শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পৃথিবীব্যাপী ইসলামিকরণ সম্পর্কিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

পৃথিবীব্যাপী ইসলামিকরণ সম্পর্কিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 

 

  • যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবীব্যাপী ইসলামিকরণ সম্পর্কিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। যেমন কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ১৬% হয়ে গেলে সে দেশ ১০০-১৫০ বছরের মধ্যে ইসলামিক দেশে পরিণত হয়ে যায !

    বর্তমান সময়ের বহু ইসলামিক দেশ যেমন- তুরস্ক, মিশর, সিরিয়া এইসব দেশগুলি আগে খ্রিস্টান দেশ ছিল। 
     
    পাকিস্তান, আগে ছিল হিন্দু ভূমি । 
     
    আফগানিস্তানে ছিল বৌদ্ধ মতাবলম্বী। 
     
    ইরান যা ছিল জুরাষ্ট্রিয়ান ।
     
    ডক্টর পিটার হ্যামন্ডের লেখা বই 'Slavery, Terrorism and Islam' তে বলা হয়েছে,
    "ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, কোন উপাসনা পদ্ধতিও নয় । এর পূর্ণ বিকাশে এটি একটি ১০০ % সম্পূর্ণ জীবনশৈলী"।
    ইসলামি আগ্রাসনের বিশেষ ধরণ আছে-
     
    যতদিন মুসলিম জনসংখ্যা কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ২ % এর নিচে থাকে ততদিন তারা শান্তশিষ্ট সংখ্যালঘু সেজে দেশে বাস করে ।
    যেমন -
    যুক্তরাষ্ট্র- ০.৬ %
    অস্ট্রেলিয়া- ১.৫ %
    কানাডা- ১.৯ %
    চীন- ১.৮ %
    ইতালি- ১.৫ %
    নরওয়ে- ১.৮ %
     
    মুসলিম জনসংখ্যা ৫% পৌঁছলেই তারা সে দেশের মূলনিবাসী সংখ্যালঘু , অসন্তুষ্ট জনগোষ্ঠী, রাস্তায় থাকা লোকেদের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে দলভারি করা শুরু করে । যেমন-
    ডেনমার্ক- ২ %
    জার্মানি- ২.৭ %
    যুক্তরাজ্য- ৩.৭ %
    স্পেন- ৪ %
    থাইল্যান্ড- ৪.৬ %
     
    ডক্টর হ্যামন্ড বলছেন, কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ৫ % এর বেশী মুসলিম হয়ে উঠলেই তারা সে দেশে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। যেমন, বাজারে, বিভিন্ন মলে 'হালাল' মার্কা খাদ্যসামগ্রী রাখার জন্য দাবী করবে। প্রয়োজনে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেবে ।
     
    ঠিক এমনটাই ঘটছে -
    ফ্রান্স- ৮ %
    ফিলিপিন্স- ৪ %
    স্যুইডেন- ৫ %
    সুইজারল্যান্ড- ৪.৩ %
    নেদারল্যান্ডস- ৫.৫ %
    ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো- ৫.৮%
     
    কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১০ % মুসলমান হওয়া মাত্রই তারা নিজেদের নানা অসুবিধার কথা তুলে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা ভাঙ্গা শুরু করে । ঠিক এই ঘটনাই ঘটছে বর্তমানে প্যারিসে। সেখানকার রাস্তাঘাটে,গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা দেখেছি আমরা । পশ্চিমবঙ্গেও ঠাকুর বিসর্জন, সরস্বতী পূজা, জন্মাষ্টমী পালন, শাঁখ বাজানো, দূর্গোৎসব ইত্যাদি বিভিন্ন হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে নানা আছিলায় তারা বিরোধ করবে, ট্রেন জ্বালাবে, আন্দোলন করবে। 
     
    এমনটা যেখানে নিয়মিত হচ্ছে-
    গায়ানা- ১০ %
    ভারত- ১৩.৪ %
    ইসরাইল- ১৬ %
    কেনিয়া- ১০ %
    রাশিয়া- ১৫ %
    কোন দেশের জনসংখ্যার মধ্যে ২০ % মুসলমান হলে সে দেশে হিংস্র আন্দোলন, ভয়ংকর জেহাদি কার্য্যকলাপ, বিক্ষিপ্ত খুন,জখম,ধর্ষণ, ধর্মস্থলের নোংরামি করা, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটতে শুরু হয়। উদাহরণ-
    ইথিওপিয়া- ৩২.৮ %
     
    কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ % মুসলমান হলে সে দেশের মূলনিবাসী জনগণের ওপর চলবে গণহত্যা, অসহনীয় রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস।
    যেমন চলছে-
    বসনিয়া- ৪০ %
    চাদ- ৫৩.১ %
    লেবানন- ৫৯.৭ %
     
    কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০% অথবা এর বেশী মুসলিম হলেই ওদের পরবর্তী পদক্ষেপ হয়- অমুসলিমদের 'কাফের' তকমা দিয়ে খতম অভিযান।মেয়েদের শ্লীলতাহানি, জোর করে ধর্মান্তরণ, বিয়ে করা, জেহাদ, গণহত্যা । 
     
    প্রতিনিয়ত ঘটছে যেখানে -
    আলবেনিয়া- ৭০ %
    মালয়েশিয়া- ৬০.৪ %
    কাতার- ৭৭.৫ %
    সুদান- ৭০ %
    ( ২২ জুন, ২০১৯ সালে ইসলামী বিশেষজ্ঞ নিকোলেট্টা ইঞ্চজি হাঙ্গেরির জাতীয় দূরদর্শনে এক ভাষণে দেওয়া তথ্য থেকে সংগৃহীত এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে প্রকাশিত )

    শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু


















    প্রণব কুমার কুণ্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন