ইয়েমেন
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ : আল্লা কোথায় ?
মধ্যপ্রাচ্যের একটি হান্ড্রেড পার্সেন্ট মুসলিম দেশ ইয়েমেন। জনসংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখ। বর্তমানে দেশটির ১ কোটি ৯০ লাখ অর্থাৎ প্রায় ৭০ ভাগ মুসলামনই এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে শিশু মারা যাচ্ছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ইয়েমেনে এই দুর্ভিক্ষ কেনো ?
কারণ আর কিছুই নয়, শিয়া সুন্নী সংঘাত। মুসলমানরা হিন্দুদের জাত পাত নিয়ে কথা বলে, কিন্তু তারা ভেবে দেখে না যে নিজের পাছায় কত গু ? হিন্দুদের মধ্যে জাতিভেদ থাকতে পারে, কিন্তু তার জন্য এক হিন্দু, কখনো অপর হিন্দুকে খুন করে না। কিন্তু মুসলমানরা নাকি এক জাতি, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই! সবাই এক আল্লা ও তার রাসূল মুহম্মদকে মেনে চলে, সবাই মাত্র দুইটি বই কোরান ও হাদিস পড়ে, তাহলে তাদের মধ্যে ডজন ডজন মাযহাব বা মত পথ কেনো ? আর কেনোই বা তারা একে অপরকে খুন করে রক্ত ঝরাতে এত উৎসাহী ? তাহলে কাদের জাতিভেদ ভয়ংকর- হিন্দুদের, না মুসলমানদের ?
যা হোক, এই ইয়েমেন মোটামুটি দুই ভাগে বিভক্ত, উত্তর ও দক্ষিণ। একদিকে থাকে শিয়ারা, অন্যদিকে সুন্নীরা। বেশ আগে থেকেই ইয়েমেনে সুন্নীদের সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিলো, কিন্তু শিয়ারা তাকে মানে না। এই নিয়ে লাগে গণ্ডগোল। শিয়ারা, সুন্নী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে উৎখাতের চেষ্টা করলে, দেশটির সুন্নী প্রেসিডেন্ট সৌদি আরবে পালিয়ে যায়; এরপর সৌদি, অন্যান্য কয়েকটি দেশের সহায়তায় একটি জোট গঠন ক’রে শিয়া বিদ্রোহী, যারা হুতি নামে পরিচিত, তাদেরকে দমন করা শুরু করে। এই নিয়ে শুরু গৃহযুদ্ধ।
যা হোক, গৃহযুদ্ধের আগে থেকেই ইয়েমেন মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিলো। দুই বছরের গৃহযুদ্ধে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে গেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইয়েমেনের মুসলিমদের এই দুর্দিনে আল্লা কোথায়, কী করছে ? এই মুসলমানদের দুঃখ কষ্টে আল্লার কি একটুও কিছু যায় আসে না ? তারা যে না খেয়ে মরছে, তাতে কি আল্লার একটুও দরদ লাগছে না ? এরা আত্মঘাতী বোমা হামলায় আত্মঘাতী হয়ে মরছে না, মরছে না খেয়ে।
আত্মঘাতী হয়ে মরায় একধরণের সুখ আছে। পরকালে বেহেশত হুর আর গেলমান পাবার সুখ। কিন্তু দুর্ভিক্ষে যারা মরছে তাদের তো সেই সুখ নেই। দুর্ভিক্ষ মানে ভিক্ষার অভাব; মানে কোথাও কোনো খাবার নেই; চারেদিকে হাহাকার। এভাবে মৃত্যু যে বড় কষ্টের। দিনের পর দিন না খেয়ে থেকে থেকে, অপুষ্টিতে ভুগে ভুগে, হাড় জিড়জিড়ে কঙ্কালসার হয়ে, চলৎশক্তি রহিত হয়ে আস্তে আস্তে মারা যাওয়া। এ মৃত্যু জঙ্গীদের বোমা গুলি খেয়ে মরার মতো অল্পক্ষণের কষ্টের মৃত্যু নয়। এ মৃত্যু দীর্ঘ কষ্টের মৃত্যু। আল্লা এ কষ্টের মৃত্যু মুসলমানদের কেনো দিচ্ছে ? তারা কি মুহম্মদের মহাউন্মাদ নয় ? আর মহাউন্মাদ কি আল্লার প্রেরিত রসূল নয় ? আল্লা তো মুসলমানদের জন্য পরকালের সুখের গ্যারান্টি দিয়ে দিয়েছে। তাহলে ইহকালে মুসলমানদের সুখে রাখতে তার সমস্যা কোথায় ?
মুসলমান ছাড়া পৃথিবীর তাবৎ জাতি মোটামুটি সুখে শান্তিতে বাস করছে। তাদের যেটুকু অশান্তি, তারও কারণ মুসলিম নামের এই অদ্ভুত চিন্তা ধারার কতিপয় কিছু অমানুষ। তো, আল্লার মনোনীত ধর্ম ইসলামের অনুসারী না হয়েও অন্যরা কিভাবে পৃথিবীতে এত ভালো জীবন যাপন করছে? যেখানে ইসলামিক কান্ট্রি মানেই ক্ষুধা, দারিদ্র, হানাহানি, চাপাতি দিয়ে কোপাকুপি আর আত্মঘাতি বোমা।
পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও কোথাও শুনি নি যে খ্রিষ্টান, ইহুদি বা বৌদ্ধদের দেশে কখনও দুর্ভিক্ষ হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও কোথাও শুনি নি যে খ্রিষ্টান, ইহুদি বা বৌদ্ধদের দেশে কখনও দুর্ভিক্ষ হয়েছে।
হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের উড়িষ্যা ও বিহারে ১৯৭১/৭২ সালে একবার কিছুটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো, তারও কারণ বাংলাদেশের মুসলমান। কারণ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি ইন্ডিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেয়; আর তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়েই ঐ এলাকা মুখোমুখি হয় খাদ্য সংকটের। তারপরও এটা তেমন একটা ভয়াবহ ছিলো না। কিছুদিনের মধ্যেই অন্যান্য এলাকা থেকে খাদ্য সামগ্রী এনে ভারত সরকার পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এর আগে ১৭৭৬ সালে বাংলায় একটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। যার মূল কারণ ছিলো ইংরেজদের শোষণ। কিন্তু আমার সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমার বিবেচ্য বিষয় হলো মুসলমান সংখ্যাগুরু এই এলাকায়, আল্লা দুর্ভিক্ষ হতে দিলো কেনো ?
এরপর বাংলায় দুভিক্ষ হয় ১৯৪২ সালে। এখানেও প্রশ্ন একটাই। আল্লা কাদের পক্ষে, মুসলমানদের পক্ষে না অমুসলমানদের পক্ষে ?
২০০৪/৫ সালে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা বাদ দিলে বাংলা তথা বাংলাদেশে শেষ দুর্ভিক্ষ হয় ১৯৭৪ সালে। বঙ্গবন্ধুর পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা, আমেরিকার বঙ্গবন্ধু সরকারকে সহযোগিতা না করাসহ অন্যান্য কারণ যা ই থাকুক ঘটনার মূল ভিকটিম তো মুসলমানরাই। আল্লা এটা কেনো হতে দিয়েছে ? সকল ক্ষমতা তো তারই হাতে। তার ইশারা ছাড়া তো গাছের একটা পাতাও নড়ে না। তাহলে কি তারই ইশারায় ইয়েমেনের এই ১ কোটি ৯০ লাখ মুলমান না খেয়ে ধুকে ধুকে মরছে বা মরবে ? এরপরও হয়তো ইয়েমেনের ক্ষুধার্ত মুসলমানরা মৃত্যুর পূর্বে, কথা বলার তো শক্তি নেই, মুখে বিড় বিড় করে বলবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাহা মুহম্মদের রাসূলুল্লাহ।’ ভাবখানা এমন, এই দুনিয়ায় তো কোনো সুখ পেলাম না পরকালে যদি একটু সুখ পাই! কেমন স্টুপিড জাতি মুসলমানরা, সেটা একটু চিন্তা করুন।
সত্যিই বড় অদ্ভুত জাতি এই মুসলমান। এরা চিন্তা করতে করে শিখবে ? কবে এরা বুঝবে যে, আল্লা বলে কেউ নাই, তাই তার কিছু করারও ক্ষমতা নেই। আল্লার যদি কিছু করার শক্তি থাকতো তাহলে মুসলিম বিশ্ব আজ ক্ষুধা-দারিদ্র-পীড়িত আর গুলি-বোমায় রক্তকবলিত দোযখ নয়, বেহেশতে পরিণত হতো। কারণ, মুসলমানরাই আল্লার পেছনে সময় ব্যয় করে বেশি। আল্লার যদি কিছু দেওয়ার ক্ষমতা থাকতো তো তাদেরই দিতো।
যদিও ইসলামে মুসলমান ছাড়া অন্য কোনো জাতির কোনো স্বীকৃতি নেই, তবু ধরে নিলাম, মুসলমানসহ পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে আল্লাই সৃষ্টি করেছে। যদিও কোরানের ভাষ্যমতে খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যরা সব আল্লার অবাধ্য সৃষ্টি, তো এই অবাধ্যদের আল্লা এত ভালো রেখেছে কেনো ? কাফেরদেরকে বাদ দিয়ে আল্লার সমস্ত রোষ মুসলমানদের উপর কেনো ?
মুসলমানরা আল্লার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দৈনিক পাঁচবার তার তোষামোদ করে। এক হাজার মাসে বছর আছে ৮৩ টা এবং ৮৩ বছরে ৮৩ টা ‘শব ই কদর’ এর রাত থাকলেও আল্লা বলেছে, ‘শবে কদর সহস্র্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ’ কেনো এই আজগুবি কথা ? মুসলমানরা সেই প্রশ্ন না তুলে প্রতিবছরই সারারাত জেগে তোষামোদ আর কান্নাকাটি ক‘রে পরদিন কাজের ক্ষতি ক‘রে ঘুমায়। চোখের পানি আল্লার খুব পছন্দ, তাই শবে কদরের একরাতের চোখের পানিতে আল্লার মন ভরে না। এজন্য আল্লা মুসলমানদের কান্নাকাটির জন্য আর একটি রাত রেখেছে “শব ই বরাত” নামে। আল্লার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সেই রাতেও মুসলমানরা তার তোষামোদ করে। জাকাতের নামে নিম্নমানের কাপড় চোপড় ফকির মিসকিনদের দেয়। গরীবদের দুঃখ কষ্ট বোঝার জন্য একমাস যাবৎ সারা রাত খেয়ে, সারা দিন না খেয়ে থাকে। আল্লার রক্ত পছন্দ বলে প্রতি বছর কুরবানীর নামে লক্ষ লক্ষ পশুর রক্তে পৃথিবীর মাটি ভিজিয়ে দেয়। আল্লা বলেছে, রক্ত প্রবাহেই নাকি মুসলমানদের কল্যান। সেই জন্যই বোধ হয় মুসলমানরা রক্ত ঝরায় পশুর, সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে মানুষেরও। সমর্থ মুসলমানেরা জীবনে একবার হজের নামে মরুভূমি থেকে আলহজ ডিগ্রি কিনে আনতে গিয়ে প্রতিবছর দেশের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে। কাজ কাম বাদ দিয়ে সারা বছর চিল্লা দিয়ে বেড়ায়। পারলে যাকে তাকে ধরে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করে আর ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়ায়। দাওয়াত কবুল না করলে আত্মঘাতী বোমায় কাফের মেরে নিজেদের বেহেশতে গিয়ে হুরের সঙ্গে ছহবত নিশ্চিত করে। এত কিছু করেও কেনো মুসলমানরা আল্লাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না ? কেনো যতসব প্রব্লেম মুসলিম দেশে ? খাদ্য নাই, বস্ত্র নাই, চিকিৎসা নাই। শুধু নাই নাই আর নাই। এত নাই এর মধ্যেও মুসলমানদের কি একবারও মনে হয় না যে, আল্লা নাই ?
এখনও পৃথিবীর ম্যাক্সিমাম দেশের ম্যাক্সিমাম লোক ধার্মিক; তারা কোনো না কোনো ধর্ম বিশ্বাস করে। কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে অর্থাৎ নীতিনির্ধারক বা মাথা এবং যারা রাষ্ট্রের মগজ; যেমন- কবি, সাহিত্যিক, শিল্পি, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী তাদের অধিকাংশই নাস্তিক বা নাস্তিক টাইপের প্রগতিশীল। এই প্রগতিশীলদের সংখ্যা যে দেশে যত বেশি সেই দেশের উন্নতিও তত বেশি। প্রগতিশীলরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে, আর তথাকথিত ধার্মিকরা আল্লার দোহাই দিয়ে দেশকে পেছন দিকে টেনে ধরে রাখে। এর ফলেই হয় উন্নতি বাধাগ্রস্ত । ধার্মিকদের ভয়ে অনেক সময় প্রগতিশীলরা তাদের বিশ্বাসটাকে পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারে না। কারণ, চেয়ার আর মাথা যাবার ভয় সবারই আছে। সবাই তো আর হুমায়ূন আজাদ বা তসলিমা নাসরিন নয়। প্রত্যেকেই এক অলিক আল্লা আর তার দোযখের ভয়ে সন্ত্রস্ত।
মুসলিম দেশে দুর্দশার পরিমান বেশি; কারণ, মুসলিম দেশগুলোতে প্রগতিশীলতার কোনো স্থান নেই, তাই সেসব দেশ উন্নতি করতে পারে না। জন্মসূত্রে একজন লোক ধার্মিক হতে পারে, হয়ও; কিন্তু জন্মসূত্রে কেউ প্রগতিশীল হয় না। প্রগতিশীল হতে হলে তাকে প্রচুর পড়াশুনা করে বাস্তব জ্ঞানার্জন করতে হয়। এই জ্ঞান তখন সে দেশ ও জাতির উন্নতিতে কাজে লাগাতে পারে। তাছাড়া একজন প্রগতিশীল ব্যক্তি কখনও কোনো দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র ও মানবতার জন্য হুমকি নয়, যতটা হুমকি বা ভয়ংকর একজন মুসলমান ধার্মিক। কারণ, এরা ধর্মের নামে অবলীলায় মানুষ খুন করতে পারে, ধর্ষণ করতে পারে। ব্যক্তি বা রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলতে পারে। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতে পারে; এমন কি নিজেকে শেষ করে দিয়ে হলেও। কী ভয়ানক ব্যাপার ! কোনো কিছুই এসব ধার্মিক মুসলমানদের কাছে অসম্ভব নয়। কিন্তু একজন প্রগতিশীলের কাছে এসব একেবারেই অসম্ভব, মানবতার বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু করা তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
ধার্মিক নামের জঙ্গী মুসলমানদের কাছে সবকিছুই সম্ভব ব’লে অবলীলায় এরা দেশের ভেতরে যুদ্ধ লাগাতে পারে, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এতে দেশের কোটি কোটি লোক না খেয়ে মরুক তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। আসে যায় না তাদের আল্লারও। এই পরিস্থিতিই চলছে ইয়েমেনে। একদিকে দেশের লক্ষ লক্ষ লোক না খেয়ে মরছে, অন্যদিকে তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। লোকজন যে না খেতে পেয়ে মরছে এটা তাদের কোনো মাথা ব্যথার কারণ না। যত মাথা ব্যথা জাতিসংঘের লোকজনের, কাফেরদের, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত লোকজনকে বাঁচাতে। তারপরও ইসলামী বিধান মতে এসব লোকজন কখনও বেহেশতে যাবে না। কারণ, তারা মুসলমান নয়। বেহেশতে যাবে তারাই যারা লোকজনকে না খেয়ে মারছে আর নিজেরা মরছে। কারণ, তারা নবীর উম্মত এবং নবী তাদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একজন উম্মত রেখেও সে বেহেশতে প্রবেশ করবে না।
আমার জন্মভূমির রাজধানী, ঢাকায়, ব্যঙের ছাতার চেয়েও মসজিদের সংখ্যা বেশি। এখানে এখনও খুব স্বাভাবিকভাবে মসজিদে আজান দেয়া হচ্ছে, লোকজন দামী পাজামা পাঞ্জাবী প‘রে মসজিদে যাচ্ছে। সেই আল্লাকেই, যে আল্লা গরীব দুঃখীদের পাশে থাকে না, তাকে তোষামোদ করে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইয়েমেনে যে লক্ষ লক্ষ মুসলমান না খেয়ে মরছে তাতে তাদের কোনো বিকার নেই। না সাধারণ পাবলিকের, না সরকারের।
মুসলমানরা কী পরিমান নির্বোধ, শেষে একটি ঘটনার মাধ্যমে তার উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শেষ করছি।
অনেকেই জানেন যে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে সাভারে রানাপ্লাজা নামক একটি ভবন ধ্বসে প্রায় ১১/১২শ লোক মারা যায়, এদেরকে মেরেছে কে ? আল্লাই।
এতগুলো লোকের মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে যখনই উদ্ধারকারীরা, রেশমা নামের জীবিত একজনকে উদ্ধার করতে পারলো, অমনি তারা “আল্লাহু আকবার” বলে চিৎকার করে আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করলো। কিন্তু এরা কেউ একটিবারও ভেবে দেখলো না যে, এই আল্লাই এখানেই প্রায় ১২০০ লোককে হত্যা করেছে! তাদের কাছে আল্লা, ১২০০ লোককে হত্যা করার অপরাধে অপরাধী নয়, কিন্তু একজনকে বাঁচানোর জন্য মহান। বোঝেন অবস্থা ?
একইভাবে আল্লা মুসলমান দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটিয়ে মুসলমানদেরকে মারছে, আর অন্যরা ভাবছে, আমরা তো ভালোই আছি, এর জন্যই তো আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করা দরকার, ঠিক মতো সেই শুকরিয়াও আমরা আদায় করছি না!
এমনি কি আর মাঝে মাঝে বলি, মুসলমানরা একটা আল্টিমেট স্টুপিড জাতি। আল্লার যে কোরান, মুসলমানদেরকে ভালোভাবে বাঁচতে নয়, খুব খারাপভাবে মরতে শেখায়, সেই কোরানই নাকি মুসলমানদের কাছে মহান গ্রন্থ, আর সেই কোরানের লেখক আল্লাও নাকি মহান ?
নির্বোধ কোথাকার।
জয় হিন্দ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন