বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

জেনে রাখুন চিনে রাখুন কনভার্টেড ইসলাম !

জেনে রাখুন  চিনে রাখুন কনভার্টেড ইসলাম !


ছবিতে থাকতে পারে: আগুন এবং খাবার
আমি কেন ধর্মনিরপেক্ষতা-কে ঘৃণা করি
উজবেক দখলদার সম্রাট শাহজাহানের শাসন আমলে ভারতে আসা ইংরেজ পর্যটক পিটার মাণ্ডি লিখেছেন, "শাহজাহানের আমলে দুর্ভিক্ষ হয় দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটে। এই দুর্ভিক্ষের উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু হত্যা। লক্ষ লক্ষ হিন্দু কৃষককে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে না পেরে, তাদের হত্যা করা হয়েছিল এবং হিন্দু মেয়েদের বানানো হয়েছিল যৌনদাসী। তবে এই দুর্ভিক্ষে মুসলমানদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ, হিন্দুদের জমিজমা কেড়ে নিয়ে, মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লুট করা হয়েছিল হিন্দুদের সমস্ত অর্থকড়ি সোনাদানা। রাস্তাঘাটে পড়েছিল দুর্ভিক্ষপীড়িত হিন্দুদের লাশ, সৎকার করার লোক ছিল না। এত অধিক সংখ্যক লাশ পড়ে থাকায় চারদিকে এমন বিকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল, যার জন্য পিটার মাণ্ডি একটি তাঁবু খাটানোর জায়গা খুঁজে পাননি।"
ইউরোপীয় পর্যটক বার্ণিয়ে তার "ট্রাভেলস ইন্ দ্য মুঘল এম্পায়ার" গ্রন্থে লিখছেন, "মুঘল রাজপ্রাসাদের মধ্যে ঘন ঘন মীনাবাজার বসানো হতো এবং সেখানে জোর করে ধরে আনা হিন্দু নারীদের বেচাকেনা করা হতো। সম্রাটের কোন হিন্দু নারীকে মনে ধরে গেলে তার স্থান হতো হারেমে।"
টিপু সুলতানের হারেমে ছিল ৬০১ জন হিন্দু নারী। এর মধ্যে তার পিতা হায়দার আলীর ২৬৮ জন, টিপুর নিজস্ব ৩৩৩ জন। এমনকি এদের মধ্যে মহীশূরের হিন্দু রাজপরিবারের দু'জন কন্যাও ছিলেন।
হিন্দু নারীদের ক্রীতদাসী হিসেবে কিনে এনে যথেচ্ছ যৌন নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি তাদের দিয়ে বেগমদের শৌচাগার পরিস্কার করানো হতো। বেগমদের মল-মূত্র মাথায় করে বয়ে নিয়ে যেতে হতো তাদের। হিন্দু নারীরা এই নরক যন্ত্রণা থেকে নিস্কৃতি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতো।
তথ্যসূত্র : ক্যাপ্টেন হ্যারিয়ট, চিফ সেক্রেটারি অব্ মাদ্রাজ (০২/০৭/১৮০০ খ্রিঃ) রিপোর্ট
কৃত্তিবাস ওঝা
২১/১০/২০২০খ্রিঃ

শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন