মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০

নিরাকার ঈশ্বর কিভাবে চন্দ্র, সুর্য, গ্যালাক্সি, নির্মাণ করেন??

 

নিরাকার ঈশ্বর কিভাবে চন্দ্র, সুর্য, গ্যালাক্সি, নির্মাণ করেন??


Pondit Shree Subrata Chakrabarty


নিরাকার ঈশ্বর কিভাবে চন্দ্র, সুর্য, গ্যালাক্সি, নির্মাণ করেন??

অথর্ববেদ ১৯/৫৩/১।। 

সৃষ্টির কোণায় কোণায়, স্পেসে,  কালই কার্য করে থাকে। কালরশ্মি প্রকৃতিতে সমাহিত থাকে। সৃষ্টির প্রথম স্টেপে কালরশ্মি(পরা ওম্ রশ্মি) প্রকৃতির গুণসমুহের সাম্যবস্থা বিনষ্ট করে দেয়। কাল রশ্মি তথা ওম্ রশ্মি অনাদি। সর্বত্র বিদ্যমান থাকে। তিন কালেই কালের কোন পরিবর্তন হয় না। কাল রশ্মি তথা ওম্ রশ্মি প্রকৃতির গর্ভে মহতত্বের সৃজন করেন। মহতত্বের মাঝে পরা ওম্ তথা কাল রশ্মি কাজ করবার ফলে মহতত্ব মনস্তত্বে কনভার্ট হয়ে যায়। কাল রশ্মি পশ্যন্তি ওম্ রশ্মিকে প্রেরণ করে পশ্যন্তি ওম্ রশ্মি সাত মহা ব্যাহৃত রশ্মিকে প্রেরণ করে থাকে। উক্ত সাত রশ্মির প্রভাবে মনস্তত্বের মধ্যে দশ প্রাণরশ্মির নির্মান হয়ে যায়। উক্ত দশ প্রকারের প্রাণরশ্মি কর্তৃক বিভিন্ন বেদ মন্ত্রকেই মনস্তত্বের মাঝে উৎপন্ন করে। মরুত রশ্মি,ছন্দরশ্মি,প্রাণরশ্মি প্রভৃতি,  ফোটন,কোয়ার্ক,কোয়ান্টা,পার্টিকেল,ইলিমেন্টারি পার্টিকেল,আয়ন অ্যাটম, এবং মলিকুল প্রভৃতি কালরশ্মি দ্বারা নির্মিত হয়ে থাকে। কাল রশ্মির প্রভাবে আস্তে আস্তে গ্যালাক্সি,নেবুলা,সূর্য,চন্দ, এবং বহু প্রকারের বলের নির্মাণ হতে থাকে। ঈশ্বর কালকে প্রেরণা করে কাল প্রকৃতিকে ডিষ্টার্ব করে, প্রকৃতি মহতত্ব আদি অহংতত্ব এবং মনস্তত্বকে নির্মাণ করে বিভিন্ন প্রকারের বেদ ঋচ-এর জন্ম দিয়ে থাকে। ছোট বড় বেদ ঋচ-এর দ্বারা মনস্তত্ব পূর্ণ হতে থাকে। মনস্তত্বের মাঝে উৎপন্ন ঋচ-ই হলো ফোর্স বা বৃহৎ বল।  এই সকল বলেরও বল, পরা ওম্ রশ্মি তথা কাল রশ্মি।

নমস্তে।।

®অগ্নিব্রত


শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ





















প্রণব কুমার কুণ্ডূ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন