কোনারক
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু
💢প্রতিদিনের কর্ম ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন যাপনে মনের মধ্যে এক একাকিত্ব ভাব সৃষ্টি হওয়ায় পুজোর আগে ভাবলাম এবার ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাব। কোথায় যাবো সেটা ভাবতে ভাবতে পুরী যাবার জন্য মনস্থির করলাম। সেই ক্লাস এইটে পড়ার সময় ইতিহাস বইতে কোনারক মন্দিরের রথের চাকা এবং মর্মর পাথরের মূর্তির ছবি প্রথম দেখেছিলাম ।
সেই সময় থেকে এই মন্দিরে যাবার মন বাসনা ছিল । তাই এবার পুজোর আগে আমাদের এলাকা থেকে পুরী ভ্রমণের জন্য তিনটি বাস ঠিক হলো । আমি একাই যাবার জন্য টিকিট কাটলাম এবং আমাদের যাবার দিন ঠিক হয় দ্বাদশীর দিন । বাড়ি থেকে বের হলাম এবং বাসে উঠে দেখি আমার কলেজের এক বন্ধু ও যাবে । মনে মনে ভাবলাম এই তো ঠিক সাথী পেয়ে গেলাম , আর অসুবিধে হবে না পথি মধ্যে ।
প্রথমে মায়াপুর ও দীঘা হয়ে সোজা পুরী উঠলাম। পুরীতে আমরা চার দিন ছিলাম । দুদিন সমুদ্রে স্নান করলাম এক দিন জগন্নাথ মন্দির দেখলাম আর বাইরের সাইড সিন দেখলাম । তৃতীয় দিন চিল্কা হ্রদ গেছিলাম সেদিন সারাদিন ওখানেই কেটে গেছিল। সব কিছু দেখার পর বাড়ি ফেরার পথে আমরা কোনারক মন্দির দর্শন করলাম। এই কোনারক মন্দির বিশ্ব হেরিটেজ স্থান হিসেবে গণ্য হয়েছে।
সেই সময় থেকে এই মন্দিরে যাবার মন বাসনা ছিল । তাই এবার পুজোর আগে আমাদের এলাকা থেকে পুরী ভ্রমণের জন্য তিনটি বাস ঠিক হলো । আমি একাই যাবার জন্য টিকিট কাটলাম এবং আমাদের যাবার দিন ঠিক হয় দ্বাদশীর দিন । বাড়ি থেকে বের হলাম এবং বাসে উঠে দেখি আমার কলেজের এক বন্ধু ও যাবে । মনে মনে ভাবলাম এই তো ঠিক সাথী পেয়ে গেলাম , আর অসুবিধে হবে না পথি মধ্যে ।
প্রথমে মায়াপুর ও দীঘা হয়ে সোজা পুরী উঠলাম। পুরীতে আমরা চার দিন ছিলাম । দুদিন সমুদ্রে স্নান করলাম এক দিন জগন্নাথ মন্দির দেখলাম আর বাইরের সাইড সিন দেখলাম । তৃতীয় দিন চিল্কা হ্রদ গেছিলাম সেদিন সারাদিন ওখানেই কেটে গেছিল। সব কিছু দেখার পর বাড়ি ফেরার পথে আমরা কোনারক মন্দির দর্শন করলাম। এই কোনারক মন্দির বিশ্ব হেরিটেজ স্থান হিসেবে গণ্য হয়েছে।
💢কোনারক মন্দির তেরোশো শতাব্দীতে নির্মিত ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলার কোণার্ক শহর অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে, মন্দিরটি ১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের প্রথম নরসিংহদেব এটি নির্মাণ করেছিলেন। মন্দির কমপ্লেক্সটি একটি বিশাল রথের আকৃতিতে (সূক্ষ্ম কারুকার্যময় পাথরের চাকা, স্তম্ভ ও দেওয়াল সহ) তৈরি করা হয়েছে।কাঠামোর একটি প্রধান অংশ এখন ধ্বংসাবশেষ। মন্দিরটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং ভারতে সাতটি বিস্ময়ের বিভিন্ন তালিকাতেও রয়েছে। মন্দিরটি পু্রী থেকে ৩৫ কিমি এবং ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিমি দূরে অবস্থিত।
💢কোনারক নামটি সংস্কৃত কোণ (কোনা বা কোণ) এবং অর্ক (সূর্য) শব্দদুটির সমন্বয়ে গঠিত, যা মন্দিরের উল্লেখিত সৌর দেবতা সূর্যকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। অর্থাৎ সূর্যের বিভিন্ন কোণের অবস্থান। এই মন্দিরটি সূর্যেের বিভিন্ন অবস্থানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
স্মৃতিস্তম্ভটিকে ইউরোপীয় নাবিকরা ব্ল্যাক প্যাগোডা (কালো পাগোডা) নামেও অভিহিত করতো। এর বিপরীতে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি হোয়াইট প্যাগোডা (সাদা পাগোডা) নামে পরিচিত ছিল। উভয় মন্দিরই নাবিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হতো। কোনারক সূর্য মন্দিরের পরিকাঠামোর জন্য লোহার বিম ব্যবহৃত হয়েছিল।
মন্দির গড়ে ওঠার পেছনে দুটি মত আছে।
💢প্রথমত, #পূর্বগঙ্গ রাজবংশের (১০৭৮- ১৪৩৪) নরসিংহদেব (১২৩৮ - ১২৬৪ খ্রিস্টাব্দ) ১২৩২ - ১২৫৫ ? খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলা জয়ের স্মারকরূপে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে প্রাচীন মিত্রাবনে অর্থাৎ আজকের কোনারকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটি ১২ একর জমির ওপর ১২ হাজার শ্রমিক, ১২০০ স্থপতির ১২ বছরের পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল। খরচ হয়েছিল ৪০ কোটি স্বর্ণমুদ্রা।
💢কোনারক নামটি সংস্কৃত কোণ (কোনা বা কোণ) এবং অর্ক (সূর্য) শব্দদুটির সমন্বয়ে গঠিত, যা মন্দিরের উল্লেখিত সৌর দেবতা সূর্যকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। অর্থাৎ সূর্যের বিভিন্ন কোণের অবস্থান। এই মন্দিরটি সূর্যেের বিভিন্ন অবস্থানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
স্মৃতিস্তম্ভটিকে ইউরোপীয় নাবিকরা ব্ল্যাক প্যাগোডা (কালো পাগোডা) নামেও অভিহিত করতো। এর বিপরীতে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি হোয়াইট প্যাগোডা (সাদা পাগোডা) নামে পরিচিত ছিল। উভয় মন্দিরই নাবিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হতো। কোনারক সূর্য মন্দিরের পরিকাঠামোর জন্য লোহার বিম ব্যবহৃত হয়েছিল।
মন্দির গড়ে ওঠার পেছনে দুটি মত আছে।
💢প্রথমত, #পূর্বগঙ্গ রাজবংশের (১০৭৮- ১৪৩৪) নরসিংহদেব (১২৩৮ - ১২৬৪ খ্রিস্টাব্দ) ১২৩২ - ১২৫৫ ? খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলা জয়ের স্মারকরূপে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে প্রাচীন মিত্রাবনে অর্থাৎ আজকের কোনারকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটি ১২ একর জমির ওপর ১২ হাজার শ্রমিক, ১২০০ স্থপতির ১২ বছরের পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল। খরচ হয়েছিল ৪০ কোটি স্বর্ণমুদ্রা।
💢দ্বিতীয়ত, #পুরাণ মতে শ্রীকৃষ্ণের পুত্র শাম্ব রূপে অত্যন্ত নয়নভোলানো ছিলেন। সব মহিলাদের নজর কাড়তেন। শাম্ব একদিন নারদের ডাকে সাড়া দিতে ভুলে গেলে নারদের মনে প্রতিরোধ স্পৃহা জাগে। একদিন কৃষ্ণ যখন গোপিনীদের সঙ্গে লীলায় ব্যস্ত তখন নারদের মন্ত্রনায় শাম্ব সেখানে ঢুকে পড়ে। সেইসময় গোপিনীদের নজর তার ওপর গিয়ে পড়ে। তখন কৃষ্ণ প্রচুর রেগে গিয়ে তাকে অভিশাপ দানের প্রয়োজনে শাস্তি দেন যে তার রূপ হারিয়ে যাবে ? । তখন মনের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে সে কোনারকে সমুদ্রের তীরে এসে সূর্যদেবকে কঠোর তপস্যায় মুগ্ধ করে নিজের হারানো রূপ ফিরে পেয়ে সমুদ্রতীরে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
💢এই মন্দিরে সূর্যদেবতার যে বিশাল বিগ্রহ ছিল তা এখন নেই। কালের করাল গ্রাসে স্থাপনার অনেকটাই আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। এর কয়েকটি কারণ আছে।
প্রথমত, বাংলার সুলতান সুলায়মান খান করনানির সেনাপতি কালাপাহাড়ের আক্রমণে কোনারক মন্দির প্রথম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। উড়িষ্যার ইতিহাস অনুযায়ী কালাপাহাড় ১৫০৮ সালে কোনারক আক্রমণ করে।
দ্বিতীয়ত, নরসিংহদেব মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার জন্যে বহিস্কৃত হয়। তাই তিনি নিজে মন্দির ধ্বংস করেন।
তৃতীয়ত, ১৬২৬ সালে খুরদার তৎকালীন রাজা পুরুষোত্তমদেবের পুত্র নরশিমাদেব সূর্যদেবের বিগ্রহটি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে একটি পৃথক মন্দিরে সূর্য ও চন্দ্রদেবতার বিগ্রহ স্থাপন করা হয়।
শুধু বিগ্রহই নয় তিনি কোনারক মন্দির থেকে কারুকার্য করা অনেক পাথর পুরীর মন্দিরে নিয়ে যান।
এমনকি নবগ্রহ পথ নামে একটি বিশাল প্রস্তর খন্ডও তিনি পুরীতে নিয়ে যান।
মারাঠা শাসনামলে কোনারক মন্দির থেকে অনেক ভাস্কর্য ও প্রস্তরখন্ড পুরীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৭৭৯ সালে কোনার্ক থেকে অরুণ কুম্ভ নামে বিশাল একটি স্তম্ভ নিয়ে পুরীর সিংহদ্বারের সামনে স্থাপন করা হয়।
এই সময় মারাঠা প্রশাসন কোনারকের নাট মন্দিরটি অপ্রয়োজনীয় মনে করে ভেঙ্গে ফেলে।
সূর্যদেবের বিগ্রহ অপসারণের পর কোনারকে পূজা ও আরতি বন্ধ হয়ে যায়।
চতুর্থত,পর্তুগীজ জলদস্যুদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে কোনারক বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পর্তুগীজ জলদস্যুদের দস্যুবৃত্তি করতে অসুবিধা হওয়ার জন্য পর্তুগীজ দস্যুরা কোনারক মন্দিরের মাথায় অবস্হিত অতি শক্তিশালি চুম্বকটিকে নষ্ট করে দেয়।
আঠারশো শতক নাগাদ কোনারক মন্দির তার সকল গৌরব হারিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মন্দিরের অনেক অংশ বালির নিচে চাপা পড়ে যায়। মন্দির চত্বর ও এর আশেপাশের এলাকা ধীরে ধীরে ঘন অরণ্যে ছেয়ে যায়। বুনো জন্তুরা বাসা বাঁধে মন্দিরের ভিতর। জলদস্যু ও ডাকাতের আস্তানায় পরিণত হয় কোনারক মন্দির। সেই সময় দিনের আলোতেও সাধারণ মানুষ ভয়ে এর ত্রিসীমানায় যেত না।
প্রথমত, বাংলার সুলতান সুলায়মান খান করনানির সেনাপতি কালাপাহাড়ের আক্রমণে কোনারক মন্দির প্রথম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। উড়িষ্যার ইতিহাস অনুযায়ী কালাপাহাড় ১৫০৮ সালে কোনারক আক্রমণ করে।
দ্বিতীয়ত, নরসিংহদেব মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার জন্যে বহিস্কৃত হয়। তাই তিনি নিজে মন্দির ধ্বংস করেন।
তৃতীয়ত, ১৬২৬ সালে খুরদার তৎকালীন রাজা পুরুষোত্তমদেবের পুত্র নরশিমাদেব সূর্যদেবের বিগ্রহটি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে একটি পৃথক মন্দিরে সূর্য ও চন্দ্রদেবতার বিগ্রহ স্থাপন করা হয়।
শুধু বিগ্রহই নয় তিনি কোনারক মন্দির থেকে কারুকার্য করা অনেক পাথর পুরীর মন্দিরে নিয়ে যান।
এমনকি নবগ্রহ পথ নামে একটি বিশাল প্রস্তর খন্ডও তিনি পুরীতে নিয়ে যান।
মারাঠা শাসনামলে কোনারক মন্দির থেকে অনেক ভাস্কর্য ও প্রস্তরখন্ড পুরীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৭৭৯ সালে কোনার্ক থেকে অরুণ কুম্ভ নামে বিশাল একটি স্তম্ভ নিয়ে পুরীর সিংহদ্বারের সামনে স্থাপন করা হয়।
এই সময় মারাঠা প্রশাসন কোনারকের নাট মন্দিরটি অপ্রয়োজনীয় মনে করে ভেঙ্গে ফেলে।
সূর্যদেবের বিগ্রহ অপসারণের পর কোনারকে পূজা ও আরতি বন্ধ হয়ে যায়।
চতুর্থত,পর্তুগীজ জলদস্যুদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে কোনারক বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পর্তুগীজ জলদস্যুদের দস্যুবৃত্তি করতে অসুবিধা হওয়ার জন্য পর্তুগীজ দস্যুরা কোনারক মন্দিরের মাথায় অবস্হিত অতি শক্তিশালি চুম্বকটিকে নষ্ট করে দেয়।
আঠারশো শতক নাগাদ কোনারক মন্দির তার সকল গৌরব হারিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মন্দিরের অনেক অংশ বালির নিচে চাপা পড়ে যায়। মন্দির চত্বর ও এর আশেপাশের এলাকা ধীরে ধীরে ঘন অরণ্যে ছেয়ে যায়। বুনো জন্তুরা বাসা বাঁধে মন্দিরের ভিতর। জলদস্যু ও ডাকাতের আস্তানায় পরিণত হয় কোনারক মন্দির। সেই সময় দিনের আলোতেও সাধারণ মানুষ ভয়ে এর ত্রিসীমানায় যেত না।
💢এই মন্দিরটি উড়িষ্যা ও দ্রাবিড় স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণে নির্মিত মন্দিরটি ধূসর বেলেপাথরে বিশাল একটি রথের আকারে গড়া হয়েছে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা সূর্যদেবের বিশাল রথ, তার সামনে রয়েছে সাত জোড়া ? ঘোড়া। সাতটি ঘোড়া মানে সপ্তাহের সাত দিন।
বারো জোড়া বিশাল চাকার ওপর পুরো মন্দিরটি নির্মিত।
চব্বিশটি চাকা মানে চব্বিশ পক্ষ।
চাকার কারুকার্য দর্শকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ।
প্রতিটি চাকা একেকটি সূর্যঘড়ি।
চাকার ভেতরের দাঁড়গুলো সূর্যঘড়ির সময়ের কাঁটা।
আটটি দাড়ি মানে অষ্টপ্রহর।
এখনো নিখুঁতভাবে সময় জানা যায় এই সূর্যঘড়ির সাহায্যে। মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দুটি সিংহের মূর্তি যারা লড়াই করছে দুটি রণহস্তীর সঙ্গে।
💢এই মন্দিরের পাথরের ভাস্কর্য ও কারুকার্য রয়েছে। দেবতা,অপ্সরা, কিন্নর, যক্ষ, গন্ধর্ব, নাগ, মানুষ, বালিকা বধূ বিয়ের শোভাযাত্রা, সমকামিতা, রাজার যুদ্ধ প্রস্তুতি, মৃদঙ্গকরতাল বীণা, মোহিনী, মিথুন মূর্তি, ছয় হাতের শিব, রাজদরবারের নানান দৃশ্য, পৌরাণিক বিভিন্ন ঘটনার প্রতিরূপ, নৃত্যরত নরনারী, প্রেমিক যুগল, ফাঁদ দিয়ে হাতি ধরা,শিকারের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের বুকে।
মূর্তিগুলোর মানবিক আবেদন, নিখুঁত গড়ন,লীলায়িত ভঙ্গী শিল্পকলার চরম উৎকর্ষের নিদর্শন। মন্দিরের তোরণে মানুষের মূর্তি শায়িত। সিংহ শক্তি অর্থাৎ ক্ষমতার প্রতীক এবং হাতি কিংবা সম্পদের প্রতীক এদের মাঝে পিষে মরছে মানুষ।
💢১৮৬৯ সালে মন্দিরের মূল উঁচু ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ভেঙে পড়ে। বিংশ শতাব্দীতে প্রত্নতত্ববিদরা কোনারক মন্দির পুনঃরাবিষ্কার করেন। ৩০০ বছর ধরে বালিরস্তূপের নীচে অনাদর ও অবহেলায় পড়ে থাকা এই সূর্য মন্দিরটিকে ব্রিটিশরা উদ্ধার করেন এবং ৬০ ফুট উঁচু জগমোহনটি সংস্কার করেন। এটি এখন মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ। ৭১ মণ ওজনের ২০ ফুট লম্বা ৮-১১ ইঞ্চি চওড়া লোহার খণ্ড মন্দিরের ছাদে ব্যবহার করা হয়েছে।
আর কোনো চুন-সুরকি, সিমেন্ট ছাড়াই শুধু দুই হাজার টন পাথর দিয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে।
মন্দিরের চূড়ায় ছিল ৫৩ টনের একটি চুম্বক। লর্ড কার্জন ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দিরের সংস্কার করেন। এরপর মন্দিরের উত্তর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন মূল মন্দিরের ভেতর প্রবেশও সংরক্ষিত। বর্তমানে মন্দিরের সামনের রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এবং যাত্রীদের থাকার ঘর এবং গাড়ি পার্কিং ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরের চারিদিকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে । মন্দিরের চারিদিকে লাইট লাগানো এবং মন্দির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা গেলো। সংস্কারের জন্য ব্যবহৃত লোহার পাইপ লাগানো থাকলেও কোনো কাজ চোখে পরলো না। অনেক ভাস্কর্য নষ্ট হয়ে গেছে । প্রচুর পর্যটক আসেন মন্দির দর্শনে তার মধ্যে বেশির ভাগই বাঙালি ।
বারো জোড়া বিশাল চাকার ওপর পুরো মন্দিরটি নির্মিত।
চব্বিশটি চাকা মানে চব্বিশ পক্ষ।
চাকার কারুকার্য দর্শকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ।
প্রতিটি চাকা একেকটি সূর্যঘড়ি।
চাকার ভেতরের দাঁড়গুলো সূর্যঘড়ির সময়ের কাঁটা।
আটটি দাড়ি মানে অষ্টপ্রহর।
এখনো নিখুঁতভাবে সময় জানা যায় এই সূর্যঘড়ির সাহায্যে। মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দুটি সিংহের মূর্তি যারা লড়াই করছে দুটি রণহস্তীর সঙ্গে।
💢এই মন্দিরের পাথরের ভাস্কর্য ও কারুকার্য রয়েছে। দেবতা,অপ্সরা, কিন্নর, যক্ষ, গন্ধর্ব, নাগ, মানুষ, বালিকা বধূ বিয়ের শোভাযাত্রা, সমকামিতা, রাজার যুদ্ধ প্রস্তুতি, মৃদঙ্গকরতাল বীণা, মোহিনী, মিথুন মূর্তি, ছয় হাতের শিব, রাজদরবারের নানান দৃশ্য, পৌরাণিক বিভিন্ন ঘটনার প্রতিরূপ, নৃত্যরত নরনারী, প্রেমিক যুগল, ফাঁদ দিয়ে হাতি ধরা,শিকারের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের বুকে।
মূর্তিগুলোর মানবিক আবেদন, নিখুঁত গড়ন,লীলায়িত ভঙ্গী শিল্পকলার চরম উৎকর্ষের নিদর্শন। মন্দিরের তোরণে মানুষের মূর্তি শায়িত। সিংহ শক্তি অর্থাৎ ক্ষমতার প্রতীক এবং হাতি কিংবা সম্পদের প্রতীক এদের মাঝে পিষে মরছে মানুষ।
💢১৮৬৯ সালে মন্দিরের মূল উঁচু ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ভেঙে পড়ে। বিংশ শতাব্দীতে প্রত্নতত্ববিদরা কোনারক মন্দির পুনঃরাবিষ্কার করেন। ৩০০ বছর ধরে বালিরস্তূপের নীচে অনাদর ও অবহেলায় পড়ে থাকা এই সূর্য মন্দিরটিকে ব্রিটিশরা উদ্ধার করেন এবং ৬০ ফুট উঁচু জগমোহনটি সংস্কার করেন। এটি এখন মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ। ৭১ মণ ওজনের ২০ ফুট লম্বা ৮-১১ ইঞ্চি চওড়া লোহার খণ্ড মন্দিরের ছাদে ব্যবহার করা হয়েছে।
আর কোনো চুন-সুরকি, সিমেন্ট ছাড়াই শুধু দুই হাজার টন পাথর দিয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে।
মন্দিরের চূড়ায় ছিল ৫৩ টনের একটি চুম্বক। লর্ড কার্জন ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দিরের সংস্কার করেন। এরপর মন্দিরের উত্তর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন মূল মন্দিরের ভেতর প্রবেশও সংরক্ষিত। বর্তমানে মন্দিরের সামনের রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এবং যাত্রীদের থাকার ঘর এবং গাড়ি পার্কিং ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরের চারিদিকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে । মন্দিরের চারিদিকে লাইট লাগানো এবং মন্দির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা গেলো। সংস্কারের জন্য ব্যবহৃত লোহার পাইপ লাগানো থাকলেও কোনো কাজ চোখে পরলো না। অনেক ভাস্কর্য নষ্ট হয়ে গেছে । প্রচুর পর্যটক আসেন মন্দির দর্শনে তার মধ্যে বেশির ভাগই বাঙালি ।
লেখক : আশুতোষ মিস্ত্রী
💢তথ্য সূত্র : শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মাহাত্ম্য কথা ও উইকিপিডিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন