রাণু ও রবীণ্দ্রনাথ
রাণুকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ, আবার তাঁকে নিয়েই লিখছেন গান
শরৎকাল! ভোরের শিশির তখনও টলমল করছে পাতায়, ফুলে, ঘাসে! শান্তিনিকেতন আশ্রমে হাত ভর্তি করে শিউলিফুল কুড়োচ্ছে একটি মেয়ে। দূরে তপস্বীর মতো বসেছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ। ধীরে ধীরে এসে দাঁড়ালেন মেয়েটির কাছে। শান্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘কে? রাণু?’ রাণু সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ফুল উজাড় করে দিল রবীন্দ্রনাথের পায়ে। শরতের ভোর এমনি রূপকথা হয়ে আঁকা ছিল লেডি রাণু মুখার্জীর স্মৃতিপটে। ১৯৮৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘দেশ ’ পত্রিকায় প্রকাশিত লেডি রাণু মুখার্জীর স্মৃতিচারণায় এমন ছবিই ধরা ছিল। পরিণত বয়সে এসে লেডি রাণু লিখেছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের কথা ফুরোবার নয়।’
রাণু ও ভানুর গল্প কিন্তু সত্যি। কেমন করে রাণু অধিকারী নামের একটি মেয়ের ‘প্রিয় রবিবাবু’ সম্বোধন ‘ভানুদাদা’ ডাক হয়ে যাবে, কেমন করে বিয়ের পর রাণু মুখার্জী হয়ে যাওয়া এক বঙ্গললনা একইভাবে রবিঠাকুরকে ভালোবেসে যাবেন, সেই কথকতা করতে বসলেই মনে হয় আড়াল থেকে বেজে উঠছে ‘গহনকুসুম কুঞ্জ মাঝে’র মতো রাবীন্দ্রিক পদ। অতীতের পর্দা সরিয়ে পাশে এসে বসছেন রবীন্দ্রজীবনের আরেক নারী কাদম্বরী, রবীন্দ্রনাথের অকালে তারা হয়ে যাওয়া প্রিয় বৌঠান!জীবনের অপরাহ্নকালে।
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
রাণুর মুখাবয়বে ছিল তাঁরই প্রতিচ্ছবি। রবীন্দ্রনাথের জীবনে তাই রাণু এলেন এক অন্যরকম ভূমিকায়। কবির মনে হয়তো এই নতুন অসমবয়সী সম্পর্কের নাম লেখা ছিল প্রত্যাবর্তন। রাণুকে লেখা একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘খুব বেদনার সময় তুমি যখন তোমার সরল ও সরস জীবনটি নিয়ে আমার কাছে এলে এবং এক মুহূর্তে আমার স্নেহ অধিকার করলে তখন আমার জীবন আপন কাজে বল পেলে— আমি প্রসন্ন চিত্তে আমার ঠাকুরের কাজে লেগে গেলুম।’ সেই ‘ঠাকুরের কাজ’ অবশ্যই সাহিত্য-সাধনা। ১৯১৭ থেকে ১৯২৫, রাণু অধিকারীর বীরেন্দ্রনাথ মুখার্জীর সঙ্গে বিয়ের আগে পর্যন্ত এক আশ্চর্য মায়াবী সখ্য তৈরি হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ আর রাণুর মধ্যে। নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ অনেক বছর পর আবার ‘ভানুসিংহ’ ছদ্মনামটি ব্যবহার করলেন। চিঠির পাতায় হলেন রাণুর ‘ভানুদাদা’ আর ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হল ‘ভানুসিংহের পত্রাবলী’। রাণু ও ভানুর পত্রালাপ। চিঠির ব্যক্তিগত প্রসঙ্গগুলি অবশ্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। রাণুকে লিখতে বসেই রবীন্দ্রনাথ ‘ভানু’ হয়েছিলেন, আবার! শুধু ‘রাণু’ নামটির সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে নয়। কাদম্বরীদেবীর স্মৃতি তখন অহরহ জাগিয়ে তুলছিলেন চঞ্চল কিশোরী রাণু। রবীন্দ্রসমালোচক শ্রী জগদীশ ভট্টাচার্য খুব সুন্দর করে রাণু বিষয়ক অধ্যায়টির নামকরণ করেছিলেন— ‘আপন মানুষের দূতী’। রাণু ও ভানুর গল্পটার মূল সৌন্দর্য এইখানেই।
ভোরের এক তারা সাঁঝের তারার বেশে যেন সত্যিই ফিরে এসেছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনে। কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ফণিভূষণ অধিকারীর দশ বছরের মেয়ে রাণু পড়ে ফেলেছিলেন রবি ঠাকুরের অনেক গল্প। লেখকের প্রতি মুগ্ধতা থেকেই রবীন্দ্রনাথের পত্রবন্ধু হয়েছিলেন রাণু, গল্পের চরিত্রগুলি নিয়ে লেখার পর কিশোরী মেয়েটি আবেগে উচ্ছ্বল হয়ে লিখেছিল, ‘আপনাকে দেখতে আমার খু-উ-উ-উ-উ-উ-উ-ব ইচ্ছে করে।’ দেখা হয়। শুরু হয় রবীন্দ্রজীবনে সৃষ্টির এক নতুন পর্ব। ১৯১৮ সালে প্রথম শান্তিনিকেতন এসেছিলেন রাণু। তখন তাঁর এগারো বছর বয়স। শান্তিনিকেতনে সকলের সঙ্গে আনন্দ করে দিন কাটিয়েছিলেন। প্রতিমাদেবীর সঙ্গে মিলে রবীন্দ্রনাথের সেবা করেছিলেন রাণু। রাণুর বাবা তখন শান্তিনিকেতনের শিক্ষক ক্ষিতিমোহন সেনকে দর্শন পড়াতে আসতেন। সঙ্গে আসতেন রাণু। সময় গড়িয়ে চলে আর রাণু ও রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক এক অন্যরকম বন্ধনের হলুদ সুতোয় যেন আটকা পড়ে যায়। এলমহার্স্টের স্মৃতিচারণায় আছে, রবীন্দ্রনাথের এই সময়কার সৃষ্টির জোয়ার নিয়ে জোড়াসাঁকোয় আলোচনা চলছিল খুব। এলমহার্স্ট নিজেও এই বিষয়ে কৌতূহল প্রকাশ করেন রবীন্দ্রনাথের কাছে। রবীন্দ্রনাথ তখন রাণুর প্রতি ইঙ্গিত করে এলমহার্স্টকে বলেছিলেন, ‘She not only showers affection upon me but she gives me inspiration.’
১৯২৩ সালটি রাণু ও রবীন্দ্রনাথের জন্য বিশেষ একটি বছর। রাণু মুখার্জীর স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, এই বছর শান্তিনিকেতনে ‘বিসর্জন’ নাটকের অভিনয় হয়। রথীন্দ্রনাথ, দিনেন্দ্রনাথ, সুরেন্দ্রনাথের মেয়ে, রবীন্দ্রনাথ এবং রাণু— সকলে মিলে অভিনয় করেন। রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ৬২। এই বৃদ্ধ বয়সে তরুণ জয়সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। অপর্ণা হয়েছিলেন রাণু! এই বছরই সপ্তদশী রাণুকে নিয়ে শিলং পাহাড়ে ঘুরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাণু চিঠিতে তাঁর বয়স বেঁধে দিয়েছিলেন,‘সাতাশ!’ লিখেছিলেন, ‘কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলবেন আপনার বয়স সাতাশ।’ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন যে সাতাশটা যদি সাতাশি ভেবে ভুল করে লোকে তাঁকে বয়স্ক ভাবে! তাই নিজের জন্য ছাব্বিশ বছরের ছোকরা বয়স নির্বাচন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আসলে তিনি তখন ‘বাষট্টি বছরের তরুণ’! রাণুর সঙ্গে রঙ্গরসিকতায় এই মুহূর্তযাপন প্রভাব ফেলবে রবি ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে। অমিত্রভূষণ ভট্টাচার্য অনুমান করেছিলেন, ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্যের আড়ালে রয়েছেন রাণু। রাণুর বাবার মতো লাবণ্যের বাবাও অধ্যক্ষ ছিলেন কলেজের। রাণুর মতোন লাবণ্যও রবিঠাকুরের ভক্ত। শেষে লাবণ্যের মতো রাণুর বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র। ১৯২৫ সালে বীরেন্দ্রনাথ মুখার্জীর সঙ্গে। শুরু হয় রাণু ও ভানুর জীবনের নতুন পর্ব। ১৯২৩-এর পর ১৯২৭-এ একবার শিলং এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাণু তখন বীরেন্দ্রনাথের ঘরণী। রাণুকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘অন্য শিলং’! মনখারাপের মেঘ কি স্পর্শ করেছিল লেডি রাণু মুখার্জীকে?
১৯২৫ সালের ২৮ জুন রাণুর বিয়ে হয়েছিল স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জীর ছেলে বীরেন্দ্রনাথের সঙ্গে। প্রিয় রাণুকে কাচের আলমারি ভর্তি নিজের লেখা সব বই উপহার দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিয়ের ঠিক আগে রাণুর শ্বশুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি কুৎসিত ইঙ্গিত দিয়ে কেউ চিঠি লেখেন। রবীন্দ্রনাথের মধ্যস্থতায় সেই সমস্যার সমাধান হয়। রাণুর শাশুড়িকে চিঠিতে লেখেন রবীন্দ্রনাথ, ‘একথা আমি আপনাকে জোর করিয়া বলিতে পারি রাণুর চরিত্রে কলঙ্কের রেখামাত্র পড়ে নাই—।’ একথাও লিখেছিলেন, শিশুকাল থেকে রাণুকে চেনেন তিনি। যদি তাঁর ছোটোছেলে শমীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকতো, অসামান্য বুদ্ধিদীপ্ত এই মেয়েটিকে তিনি তাহলে শমীর বৌ করতেন। এই স্বীকারোক্তির পরে আপত্তির জায়গা ছিল না। বিয়ে হয়ে যায় রাণুর। রবীন্দ্রনাথের তখন সচেতনভাবেই নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন একটু একটু করে। যদিও রাণু লিখেছিলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি।’ কিন্তু সব আগের মতো সরল ছিলো না। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে থিয়েটার দেখতে গিয়ে রাণুকে মাঝপথে ফিরে যেতে হয় শ্বশুরবাড়ির কর্তব্যের টানে। সম্ভবত বীরেন্দ্রনাথের বাবা রাজেন্দ্রনাথের প্রভাবে রাণুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের দূরত্ব তৈরি হয়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তখন বন্ধুত্ব হয়েছে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর। রাণু সংসার এবং বিচিত্র কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। এরপর যখন আবার রাণু নিঃসঙ্কোচে ফিরে যায় তাঁর ভানুদাদার কাছে, তখন রবীন্দ্রনাথের জীবনে আর চারটি বছর বাকি!
রাণু অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল প্রীতি। পৈত্রিক বাড়িতে লেখাপড়ার চর্চা ছিল সবসময়। ছবি আঁকতে পারতেন খুব ভালো। চিত্রশিল্পী সুরেন করের কাছে ছবি আঁকা শিখতেন। গানের গলা খুব একটা ভালো ছিল না, কিন্তু অভিনয়ে দক্ষতা ছিল তাঁর। একবার চেকোশ্লোভাকিয়াবাসী এক চিত্রশিল্পী নেভেস্কোপস্কি এসে রাণুর একটি ছবি আঁকেন। ছবিতে রাণুর গায়ের রংটা একটু চাপা করে দিয়েছিলেন বলে, আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় নাকি খুব রেগে গিয়েছিলেন। সে এক মজার কাণ্ড!
লেডি রাণু মুখার্জীর সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে রবীন্দ্রনাথের আঁকা এই অবয়বে
রাণুর বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়িতেও চিত্র সংগ্রহ করা হতো। বড়ো বড়োছবি আঁকিয়েদের কাছে মডেল হিসেবে সিটিং দিতেন রাণু। এই মডেল হওয়া তখন অত্যন্ত সম্মানজনক এবং ধনীদের সোশ্যাল ইভেন্ট ছিল। লেডি রাণু মুখার্জী অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর্টের ক্ষেত্রে ধ্রুপদী ধারার প্রচলন করেছিলেন তিনি। কাজের বিষয়ে স্বামী বীরেন্দ্রনাথকে সঙ্গে পেয়েছিলেন সবসময়। তিনি শুধু রবীন্দ্রনাথের জীবনের একটি পর্বের প্রেরণা ছিলেন না, অসম্ভব প্রতিভাময়ী এক কর্মী মানুষ ছিলেন। সময় যেন তাঁকে সেভাবেই মনে রাখে।
রাণুর প্রাণচঞ্চল ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথের মনকে ঠিক কীভাবে প্রভাবিত করেছিল, তা বোঝা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব! ‘রক্তকরবী’ নাটকের নন্দিনী চরিত্রটির অন্তরালেও রাণুর প্রভাব রয়েছে বলে এলমহার্স্ট সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথও ইঙ্গিতে বলেছিলেন, রক্তকরবীর সমস্ত পালাটি নন্দিনী বলে এক মানবীর ছবি।’ হতে পারে সেই মানবীর খানিকটা রাণুর মতোন! রাণুকে একদিকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ, অন্যদিকে তাঁকে নিয়েই লিখছেন গান—
‘এই বুঝি মোর ভোরের তারা এল সাঁঝের তারার বেশে/ অবাক চোখে ওই চেয়ে রয় চিরদিনের হাসি হেসে।’ রাণুও একদিকে ভানুদাদাকে শ্রদ্ধা করছেন নত হয়ে, অন্যদিকে বৃদ্ধ পুরুষটিকে চিঠিতে লিখছেন, ‘ভারী দুষ্টু!’ এই সম্পর্কের শিকড় আসলে অতীতের গর্ভে লুকিয়েছিল। কাদম্বরীদেবীর মুখের গড়ন নিয়ে রবি ঠাকুরের জীবনে এসেছিলেন রাণু!কাদম্বরীদেবী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের জীবনদেবতা। কবির মনের গভীরে তাঁর বাস। রাণুকে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, ‘আমি আমার জীবনকে তাঁরই (জীবনদেবতার) কাছে উৎসর্গ করেছি— সেই উৎসর্গকে তিনি যে গ্রহণ করেছেন, তাই মাঝে মাঝে তিনি আমাকে নানা ইশারায় জানিয়ে দেন। হঠাৎ তুমি তাঁরই দূত হয়ে আমার কাছে এসেচ, তোমার উপরে আমার গভীর স্নেহ তাঁর সেই ইশারা—।’
রাণু আর ভানুকে নিয়ে চর্চা তো কম হয়নি। কিন্তু এই সম্পর্ক ছিল শিলং পাহাড়ের ঝকঝকে আকাশের মতোন নির্মল। রাণুর সঙ্গে প্রথম দেখার হওয়ার দিনটায় বুকের মধ্যে অনেক ঝড় বইছে রবীন্দ্রনাথের। জানেন কেন? সেইদিন, ১৩২৫ (১৯১৮) সালের ২ জ্যৈষ্ঠ, রবীন্দ্রনাথের বড়ো আদরের মেয়ে মাধুরীলতার মৃত্যু হয়েছে। কন্যাকে হারিয়ে দশ বছরের রাণুর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। গিয়ে, রাণুর মুখাবয়বে দেখেছিলেন প্রিয় বৌঠানের সেই শিশু মুখের ছবি! অতীত আর বর্তমানের বেদনার তুলিতে রাণুকে এঁকেছিলেন বুকের ভিতরে। রাণুও বুঝেছিলেন সেই ইশারা। দুই অসমবয়সী মানুষের এই যে বন্ধুত্ব, তাকে বোঝার জন্য শিল্পীর হৃদয় দরকার।
সহায়ক গ্রন্থঃ
১. কবিমানসী (১ম ও ২য় খণ্ড), জগদীশ ভট্টাচার্য
২. ভানুসিংহের পত্রাবলী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩. নায়িকাবহুল রবীন্দ্রজীবনে লেডি রাণু মুখার্জীর প্রসঙ্গ, ড মাহফুজ পারভেজ, দৈনিক সংগ্রাম সংবাদপত্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন