রূপক রায়ের কলাম ( চার )
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
সুমাইয়া শিকদার,
অবতারগন কেনো শুধু ভারতেই জন্ম নিয়েছে, এই পোস্টে দিলাম তার উত্তর, যদি মাথায় গোবর না থাকে তো ঠিক বুঝতে পারবি, দেখে নে নিচের পোস্ট-
আচ্ছা, পৃথিবী সৃষ্টির পর ভগবান বিষ্ণুর অবতার এর লীলা শুধুমাত্র ভারত বর্ষে সীমাবদ্ধ কেনো ? ঐ সময় কি পৃথিবীর অন্য কোনো মহাদেশ ছিল না ?
ঈশ্বরের অবতাগুলি কেনো শুধু ভারতবর্ষেই জন্ম নেয় ?
এই ধরণের প্রশ্ন উত্থাপন করার ক্ষমতা কোনো মুসলমানের নেই, উত্থাপন করে নাস্তিকরা, আর তাদের থেকে কপি পেস্ট করে চালায় মুসলমানরা । যার থেকে ধার করেই হোক, যদি কোনো মুসলমান এই ধরণের প্রশ্ন তুলে, তাকে শুধু পাল্টা প্রশ্ন করবেন, তাহলে নবী-রাসূলদের আগমন শুধু মাত্র মধ্যপ্রাচ্য বা আরবকেন্দ্রিক কেনো ? দেখবেন, বেলুন ফুটো হয়ে চুপসে গেছে।
অবতারগন কেনো শুধু ভারতেই জন্ম নিয়েছে, এই পোস্টে দিলাম তার উত্তর, যদি মাথায় গোবর না থাকে তো ঠিক বুঝতে পারবি, দেখে নে নিচের পোস্ট-
আচ্ছা, পৃথিবী সৃষ্টির পর ভগবান বিষ্ণুর অবতার এর লীলা শুধুমাত্র ভারত বর্ষে সীমাবদ্ধ কেনো ? ঐ সময় কি পৃথিবীর অন্য কোনো মহাদেশ ছিল না ?
ঈশ্বরের অবতাগুলি কেনো শুধু ভারতবর্ষেই জন্ম নেয় ?
এই ধরণের প্রশ্ন উত্থাপন করার ক্ষমতা কোনো মুসলমানের নেই, উত্থাপন করে নাস্তিকরা, আর তাদের থেকে কপি পেস্ট করে চালায় মুসলমানরা । যার থেকে ধার করেই হোক, যদি কোনো মুসলমান এই ধরণের প্রশ্ন তুলে, তাকে শুধু পাল্টা প্রশ্ন করবেন, তাহলে নবী-রাসূলদের আগমন শুধু মাত্র মধ্যপ্রাচ্য বা আরবকেন্দ্রিক কেনো ? দেখবেন, বেলুন ফুটো হয়ে চুপসে গেছে।
কিছু কিছু মুসলমান অবশ্য এরও একটা উত্তর রেডি করে রাখে, বিষয়টি জানা না থাকলে সেই অস্ত্রে আপনি অবশ্য কুপোকাত হতে পারেন, আর সেটা হলো- কাবা হলো পৃথিবীর কেন্দ্র, আর ইসলাম কাবাকেন্দ্রিক হওয়ার কারণ হলো, ইসলাম সেখান থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। এই কথা শোনার পর, আপনার এই কথা মনে পড়বে যে, যেহেতু আরব বা তৎসংলগ্ন এলাকাকে বলে মধ্যপ্রাচ্য, সুতরাং কাবা পৃথিবীর কেন্দ্র হলে হতেও পারে, তাই এরপর আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন নাও আসতে পারে। কিন্তু এই জ্ঞান হলো মুসলমানদের মূর্খ জ্ঞান; কারণ, পৃথিবী একটি গোলাকার বস্তু, তাই এর ভূপৃষ্ঠে কোনো নির্দিষ্ট কেন্দ্র থাকতে পারে না, আপনি যেখানে খুশি এর কেন্দ্র ধরে নিয়ে পৃথিবীর আকার আয়তনের যাবতীয় হিসেব নিকেশ করতে পারেন।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আরব এলাকাকে মধ্য প্রাচ্য বলার কারণ কী ?
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আরব এলাকাকে মধ্য প্রাচ্য বলার কারণ কী ?
এই নাম দেওয়া কিছু সাংবাদিকের এবং সেটা গত শতকের শেষের দিকে। অনেকেই জানেন, গত শতকের শেষ অর্থাৎ ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব ঘটে এবং এর প্রভাব পুরো মুসলিম এলাকায় পড়ে। সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করতে গিয়ে পুরো মুসলিম এলাকাকে বোঝাতে গিয়ে সাংবাদিকরা মিডল ইস্ট বা মধ্যপ্রাচ্য শব্দটি ব্যবহার করে এই যুক্তিতে যে, নতুন দিনের সূর্যের আলো প্রথম পায় জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু এলাকা, সূর্য যেহেতু পূর্বদিকে প্রথম দেখা দেয়, এই সূত্রে তারা পূর্বাঞ্চলীয় বা প্রাচ্য; আর দিনের শেষ সূর্য দেখা যায়, আমেরিকা মহাদেশীয় এলাকায়, এই সূত্রে তারা পশ্চিমাঞ্চলীয়। এই দুয়ের মাঝখানে যারা, তারাই মধ্যপ্রা্চ্য। এই সূত্রে ভারতীয় উপমহাদেশও মধ্যপ্রাচ্য আবার আফ্রিকা মহাদেশও মধ্যপ্রাচ্য, কিন্তু এগুলোকে কি কেউ মধ্যপ্রাচ্য বলে ?
বলে না।
তাছাড়া, এই সূত্রে রাশিয়ান অঞ্চলেরই বা কী নাম, সেটা কি কেই বলতে পারবেন ? পারবেন না।
তার মানে আরব এবং তার আশে পাশের দেশগুলোকে শুধু বলার স্বার্থে বলা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, এর শক্ত কোনো ভৌগোলিক যুক্তি নেই।
যা হোক, মধ্যপ্রাচ্য মানেই যে পৃথিবীর মধ্য এলাকা নয় বা কাবা যে পৃথিবীর কেন্দ্র নয়, আশা করছি, এই বিষয়টা সবার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে; কারণ, ফুটবলের মতো গোলাকার কোনো বস্তুর, এর পৃষ্ঠদেশে কোনো কেন্দ্র থাকে না; এবার নজর দিই মূল বিষয়, অবতারগন শুধু ভারতবর্ষেই কেনো ?
বলে না।
তাছাড়া, এই সূত্রে রাশিয়ান অঞ্চলেরই বা কী নাম, সেটা কি কেই বলতে পারবেন ? পারবেন না।
তার মানে আরব এবং তার আশে পাশের দেশগুলোকে শুধু বলার স্বার্থে বলা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, এর শক্ত কোনো ভৌগোলিক যুক্তি নেই।
যা হোক, মধ্যপ্রাচ্য মানেই যে পৃথিবীর মধ্য এলাকা নয় বা কাবা যে পৃথিবীর কেন্দ্র নয়, আশা করছি, এই বিষয়টা সবার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে; কারণ, ফুটবলের মতো গোলাকার কোনো বস্তুর, এর পৃষ্ঠদেশে কোনো কেন্দ্র থাকে না; এবার নজর দিই মূল বিষয়, অবতারগন শুধু ভারতবর্ষেই কেনো ?
ভারতের সাথে অনেক সময়ই বর্ষ শব্দটি যুক্ত করে বলা হয় ভারতবর্ষ, এই বর্ষ মানে বছর নয়; বর্ষ মানে দেশ বা রাষ্ট্র, তাই ভারতবর্ষ মান হলো ভারতরাষ্ট্র।
আপনারা অনেকেই জানেন যে, পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা হলো সিন্ধু সভ্যতা, যার গোড়াপত্তন হয়েছিলো মোটামুটি ১২ হাজার বছর আগে, কিন্তু এর পূর্ণ বিকাশ হয়েছিলো গোড়াপত্তনের দুই হাজার বছর পর, অর্থাৎ ১০ হাজার বছর আগে। সিন্ধু নদের তীরেই গড়ে উঠেছিলো এই সভ্যতা, যেটা বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত এবং এই সিন্ধু নদের তীরেই উচ্চারিত হয়েছিলো প্রথম বেদ মন্ত্র।
আপনারা অনেকেই জানেন যে, পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা হলো সিন্ধু সভ্যতা, যার গোড়াপত্তন হয়েছিলো মোটামুটি ১২ হাজার বছর আগে, কিন্তু এর পূর্ণ বিকাশ হয়েছিলো গোড়াপত্তনের দুই হাজার বছর পর, অর্থাৎ ১০ হাজার বছর আগে। সিন্ধু নদের তীরেই গড়ে উঠেছিলো এই সভ্যতা, যেটা বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত এবং এই সিন্ধু নদের তীরেই উচ্চারিত হয়েছিলো প্রথম বেদ মন্ত্র।
কিন্তু ইউরোপীয় ইতিহাস বলে, সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হলো মিশরীয় সভ্যতা এবং সেটা ৫ হাজার বছরের পুরোনো এবং এই কথা ব’লে তারা সিন্ধু সভ্যতার ইতিহাসকে চাপা দিয়ে হিন্দুদের প্রাচীনত্বকে চাপা দিতে চায়। কিন্তু বর্তমানে এটা প্রমানিত যে, মহাভারতের যুদ্ধই হয়েছিলো প্রায় ৫৩০০ বছর আগে, গীতা সেই সময় থেকেই পৃথিবীতে আছে, এই সূত্রে রামায়ন আরও আগের এবং এ প্রসঙ্গে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থিত “ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ অন ভেদাজ” বা সংক্ষেপে ‘আই-সার্ভ’ নামের গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা বলছেন, রামায়নর ঘটনা এবং রামায়ন রচনাকাল মোটামুটি ৭১০০ বছর আগে, এরও পূর্ব থেকে রচিত হয়ে আসছে বেদের মন্ত্র, যা পৃথিবীর প্রথম সাহিত্যিক নিদর্শন, আর সাহিত্য রচনায় হাত দেয় সেই দেশ বা সভ্যতার লোকেরাই, যে ভূখণ্ডের লোকের পেটে ভাত থাকে, বাড়িতে সুখ থাকে আর মনে শান্তি থাকে; কারণ, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, কবিতা সেখানে ধরা দেয় না, পৃথিবীর সকল প্রাচীন সাহিত্যিক নিদর্শনের মতো বেদের মন্ত্রগুলোও কবিতা আকারে বিভিন্ন ছন্দে লিখিত, এই ঘটনা নিশ্চিতভাবে প্রমান করে যে, সিন্ধু নদের তীরে একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো, যেটা হাজার দশেক বছর আগে।
পৃথিবীর যেখানেই নতুন কিছু ঘটেছে বা ঘটে, সেটাই ঘটেছে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী পরিবারে, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী সমাজে বা উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে বা সভ্যতায়। যেখানে দারিদ্র বা ক্ষুধা, সেখানে মহান কোনো কিছুর সৃষ্টি হয় না; যেমন আমার ভেতরে কোনো কারণে যদি অস্থিরতা বা অশান্তি থাকে, তখন ভালো লিখতে পারি না, কিন্তু যখনই আমি টেনশন ফ্রি থাকি এবং হাতে সময় থাকে, তথনই আমি লিখতে পারি আমার প্রবন্ধগুলো সেগুলো কোন মানে হয়, যারা আমার পুরোনো পাঠক, তারা সেটি জানেন। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি- উৎকৃষ্ট মানের সাহিত্য হচ্ছে দুধের সর, যে দুধ পেতে গেলে গরু পুষতে হয়, তাকে ভালো ভালো খাবার খাইয়ে দুধের পরিমান বৃদ্ধি করতে হয়, তারপর বহু কাঠ-খড়ি পুড়িয়ে সেই দুধকে বহু সময় ধরে ধৈর্য ধরে জ্বাল দিতে হয়, তারপর পাওয়া যায় দুধের সর। উৎকৃষ্ট মানের সাহিত্য সৃষ্টি করতে হলে একটি জাতি বা সভ্যতাকে ঠিক এই প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, রাতারাতি সেখানে কিছু হয় না, তাই হিন্দুদের দ্বারা রাতারাতি যে- গীতা, মহাভারত, রামায়ন ও বেদের মতো সাহিত্য সৃষ্টি হয় নি, এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এটা ছিলো দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, সাধনা ও সুশাসনের ফল। এই সূত্রে ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের দালালদের কাছে প্র্শ্ন করছি- মিশরীয় সভ্যতা যদি সবচেয়ে পুরোনো হয়, তাহলে সেই সভ্যতার দুচারটা সাহিত্যিক নিদর্শনের নাম বলেন, যেগুলো, আপনাদের মতে, বেদ-গীতা-রামায়ন-মহাভারতের চেয়ে প্রাচীন।
গুগলে সার্চ দিয়েও, একটাও খুঁজে পাবেন না।
বলছিলাম, উন্নত দেশ বা সভ্যতাতেই নতুন কিছু ঘটে থাকে, যা পথ দেখায় অনুন্নতদের; এই ঘটনা ঘটে থাকে প্রাকৃতিক নিয়মেই। একারণেই আধুনিক দর্শন ও বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিলো ২৫০০ বছর পূর্ব থেকে গ্রীসের মতো উন্নত দেশের লোকজন সক্রেটিস, প্লেটো, এ্যারিস্টোটলের হাতে এবং এটার বিস্তার হয়েছে, আরেক উন্নত জাতির লোকজন খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের হাতে, ইউরোপ ও আমেরিকায়। তার মানে নতুন কিছু সৃষ্টি হয় বা নতুন পথ দেখায় শুধু উন্নত দেশের উন্নত জাতির সভ্য লোকেরা, আর তাকে অনুসরণ করে অনুন্নত বা অসভ্য জাতির লোকেরা এবং উন্নত জাতির লোকজনের কৃষ্টিকালচারকে অনুসরণ করেই অনুন্নত বা অসভ্যরা উন্নত বা সভ্য হওয়ার চেষ্টা বা ভান করে, যেই ভান করে যাচ্ছে মুসলমানরা।
গুগলে সার্চ দিয়েও, একটাও খুঁজে পাবেন না।
বলছিলাম, উন্নত দেশ বা সভ্যতাতেই নতুন কিছু ঘটে থাকে, যা পথ দেখায় অনুন্নতদের; এই ঘটনা ঘটে থাকে প্রাকৃতিক নিয়মেই। একারণেই আধুনিক দর্শন ও বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিলো ২৫০০ বছর পূর্ব থেকে গ্রীসের মতো উন্নত দেশের লোকজন সক্রেটিস, প্লেটো, এ্যারিস্টোটলের হাতে এবং এটার বিস্তার হয়েছে, আরেক উন্নত জাতির লোকজন খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের হাতে, ইউরোপ ও আমেরিকায়। তার মানে নতুন কিছু সৃষ্টি হয় বা নতুন পথ দেখায় শুধু উন্নত দেশের উন্নত জাতির সভ্য লোকেরা, আর তাকে অনুসরণ করে অনুন্নত বা অসভ্য জাতির লোকেরা এবং উন্নত জাতির লোকজনের কৃষ্টিকালচারকে অনুসরণ করেই অনুন্নত বা অসভ্যরা উন্নত বা সভ্য হওয়ার চেষ্টা বা ভান করে, যেই ভান করে যাচ্ছে মুসলমানরা।
যুগে যুগে পৃথিবীর উন্নত সভ্যতার লোকেরাই, অনুন্নতদেরকে কৃষ্টি কালচার শিখিয়েছে, নিয়ম কানুন শিখিয়েছে, ধর্ম শিখিয়েছে এবং এই দায়িত্ব অলিখিতভাবে উন্নত সভ্যতার লোকজনেরই এবং প্রকৃতিও প্রাকৃতিকভাবেই তাদের উপরেই সেই দায়িত্ব অর্পন করে থাকে এবং তাদেরকেই সেই সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন, মন-মানসিকতায় উন্নত এবং সমৃদ্ধ সভ্যতা হিসেবে সিন্ধু সভ্যতার উপর প্রাকৃতিকভাবেই এই দায়িত্ব এসে পড়েছিলো- পৃথিবীর অনুন্নত জাতির লোকজনকে ধর্ম ও কৃষ্টি কালচার শিক্ষা দেওয়ার; তাই সেই সভ্যতায় আবির্ভূত হয়েছিলো- পরশুরাম, রাম, বলরাম, কৃষ্ণের মতো অবতারগনের এবং তারা মানুষের জন্য কর্তব্যকর্মের উদাহরণ যেমন সৃষ্টি করে গেছেন, তেমনি দিয়ে গেছেন ধর্ম অধর্মের জ্ঞান। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই অবতারগন শুধু ভারতবর্ষেই কেনো ? শব্দটা ভারতরবর্ষ হবে না, হবে অখণ্ড ভারত, যার ব্যাপ্তি ছিলো আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত। এই সমগ্র এলাকার রাজধানী বা কেন্দ্র বিন্দু ছিলো সিন্ধু নদের তীরে অবস্থিত সিন্ধু সভ্যতা এবং তার আশে পাশের এরিয়া; তাই সব অবতারের জন্ম সেই এরিয়ার মধ্যেই ঘটেছে, যেমন বেশিরভাগ স্টার বা বিখ্যাত লোকদের, জন্ম না হলেও বেড়ে উঠা বা কর্মস্থল হয় দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকা রাজধানীতে। একারণেই সব অবতারের জন্ম হয়েছে, সেই সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকা সিন্ধু বা তার পরের আর্য সভ্যতায়, ধারণা ছিলো সেখান থেকেই মানুষের নীতি নৈতিকতা ও ধর্ম অধর্মের জ্ঞান সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।
আশা করছি, অবতারগণের জন্ম কেনো ভারতভূমিতে, এই প্রশ্নের জবাব আমার সনাতনী বন্ধুদের মুখে তুলে দিতে পেরেছি, তারপরও কারও যদি এ বিষয়ে আর কোনো অস্পষ্টতা থাকে, নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবেন, আমি তার সমাধান দিতে চেষ্টা করবো।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন, মন-মানসিকতায় উন্নত এবং সমৃদ্ধ সভ্যতা হিসেবে সিন্ধু সভ্যতার উপর প্রাকৃতিকভাবেই এই দায়িত্ব এসে পড়েছিলো- পৃথিবীর অনুন্নত জাতির লোকজনকে ধর্ম ও কৃষ্টি কালচার শিক্ষা দেওয়ার; তাই সেই সভ্যতায় আবির্ভূত হয়েছিলো- পরশুরাম, রাম, বলরাম, কৃষ্ণের মতো অবতারগনের এবং তারা মানুষের জন্য কর্তব্যকর্মের উদাহরণ যেমন সৃষ্টি করে গেছেন, তেমনি দিয়ে গেছেন ধর্ম অধর্মের জ্ঞান। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই অবতারগন শুধু ভারতবর্ষেই কেনো ? শব্দটা ভারতরবর্ষ হবে না, হবে অখণ্ড ভারত, যার ব্যাপ্তি ছিলো আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত। এই সমগ্র এলাকার রাজধানী বা কেন্দ্র বিন্দু ছিলো সিন্ধু নদের তীরে অবস্থিত সিন্ধু সভ্যতা এবং তার আশে পাশের এরিয়া; তাই সব অবতারের জন্ম সেই এরিয়ার মধ্যেই ঘটেছে, যেমন বেশিরভাগ স্টার বা বিখ্যাত লোকদের, জন্ম না হলেও বেড়ে উঠা বা কর্মস্থল হয় দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকা রাজধানীতে। একারণেই সব অবতারের জন্ম হয়েছে, সেই সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এলাকা সিন্ধু বা তার পরের আর্য সভ্যতায়, ধারণা ছিলো সেখান থেকেই মানুষের নীতি নৈতিকতা ও ধর্ম অধর্মের জ্ঞান সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।
আশা করছি, অবতারগণের জন্ম কেনো ভারতভূমিতে, এই প্রশ্নের জবাব আমার সনাতনী বন্ধুদের মুখে তুলে দিতে পেরেছি, তারপরও কারও যদি এ বিষয়ে আর কোনো অস্পষ্টতা থাকে, নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবেন, আমি তার সমাধান দিতে চেষ্টা করবো।
শেষে আরেকটি কথা না বললেই নয়, এই সমস্ত বিষয়ের অবতারণা সাধারণত নাস্তিকেরাই করে থাকে, আর নাস্তিকদের থেকে কপি পেস্ট করে চালায় মুসলমানরা, যে কথা আগেও বলেছি। দুই বইয়ের পাঠক মুসলমানরা, যাদের কোনো বাস্তব জ্ঞানই নেই, যারা সারাদিন পালন করে হিন্দু কালচার, আর নিজেকে ভাবে মুসলমান, তাদের উদ্দেশ্যে এখানে আর কিছু বললাম না, শুধু নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে বলছি-
যারা সৃষ্টি জাগতের ২৫% পর্যন্ত জ্ঞান রাখে, তারা অন্ধ বিশ্বাসী ধার্মিক; যারা এই জ্ঞানের সীমাকে অতিক্রম করে ৫০% পর্যন্ত যায়, তারা নাস্তিক; আর যারা ফিফটি পার্সেন্টের উর্ধ্বের জ্ঞানকে ধারণ করতে পারে, তারাই যুক্তিবাদী ধার্মিক এবং সে অবশ্যই সনাতনী ধার্মিক অর্থাৎ হিন্দু, এজন্যই বিশ্বের তাবৎ জ্ঞানী গুনী ব্যক্তি হিন্দুধর্ম ও হিন্দু কালচারের প্রতি অনুরক্ত হতে বাধ্য। আমি এই সব স্তরকে পার করে এসেছি, এবং একসময় নাস্তিক হিসেবে ধর্মকারী ও মুক্তমনায় বহু প্রবন্ধ লিখেছি, তাই এই সব নাস্তিক্যবাদী যুক্তি দেখিয়ে বা প্রশ্ন করে আর কোনো লাভ নেই; সনাতন ধর্মের কুৎসা রটিয়ে হিন্দুদেরকে হেয় করে যতই হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করিস না কেনো, তোদের সকল কুৎসার জবাব দিয়ে হিন্দুদের হীন্মন্যতাকে দূর করার জন্য ঈশ্বর একজনকে জন্ম দিয়েছে এবং সে এই ধরণের সকল কুৎসার জবাব দিয়ে যাবে।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন