রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

রূপক রায়ের কলাম ( দুই )


     রূপক রায়ের কলাম ( দুই )


     ফেসবুক থেকে          শেয়ার করেছেন            প্রণব কুমার কুণ্ডু

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিচার হয় না যে কারণে :
ইসলামের দৃষ্টিতে হিন্দুরা কাফের; কারণ, তারা- আল্লাহ, নবী ও কোরানকে বিশ্বাস করে না বা মানে না (কোরান - ৪৮/১৩) । এই কারণে হিন্দুরা হত্যাযোগ্য (কোরান - ৯/৫)।
কোনো ইসলামিক দেশে হিন্দুদের বাস করতে দেওয়া, মুসলমানদের কাছে নবীর সুন্নতের বরখেলাপ। কারণ, অসহিষ্ণুতার প্রতীক, জানোয়ার মুহম্মদ, মরতে মরতে বলে গেছে, "পৌত্তলিকদের আরব থেকে তাড়াও" (মুসলিম শরীফ, ৮০১৮)। এখানে পৌত্তলিক মানে, মুসলমানের দৃষ্টিতে যারা পুতুল পূজা করে, তারা, হিন্দুরা; আর আরব হলো ইসলামিক দেশের প্রতীক।
কোনো ইসলামিক দেশে হিন্দুদের জিম্মি হিসেবে, জিজিয়া কর দিয়েও বেঁচে থাকার অধিকার নেই, বাস করা তো দূরের কথা। তারপরও ইসলামের হানাফী আইন শাস্ত্র, পর্যাপ্ত পরিমান জিজিয়া করের বিনিময়ে হিন্দুদের বেঁচে থাকা ও বাস করার অধিকার ইসলামিক দেশে দিয়েছে, যাতে হিন্দুদের পরিশ্রমলব্ধ সেই টাকায় মুসলমানরা আরাম আয়েশে চার বউ এর সাথে শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে পারে। ভারতের মুসলমান শাসকরা এভাবেই হিন্দুদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় করেছে, করেছে বাংলার মুসলমান শাসকরাও। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সভ্যতার উন্নতি হওয়ায় ইসলামের জিজিয়া কর এখন বাতিলের খাতায়, ফলে হিন্দুদের কাছ থেকে মুসলমানরা আর জিজিয়া করও নিতে পারছে না।
ইসলামের ঐ বর্বর আইনে, ইসলামিক দেশে হিন্দুরা শুধু হত্যাযোগ্যই (কোরান- ৪/১১৬) নয়, হিন্দুদের সম্পত্তি এবং তাদের নারী ও শিশুরা গণিমতে মাল (কোরান- ৩৩/২৭) । এই মাল যেমন খুশি তেমন ভাবে মুসলমানরা ভোগ করতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের মুসলমানরা, বিভিন্ন কারণে এই গনিমতে মালও ঠিক মতো ভোগ করতে পারছে না। গত ১৪০০ বছর ধরে হিন্দুদের সম্পত্তি লুঠপাট করে খেতে খেতে মুসলমানদের জিহ্বা এতটাই লম্বা হয়ে গেছে যে, চাইলেও তারা আর তার রাশ টেনে ধরতে পারছে না। তাই গনিমতে মালের জন্য মাঝে মাঝেই তারা হিন্দুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের ৮০% মুসলমান, মুহম্মদের ঐ " পৌত্তলিকদের আরব থেকে তাড়াও " নীতিতে বিশ্বাসী। এই ৮০% মুসলমান ছড়িয়ে আছে আমজনতা থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন এবং নেতা মন্ত্রী পর্যন্ত। তারা কেউ ই চায় না, কোনো হিন্দু নির্যাতনের কোনো বিচার হোক। বাকি ২০% এর মধ্যে ১৯% এই হিন্দু নির্যাতনের নীরব সমর্থক, আর ১% মুসলমান, যারা প্রকৃতপক্ষে মানুষ, তারা চেষ্টা করে এই অত্যাচার নির্যাতনগুলোর প্রতিবিধান করতে, কিন্তু ৯৯% এর প্রতিরোধ এবং বিচার না করার ইচ্ছার কাছে তাদের কণ্ঠস্বর বারবার ই চাপা পড়ে যায়; আর একারণেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কোনো বিচার হয় না। কারণ, পৃথিবীর নিয়মই তো এমন যে, কোনো দেশ বা এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যা চায়, বাস্তবে তাই ই ঘটে থাকে। বাংলাদেশের ৯৯% মুসলমান চায় না, কোনোরকম হিন্দু নির্যাতনের বিচার হোক, তাহলে বিচারটা করবে কে আর বিচার হবেই বা কিভাবে ?
উপরে, লেখার মধ্যে যেসব আয়াতের কথা উল্লেখ করেছি, নিচে সেই আয়াতগুলো তুলে দিলাম। আমার কথায় যাদের সন্দেহ আছে বা প্রমান চান, তারা যে কোনো বাংলা কোরান খুলে দেখে নিতে পারেন যে, সত্যিই কোরানে এসব কথা লেখা আছে কিনা।
জয় হিন্দ।
৪৮/১৩ = "আল্লাহ ও রসূলের প্রতি যে সব লোক ঈমানদার নয়, এমন কাফেরদের জন্য...-"
৯/৫ = "মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) হত্যা কর যেখানেই তাদের পাও এবং তাদের ধরো, ঘেরাও করো এবং তাদের প্রতিটি ঘাঁটিতে তাদের খবরাখবর নেওয়ার জন্য শক্ত হয়ে বসো। অতঃপর তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাহলে তাদেরকে তাদের পথ ছেড়ে দাও।"
৪/১১৬ = "আল্লার কাছে শুধু শিরকই (মূর্তিপূজা) ক্ষমা পেতে পারে না।"
৩৩/২৭ = "তিনি তোমাদেরকে তাদের (অমুসলিম বা হিন্দুদের) যমীন, ঘর-বাড়ি এবং তাদের ধন মালের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিয়েছেন।"
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন