পৃথিবীব্যাপী ইসলামিকরণ সম্পর্কিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবীব্যাপী ইসলামিকরণ সম্পর্কিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। যেমন কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ১৬% হয়ে গেলে সে দেশ ১০০-১৫০ বছরের মধ্যে ইসলামিক দেশে পরিণত হয়ে যায !বর্তমান সময়ের বহু ইসলামিক দেশ যেমন- তুরস্ক, মিশর, সিরিয়া এইসব দেশগুলি আগে খ্রিস্টান দেশ ছিল।পাকিস্তান, আগে ছিল হিন্দু ভূমি ।আফগানিস্তানে ছিল বৌদ্ধ মতাবলম্বী।ইরান যা ছিল জুরাষ্ট্রিয়ান ।ডক্টর পিটার হ্যামন্ডের লেখা বই 'Slavery, Terrorism and Islam' তে বলা হয়েছে,"ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, কোন উপাসনা পদ্ধতিও নয় । এর পূর্ণ বিকাশে এটি একটি ১০০ % সম্পূর্ণ জীবনশৈলী"।ইসলামি আগ্রাসনের বিশেষ ধরণ আছে-যতদিন মুসলিম জনসংখ্যা কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ২ % এর নিচে থাকে ততদিন তারা শান্তশিষ্ট সংখ্যালঘু সেজে দেশে বাস করে ।যেমন -যুক্তরাষ্ট্র- ০.৬ %অস্ট্রেলিয়া- ১.৫ %কানাডা- ১.৯ %চীন- ১.৮ %ইতালি- ১.৫ %নরওয়ে- ১.৮ %মুসলিম জনসংখ্যা ৫% পৌঁছলেই তারা সে দেশের মূলনিবাসী সংখ্যালঘু , অসন্তুষ্ট জনগোষ্ঠী, রাস্তায় থাকা লোকেদের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে দলভারি করা শুরু করে । যেমন-ডেনমার্ক- ২ %জার্মানি- ২.৭ %যুক্তরাজ্য- ৩.৭ %স্পেন- ৪ %থাইল্যান্ড- ৪.৬ %ডক্টর হ্যামন্ড বলছেন, কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ৫ % এর বেশী মুসলিম হয়ে উঠলেই তারা সে দেশে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। যেমন, বাজারে, বিভিন্ন মলে 'হালাল' মার্কা খাদ্যসামগ্রী রাখার জন্য দাবী করবে। প্রয়োজনে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেবে ।ঠিক এমনটাই ঘটছে -ফ্রান্স- ৮ %ফিলিপিন্স- ৪ %স্যুইডেন- ৫ %সুইজারল্যান্ড- ৪.৩ %নেদারল্যান্ডস- ৫.৫ %ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো- ৫.৮%কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১০ % মুসলমান হওয়া মাত্রই তারা নিজেদের নানা অসুবিধার কথা তুলে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা ভাঙ্গা শুরু করে । ঠিক এই ঘটনাই ঘটছে বর্তমানে প্যারিসে। সেখানকার রাস্তাঘাটে,গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা দেখেছি আমরা । পশ্চিমবঙ্গেও ঠাকুর বিসর্জন, সরস্বতী পূজা, জন্মাষ্টমী পালন, শাঁখ বাজানো, দূর্গোৎসব ইত্যাদি বিভিন্ন হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে নানা আছিলায় তারা বিরোধ করবে, ট্রেন জ্বালাবে, আন্দোলন করবে।এমনটা যেখানে নিয়মিত হচ্ছে-গায়ানা- ১০ %ভারত- ১৩.৪ %ইসরাইল- ১৬ %কেনিয়া- ১০ %রাশিয়া- ১৫ %কোন দেশের জনসংখ্যার মধ্যে ২০ % মুসলমান হলে সে দেশে হিংস্র আন্দোলন, ভয়ংকর জেহাদি কার্য্যকলাপ, বিক্ষিপ্ত খুন,জখম,ধর্ষণ, ধর্মস্থলের নোংরামি করা, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটতে শুরু হয়। উদাহরণ-ইথিওপিয়া- ৩২.৮ %কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ % মুসলমান হলে সে দেশের মূলনিবাসী জনগণের ওপর চলবে গণহত্যা, অসহনীয় রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস।যেমন চলছে-বসনিয়া- ৪০ %চাদ- ৫৩.১ %লেবানন- ৫৯.৭ %কোন দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০% অথবা এর বেশী মুসলিম হলেই ওদের পরবর্তী পদক্ষেপ হয়- অমুসলিমদের 'কাফের' তকমা দিয়ে খতম অভিযান।মেয়েদের শ্লীলতাহানি, জোর করে ধর্মান্তরণ, বিয়ে করা, জেহাদ, গণহত্যা ।প্রতিনিয়ত ঘটছে যেখানে -আলবেনিয়া- ৭০ %মালয়েশিয়া- ৬০.৪ %কাতার- ৭৭.৫ %সুদান- ৭০ %( ২২ জুন, ২০১৯ সালে ইসলামী বিশেষজ্ঞ নিকোলেট্টা ইঞ্চজি হাঙ্গেরির জাতীয় দূরদর্শনে এক ভাষণে দেওয়া তথ্য থেকে সংগৃহীত এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে প্রকাশিত )
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন