সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

খানকি মাগি

 

ইতিহাসের পাতা হতে...

"'খানকি মাগী'"

'খানকি মাগী' - এই শব্দবন্ধনটাকে আমরা সবাই ঘৃণা করি। সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তি লজ্জায় মুখে আনতে দ্বিধা করেন, বাংলা অভিধানে স্থান পায়নি শব্দটি। কিন্তু প্রায় কেউই জানিনা এই শব্দটি সৃষ্টির পেছনে লুকিয়ে আছে এক করুণ মর্মান্তিক ইতিহাস।
আমরা জানি মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে বহু উপ সম্প্রদায়। তেমনি একটি সম্প্রদায় সুফি। এদের ধর্মগুরুদের বলা হতো পীর। এই পীরেরা আখড়া বানিয়ে থাকতো। ওই আখড়ায় অতিথি আপ্যায়নের জন্য যে কক্ষ রাখা থাকতো তাকে বলা হতো খানকাহ্। এই খানকাহ্তে যে হিন্দু নারীদের যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হতো তাদেরই বলা হত খানকী।
মধ্যযুগের বাংলায় অর্থাৎ, মুসলিম শাসনের প্রাক অধ্যায়ে শেখ ও সুফিদের খানকাহগুলি মুসলমান ধর্মের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মিনহাজ-ই-সিরাজ উল্লেখ করেন যে, ঐতিহাসিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে বখতিয়ার খলজী বাংলায় প্রবেশ করেন। তৎকালীন লখনৌতিতে বাংলার রাজধানী স্থাপনের পর বখতিয়ার খলজী বহু মসজিদ, মাদ্রাসা এবং খানকাহ নির্মাণ করেছিলেন। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বাংলায় মুসলমান বিজয়ের প্রথম একশত বছরের মধ্যে (১২০৪-১৩০৪) খোদাই করা তেরোটি শিলালিপির মধ্যে ছয়টিই খানকাহর স্মৃতি বহন করে।
এবার বিশদে বলা যাক -
এই বাংলায় এসে ধর্মপ্রচার করেছে তুর্কিস্তান, মধ্য ইরাক, পারস্য থেকে আসা বহু সুফি, সন্ত, ফকির, আউলিয়া। সুফিদের বিষয়ে ইতিহাস বা সমাজবিজ্ঞান বইতে যেসব ভালো ভালো কথা লেখা হয় তা' অসম্পূর্ণ তথ্য এবং সত্যের বিকৃতিতে পূর্ণ। এই সুফি পীরদের থাকত এক একটি আখড়া। সঙ্গে থাকত একদল খিদমতগার বা চেলা। এদের সকলের যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য জোগাড় করা হতো অনেক বন্দিনী - মূলত: হিন্দু নারী যৌনদাসী।
বাংলা তথা ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এসব অন্ধকার অধ্যায়ের কথা কেউ লেখে না। সাহিত্যের আলোচনায় কোথাও কেউ এর উল্লেখ করে না। সবাই সুফি দরবেশদের এক বিশেষ দর্শন বিষয়ে গদ গদ চিত্তে তাদের মহান বলে বর্ণনা করে। বাঙালি হিন্দু আহাম্মকের জাতি। তাদের নির্বুদ্ধিতা, অপাত্রে ভক্তি ও দান ছিল মুসলমান ধর্মপ্রচারকদের প্রধান অস্ত্র। বাঙালি বাদে ভারতের অন্য কোথাও এমন নির্বোধ ব্যক্তি দেখা যায় না। তাই দেশের অন্য কোথাও নেই সুফি দরবেশদের এত বেশি আখড়া, খানকাহ।
সুফিরা ছিল আল্লার অন্ধ ভক্ত এবং কোরআন - হাদিসে অটুট বিশ্বাস- ইসলামের প্রচারে এরা যে কোনও ক্রুরতা, হিংসা, অপরাধ করেছে নির্দ্বিধায় এবং অবাধে। নারী লুঠ করে ভোগ করেছে, তাদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে হিন্দু রাজা, জমিদার, ধনী ব্যবসায়ীদের মুসলমান বানিয়েছে।
সাধারণভাবে ইসলামে নারীদের ধর্মীয় স্থান গুলি থেকে দূরে রাখা হয়। কিন্তু, কিছু অতি বড় আহাম্মক হিন্দু সস্ত্রীক যেত সুফির আখড়ায়। এই আখড়া হত গ্রামের সীমানায় দখল করা ভূমিতে, জমিদারও ভক্তিতে বা ভয়ে কিছু বলত না - যদি নবাবের কাছে নালিশ করে দেয়! সুফিরা প্রত্যেকে অস্ত্র শস্ত্র রাখত - কখনো লুকিয়ে, কখনো প্রকাশ্যে। সরল হিন্দু পরিবারগুলি সাধুবাবা মনে করে দেখা করতে এলে এরা তাদের দুপুরে খেয়ে যেতে বলত। আহারের ব্যবস্থা করে দিতে যাত্রীরা নিজেরাই ভাত ফুটিয়ে খেত। এরপর এদের বিশ্রামের ব্যবস্থা হত ওই আঁখড়াগুলিতেই। অবসন্ন দেহ ঘুমে এলিয়ে পড়তেই অসতর্ক, অসহায় পরিবারগুলিকে আক্রমণ করে সহি ইসলামি কায়দায় পুরুষদের হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলত। এ কারণে যে কোন পীরের মাজারে গেলে দেখতে পাবেন আশেপাশে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কবর ক্ষেত্র।
পীরের নির্দেশে তার চেলারা হিন্দু বালিকা থেকে যুবতী মেয়েদের ধরে আনত। এরপর এদেরকে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখে চলত অবাধ ধর্ষণ, গরুর মাংস খাওয়ানো, মুসলমান করা। সুফি দরবেশদের আখড়ার সংলগ্ন থাকত ধর্ম আলোচনার জন্য বাঁধানো চাতাল, কিছু কক্ষ। একে বলে খানকাহ। হিন্দু শ্রেষ্ঠী, জমিদারদের আপ্যায়ন করে এই খানকাহে রেখে বন্দিনী মেয়েদের সঙ্গে কৌশলে সঙ্গম করানো হত। তারপর নানাভাবে চাপ দিয়ে তাদের মুসলমান করার খেলা। হতভাগিনী যৌনদাসীরা এভাবে ইসলাম ছড়াতে সাহায্য করত। এই নির্মম ইতিহাস হারিয়ে গেছি বিস্মৃতির অতলে। আর এইসব মেয়েদের জন্য ঘৃণামেশানো এক শব্দ চালু হয়েছে - খানকি মাগি। দ্যর্থহীন ভাষায় বলা যায় সনাতন হিন্দুজাতি এভাবেই ক্ষয় হয়েছে, ধর্মান্তরিত হয়েছে। আর বর্তমানে দ্রুত এগিয়ে চলেছে চরম অবলুপ্তির পথে।
সুফি সন্তদের মধ্যে প্রায় কেউই সৎ মানুষ ছিল না, ছিল বহিরাগত সশস্ত্র জিহাদি। সিলেটের বিখ্যাত সুফি শাহজালাল বিষয়ে আংশিক জানি আমরা। এই শাহজালাল তার ঘোড়সওয়ার বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করে পরাজিত ও নিহত করে উত্তর বাংলার রাজা কৃষ্ণগোবিন্দকে, রাজশাহি ও সিলেট ইসলামের কবলে চলে যায়। বেড়াচাঁপায় গৌরচাঁদ পীর রাজা চন্দ্রকেতু এবং তার দুই সেনাপতি হামা ও দামাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মজার কথা হলো আজও দেগঙ্গা বেড়াচাঁপায় বহু হিন্দু এই গোরাচাঁদ পীরকে শ্রদ্ধা করে। বোকা হিন্দু জাতি আজো ইতিহাস না জেনে খুনি পীড়দের নামে মানত করে, মাজার জিয়ারত করে, মোমবাতি জালায়!! কবে হিন্দুদের বুদ্ধির ধার খুলবে কে জানে??

( সংগৃহীত )

শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ


3
1টি কমেন্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন