প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের মূল উপজীব্য কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। হস্তিনাপুরের সিংহাসন দখল নিয়ে যে টানাপোড়েন কৌরব এবং পাণ্ডবদের মধ্যে শুরু হয়, তার পরিণাম আঠারো দিনব্যাপী প্রলয়ঙ্কর সংঘর্ষ। প্রথমে কেবল চাচাতো ভাইদের মধ্যে থাকলেও শীঘ্রই তাতে যোগ দেয় সারা ভারতের নৃপতিগণ। জড়িত হয় অঙ্গ, চেরি, গান্ধার, কলিঙ্গ, কুশল, মদ্র, মগধ, নিষাদ এবং পাঞ্চালের মতো অনেক রাজ্য। পাণ্ডবপক্ষে যুধিষ্ঠিরেরা পাঁচ ভাই, ধৃষ্টদুম্ন এবং কৃষ্ণ। কৌরবপক্ষে দুর্যোধন ভ্রাতৃবর্গ, ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ, শল্য, অশ্বত্থামা এবং শকুনি। পাণ্ডবপক্ষে ৭ অক্ষৌহিনী সেনা। বিপরীতে কৌরবপক্ষে ১১ অক্ষৌহিনী। বলা বাহুল্য, ১ অক্ষৌহিনী বলতে বোঝায় ২১,৮৭০টি হাতি, ২১,৮৭০টি রথ, ৬৫,৬১০টি ঘোড়া এবং ১,০৯,৩৫০ জন পদাতিকের সমাবেশ।
কাশীরাম দাসের বর্ণনায়-
বলেন বৈশাম্পায়ন, শোন জনমেজয়,
সৈন্য কোলাহল যেনো সমুদ্র প্রলয়,
দুই দলে শঙ্খনাদ, সিংহনাদ ধ্বনি
অগ্র হইলেন যতো রথী নৃপমণি।
প্রথম দিন: পাণ্ডবের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ভীষ্ম কৌরবদের হয়ে পাণ্ডবদের বিপক্ষে পতাকা তুলে ধরলো। তারপর এগিয়ে এলো সামনে। পাণ্ডববাহিনীর যেখানেই তার পা পড়লো, ছিন্নভিন্ন করে দিলো প্রবল প্রতাপের সাথে। অর্জুনের পুত্র অভিমন্যু সোজা ভীষ্মের মুখোমুখি হলো। প্রথমদিকে আধিপত্য দেখাতে পারলেও শেষপর্যন্ত পরাজিত হতে হলো ভীষ্মের কাছে। কৌরব দুঃশাসন আর পাণ্ডব নকুলের মধ্যে ঘোর সংঘর্ষ হলো। যুধিষ্ঠিরের সাথে সংঘর্ষ হলো শল্যের, ধৃষ্টদুম্নের সাথে দ্রোণের। দিনশেষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও পরাজয় মেনে নিয়ে ফিরতে হলো পাণ্ডবদের।
দ্বিতীয় দিন: কৌরবেরা কোণঠাসা
অর্জুন বুঝতে পেরেছিলো, কিছু একটা করতে হবে। তাই সরাসরি গিয়ে ভীষ্মের সামনে দাঁড়ালো। কিন্তু কৌরব সৈন্যরা ভীষ্মকে আগলে রেখে আক্রমণ করলো অর্জুনকে। তবুও দুজনের মধ্যে সংঘর্ষ চললো অনেকক্ষণ। এদিকে দ্রোণের কাছে হেরে যেতে যেতে ধৃষ্টদুম্ন বেঁচে গেলো ভীমের হস্তক্ষেপে। প্রচণ্ড ক্রোধে ভীম এসে ভীষ্মের রথচালককে হত্যা করলো। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রণাঙ্গন ত্যাগ করলো ভীষ্মের ঘোড়া। দ্বিতীয় দিনের পুরো আধিপত্য ছিলো পাণ্ডবদের। বিপরীতে পর্যুদস্ত হয় কৌরব বাহিনী।
তৃতীয় ও চতুর্থ দিন: নতুন কৌশল
এবার কৌরব বাহিনীকে ঈগলের আকৃতিতে সাজানো হলো। সম্মুখভাগে ভীষ্ম আর পেছনে দুর্যোধন। পাণ্ডবরা সাজলো অর্ধচন্দ্রাকারে, যার দু'পাশে অর্জুন ও ভীম। মাঝখানে রাখা হলো যুধিষ্ঠিরকে। তীব্র যুদ্ধে সহসা ভীম লণ্ডভণ্ড করে দেয় কৌরব শিবির। কিছুক্ষণের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়তে বাধ্য হয়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত ভীষ্মের ব্রহ্মাস্ত্রের সাথে লড়াই করে অর্জুন। চতুর্থ দিন ভীম হত্যা করে দুর্যোধনে আট ভাইকে। তবে দ্রুতই দুঃশাসনের তীর এসে বুকে লাগে। অর্জুন হাজার হাজার হাতি ও রথী বধ করেন তার অস্ত্রের মাধ্যমে। দুর্যোধন আর্তনাদ করে ওঠে অবস্থা দেখে। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আঁকতে থাকে অন্যরকম ছক। ভীষ্ম তাকে উপদেশ দেয় আপোষ করে নেবার।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন: প্রলয়ের অভিঘাত
পাণ্ডব বাহিনীকে বিধ্বস্ত করে করে এগিয়ে যেতে থাকে ভীষ্ম। পঞ্চম দিন। দ্রোণের মুখোমুখি হয়ে সাত্যকি বেশ বেকায়দায় পড়ে। যদিও ভীম তাকে উদ্ধার করে। দ্রুপদ এবং তার পুত্র শিখণ্ডি গুরুতর আহত হয়। ষষ্ঠ দিনে জ্বলে ওঠে দ্রোণ পাণ্ডবদের ব্যাপক প্রাণহানীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দুই বাহিনীর প্রতিরক্ষাই ভেঙে পড়ে। ভীম দুর্যোধনকে পরাজিত করে। তবে কৌরবরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দ্রুপদীর ছেলে উপপাণ্ডব গুঁড়িয়ে দেয় অশ্বত্থামার রথ।
সপ্তম ও অষ্টম দিন: ঘাত-প্রতিঘাত
সপ্তম দিনে ঘুরে দাঁড়ায় কৌরবরা। দ্রোণ হত্যা করে বিরাটের পুত্র শংককে। যুযুৎসু মারাত্মকভাবে আহত হয় কৃপাচার্যের আঘাতে। দিন শেষ হয় কৌরবদের জয়ধ্বনি দিয়েই। কিন্তু অষ্টম দিনে ভীম বধ করে ধৃতরাষ্ট্রের ১৭ জন সন্তানকে। শকুনির পাঁচ ভাইকে হত্যা করে অর্জুনপুত্র ইরাভান। ভেস্তে যায় দুর্যোধনের রণ প্রতিরক্ষা। পরাজয় নিয়ে ফিরে কৌরবরা।
নবম ও দশম দিন: ভীষ্মের মৃত্যু
অর্জুনের রথচালক শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পারেন- কৌরব পক্ষের ভীষ্মকে না সরাতে পারলে বিজয় সম্ভব না। তাই তিনি মুখোমুখি হন ভীষ্মের। এ নিয়ে দুটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
প্রথম মতে, শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দেন শিখণ্ডীকে ভীষ্মের মুখোমুখি করার। অন্য মতে, যুধিষ্ঠির আগের রাতে ভীষ্মের সাথে দেখা করেন। সাহায্য প্রার্থনা করেন। ভীষ্ম জানিয়ে দেয়, শিখণ্ডিকে যেন ব্যবহার করা হয়। কারণ ভীষ্ম কখনো কোনো ক্লীবের উপর অস্ত্রধারণ করবে না। পরদিন অর্থাৎ দশম দিনে সে অনুযায়ী শিখণ্ডীকে আনা হয় অর্জুনের সামনে প্রতিরক্ষা হিসেবে। শিখণ্ডীকে দেখে ভীষ্ম অস্ত্রচালনা থেকে বিরত হলো। এই সুযোগে পাণ্ডবেরা তাকে ঘিরে ধরে উপর্যুপরি তীর নিক্ষেপ করে। রথ থেকে পড়ে যায় ভীষ্ম। হস্তিনাপুরকে নিরাপদ না রেখে কোথাও যাবে না বলে পিতা শান্তনুকে কথা দিয়েছিলো ভীষ্ম। তাই ইচ্ছামৃত্যুর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তীরের বিছানায় শুয়ে অপেক্ষা করেন সেই সময়ের। যুদ্ধ শেষে রাজ্য শাসনের নীতি বিষয়ক উপদেশ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন জ্ঞানী বীর ভীষ্ম।
একাদশ ও দ্বাদশ দিন: দ্রোণ এবং ভগদত্তের পরাজয়
কৌরবের হয়ে এবার রণাঙ্গনে এলো কর্ণ। দ্রোণকে করা হলো প্রধান সেনাপতি। দুর্যোধন চেয়েছিলো যুধিষ্ঠিরকে জীবিত আটক করতে। একাদশতম দিনে তাই দ্রোণ সেই মতো কৌশল চাললো। পাণ্ডববাহিনীতে ভয় ঢুকে গেলো তাদের নেতাকে নিয়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে অর্জুন এসে দ্রোণকে পরাজিত করলো। দ্বাদশ দিনে অর্জুনকে যুদ্ধ করতে হলো সংশপ্তকদের সাথে। তাদের পরাজিত করে অর্জুন মুখোমুখি হলো ভগদত্তের। ভগদত্ত ইতোমধ্যে ভীম, অভিমন্যু এবং সাত্যকির মতো বাঘা বাঘা বীরকে পরাজিত করেছে। তুমুল সংঘর্ষের পর অর্জুন তাকে পরাজিত ও হত্যা করে।
ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ দিন: অর্জুনের আক্রোশ
ত্রয়োদশ দিনে দ্রোণ কৌরব বাহিনীকে চক্রাকারে সাজালেন। তার উদ্দেশ্য আগের মতোই যুধিষ্ঠিরকে বন্দী করা। এজন্য অর্জুনকে ব্যস্ত রাখার জন্য প্রেরণ করা হলো সংশপ্তকদের। হাজার হাজার সংশপ্তককে হত্যা করলেন অর্জুন। অন্যদিকে অভিমন্যু চক্রের ভেতর প্রবেশ করে দশ হাজার কৌরবকে বধ করেন। পরাজিত করলেন দ্রোণ, অশ্বত্থামা এবং কৃতবর্মার মতো মহাবীরদের।
অবস্থা দেখে দ্রোণ আগে অভিমন্যুকে আটকানোর পথ বের করেন। কৌশলে তাকে ঘিরে ধরা হলো। যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একসময় অভিমন্যু পরাজয় ও মৃত্যুবরণ করলো। পুত্রের মৃত্যুতে আহত বাঘের মতো অর্জুন প্রতিজ্ঞা করলো জয়দ্রথকে হত্যা করার। প্রতিজ্ঞা ছিলো, যদি সূর্যাস্তের আগে বদলা না নিতে পারে; তবে নিজেকে আগুনে বিসর্জন দেবে। এ খবরে চৌদ্দতম দিনে সতর্ক হয়ে উঠলো কৌরব বাহিনী। বড় বড় মহারথীরা অর্জুনকে ঘিরে রাখলো, যেন জয়দ্রথ পর্যন্ত যেতে না পারে। এই সময়ে রাস্তা বের করলেন শ্রীকৃষ্ণ। তিনি সুদর্শন চক্র দিয়ে মিথ্যা সূর্যাস্তের আবহ তৈরি করলেন। কৌরবরা অসতর্ক হয়ে পড়লে অর্জুন জয়দ্রথকে হত্যা করলো। কৌরব বুঝতে বুঝতে দেরি হয়ে গেছে। তবু চলতে থাকলো যুদ্ধ। হতাহত হলো অজস্র।
পঞ্চদশ ও ষোড়শ দিন: দুঃশাসনের রক্তপান
কুরুক্ষেত্রের পনেরোতম দিনে দ্রোণ হত্যা করলো বিরাট ও দ্রুপদকে। কৃষ্ণ বুঝতে পেরেছিলেন, সহজে তাকে কাবু করা সম্ভব না। তাই পরামর্শ দিলেন ধোঁকায় ফেলার জন্য। ভীমকে দিয়ে একটা হাতি হত্যা করা হলো, যার নাম অশ্বত্থামা। তারপর ভীম দ্রোণকে শুনিয়ে বললো, “আমি অশ্বত্থামাকে হত্যা করেছি।” দ্রোণ ভাবলো তার ছেলে অশ্বত্থামা মারা গেছে। যুধিষ্ঠিরকে প্রশ্ন করলো দ্রোণ, কথা সত্য কি না। সম্মতি জানালো সত্যবাদী যুধিষ্ঠির, অশ্বত্থামার মৃত্যু হয়েছে। এ খবরে দ্রোণ অস্ত্র ফেলে দিয়ে দেহত্যাগের জন্য যোগে বসলেন। এমতাবস্থায় ধৃষ্টদুম্ন তাকে হত্যা করলো।
ষোলতম দিনে কর্ণ কৌরবদের সেনাপতি হিসেবে রণাঙ্গনে আসলো। শল্য হলো তার রথচালক। অপ্রতিরোধ্যভাবে কর্ণ পাণ্ডব সেনাবলয় ভেঙে যাচ্ছিলো। অবস্থা দেখে অর্জুন এগিয়ে এলো। কর্ণকে থামাতে সক্ষম হলো, নিজেও থামলো। ইতোমধ্যে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এলে কৌরবরা পিছু হটলো। একই দিনে দুঃশাসনের মুখোমুখি হয়েছিলো ভীম। দুঃশাসনের ডান হাতকে কাঁধ থেকে ছিড়ে ফেললো। হত্যা করে বুক চিড়ে ফেললো। তারপর রক্তপান করে প্রতিজ্ঞা পূরণ করলো। যে প্রতিজ্ঞা করেছিলো অনেক আগে। যেদিন দ্রৌপদী লাঞ্ছিত হয়েছিলো দুঃশাসনের কাছে।
সপ্তদশ দিন: কর্ণের বিদায়
সতেরোতম দিনে কর্ণ যুদ্ধে নকুল, সহদেব এবং যুধিষ্ঠিরকে পরাজিত করে। কিন্তু ছেড়ে দেয়। তাবুতে যুধিষ্ঠিরের সাথে কথা হবার পর অর্জুন আসে কর্ণের মুখোমুখি। প্রবল পরাক্রম নিয়ে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকে। হঠাৎ কর্ণের রথ মাটিকে আটকে যায়। ফলে কর্ণ যুদ্ধে বিরতি টানতে বলে। এই সময় কৃষ্ণ অর্জুনকে অভিমন্যুর মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নিজের পুত্রের মৃত্যুর স্মৃতি অর্জুনকে ক্রোধান্বিত করে। দ্বিতীয়বার না ভেবে সে কর্ণকে হত্যা করে। যদিও ভাই কর্ণের সৎকার পাণ্ডবরাই করে।
অষ্টাদশ দিন: দুর্যোধনের পতন
আঠারোতম দিনে অর্থাৎ শেষদিনে শল্যকে কৌরবদের সেনাপতি করা হয়। যুধিষ্ঠির শল্যকে হত্যা করে। সহদেব হত্যা করে শকুনিকে। শুধুমাত্র অশ্বত্থামা, দুর্যোধন, কৃপাচার্য এবং কৃতবর্মা ছাড়া সবাই কৌরববাহিনীর সবাই নিহত হয়। পরাজয় বুঝতে পেরে দুর্যোধন পাশের জলাশয়ে নেমেছিলো নিজেকে ঠাণ্ডা করতে। কৃষ্ণ পাণ্ডবদের সেখানে নিয়ে গেলেন। মা গান্ধারীর আশীর্বাদে দুর্যোধন ছিলো অপরাজেয়। ভীম তাকে কোমরের নিচে তীব্র আঘাত করে। প্রবল যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় মৃত্যুর জন্য রেখে চলে যায় পাণ্ডবেরা। অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য এবং কৃতবর্মা মৃত্যুশয্যায় থাকা দুর্যোধনের কাছে আসে। প্রতিজ্ঞা করে পাণ্ডবদের উপর প্রতিশোধ নেবে। পরে রাতে তারা পাণ্ডবদের তাঁবুতে আক্রমণ করে। এতে ধৃষ্টদ্যুম্ন, শিখণ্ডী এবং দ্রৌপদীর সন্তানদের সাথে আরো অনেকেই মৃত্যুবরণ করে।
কুরুক্ষেত্র পরবর্তী হিসাব-নিকাশ
কুরুক্ষেত্রের পর শুধুমাত্র পাণ্ডবেরা পাঁচ ভাই, অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য, যুযুৎসু, বৃষকেতু এবং কৃতবর্মা ছাড়া বাকি সবাই মারা যায়। হস্তিনাপুরের শাসন ক্ষমতায় বসে যুধিষ্ঠির।
৩৬ বছর রাজ্য চালনা করে অর্জুনের নাতি পরিক্ষিতের কাছে দায়িত্ব দিয়ে নিজে সরে যান। দ্রৌপদী এবং বাকি ভাইদের নিয়ে হিমালয়ের দিকে যাত্রা করেন। দ্রৌপদী এবং চার পাণ্ডব ভাই ভীম, অর্জুন, নকুল এবং সহদেব মারা যায় রাস্তাতেই। আত্মার শুদ্ধতার কারণে ধর্মের আহবানে সশরীরে স্বর্গে আরোহন করে যুধিষ্ঠির। কাশীরাম দাস বলেন-
ধর্ম ইন্দ্র দুইজনে গন্ধমাল্য আভরণে
যুধিষ্ঠিরে করেন ভূষিত,
বিবিধ বন্ধন ছান্দে মস্তকে মুকুট বান্ধে
কিন্নর গন্ধর্ব গায় গীত।
Kurukshetra, an epic event in indian mythology. The battle raged for 18 days. The army totalled 18 akshauhinis, 7 on the Panadava side and 11 on the Kaurava (1 akshauhini = 21,870 chariots + 21,870 elephants + 65,610 horses + 109,350 soldiers on foot). Casualties on both sides were high. When it all ended, the Pandavas had won the war but lost almost everyone they held dear. Duryodhan and all of the Kauravas had died, as had all of the menfolk of Draupadi's family, including all of her sons by the Pandavas.
তথ্যসংযোগ :
1. মহাভারত
2. Indian myth and legend- Alexandar mackenzie
Featured Image: krishnabhumi.in
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন