শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮

আমেরিকা-ভিয়েতনাম যুদ্ধ


      আমেরিকা-ভিয়েতনাম যুদ্ধ


      ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু

এমন একটা যুদ্ধ যে যুদ্ধে আমেরিকা না শুধু হেরে গিয়ে ছিল ! বরং সে যুদ্ধে আমেরিকার মজবুত ভিত পর্যন্ত নাড়িয়ে দিয়ে ছিল! হ্যাঁ সে যুদ্ধ ভিয়েতনাম যুদ্ধ
তো পুরো রামায়ন শুরু করার আগে দুটো কথা জানা দরকার (1) ভিয়েতনামে যুদ্ধ যাবার আগে 60% বেশি আমেরিকি সেনা ভিয়েতনামের নাম পর্যন্ত শুনেনি ! (2) পুরো আমেরিকা মিলে আজও সেই যুদ্ধের দাগ মুছার চেষ্টাই লেগে আছে ! কিন্তু এই কথাটা জানার দরকার দাগ এটা নয় যে আমেরিকা সে যুদ্ধে পুরোপুরি হেরে গিয়ে ছিল !আসল দাগ তো এটা যে সে যুদ্ধ জিতার জন্য আমেরিকা সেখানে কি করেছিল !

দেখা যায় তো ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার এন্ট্রি হয় 1965 ! কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে কাহানি শুরু হয় এর অনেক আগে থেকে ! সেই সময় থেকে যখন ভিয়েতনাম নামে কোন দেশ ছিল না !

সেই জন্য রামায়ণ শুরু করতে হবে 1941 সালে।
কারন 1860 থেকে 1941 পর্যন্ত ফ্রান্সের একটা দেশের উপর দখল ছিল ! আর সে দেশটা হল ফ্রেঞ্চ ইন্দোচাইনা ! সেটা আসলে তিনটে দেশ নিয়ে তৈরি হয়ে ছিল! সেগুলো হলো (1) লাউস (2)কম্বোডিয়া ( 3) ভিয়েতনাম ! কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে জাপান সে এলাকাটা ফ্রান্সের কাছথেকে কেড়ে নেই ! আর সেখানে জাপানের রাজ চালু করে ! কিন্তু যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জাপান হেরে গিয়ে আত্মসমর্পন করে ! তখন সেখানে থাকা জাপানি সেনাদের কেউ আত্মসমর্পন করতে হয় ! আর এই সেই সময় যেখান থেকে ভিয়েতনামের কাহানি শুরু হয় ! কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনা সেখানে দুটো দেশের সেনার সাথে লড়াই করছিল ! সেগুলো হল ব্রিটেন আর চাইনা ! আর যখন আত্মসমর্পন করে ! তখন জাপানের সেনা দুটো আলাদা আলাদা দেশের কাছে আত্মসমর্পন করে ! উত্তরে থাকা সেনারা আত্মসমর্পন করে চাইনার কাছে ! আর দক্ষিণে থাকা সেনারা আত্মসমর্পন করে ব্রিটেনের কাছে! কিন্তু এখানে ব্রিটেন নিজের স্বার্থের জন্য জিতা এলাকাটা সেখান কার লোকাল পার্টি কে না দিয়ে সেটা কে আবার ফ্রান্স কে দিয়ে দেয় ! কিন্তু চাইনা এমনটা করেনি ! চাইনা জিতা এলাকাটা সেখান কার লোকাল পার্টির হাতে তুলে দেয় ! যার নাম ভিয়েতমিন আর যার লিডার ছিল হো চি মিন ! আর যখন ফ্রান্সের সেনা সে জায়গাতে আবার নিজেদের দখলে নিতে আসে ! তো সেখানে যুদ্ধ লেগে যায় ! যে যুদ্ধ না শুধু 1946 থেকে 1954 পর্যন্ত চলে বরং যাকে প্রথম ইন্দোচাইনা যুদ্ধ নামে জানে ! আর এই যুদ্ধে দুটো কাজ করে 1:- সেখান কার মানুষদের শিখিয়ে দেয় যুদ্ধ কেমন তরে লড়তে হয় !কারণ সে যুদ্ধে তারা গোরিলা ওয়ারফেয়ারের মতো যুদ্ধ কৌশল শিখে !( এখানে একথা টা মনে রাখতে হবে যে উত্তরের হয়ে লড়াই করছিলে সেখান কার লোকাল মানুষ ¡ আর দক্ষিণের হয়ে লড়াই করছিল ফ্রান্সের সেনা )।

2:- এই যুদ্ধে ফ্রান্স না শুধু হারে !এমন ভয়ঙ্কর ভাবে হারে যে তাদের সেনাদের জীরন বাঁচানোর জন্য আলচনার টেবিলে পর্যন্ত যেতে হয় !আর তারপর 1954 সালে জেনেভাতে একটা শান্তি চুক্তি হয় ! যার মধ্যে তিনটে আলাদা আলাদা দেশ কে স্বাধীন দেশ হিসাবে ঘোষণা করাহয় ! যে গুলো হল
1:- লাউস
2:- কম্বোডিয়া
3:- ভিয়েতনাম
কিন্তু পশ্চিমা দেশের রাজনেতার এখানেও সে খেলা খেলে ! যে খেলা তারা এর আগেও খেলে ছিল কোরিয়ার সাথে আর পুরস্কার হিসাবে তাদের হাতে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ! তার মানে এরা ভিয়েতনাম কে স্বাধীনতা তো দিল ! কিন্তু নিজের স্বার্থের জন্য ভিয়েতনাম কে দুটো ভাগে ভাগ করে দেয় ! এই বলে যে,  কিছু দিন পরে সেখানে ভোট হবে আর দুটোএলাকা মিলে একটা দেশ হয়ে যাবে !

এখানেই শেষ নয় দক্ষিণ ভিয়েতনামে নিজেদের লোক কে লিডার বানিয়ে ক্ষমতায় বসাই যার নাম NGO DINH DINE ! আর উত্তর ভিয়েতনামের লিডার হয় হো চি মিন ! যে না শুধু কমিউনিস্ট ছিল,  তাঁর কাঁধে সোভিয়েত ইউনিয়েনের হাত ছিল ! আর এভাবে দক্ষিণ ভিয়েতনাম আর উত্তর ভিতেনাম দুটো আলাদা আলাদা দেশ তৈরি হয় ! যাদের আলাদা আলাদা রাজধানী তৈরি হয় ! উত্তরের রাজধানী হল হ্যানয় ! আর দক্ষিণের রাজধীন সাইগন !

পশ্চিমাদেশগুলো তাদের খেলায় জিতেও জেত ! কিন্তু তারা দক্ষিণ ভিয়েতনামে লিডার বাছতে অনেক বড় ভুল করেন ! কারণ তাঁরা দক্ষিণ ভিয়েতনাম কে লোকতান্ত্রিক বানাতে চেয়ে ছিল ! আর লিডার বেছেছিল,  সে ছিল রাজতান্ত্রিক এরং খুব অত্যাচারি !আর এজন্য দক্ষিণ ভিয়েতনামের মানুষেরা,  যার লোকতন্ত্র ভিয়েতনামের সপ্ন দেখছিলেন ! তারা একটা পার্টির ঝান্ডার নিচে এসে জোট হয়ে দক্ষিণ ভিয়েতনাম সরকার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দেয় ! আর যাকে সাহায্য করছিল উত্তর ভিয়েতনাম !

আর এখান থেকে এই যুদ্ধে আমেরিকার এন্ট্রি শুরু হয় ! আর এখান থেকে শুরু হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ ! কারণ ভিয়েত কোং দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দেয় ! আর উত্তর ভিয়েতনাম দক্ষিণ ভিয়েতনামের উপর হামলা শুরু করে দেয় ! আর তখন আমেরিকা দক্ষিন ভিয়েতনাম কে সাহায্য করতে শুরু করে দেয় ! এখানে একটা কথা জানার দরকার ! যে দক্ষিণ ভিয়েতনামের মানুষগুলোর আমেরিকার কোন আত্মীয় ছিলো না ! আসলে আমেরিকা কমিউনিস্ট কে আটকাতে চাইছিল ! কারণ আমেরিকার ভয় ছিল ! যে ভিয়েতনাম হয়ে কমিউনিস্ট সারা দক্ষিণ এশিয়া না ছড়িয়ে পরে আর সেই জন্য এই ব্যবস্থা করা ! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি আমেরিকার আর্মি এডাভাইজারদের ! সেখানে পাঠাতে শুরু করে ! কিন্তু কেনেডি আমেরিকি আর্মি সেখানে পাঠানি ! এমন কি যখন উত্তর ভিয়েতনাম দক্ষিণ ভিয়েতনামে উপর সব থেকে বড় হামলা করে ! সেই সময়ের আমেরিকার ডিফেন্স সেক্রেটারি জন কেনেডি কে 200000 আর্মি পাঠানোর পরামর্শ দেয় ! কিন্তু কেনেডি এই পরামর্শ কে অগ্রাহয্য করে এবং তিনি আমেরিকি আর্মি এডভাইজ সংখ্যা আরো বারানো শুরু করে দেয় ! এখানেই শেষ নয় ! 2 নভেম্বর 1963 দক্ষিণ ভিয়েতনামে প্রেসিডেন্ট ngo dinh dien কে হত্যা করে দেয় ! কিন্তু তারপর কেনেডি সেখানে সেনা পাঠানি ! আসলে কেনেডি কি করতে চাইছিল সেটা আমরা কখনো জানতে পারবো না ! কারণ 22 নভেম্বর 1963 আমেরিকার প্রেসিডন্ট জন কেনেডি কে হত্যা করা হয় ( অনেক ইতিহাসকারের দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট আর আমেরিকার প্রেসিডেন্টের হত্যা যোগ করে দেখেন )। তারপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয় লিন্ডন বি জনসন ! যিনি ভিয়েতনামে সেনা পাঠানোর জন্য তৈরি হয়ে বসেছিলেন ! তখন শুধু দরকার ছিল একটা অজুহাতে যেটা কারণ মনে করে ভিয়েতনামে সেনা পাঠাতে পারে ! কারণ আমেরিকা দক্ষিণ ভিয়েতনামের সাহায্যের জন্য সরাসরি সেনা সেখানে নামাতে পারবে না,  যদি এমন হয় তো সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর ভিয়েতনাম কে সাহায্যের জন্য সেনা নামিয়ে দিতো! আর সেজন্য অনেক দিন কেটে যাবার পর যখন কোন কারণ খুঁজে না পায়,  তখন কারণ তৈরি করা হয় আগস্ট 1964 আমেরিকা Gulf of tonkin-এ দাড়িয়ে,  USS maddox কে দক্ষিণ ভিয়েতনাম সেনাদের দিয়ে হামলা করায় ! আর সারা পৃথিবীকে এটা বলে যে এই হামলা উত্তর ভিয়েতনাম করে ! তার পর 4 আগস্ট 1964 ussকংগ্রেসের কাছ থেকে Gulf of tonkin নামে একটা প্রস্তাব পাস করায় ! এর সাহায্য আমেরিরা ভিয়েতনাম যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে ! এখানেই শেষ নয় ! যে সময় আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে সে সময় সেখানে 23000বেশি আমেরিকি আর্মি এডভাইজার আগে থেকে সেখানে উপস্থিত ছিল !আর এখান থেকে আমেরিকা উত্তর ভিয়েতনামে উপর বোম ফেলতে শুরু করে!যাতে জঙ্গল গুলোকে নষ্ট করতে পারে ! কারন উত্তর ভিয়েতনামের সেনারা জঙ্গলে থাকা গাছের জন্য গোরিলাযুদ্ধ লড়ছিল ( এখানেই শেষ নয় জঙ্গল নষ্ট করার জন্য কেমিক্যালের সাহায্য নেয় যাতে করে জঙ্গলে আগুন লেগে যায়। উত্তর ভিয়েতনাম সেনা সে আগুনে জ্বলে মারা যায় ! কিন্তু হয় তার ঠিক উল্টো। সে আগুনে ভিয়েতনামে সেনা মারাতো যায়নি মারা গিয়েছিল সেই খানকার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আগুনে জ্যন্ত পুড়ে মারা গিয়েছিল !বরং ভিয়েতনামের জঙ্গল গুলো এমন ভাবে নষ্ট হয়েছিল ! যার ক্ষতচিহ্ন এখনো চোখে পড়ে ! আর যদি কথা বলাহয় ভিয়েতনামের সেনাদের তারা আমেরিকার বোমার থেকে বাঁচার জন্য না শুধু উত্তর ভিয়েতনামে সুরঙ্গের জাল বিছিয়ে দিয়েছিল ! বরং এত বেশি সুরঙ্গ বানিয়ে ছিল যে পুরো উত্তর ভিয়েতনামে সেনা সেখানে আরামে থেকে যেতে পারে ! এখানেই শেষ নয়,  উত্তর ভিয়েতনামের সেনা আমেরিকি বায়ুসেনার মনোবল ভাঙ্গার জন্য অদ্ভুত একটা উপাই বের করে ! যে টা খুব সুন্দর কাজ করে ! কারনণ উত্তর ভিয়েতনামের সেনারা জমির উপর ক্যাম্প গুলো সব কাঠের তৈরি করা চালু করে ! যাতে আমেরিকি বোম্বিংয়ে যখন কোন ক্যম্প নষ্ট হয় যায় ! সেটাকে তাড়াতাড়ি ঠিক করা যায়! এর ফলে বোম্বিংয়ে কিছুদিন পরে আমেরিকি ফাইটার জেট সেই জায়গাতে যেতে তাদের সবকিছুই আগের মতো দেখতে লাগতো !এর কারণে আমেরিকিদের বোম্বিংয়ে কোন কাজ হয় না। তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট স্থলসেনা কে পাঠাবার অনুমতি দেয় ! আর 1965 শেষ হতে হতে আমেরিকার 150000 সেনা ভিয়েতনামে নামিয়ে দেয় ! তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ভিয়েতনামের 250000 সেনা ! যাদের হাতে না শুধু রাশিয়ার দেয়া হাতিয়ার ছিল বরং সুরঙ্গের পুরো চাল বিন্যাস ছিল ! যার সাহায্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চালুকরে দেয় ! এই দেখে আমেরিকা বুঝতে পারে যে 150000সেনা দিয়ে কিছুই হবে না! এই জন্য আমেরিকা তাদের সৈন্য সংখ্যা বারাবে ঠিক করে ! আর জানুয়ারি 1966 আমেরিকার 180000 সেনা ভিয়েতনামে পৌছে যায় আর জুলাই 1966আস্তে আস্তে 300000 র যায় ! বরং 1968;আস্তে আস্তে 500000 আমেরিকি সেনা ভিয়েতনামে নামিয়ে দেওয়া হয় ! কিন্তু সফল হওয়া দুরে থাক উল্টে ভিয়েতনামে সেনা আমেরিকি সেনাদের গিরে ঘিরে মারতে থাকে কারণ তারা হঠাং সুরঙ্গ থেকে এসে হামলা করে আবার সুরঙ্গের মধ্যে চলে যেতো ! এখানেই শেষ নয় আমেরিকি সেনা এরকম জঙ্গল আর দলের মধ্যে প্রথম বার যুদ্ধ করছিল ! আর যখন 30 জানুয়ারি 1968 থেকে 23সেপ্টেম্বর 1968 মধ্যে আমেরিকার দুতবাস সমেত পুরো দক্ষিণ ভিয়েতনামের উপর এক সাথে হামলা করে যাকে Tet of fensive নামে পরিচিত ! কিন্তু হামলা করে তারা সফল তো হয়নি ! কিন্তু এই সেই হামলা যার খবর আমেরিকা পৌছে যায়,  আর শুধু এই খবর আমেরিকা পৌছাইনি বরং এই সেই খবর যার সাথে ভিয়েতনাম যুদ্ধ আমেরিকায় পৌছায় ! এখানেই শেষ নয় যখন আমেরিকার মিডিয়া আমেরিকার সরকারের সাথ ছেড়ে দেয় আর যখন ভিয়েতনামের যুদ্ধের সত্য আমেরিকার খবরের কাগজে ছাপে ! তখন আমেরিকার জনগন অবাক হয়ে যায় ! এখান থেকে আমেরিকার জনগন জানতে পারে যে ভিয়েতনাম যুদ্ধে জিতাতো দুরের কথা,  সেখানে তো আমেরিকার সেনাদের জীবন বাঁচানো কষ্টের ব্যাপার !,এখানেই শেষ নয় আমেরিকার খবরের কাগজে সমস্ত কিছু ছাপে যা, তখন আমেরিকার জনগণ জানতে পারে -- আমেরিকি সেনা ভিয়েতনামে কি করছে কেমন করে আমেরিকি সেনা যারা জিততে পরছেনা বলে তারা সমস্ত গ্রাম সাময়িক নরসংহার চালাছে ! আর এই জন্য পুরো আমেরিকাতে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করে মিছিল শুরু হয়ে !এই মিছিল এমন রুপ নেই যে অনেক মনে করে যে এমন হতে থাকলে আমেরিকা টুকরো টুকরো না হয়ে যায় ৷তখন এমন একটা ছবি সামনে আসে যাতে আমেরিকি বায়ুসেনা একটা গ্রামের উপর বোমা ফেলে যাতে হাজার হাজার বাচ্ছা জীবন্ত জ্বলে মারা যায় ৷তখন মনে হয় আমেরিকাতে ভুমিকম্প হয়ে যায়! আর এসবকিছু করছে সেদেশের সেনা যারা সেখানে লোকতন্ত্র বাঁচাতে গিয়ে ছিল! এখানে একথা টা মনে রাখতে হবে যে ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার বায়ুসেনা যত বোম ফেলে তা পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফেলে হয়নি !
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে =2.150.000টন
ভিয়েতনাম যুদ্ধে =7.662.000টন
আর এখান থেকে আমেরিকার জনগণের এতবেশি চাপ আসে, যে শেষমেষ 1973 আস্তে আস্তে আমেরিকা তাদের সেনা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় !
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় 58000 আমেরিকি সেনা মারা যায় ! আর 150000-এর বেশি সেনা আহত হয় ! আর যদি ভিয়েতনামের কথা বলা হয়,  তো সেখানে পুরো ভিয়েতনাম মিলিয়ে 2000000 মানুষ মারা যায় ! আর এই ভাবে আমেরিকা এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসে ! আমেরিকা যাবার 2 বছর পর 1975 উত্তর ভিয়েতনাম দক্ষিণ ভিয়েতনাম দখল করে নেই ! এই ভাবে উত্তর ভিয়েতনাম আর দক্ষিণ ভিয়েতনাম মিলে একটা দেশ হয়ে যায় এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানীর নাম পাল্টে দিয়ে নাম রাখা হয় হো চি মিন !


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন