বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজির অপমৃত্যু


    লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজির অপমৃত্যু


     ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু

লেখাটি একটু দীর্ঘ হয়ে গেল। বড় মানুষের সম্বন্ধে ছোট করে তো আর লেখা যায় না!
_________________________
দোষে গুণে মানুষ। সবই আপেক্ষিক। আমার কাছে যা গুণ বলে মনে হল, আর কারও কাছে তা দোষের হতে পারে। উল্টোটাও হয় স্বাভাবিকভাবে।
তাঁর অনেকগুলি 'দোষ' ছিল। একে তো সোজা সরল সাধাসিধে মাটির মানুষ। তারওপর সারাদেশ জুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা। মনেপ্রাণে চাইতেন সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটি সবদিক দিয়ে স্বাবলম্বী হোক। কৃষি উৎপাদনে স্বয়ম্ভর হোক, প্রতিরক্ষায় স্বয়ম্ভর হোক, বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকুক।
স্বাধীন ভারতের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে অগ্রগণ্য, আদর্শপরায়ণ নেতা শ্রদ্ধেয় লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজিকে তাঁর এতগুলি মারাত্মক দোষের খেসারত গুনতে হয়েছিল, বেশ চড়া দামে।
ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজির জন্ম উনিশশো চার সালের আজকের দিনে, তৎকালীন যুক্তপ্রদেশের (আজকের উত্তরপ্রদেশ) মোগলসরাইতে।
গান্ধীপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত সকলের প্রিয় মানুষটি প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্বশীল পদে শপথ গ্রহণ করেন ৯ই জুন, ১৯৬৪তে।
এদিকে, জওহরলাল নেহরুজির মৃত্যুর পরপরই রোমাঞ্চপ্রিয় অস্থিরমতি পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে বসে। দেশে তখন প্রবল খাদ্য সংকট। শাস্ত্রীজি রামলীলা ময়দান থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে স্লোগান তুললেন, "জয় জওয়ান, জয় কিষাণ"। সারা দেশ গর্জে উঠল। শাস্ত্রীজির যোগ্য নেতৃত্বে দুর্দমনীয় ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৬৫ র পাকিস্তানি আক্রমণকে দুমড়ে মুচড়ে ধূলিসাৎ করে দেয়, জয়ী হয় ভারত।
উনিশশো ছেষট্টির জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে যুদ্ধ পরবর্তী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের তাশখন্দে গেলেন শাস্ত্রীজি। চুক্তি স্বাক্ষর হলেও, তাঁর আর সজ্ঞানে দেশে ফেরা হয়নি।
জানুয়ারির দশ তারিখ। বেলা চারটের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যায়। শাস্ত্রীজি তাঁর নির্দিষ্ট বাসভবনে ফিরে আসেন। সন্ধ্যে নাগাদ হাল্কা আহার সেরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সোভিয়েত সরকারের এই বাসভবনে যদিও নিজস্ব পরিচারক ও রাঁধুনীরা ছিল, তবুও ঐ দিনের রান্নার দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত টি এন কলের ব্যক্তিগত খানসামা জান মহম্মদ। সেই রাতে শাস্ত্রীজির নিজস্ব পরিচারক রাম নাথকে শাস্ত্রীজির কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি, রান্নার দায়িত্বও দেওয়া হয়নি।
রাত এগারোটা পঁচিশ নাগাদ খান মহম্মদ এক গ্লাস দুধ নিয়ে আসেন শাস্ত্রীজির জন্য। শাস্ত্রীজি তখন তাঁর মেয়ে শ্রীমতী সুমন সিং এর সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। সুমনের স্বামী বিজয় নাথ সিং কাইরো যাচ্ছেন, শাস্ত্রীজি জামাইকে খবরের কাগজ সাথে নিয়ে যেতে বললেন। মেয়ে বললেন, 'তুমি এবার ঘুমোও, বাবা। শাস্ত্রীজি বললেন, 'এই তো দুধ নিয়ে এসেছে, দুধ খাবো আর ঘুমোবো।' তারপরই ফোন কেটে যায়।
রাত একটা পঁচিশ নাগাদ প্রবল কাশি আর বুকে ব্যথায় শাস্ত্রীজির ঘুম ভেঙে যায়। মাথার পাশে ঘন্টি টিপলেন, ঘন্টি বাজেনা। ফোন তুললেন, ফোন স্তব্ধ। প্রবল অস্বস্তিতে কোনও মতে উঠে হাতড়াতে হাতড়াতে দরজার দিকে এগোলেন, কেউ কোত্থাও নেই। প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমন্ত রক্ষীদের ডাকলেন। তারা চোখ কচলে উঠে দৌড়ল ডাক্তারের খোঁজে। শাস্ত্রীজির ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিল্লীর সফরদরজং হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধিকর্তা, ডঃ আর এন চুঘকে রাখা হয়েছে বেশ কিছুটা দূরে। তিনি দৌড়ে যখন এলেন, তখন প্রায় সব শেষ। ডঃ চুঘ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, 'বাবুজি, আমাকে একটুও সময় দিলেন না, বাবুজি!'
সোভিয়েত সরকারের টনক নড়ল। কিছু একটা গোলমাল হয়েছে, বা হচ্ছে আন্দাজ করে কেজিবির নবম ডাইরেক্টরেট, যাঁরা ভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকত, তৎক্ষণাৎ কাজে নেমে পড়ল। বাসভবনের মুখ্য পরিচারক, আহমেদ সাত্রভকে ভোর চারটের সময় তুলে নিয়ে যাওয়া হল গোপন দপ্তরে। সাথে আরও তিন সহকারী। সাত্রোভের বয়ানে জানা যায়, তদন্তের ভয়াবহতায় ঐ কয়েক ঘন্টায় তাঁদের চুল কালো থেকে সাদা হয়ে যায়। সোভিয়েত গোয়েন্দাদের একটিই প্রশ্ন ছিল, "বিষ কে মিশিয়েছে?" [ এইখানে একটু ছোট্ট সংযোজন দাবী রাখে। পূর্বতন সেভিয়েত ইউনিয়ন, মহামতি স্ট্যালিনের মানুষের মৃত্যুবিষয়ক অনন্ত ঔৎসুক্যের কারণে, বিষের ব্যাপারে, বলা ভালো বিষ প্রয়োগে মৃত্যুর ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে চূড়ান্ত বিশেষজ্ঞস্থানীয় ছিল, সম্ভবত আজও আছে। একটি মন্ত্রকই ছিল সেসময়, এই ব্যাপারে গবেষণা ও তৎসম্বন্ধীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। কেজিবি যে বিষপ্রয়োগে মৃত্যু স্রেফ খালিচোখে দেখলেই বুঝতে পারবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।] কিছুক্ষণ পরে জান মহম্মদকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়। সাত্রোভ পরে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "ওকে দেখেই আমার মনে হয় - এই সেই লোক।"
শাস্ত্রীজির মৃতদেহকে সেই দিনই, অর্থাৎ ১১ ই জানুয়ারি দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। শরীর যাতে বিকৃত না হয়, তাই এমবাম করা হয়েছিল তাশখন্দেই। তবুও নিকটাত্মীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা যায়, শাস্ত্রীজির দৃশ্যমান সারা মুখমণ্ডলে নীলচে ছোপ ছোপ দাগ ছিল, ছিল সারা শরীর জুড়ে বড় বড় ফোস্কা। পেটে আর ঘাড়ের পেছনে দুটি গভীর ক্ষত ছিল। ঘাড়ের ক্ষতটি দিয়ে তখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, সারা বিছানা রক্তে ভেজা ছিল।
আত্মীয়দের কাছে ঘেঁসতে দেওয়া হয়নি, মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করার দাবীকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি সৎকার করে ফেলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নশ্বর দেহ। স্ত্রী ললিতা শোকে পাথর, মা শোকে মূহ্যমান- কে আর বাধা দেবে?
নেহরু কন্যা ইন্দিরা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন। শাস্ত্রীজির মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে বহুবার সংসদে আওয়াজ তুলেছেন কিছু জনপ্রতিনিধি। সরকার কান দেয়নি। ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারির কারণে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর, জনতা সরকার প্রথম একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে শাস্ত্রীজির মৃত্যুর কিনারা করতে। সেই কালান্তক সফরে শাস্ত্রীজির ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ডঃ আর এন চুঘ এবং শাস্ত্রীজির নিজস্ব পরিচারক রাম নাথকে সংসদে এসে নিজ নিজ বয়ান নথিবদ্ধ করতে অনুরোধ করা হয়।
ডঃ চুঘ সাক্ষ্য দিতে নিজের গাড়িতে করে দিল্লি আসছিলেন। সাথে স্ত্রী, ডঃ সরোজিনী চুঘ, চোদ্দ বছর বয়সী ছোট ছেলে শৈলেন্দ্র, তের বছর বয়সী কন্যা শোভা। একটি ট্রাক পথেই তাঁদের পিষে দিয়ে যায়। ছোট মেয়েটি কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়, তবে সারাজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যায়। বড় ছেলে উপেন্দ্র বাড়িতে থাকায় রক্ষা পায়।
ওদিকে রাম নাথ, সাক্ষ্য দিতে যাবার আগে শাস্ত্রীজির বিধবা স্ত্রী ললিতাদেবীর সাথে দেখা করে, বলে, "মা, আজ বহুদিন বহুকথা বুকে জমে, ভার হয়ে চেপে বসে আছে। আজ সব কথা বলে হালকা হবো, মা।"
রাম নাথ হালকা হয়েছিল বটে, তবে সাক্ষ্য আর দেওয়া হয়নি। সংসদের সামনেই একটি চলন্ত গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। দুটো পা কেটে বাদ দিতে হয়, মাথার আঘাতে স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়।
সবই কাকতালীয়।
সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট পেশ হয়, তবে তার আর হদিশ পাওয়া যায় না। তথ্য আইনের সূত্র ধরে কেউ কোনও তথ্য জানতে চাইলে জানানো হয় ফাইল হারিয়ে গেছে, নথি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ইন্দিরা সরকারে ফিরে এসে দুটি কাজ করেছিলেন। অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে নেতাজির অন্তর্ধান ও শাস্ত্রীজির রহস্য মৃত্যু সংক্রান্ত সব তথ্য নষ্ট করে ফেলেন ভারতের অগ্নিকন্যা। অনেক ফাইল নাকি আক্ষরিক অর্থেই পোড়ানো হয়েছে এই সময়।
তবুও শাস্ত্রীজির মৃত্যুতে ইন্দিরা দেবীর সম্ভবত কোনও হাত ছিল না। এই মৃত্যুতে দৃশ্যত তিনি লাভবান হয়েছিলেন বটে, তবে এই ঘটনায় মুখ্য কুশীলব হবার সম্ভাবনা বা সুযোগ কোনটিই সেসময় তাঁর ছিলনা বললেই চলে।
ভারত পাকিস্তানের সম্পর্ক সে সময় তলানিতে ছিল। পাকিস্তান সেসময় ছিল যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকার স্বাভাবিক মিত্র। শাস্ত্রীজির মৃত্যুর সমসাময়িক কয়েকটি রহস্য মৃত্যুর দিকে নজর করা জরুরি। যেমন, ভারতীয় বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার মৃত্যু। শাস্ত্রীজির মৃত্যুর দু সপ্তাহের ব্যবধানে এই তথাকথিত বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ভাবা এক প্রথিতযশা পরমানু বিজ্ঞানী ছিলেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভারতকে পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্র বানাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। আমেরিকা বিশেষত আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সেই সময় সারা পৃথিবী জুড়ে সম্ভাব্য পরমানু গবেষণাকেন্দ্রগুলিকে অঙ্কুরেই বিনাশ করার নীতি নিয়ে চলছে। ডঃ ভাবা ও শাস্ত্রীজির মৃত্যু একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ, একই সুতোয় বাঁধা।
শাস্ত্রীজির মৃত্যুর বহুদিন পরে সিআইএর পরিকল্পনা বিভাগের অধিকর্তা রবার্ট ক্রলি সাংবাদিক গ্রেগরি ডগলাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন এই চক্রান্তের কথা। শর্ত ছিল মৃত্যুর আগে সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা যাবে না।
উপমহাদেশে এই সকল চক্রান্তকে বাস্তবায়িত করার জন্য পাকিস্তানি ভাড়াটে গুণ্ডাদের সুনাম বিশ্বজোড়া। পাকিস্তানি রপ্তানি বানিজ্যের একটি মুখ্য অংশই বলা যায় এঁদের। অতএব সিআইএকে খুব একটা মাথা ঘামাতে হয়নি।
একটি অন্য রহস্য মৃত্যুর কথা এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো। পাকিস্তানের রূপকার মহম্মদ আলি জিন্নার মৃত্যুও যদিও বেশ রহস্যজনক, তবে তাঁর মৃত্যু নয়, তাঁর ইস্পাত হৃদয় বোন, "খাতুন-এ- পাকিস্তান", " মাদার অফ দ্য নেশন", ফতিমা জিন্নার মৃত্যুর দিকে নজর দেওয়া যাক।
ফতিমা জিন্না ছিলেন মহম্মদ আলি জিন্নার সবচেয়ে আদরের এবং নির্ভরযোগ্য নেত্রী। জিন্নার অকস্মাৎ মৃত্যুর পর, তাঁকে প্রবলভাবে একঘরে করা হয়, তাঁর গতিবিধি ও স্বাধীন মতপ্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবুও একেবারে আটকে রাখাও যায়নি।
উনিশশো পঁয়ষট্টির রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি একনায়ক জেনারেল আয়ুব খানের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র রক্ষায় এক অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেন। এক মুসলিম রমনী একটি মুসলিম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ কিভাবে পেতে পারেন! জেনারেল আয়ুব খান নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে জিতলেন বটে, তবে জনতার সমর্থন কিন্তু ছিল ফতিমা জিন্নার দিকেই। সেনাবাহিনীর চোখ এড়ায়নি ব্যাপারটি।
জুলাইয়ের নয় তারিখ, ১৯৬৭ সাল, ফতিমা জিন্না করাচিতে তাঁর নিজের বাসভবনে মারা গেলেন। ডাক্তারেরা বললেন, হার্ট এ্যাটাক।
ভোপালের ভাবী বেগম, স্বাধীনতার পর পাকিস্তানে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া, ফতিমা জিন্নার অনুরাগী আবিদা সুলতান তাঁর "Memoirs of a Rebel Princess" গ্রন্থে লিখছেন,
“I found Miss Jinnah lying surrounded with blocks of ice. There were blue patches on her face, mainly the left eye. There was some blood on the covering sheet, but I could not detect whether it had come out from the ear, nose or mouth”.
মৃত্যুতে কি মিল!
এককালে জিন্নার ব্যক্তিগত সচিব, পাকিস্তানের প্রাক্তন এ্যাটর্নি জেনারেল, সরিফুদ্দিন পীরজাদা বলেছিলেন, ফতিমা জিন্নাকে তাঁর রাঁধুনি বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছিল, কারণ সেনা সরকার তিনি বেঁচে থাকুন, তা চায়নি।
সবই কাকতালীয়!
তবে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় না। আজ ক্ষমতায় ইন্দিরাজি নেই, আজ সিআইএকে ভয় পাবে ভারত, পরিস্থিতি এমনও নয়। বাজপেয়ীজি যখন পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটালেন, সিআইএর কাছে পুরোটাই ছিল ধোঁয়াশা। তাহলে আজও কেন রহস্যে থাকবে ভারতের বীর সিংহদের মৃত্যু বা অন্তর্ধান? কিসের এতো লুকোচুরি, কিসের এতো ফিসফিসানি! কবে এই কুচক্রী ভণ্ডদের মুখোশ টেনে ছেঁড়া হবে! নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজির আত্মবলিদান, দেশের প্রতি তাঁদের কর্তব্য কর্ম আমরা ভুলতে পারিনা, সে ঋণ শোধ হবার নয়, তাই বলে তাঁদের প্রতি অসম্মান অবমাননার জবাবটুকুও কি আমরা দিতে পারব না কোনওদিন? এই অন্যায় গোপনীয়তার শেষ দেখতে চাই আমরা, যত দ্রুত হয় তত ভালো।
জয় জওয়ান, জয় কিষাণ। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী অমর রহে। জয়হিন্দ।

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য
মন্তব্যগুলি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন