রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্বকর্মা পূজা


     বিশ্বকর্মা পূজা


      ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু

জানেন কি ?
কেন প্রায় প্রতি বছরেই ১৭ সেপ্টেম্বরে হয় বিশ্বকর্মা পুজো?
==========
শিল্প যদি সময় নিরপেক্ষ হয়, তবে শিল্পের দেবতার পুজোও কি সেই নিয়ম মেনেই বাঁধাধরা তারিখে হবে? সেই জন্যই প্রায় প্রতি বছরেই ১৭ সেপ্টেম্বরে উদযাপিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো?
এই জায়গায় এসে একটু কূটকচালি মাথা চাড়া দেবে। অর্থ সব সময়েই প্রয়োজন, বিদ্যাও তাই! বছরের প্রতিটি দিনেই শক্তি জীবনযাপনের অপরিহার্য শর্ত।
তাহলে আর বিদ্যাদাত্রী সরস্বতী, ধনদাত্রী লক্ষ্মী বা শক্তিদায়িনী দুর্গা বা কালীর পূজার তারিখ প্রতি বছরে আলাদা আলাদা দিনে কেন পড়ে? তাঁদের পূজার তিথি কেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার মতো ইংরেজি ক্যালেন্ডারের একই তারিখে স্থির নয়?
আসলে, হিন্দুদের সব দেবদেবীরই পূজার তিথিটি স্থির হয় চাঁদের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এ ব্যাপারে অনুসরণ করা হয়ে থাকে চান্দ্র পঞ্জিকা।
কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথিটি স্থির হয় সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে গমন করে কন্যা রাশিতে, তখনই সময় আসে উত্তরায়ণের। দেবতারা জেগে ওঠেন নিদ্রা থেকে। এবং শুরু হয় বিশ্বকর্মার পূজার আয়োজন। এ ব্যাপারে হিন্দু পঞ্জিকার দুই প্রধান শাখা সূর্যসিদ্ধান্ত এবং বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত- উভয়েই একমত!
সেই মত একটু স্পষ্ট করে বলছে, বিশ্বকর্মার পুজোর দিনটি নির্ধারিত হয়েছে ভাদ্র মাসের শেষ তারিখে। এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগে বাংলা পঞ্জিকায় পাঁচটি মাসের উল্লেখ মেলে। এই পাঁচটি মাসের দিনসংখ্যাও প্রায় বাঁধাধরাই- সাকুল্যে ১৫৬টি দিন! এই নিয়ম ধরে বিশ্বকর্মা পুজোর যে বাংলা পঞ্জিকা মতে তারিখটি বেরোয়, তা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৭ সেপ্টেম্বরেই পড়ে! কোনও কোনও বছরে এই পাঁচটি মাসের মধ্যে কোনওটি যদি ২৯ বা ৩২ দিন বিশিষ্ট হয়, একমাত্র তখনই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পিছিয়ে বা এগিয়ে যায়।
তবে তা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা।
এই বছরেও নিয়মের অন্যথা হয়নি। সূর্য নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন কন্যা রাশিতে। ভাদ্র সংক্রান্তির আগে বাংলা পঞ্জিকার পাঁচটি মাসের দিনসংখ্যাও ১৫৬টিই থেকেছে। এবং, ১৭ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো।
বিশ্বকর্মা পুজোর আগাম অভিনন্দন জানাই ll

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন