বৈমানিক শাস্ত্র
Raju Dev Nath Ancient History অ্যালবামটিতে একটি নতুন ফটো যোগ করেছেন৷
(বৈমানিক শাস্ত্র) Vaimānika Shāstra
বইটি বিমান নির্মাণ,বিমান অদৃশ্যকরণ,শত্রু বিমান ধ্বংস-করন, বিমান উড়ার সময় শত্রুর মাটির নিচে রাখা যুদ্ধাস্ত্র চিহ্ণিতকরণ, সম্মুখে থাকা শত্রুর বিমানের সামনে অন্ধকার করে দেওয়া,বিমানকে মেঘের মতো লুক দিয়ে দেখানো , বিমান থেকে আলাদা আলাদা সাউন্ড দেওয়া, বিমানের সাউন্ডকে কন্ট্রোল করার যন্ত্র, প্রয়োজনে বিমান ছোট বা বড় হওয়া, বিমান জলেতে চলার সময় বর্তমানের সাবমেরিনের মতো যন্ত্রে পরিণত হওয়া, স্পেসে বিমান সহ ভ্রমণ সহ মোট আটটি অধ্যায়ে সাজানো।বইটিতে তিন ধরনের বিমান(রুকমা,সাকুনা,ত্রিপুরা) এর গঠনের কথা উল্লেখ আছে।
বিমানের নানা যন্ত্রের বর্ণনা এবং বিমানের ১৬ প্রকারের জ্বালানির কথাও উল্লেখ আছে। ৭ প্রকার মোটরের বর্ণনা আছে, বিমান চালনার সময় ১২ ধরণের নিয়ন্ত্রণের কথা বলা আছে।
বই এর বর্ণনামতে একটি বিমান ছিল বৃত্তাকার এবং এগুলো দ্বারা আকাশে উড়া যায়!
বিমানের জ্বালানিতে ব্যবহার করা হত পারদ আবার কখনও হলুদেটে সাদা তরল। বিবরণ দ্বারা বুঝা যায় বিমানগুলোতে কম্বাশন ইঞ্জিন এবং পালস-জেট ইঞ্জিন দুই ধরনের ইঞ্জিনই ব্যবহার করা হত।
সমস্যা:
১. এই পুস্তকে বিমানগুলি কিভাবে ভূমি থেকে আকাশে উড়বে তা নিয়ে কোন লেখা নাই: এই উত্তর পেতে বইটির লেখকের ইতিহাস জানা দরকার। বৈমাণিক শাস্ত্র বইটি রচনা করেন Pandit Subbaraya Shastry (1866–1940), তিনি এই পুস্তকের সমস্ত ক্রেডিট দিয়েছিলেন হাজারো বছর আগের ঋষি ভরতদ্বাজ -কে। এই জ্ঞান তৎক্ষালিন সময়ে আরো একজনের কাছে ছিল যার নাম Bapuji Talpade ( 1864-1916)। কিন্তু তাদের এই বৈমাণিক শাস্ত্রের জ্ঞানের সোর্স জানা যায়নি।Pandit Subbaraya Shastry এই পুস্তক লিখে নাই, শুধু ডিকটেট করে এটার কনটেন্টগুলো দিয়েছিলেন ( Gotur VenikatAchala Sharma) কে, ১৯১৮-১৯২৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছর লেগেছিল এই কনটেন্ট গুলো সম্পূর্ণ নতুন করে ডিকটেট করতে, তিনি ( Gotur VenikatAchala Sharma) 23EXERCISE BOOKS এ এই কনটেন্ট গুলো ডিকটেট করেন।১৯২৩ সালে ডিকে এলেপটা নামে এক ড্রাফ্টম্যানকে বিমানের নকশা নতুন করে ডিকটেট করতে দিয়েছিলেন। ১৯২৩ সালে এরকম পুস্তক লেখার এক্টিভিটির জন্য Pandit Subbaraya Shastry কে ব্রিটিশরা জেলে প্রেরণ করে। আর এই পুস্তক অফিসিয়াল ভাবে প্রকাশ হওয়ার আগেই ১৯৪০-৪১ এ Pandit Subbaraya Shastry দিব্যধাম প্রাপ্ত হয়। এরআগে পন্ডিত Gotur VenikatAchala Sharma কে এই জ্ঞান লিখিতরুপে ছেড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এই পুস্তকটি Rajakiya Saskrit Libery, Baroda (1944) এ সংরক্ষণ করা হয়েছিল, এই পুস্তক সংস্কৃত থেকে সর্বপ্রথম হিন্দিতে অনুবাদিত হয় ১৯৫৯ সালে।১৯২৩ সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর এই বইটি অফিসিয়াল ভাবে প্রকাশ হতে পারেনি, সর্বপ্রথম অফিসিয়াল ভাবে প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে, যা প্রকাশ করেন DR GR JOSYER . এই হিস্ট্রি উনি পুস্তকটিতে যুক্ত করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পুস্তকটি ১৯৭৪ সালে ইংরেজিতেও অনুবাদিত হয়।
এই পুস্তকে বিমানগুলি কিভাবে ভূমি থেকে আকাশে উড়বে তা নিয়ে কোন লেখা নাই:
উত্তর হতে পারে:
১. বইটি অসম্পূর্ণ!
২. পুস্তকটির সম্পূর্ণ জ্ঞান ঐ পন্ডিতদের ছিল না!
৩. ঐপন্ডিতের পুস্তকটির পূর্ণ জ্ঞান ছিল, কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করার আগেই ১৯২৩ সালে তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় পুস্তকটি প্রকাশের এক্টিভিটির কারণে!
৪. পুস্তকটির মিসিং পৃষ্ঠাগুলো বিট্রিশরা নিজের অধীনে নিয়েছিলো!
৫. ১৯২৩ সালে পুস্তকটি সম্পূর্ণ হয়েছিল আর প্রকাশ হয়েছে ১৯৭৩ সালে, এর মধ্যে অন্য কোন কারণে পৃষ্ঠা মিসিং হতে পারে।
এই পুস্তকে লেখা আছে এটা "বৃহৎ বিমান শাস্ত্রের ১ম পর্ব" আর যন্ত্রসর্বস্ব বইয়ের ৪০তম পর্ব।
CSIR EXPRIMENT REPORT:
এই এক্সপিরিমেন্ট করেছিলেন Dr. Maheshwar shaRon, nano scientist,RETD propessor,(IIT BOMBEY),RETD propessor,(EMERITUS), (CSIR AND UGC) এবং Scientist Dr. MADHURI SHARON. এই দুই বিজ্ঞানীর ১৯৮৪-১৯৯০ সাল পর্যন্ত "বৈমাণিক শাস্ত্র" পুস্তকে উল্লেখিত "গুহা গর্ব দর্শন যন্ত্রে নির্দেশনা অনুযায়ী গবেষণা করে প্রমাণ করে যন্ত্রটি সফলভাবে কাজ করে। এক প্লেন থেকে মাটির নিচে কামান বা যুদ্ধাস্ত্র সূর্যের আলো সহ কয়েকটি দ্রব ব্যবহার করে প্লেনের পাইলটকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এলার্ট করে দেয়।
এসম্পর্কে প্রমান লিঙ্ক: https://youtu.be/Oa6Ab-WW-hw
সমস্যা ৩: এই পুস্তকের বিমানের ডিজাইন নিয়ে তৎকালীন অনেকে উড়ার জন্য দূর্বল ডিজাইন মনে করেছিল এবং বর্তমান ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় ও আছে, সম্পতি হিস্ট্রি টিভি ২০১৭ সালে প্রতিবেদনে ৩ডি মডেল বানিয়ে প্রমাণের মাধ্যমে বুঝিয়েছে এই ডিজাইনের বিমানগুলি আকাশে উড়তে সক্ষম। এছাড়া ত্রিপুরা বিমানের সফল টেস্টে সবকিছু সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কালিফনিয়ার বিজ্ঞানী।
হিস্ট্রি টিভির প্রমাণের লিঙ্ক : https://youtu.be/zpKIj4-bmt0
বইটি আপনি কোথায় পাবেন?
গুগলে Vaimānika Shāstra পুস্তকের ইংরেজিসহ বেশ কিছু ভাষায় পিডিএফ সহ অনেক ওয়েবসাইট পাবেন পড়ার জন্য।
1
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন