে চাকরি নেয়। প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে বাগদাদের খলিফা হাজ্জাজ সিন্ধুর রাজা দাহিরের কাছে এই মর্মে পত্র লেখেন যে দেবল বন্দরের কাছে এক আরব বাণিজ্য জাহাজ লুঠ হয়েছে তাই রাজা দাহিরকে সে জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিস্মিত ও বিরক্ত রাজা দাহির প্রত্যুত্তরে লেখেন, “দেবল বন্দরে বা আমার রাজ্যসীমায় এই প্রকার কোন ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না”। এর পরে হাজ্জাজ তার ভ্রাতুস্পুত্র ও জামাতা মহম্মদ বিন কাসিমেরে নেতৃত্বে সিন্ধু আক্রমণ করেন। রাজা দাহিরের সেনাবাহিনীতে অনুপ্রবিষ্ট আরব সৈন্যরা ভেতর থেকে আক্রমণ চালায়। পতন হয় সিন্ধুর।
১৯৪৭এ বিশাল ভারতভূমি মূষলমানরা তাদের হিস্যা হিসাবে বুঝে নেয়। কিন্তু বেশিরভাগ মূষলমানই সেখানে না গিয়ে হিন্দুদের অংশেই থেকে যায়। ভারতকে বা হিন্দুদের ভালবেসে নয়, অবশিষ্ট ভারতেও ইসলামী শাসন কায়েম করার লক্ষ্যেই তারা এটা করেছে। জম্মু কাশ্মীর বিধানসভার ভূতপূর্ব ডেপুটি স্পীকার আমানুল্লা সাহেব একথা সুস্পষ্টভাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন। গান্ধী ও নেহেরুভিয়ান কংগ্রেস তাদের এই লক্ষ্যে সর্বদা সহযোগ দিয়ে এসেছে। হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও অন্যান্য ভারত বিরোধী কার্যকলাপের ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও তথাকথিত সেকুলার দলগুলি সর্বদাই তাদের আড়াল করেছে। অবশিষ্ট এই ভারতভূমিতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা তথাকথিত সংখ্যালঘু মূষলমানদের হাতে ক্রমাগত আক্রান্ত ও নির্যাতিত হয়ে আসছে। অনেক দেরিতে হলেও পিছু হটতে হটতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুরা এতদিনে সেটা টের পেয়েছে। তাই কোথাও কোথাও প্রতিরোধ দানা বাঁধছে। অলক্ষ্যে সন্তর্পণে আর এগোনো যাবে না বুঝতে পেরে এবার তারা সরাসরি হামলার পথ নিয়েছে। জেহাদের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পরার আগে সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের জন্য অনুকুল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে তারা আরও অনেকগুলো ফ্রন্ট খুলেছে। রাজনীতির আঙ্গিনায় যেমন ওয়েসী আজম খান বাহিনী তেমনি আছে পেট্রোডলার পুষ্ট মিডিয়া হাউসগুলি। মাওবাদী নকশালবাদী সশস্ত্র জঙ্গী ঘাতক বাহিনী যেমন আছে তেমনি আছে অরুন্ধুতি রায়, শাবানা আজমী, অপর্ণা সেনদের মত তথাকথিত বুদ্ধিজীবি। সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এরা জেহাদিদের অনুকুলে আবহ তৈরি করছে। চতুর্দিকে হিন্দুরা আক্রান্ত ও নিহত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের অবস্থা তো কহতব্য নয়। এমত সময়ে এই প্রকারের ৪৯ দুর্বুদ্ধিজীবি সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র লিখেছে। যে কোন বিচারে এই অভিযোগ অসত্য ও দুরভিসন্ধি মূলক। অপরাধ মূলক ঘটনা সর্বদাই ঘটে। তবে তথ্য ও পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, তথাকথিত সেকুলার দলের শাসনকালে হিংসাত্বক ঘটনা অনেক বেশি ঘটত যা বর্তমানে কমেছে। শুধু তাই নয় কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যত্র বর্তমানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যা আগে হত না। অস্ত্র কারখানা ও বোমা বন্দুক সহ জেহাদী তৎপরতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে প্রতি নিয়ত। ওয়েসি আজম খানরা বিষোদ্গার ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও উচ্ছেদ চলছে মহা সমারহে। এ সব থেকে জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতেই দুর্বুদ্ধিজীবিদের এই অপপ্রয়াস। যে সময়ে এরা এই পত্র লেখে সেই সময়েই প্রকাশ্যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার জন্য আসানসোলে সুরজ বাহাদুর নামে এক কিশোরকে জেহাদিরা ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে। আক্রান্তদের নয়, পুলিস প্রশাসন দুর্বৃত্তদের আড়াল করতে তৎপর। অনেক দিন ধরেই সেখানে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ রয়েছে। আক্রান্তদেরকেই অভিযুক্ত করার এই বামৈসলামিক প্রচার কৌশল বহু পুরানো। ১৯২০ ও ১৯৪৬ এর মত জেহাদ ও রক্তস্নান সম্ভবত নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে।
এই দিনে
1 বছর আগে
1 আগস্ট, 2019
সবাই এর সাথে শেয়ার করা হয়েছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন