ইসলাম ( তিন )
শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ
নিউজ ফিডের পোস্ট
১৯৯১ সালে হায়দ্রাবাদ থেকে জেডডা ভায়া দিল্লী একটি বিমানে একজন
বুড়ো শেখ এবং তারপাশে কালো তাবু(বোরখা) পরে এক মহিলা যাচ্ছিল ...
মহিলাটি বোরখার ভিতরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে দেখে এয়ার হস্তেস অমৃতা আহলুবালিয়া-র সন্দেহ হয়...
উড়ান-এর সময় মহিলাটি বাথরুমে গেলে অমৃতা বাথরুমের দরজায় এসে দাঁড়ায়, দরজা খুলে মেয়েটি বেরলে তার বোরখা সরিয়ে অমৃতা তার মুখ দেখে হতবাক হয়ে যায়, মেয়েটি বড়জোর ১০ বা ১২ বছরের হবে...
ব্যাপারটি সন্দেহজনক হওয়ায় অমৃতা তা ক্যাপ্টেন-কে জানায় আর ক্যাপ্টেন সঙ্গে সঙ্গে দিল্লী এয়ারপোর্ট-কে সজাগ করে...
বিমান দিল্লীতে ল্যান্ড করার সাথে সাথে পুলিশ ওই শেখ আর ওই বাচ্চাটিকে নামিয়ে নেয়...
বুড়ো শেখ "নিকাহনামা" দেখিয়ে আরবি ভাষায় চিৎকার করতে থাকে যে উনি মেয়েটির বাপ মা-এর সামনে মেয়েটির সাথে "নিকাহ" করে এবং ১০লক্ষ টাকা "মেহর" দেয়, তার কাগজও দেখায়...
কিন্তু হায়দ্রাবাদ পুলিসের তদন্তের পর এমন একটি জঘন্য সত্য সামনে আসে যা সমস্ত মানব জাতিকে লজ্জিত করে...
এই মামলাটিকে "আমিনা মামলা ১৯৯১" নামে গুগুল-এ পেয়ে যাবেন... আর এই সত্যিটা ইসলামের সবথেকে জঘন্য রহস্য উন্মোচন করে যা ভারতবর্ষে ১৯৭০ সাল থেকে হয়ে চলেছে।।।
আসলে ইসলামে "বেশ্যাবৃত্তি" হারাম কিন্তু বেশ্যাবৃত্তির বদলে মুতাহ নিকাহ বলা হয়েছে যেখানে আপনি যেকোনো মহিলা কিশোরী বাচ্চাকে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ করতে পারেন... আর এই কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ আধ ঘণ্টা থেকে কয়েক বছর পর্যন্তও হতে পারে...
আরব-এর বুড়ো শেখ-রা হায়দ্রাবাদ-এ আসে, হায়দ্রাবাদে এইরকম অনেক দালাল আছে যারা গরিব বাবা মা-কে পয়সার লোভ দিয়ে তাদের কন্যা সন্তানদের শেখ-এর সামনে আনে... কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানদেরও আনা হয়...
এর পর শেখ-এর যাকে পছন্দ হয় তার মেহর (রেট) ঠিক হয়... দালাল তার কমিশন নিয়ে নেয় আর বাবা মা টাকা দেখে খুশি হয়ে তাদের ফুলের মতো সন্তানদের ওই আদমখোর জানোয়ার-এর হাতে তুলে দেয়...
আর এইসব কিছু ইসলামের নামে হয়, মুতাহ নিকাহ-এর নামে হয়...
কিছু আরবি শেখ হায়দ্রাবাদের হোটেলে এইসব কাজ মিটিয়ে চলে যেতো আবার কিছু শেখ নিজেদের সাথে বাচ্চাকে আরবে নিয়ে যেতো... কিছু মাস ভোগ করার পর হয় তাদের ইস্তামবুল বা মনামা র বেশ্যালয়ে বিক্রি করে দিত আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের ভারতেও পাঠিয়ে দেওয়া হতো...
এখানে উল্লেখ করি যে ইসলামে "কনডম" একটি হারাম বস্তু, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চাগুলি গর্ভবতী হয়ে গেলে তবেই তাদের ছাড়া হতো বা ত্যাগ করা হতো...
এরপর এই ঘটনায় পুরো দেশ থেকে কমবেশি ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়...
এই প্রথাটি আজও চলছে শুধুমাত্র পদ্ধতি বদলে দেওয়া হয়েছে, এখন মা বাপ নিজেরাই আরব দেশে যায় নিজেদের সন্তানদের নিয়ে আর তারপর তাদের সেখানে ছেড়ে নিজেরা দেশে ফিরে আসে...
তিন বছর আগে বিষয়টি সরকারের নজরে আসে যখন দেখা যায় টুরিস্ট ভিসা নিয়ে অনেক পরিবারই তাদের সন্তানদের নিয়ে আরবে যায় কিন্তু যখন ফেরত আসে তখন সাথে সন্তানরা থাকে না... বদলে তাদের সঙ্গে থাকে বাচ্চার "নিকাহনামা" আর আরবের নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাদের পিরিয়ড শুরু হলেই তাদের "নিকাহ"জায়জ(সঠিক)...
কিন্তু কিছু কিছু শুয়োরের ইসলামের ধর্মের এই সুন্দরতাই ভালো লাগে...
তাই তিন তালাক হালালা মুতাহ_নিকাহ-এর সমর্থনে এরাই আওয়াজ তুলেছিল..
শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ
প্রণব কুমার কুণ্ডূ
বুড়ো শেখ সঙ্গে বালিকা বয়সের কন্যা
79
শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন