বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিউজ ফিডের পোস্ট

 

নিউজ ফিডের পোস্ট

সবার সাথে একসাথে শেয়ার করা হয়েছে

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় ভুলে গেছেন যে এই রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রদেশ মাত্র। এটা কোনো ইসলামিক দেশ নয় যে এখানকার সকল ছেলেরা মাথায় ফেজ টুপি ও মিঞা ড্রেস পরবে, এবং সকল মেয়েরা হিজাব ও বোরখা পরবে। আপনি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুর স্বার্থ দেখতে গিয়ে সংখ্যাগুরুর অধিকার ভুলে যাচ্ছেন। ভারতবর্ষ একমাত্র দেশ যেখানে হিন্দু নয় মুসলিমদের কথা ভেবে আইনকানুন, নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মাইনোরেটেরিয়ান স্টেট থেকে মেজরেটেরিয়ান স্টেট করতে যে রক্ত ঝরবে তার হিসাব আপনি দিতে পারবেন তো? প্রতিটা জায়গায় উর্দুর জয়জয়কার, ইমাম ভাতা, সংখ্যালঘু উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার নামে জনগণের TAX এর টাকা জলের মতো খরচ করা, সরকারি টাকায় হজ হাউজ নির্মাণ করে এই রাজ্যের ইকো সিস্টেমকে নষ্ট করে দিয়েছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ডেমোগ্রাফী বদলাচ্ছে ভয়ঙ্কর ভাবে। অনেকগুলো জেলায় জমির অধিকার, ব্যবসা বাণিজ্য থেকে ধীরে ধীরে হিন্দুদের অপসারণ করা হচ্ছে।
এক শ্রেণীর মানুষ যখন তাদের আইডেন্টিটি নির্ভর করে রিলিজিয়াস রেজিমেন্টেশনের চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত প্রতি মুহূর্তে স্থাপন করে চলেছে, আমরা তাদের কাউন্টার করার জন্য কোন ভাবেই রেজিমেন্টের প্রয়োজনীয়তাই বোঝাতে সক্ষম নই। হিন্দুদের বুদ্ধিতে শ্যাওলা জমেছে। আমরা এখনও পলিটিক্যাল হিন্দু হবার কথা ঘোষণা করছি। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক হিন্দু না হলে এই ভাবে ফেজ টুপি পরতে হবে আমাদের ছেলেদের। আর মেয়েরা এখনি নানারকম বশীকরণের সাহায্যে প্রেম করে বিয়ের নামে ধর্ম পরিবর্তন করছে। পরে সরাসরি বোরখার মধ্যেই জন্মাবে। আর হ্যাঁ যে সব শহুরে উচ্চ শিক্ষিত আঁতেল বাঙ্গালী একটু বেশী যুক্তিবাদী হয়ে বশীকরণ হয় না বলে শিঙা ফুঁকছেন, তাদের নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা একটু ঘুরে দেখে আসতে বলব। এমন কিছু খাওয়ানো হয় যাতে একটা দীর্ঘমেয়াদি নেশা বা ঘোরের মধ্যে থাকে। কোন তন্ত্র মন্ত্র নয়, খাইয়ে বশীকরণ করা হয়। যে সব মেয়েরা হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগার করে, তারা হঠাৎ করে ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলে, বিনা বাক্য ব্যয়ে। প্রতিটা ক্ষেত্রে এক ঘটনা। প্রেম দুজনে করে, বিয়েও দুজনে করে কিন্তু ধর্ম একজন বদলায় অথচ ভারতীয় আইনে দুই ভিন্ন ধর্মের বিয়ে করতে কাউকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হয় না। কিন্তু প্রতি বার হিন্দু মেয়েটিকেই তার ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়। এবং কিছু দিনের মধ্যেই সে রাস্তায় দাঁড়ায় সন্তান সহ। কোন পুরুষ তার ফেজ টুপি ছেড়ে নাম, ধর্ম বদলে তিলক কেটে অগ্নি সাক্ষী করে বিয়ে করে না কেন?
হয় এই বিধানসভায় পরিবর্তন আনতে হবে। না হলে আর রাজ্যবাসীকে ভোট দিতে হবে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশে থেকে গণতন্ত্রের বিরোধিতা করা খুব সহজ। হিন্দু মেজরিটি দেশে হিন্দু বিরোধিতা করাও খুব সহজ। গণতান্ত্রিক দেশে মাওবাদ, মার্কসবাদ, লেনিনবাদ, নাস্তিকবাদ, অজ্ঞেয়বাদ আর যা যা সব বাদ, বিবাদ, সব খুব সহজ। যেই পরিস্থিতি বদলে যাবে তখন মাওবাদ থেকে নাস্তিকতা সব কিন্তু সত্যিকারের বাদ, কেটে বাদ, স্থায়ী ভাবে বাদ যাবে।
আমাদের নিজেদের ভাবতে হবে, আমরা কোন পথে যাব। হিজাবে ঢাকা মেয়ে আর ছেলেদের এমন ফেজ টুপি পরা ছবি নাকি ছেলেমেয়ে সবাই মিলে স্বাভাবিক জীবনের ছবি। পছন্দ আপনার।
শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডু






প্রণব কুমার কুণ্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন