রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

ইসলাম


    ইসলাম



    ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন             প্রণব কুমার কুণ্ডু


মুসুল্লিদের ঘুম হারাম: কারণ ও প্রতিকার
(ইসলাম ত্যাগী আব্দুল্লাহ আল মাসুদের এই প্রবন্ধটি পড়ুন, এতদিন আমি যা বলেছি তার প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ পাবেন হাতে নাতে এবং আমি জন্মসূত্রে কাফের বলে যেসব মুসলমান এতদিন আমার কথাকে মিথ্যা, বিকৃত, অপব্যাখ্যা বলেছে এবং আমাকে গালি দিয়েছে, তাদেরকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি আপনাদেরই জাত ভাইয়ের এই প্রবন্ধটি পড়ে তার জবাব দেওয়ার জন্য।)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বাংলাদেশের একজন ইমাম ইসলাম থেকে বৃন্তচ্যুত হয়েছেন, এতে সব মুসুল্লিরা অাতংকিত হয়ে পড়েছেন এই ভেবে যে, তাদের মসজিদের ইমাম মুসলিম নাকি মুরতাদ! অবশ্য এটা নতুন নয়, বহু অালেমই ইসলামের অসারতা বুঝতে পেরেছেন। অামার সাথে যে সমস্ত অালেমগণ ইসলামের অসারতা নিয়ে অালোচনা করতেন, তারা অামার চেয়ে অনেকগুণ বেশি মুরতাদ; এবং অামার চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী।
পেটের দায়ে এবং সাহসের অভাবে তারা ইসলামের খাঁচা ছেড়ে বের হতে পারছেননা। তাদের নাম প্রকাশ করবোনা কখনো, তারাই অাগামী দিনে মুরতাদদের নেতৃত্ব দেবে হয়তো! রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের কারণে তারা বের হতে পারছেননা। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের হজ্ব-ওমরাহ নাটক, ইফতার পার্টি সিনেমা, অাকীকা উপন্যাস, কুলখানি গল্প, মিলাদ-খতম কাব্য বন্ধ করতে দুর্নীতিবাজরা রাজি হবে কেন?
ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, নায়ক, গায়ক, শিল্পী সবার জন্যই ধর্ম একটি সময়োপযোগী বটিকা।
'ঝোপ বুঝে কোপ' মারার ক্ষেত্রে ধর্মই সবচে বড় হাতিয়ার। নারায়ণগঞ্জের ওসমানেরাই শুধু ধর্মব্যবসা করে, এমনটা নয়। সারাদেশের প্রায় সব রাজনীতিবিদই সুযোগ বুঝে ধর্মের টোপ ফেলে! ওচমান, ভদি, হাচান সবার জন্যই ইসলাম বিরাট এক রক্ষাকবচ।
শফি, বাবুনগরী, কাসেমি, ভান্ডারী, চরমোনাই, অাটরশি, দেওয়ানবাগী প্রমুখ হলো ওচমানদের বেহেশতের টিকেটের কাউন্টারম্যান।
প্রচুর টাকা লাগে বেহেশত কিনতে, এত সস্তা না। এমনকি শফিদেরকে হেলকপ্টারেও চড়াতে হয়!
দরবেশ এফ রহমান "কোরঅানে ভুল অাছে" বললেও অসুবিধে হয়না, কারণ টাকা কথা বলে! সুলতানা কামাল কিছু বললে তখন অশুচি হয়, যেহেতু টাকা কথা বলেনা!
একি হলো - অামি দেখি ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি!
থাক, অাসি এবার মূল প্রসঙ্গে।
সারাদেশের মুসুল্লিদের মনের সন্দেহ দূরীকরণ করাটা খুব জরুরি মনে হচ্ছে এখন।
অাসুন জেনে নিই, কিভাবে বুঝবেন অাপনার হুজুর বা ইমাম সাহেব মনেমনে মুরতাদ :
(১) যখন দেখবেন, হুজুর স্ত্রীকে পেটায় না। অথচ সূরা নিসা এর ৩৪ নং অায়াতে অাল্লাহপাক স্ত্রীকে প্রয়োজনে পেটানোর অাদেশ দিয়েছেন। স্ত্রী যদি অাপনার বশীভূতও হয় তবুও কি অাল্লাহর হুকুম পালনের জন্য সামান্য পিটুনি দেয়া উচিত নয়?
মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী হানাফী মাজহাবের অালেম হওয়া সত্ত্বেও মাঝেমধ্যে নামাজে রাফে'ইয়াদাইন (রুকু-সিজদায় হাত তুলে তাকবীর বলা) করতেন, রাফে'ইয়াদাইনের সহীহ হাদিসের উপর অামল করতে গিয়ে।
অাপনি অালেম হওয়া সত্ত্বেও যদি বৌ পেটাতে অনীহ থাকেন তাহলে কি বুঝবো, অাপনি মুমিন নাকি মুরতাদ ?
অামি স্ত্রীকে কখনো পেটাতাম না বলেই সত্যের সন্ধান পেয়েছি।
(২) যখন দেখবেন হুজুর অমুসলিমদের সাথে বন্ধুসুলভ অাচরণ করে।
কিন্তু কেন? অাসুন জেনে নিই কোরঅান থেকে –
সুরা মায়িদা -৫: ৫১: হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
সুরা আল ইমরান - ৩: ১১৮: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না। তোমরা কষ্টে থাক, এতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও।
সুরা বায়ইনাহ-৯৮: ৬: আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্টতম প্রাণী।
# অামি সব মানুষকে ভালোবাসতাম বলেই সত্যের সন্ধান পেয়েছি।
(৩) যখন দেখবেন - হুজুর বিয়ে করেছেন ১২ বছর, কিন্তু বাচ্চাকাচ্চা এখনও ছয়টা হয়নি!
কিন্তু কেন?
- কারণ ইসলামে জন্মনিয়ন্ত্রণ হারাম।
ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ এর বিধান :
কোরানের আল্লাহ বলেন,
"ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য ও সুখ-শান্তির উপাদান" (কাহাফ ১৮/৪৬)
আল্লামা আলুসী এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ধন-সম্পদ হচ্ছে প্রাণ বাঁচানোর উপায়। আর সন্তান হচ্ছে বংশ তথা মানব প্রজাতি রক্ষার মাধ্যম।
জন্মনিয়ন্ত্রণের অাদি পদ্ধতির নাম অাযল।
আযল-এর বিধান:
প্রাচীনকালে আরব সমাজে ‘আযল’ করার প্রচলন ছিল। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট কোন আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে হাদীছে স্পষ্ট আলোচনা আছে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
১. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন,
আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সঙ্গে বনী মুস্তালিকের যুদ্ধে বের হয়ে গেলাম। সেখানে কিছু সংখ্যক আরবকে যুদ্ধবন্দী (ইসলামের অাইনে যুদ্ধবন্দী হলেই সে দাস/দাসী হবে) করে নিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রমণীদের প্রতি আকর্ষণ জাগে। যৌন ক্ষুধাও তীব্র হয়ে উঠে এবং এ অবস্থায় আযল করাকেই আমরা ভাল মনে করলাম। তখন এ সম্পর্কে নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি জবাবে বললেন, তোমরা যদি তা না কর তাতে তোমাদের ক্ষতি কি? কেননা আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ সৃষ্টি করবেন, তা তিনি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন এবং তা অবশ্যই সৃষ্টি করবেন। [Sahih al bukhari, kitabun nikah - 3823]
উল্লেখিত হাদিসের একটি বাক্য নিয়ে অালোচনা :
ইবনে সীরীন-এর মতে, لاعليكم ان لاتفعلوا এ বাক্যে ‘আযল’ সম্পর্কে স্পষ্ট নিষেধ না থাকলেও এ যে নিষেধের একেবারে কাছাকাছি এতে কোন সন্দেহ নেই।
হাসান বছরী বলেন : আল্লাহর শপথ, রাসূলের একথায় ‘আযল’ সম্পর্কে স্পষ্ট ভৎর্সনা ও হুমকি রয়েছে।
ইমাম কুরতুবী বলেছেন, ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উক্ত কথা থেকে নিষেধই বুঝেছিলেন। ফলে এর অর্থ দাঁড়ায় রাসূল (ছাঃ) যেন বলেছেন, لاتعزلوا وعليكم ان لاتفعلوا তোমরা ‘আযল’ কর না, তা না করাই তোমাদের কর্তব্য।
রাগিব ইসফাহানীর মতে, ‘আযল’ করে শুক্র বিনষ্ট করা এবং তাকে তার আসল স্থানে নিক্ষেপ না করা সম্পর্কে স্পষ্ট নিষেধ।
মুয়াত্তা গ্রন্থ প্রণেতা ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন যে, ইবনে ওমর (রাঃ) ছিলেন তাদের অন্যতম যাঁরা ‘আযল’ পসন্দ করতেন না।
অাযল অর্থ হলো, পুরুষাঙ্গ স্ত্রী অঙ্গের ভেতর থেকে বের করে নেয়া যেন শুক্র স্ত্রী অঙ্গের ভেতরে স্খলিত হওয়ার পরিবর্তে বাইরে স্খলিত হয়।
আইয়ামে জাহেলিয়াতে যেসব কারণে সন্তান হত্যা করা হতো, বর্তমান যামানায় জন্মনিয়ন্ত্রণও ঠিক একই কারণে গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু সোনালী যুগের ‘আযল’-এর উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে যুগে তিনটি কারণে মুসলমানদের মধ্যে ‘আযল’-এর প্রচলন ছিল।
(এক) দাসীর গর্ভে নিজের কোন সন্তান জন্মানো তাঁরা পসন্দ করতেন না, সামাজিক হীনতার কারণে।
(দুই) দাসীর গর্ভে কারো সন্তান জন্মালে উক্ত সন্তানের মাকে হস্তান্তর করা যাবে না, অথচ স্থায়ীভাবে দাসীকে নিজের কাছে রেখে দিতেও তারা প্রস্ত্তত ছিল না।
(তিন) দুগ্ধপায়ী শিশুর মা পুনরায় গর্ভ ধারণ করার ফলে প্রথম শিশুর স্বাস্থ্যহানীর আশংকা অথবা পুনরায় সন্তান গর্ভে ধারণ করলে মায়ের স্বাস্থ্যের বিপর্যয়ের আশংকা, কিংবা সন্তান প্রসবের কষ্ট সহ্য করার অনুপযুক্ত তা চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযোগ্য বিবেচনায় এক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
উপরোক্ত তিনটি কারণের মধ্যে প্রথম দু’টি কারণ আধুনিক যুগে বিলুপ্ত হয়েছে। শেষের তিন নম্বর কারণ ব্যতিরেকে সম্পদ সাশ্রয়ের জন্য ও নিজের আমোদ-প্রমোদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ করা বৈধ নয়।
প্রমাণ পঞ্জী :
[১] . পরিবার ও পারিবারিক জীবন, পৃঃ ৩৪০।
[২] . ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, পৃঃ ৫৮।
[৩] . The Psychology of Sex, P-17.
[৪] . মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত হা/৩১৮৪।
[৫] . মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত হা/৩১৮৬।
[৬] . সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫৭৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০৩৮।
[৭] . পরিবার ও পারিবারিক জীবন, পৃঃ ৩৩৩।
[৮] . ঐ।
[৯] . ঐ।
[১০] . ঐ, পৃঃ ৩৩৭।
[১১] . ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ, পৃঃ ১০১-১০২।
[১২] . পরিবার ও পারিবারিক জীবন, পৃঃ ৩৩২।
যারা অালেম হয়েও জন্মনিয়ন্ত্রণ করে তারা কি মুরতাদ নয়?
# অামি জন্মনিরোধের পক্ষে, তাই সত্যের সন্ধান পেয়েছি।
(৪) যখন দেখবেন হুজুর 'টাইপরা' জাকির নায়েককে পছন্দ করে।
কিন্তু কেন?
- টাই পরা জায়েজ নয়। এটা বিধর্মী খৃষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় শি'আর (নিদর্শন) ! কাজেই কোন মুসলমানের জন্য টাই পরা জায়েয হবে না ! হাদিস শরিফে এসেছে যে ব্যাক্তি কোন বিধর্মী সম্প্রাদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে ! সুতরাং, টাইসহ আরো যত বিজাতীয় লিবাস আছে, সব কিছুই পরিত্যাগ করা জরুরী ! কারণ এগুলি সব কুফরী কাজ, যা ঈমানের জন্য ক্ষতিকর !
(প্রমান: কিফায়াতুল মুফতি,৯:১৫৩, মিশকাত শরীফ,৩৭৫, তাফসীরে কুরতুবী,৯:২৬৬, ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া ২য় খণ্ড ২৭০ পৃষ্ঠা)
# অামি জাকির নায়েককে তার অাধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পছন্দ করতাম, তাই সত্যের সন্ধান পেয়েছি।
জাকির নায়েকের ল্যাংড়া ইসলামিক যুক্তি পড়লে এখন হাসি পায়!
(৪) যখন দেখবেন, হুজুর প্রাণীর ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন :
কিন্তু কেন?
- ১.হাদিসে আবূ ত্বালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সে ঘরে [রহমতের] ফিরিশ্তা প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর থাকে এবং সে ঘরেও নয় যে ঘরে ছবি বা মূর্তি থাকে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
আয়িশা (রাঃ) এর নিকট কিছু পর্দার কাপড় ছিল, তা দিয়ে তিনি ঘরের এক দিকে পর্দা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ আমার থেকে এটা সরিয়ে নাও, কেননা এর ছবিগুলো সালাত এর মধ্যে আমাকে বাঁধার সৃষ্টি করে।
(সহীহ বুখারী,নং ৫৫৩৪)
অতএব এ সমস্ত ঘরে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে।
তবে নামাজ মাকরুহ হবে।
আর বিনা উজরে মাকরুহ তাহরীমী কোন কাজ নামাযে সংঘটিত হলে, আল্লাহর দরবারে গুনাহগার এবং শাস্তির যোগ্য হতে হবে। নামাজের পরিপূর্ণ হক ও সুন্নতের পরিপন্থী হওয়াতে নামায যথাযথভাবে আদায় হবে না। তবে এর জন্য সিজদা সাহু বা নামায দোহরানোর প্রয়োজন হবে না।
(তথ্যসূত্র - ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া, ১:৩০৪
ফাতাওয়ায়ে শামী, ১:৬৩৯
জাওয়াহিরুল ফিকহ, ৩/২৩৩)
#তবে অনেক আলেম মতে নামাজ-ই আদায় হবেনা।
সেই নামাজ আবার কাজা পড়তে হবে।
(আহসানুল ফাতাওয়া)
সুতরাং ছবির ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নামাজ পড়া উচিত।
#ছবির_ব্যাপারে_দুই_ক্ষেত্রে_এই_নিষেধাজ্ঞা_নেই
১- ছবিটি হীন অসম্মানজনক কাজে ব্যবহার করতে হবে।
হাদিসে আছে
#আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তার (কামরার) তাকের সম্মুখে একটি পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন, যাতে ছিল প্রাণীর ছবি। নবীজি তা ছিঁড়ে ফেললেন। এরপর আয়িশা তা দিয়ে দু’খানা গদি তৈরী করেন। এই গদি দু’খানা ঘরেই ছিল। নবী তার উপর বসতেন।
(বুখারী, হাদিস নং ২৩১৭)
#অপর হাদিসে আয়িশা থেকে বর্ণিত যে, তার একখন্ড কাপড় ছিল, যাতে ছবি ছিল এবং তা একটা তাকের উপরে টানানো ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দিকে সালাত আদায় করতেন। তখন তিনি বললেন, এটি আমার সম্মুখ থেকে সরিয়ে নাও। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি সেটি সরিয়ে ফেললাম এবং (পরে) সেটি দিয়ে কয়েকটি বালিশ বানিয়ে নিলাম
(মুসলিম নং ৫৩৪৯)
এ হাদিস এবং আরো কিছু হাদিসের উপর ভিত্তি করে এ ব্যাপারে সব ফকিহ ও আলেমগণ একমত যে, প্রাণীর ছবি যুক্ত কাপড় কে যদি পদদলিত করা হয় যেমন পাপোশ বানানো।
অথবা তাকে অসম্মানের কাজে লাগানো হয় যেমন ছবি যুক্ত ছোট বালিশ বা বেড কভার বা বসার গদি অথবা জুতা।
তাহলে ওই ছবিযুক্ত জিনিষ ঘরে রাখা জায়েজ।
এবং সে ঘরে রহমতের ফেরেশতাও আসবে।
(ফাতহুল বারী ১০/৪০১-২)
তাহলে হুজুররা কি ফটো অ্যালবাম থেকে ফটোগুলি বের করে পাপোশ বানাতে রাজি?
-২. কোন ছবি বা মূর্তির মাথা না থাকলে তা হারাম ছবির আওতায় পড়ে না।
#হাদিসে আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিবরীল আমার নিকট এসে বললেন, গতরাতে আমি আপনার নিকট এসেছিলাম, কিন্তু আপনার অবস্থানরত ঘরের দরজায় একটি পুরুষের প্রতিকৃতি, ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি সূক্ষ কাপড়ের পর্দা এবং একটি কুকুর আমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেছে।
" সুতরাং আপনি দরজার পাশে রাখা প্রতিকৃতিটির মাথা কেটে ফেলার আদেশ করুন, তাহলে সেটা গাছের আকৃতি হয়ে যাবে'
আর পর্দাটিও কেটে ফেলতে বলুন আর তা দিয়ে সাধারণতঃ ব্যবহারের জন্য দুটি গদি বানানো যাবে এবং কুকুরটিকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীলের পরামর্শ মুতাবিক কাজ করলেন।
(তিরমিযি,নং ২৮০৬,মান-হাসান সহীহ)
#অপর হাদিসে রাসূল বলেছেন,
"মূর্তি বা ছবি হল মাথাটাই। সুতরাং মাথা কেটে দেওয়া হলে সে ছবি বা মূর্তিতে সমস্যা নেই"
তাই প্রানীর ছবি বা মূর্তির মাথা কেটে দিলে তা হারাম থাকেনা এ ব্যাপারে জমহুর আলেমগন একমত।
(ফাতহুল বারী ১০/৪০৫)
#অপর হাদিসে আয়িশা থেকে বর্ণিত যে, তার একখন্ড কাপড় ছিল, যাতে ছবি ছিল এবং তা একটা তাকের উপরে টানানো ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দিকে সালাত আদায় করতেন। তখন তিনি বললেন, এটি আমার সম্মুখ থেকে সরিয়ে নাও। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি সেটি সরিয়ে ফেললাম এবং (পরে) সেটি দিয়ে কয়েকটি বালিশ বানিয়ে নিলাম
(মুসলিম নং ৫৩৪৯)
এ হাদিস এবং আরো কিছু হাদিসের উপর ভিত্তি করে এ ব্যাপারে জমহুর (অধিকাংশ) ফকিহ আলেম গণ একমত যে, প্রাণীর ছবি যুক্ত কাপড় কে যদি পদদলিত করা হয় যেমন পাপোশ বানানো।
অথবা তাকে অসম্মানের কাজে লাগানো হয় যেমন ছবি যুক্ত বালিশ বা বেড কভার বা বসার গদি।
তাহলে ওই ছবিযুক্ত জিনিষ ঘরে রাখা জায়েজ।
এবং সে ঘরে রহমতের ফেরেশতাও আসবে।
(ফাতহুল বারী ১০/৪০১-২)
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে -
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা ও তোলানো, দেখা ও দেখানো সম্পূর্ণরূপে হারাম।
মুসলিম শরীফ ২য় জিলদ ২০১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরি করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরি করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও।”
কুরআন শরীফ-এ, হাদীছ শরীফ-এ ছবি তোলার বিরুদ্ধে রয়েছে। কাজেই ছবি তোলার পক্ষে কথা বলা মানে নবীর বিরুদ্ধে কথা বলা। আর অার অাল্লা-নবীর বিরোধিতা করে যে হারামকে হালাল বলবে সে কাট্টা মুরতাদ হবে।
হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ইসলামে হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট”। হারামকে যদি কেউ হালাল করতে চায় তাহলে সে মুরতাদ হয়। শরীয়তের ফায়সালায় মুরতাদ হলে তার তওবার জন্য সুযোগ তিন দিন। এর মধ্যে তওবা না করলে তার প্রতি মুরতাদের শাস্তি বর্তাবে এবং তার কাফনও নয় দাফনও নয় বরং তাকে গর্তের মধ্যে পুঁতে রাখতে হবে।
(৫) যারা অালেম হয়েও একবিয়ে করেছেন।
আল্লাহ কুরআন এ সূরা নিসার ৩নং আয়াতে বলেছেন- “আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।”
এ অায়াতে প্রথমে দুই/তিন/চার চার বিয়ের অাদেশ দেয়া হয়েছে। অপারগতায় একবিয়ের বৈধতা দেয়া হয়েছে।
নবী মোহাম্মদ ও সাহাবিরা বহুবিয়ে করেছিলেন অসহায় নারীদের সহায় হওয়ার জন্য। এখন অসহায় নারী কি নেই? তাহলে তাদেরকে ২য় বধূ হিসেবে কেন ঘরে তুলবেনা হুজুররা? অবশ্য পীরদের সবারই অনেকগুলো বউ (যৌনদাসী) অাছে! অার হ্যা, নবী মোহাম্মদ সন্তানওয়ালা বউ বিয়ে করেননি। তার কোন স্ত্রীর অাগের ঘরের সন্তান ছিলনা। অতএব, অসহায়ত্ব ঘোচাবেন নবীর সিস্টেমে, বাচ্চাসহ বউ নট অ্যালাউড!
(৭) যেসব অালেমরা জেহাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কথা বলে।
হাদিসে বলা হয়েছে , যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে , তারাই শ্রেষ্ট মুমিন , আর তাদের পুরস্কার হলো জান্নাতের বাগান , রাজপ্রাসাদ ও জনপ্রতি ৭২ টা অপরূপ সুন্দরী ও যৌনাবেদনময়ী চিরকুমারী নারী, হাজারবার সহবাস করলেও তারা কুমারী থাকবে! সূরা ওয়াকিয়া ও অার রাহমান এর তাফসীর পড়ুন, জানবেন সত্য বললাম কিনা।
কোরান বলেছে --
সুরা নিসা- ৪: ৯৫: গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
অর্থাৎ ঘরে বসে শুধু নামাজ রোজা করলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে না , জিহাদ করলেই বেহেস্তে যাওয়া নিশ্চিত, কারন তারাই শ্রেষ্ট মুমিন। এখন দেখতে হবে , কিভাবে জিহাদ করতে হবে --
সুরা তাওবা - ৯:০৫: অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সুরা তাওবা -৯: ২৯: তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
কিতাবুল ঈমান অধ্যায় ::সহিহ মুসলিম :: খন্ড ১ :: হাদিস ৩৩
আবদুল্লাহ ইবন উমর থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "লোকদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় । যদি এগুলো করে তাহলে আমা থেকে তারা তাদের জানমালের নিরাপত্তা লাভ করবে, তবে শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া । আর তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে ।"
ইসলামের দৃষ্টিতে যারা ইসলাম গ্রহন করে নি, তারাই মহা অপরাধী, আর তাদের বিরুদ্ধে চিরকালীন জিহাদ ঘোষনা করা হচ্ছে উপরোক্ত কোরানের আয়াত ও হাদিসের দ্বারা। জিহাদীদের মর্যাদা সম্পর্কে বলা হচ্ছে --
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৪৫
আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! মানুষের মধ্যে কে উত্তম? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘সেই মুমিন যে নিজ জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে।’ সাহাবীগণ বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, ‘সেই মুমিন যে, পাহাড়ের কোন গুহায় অবস্থান করে আল্লাহকে ভয় করে এবং নিজ অনিষ্ট থেকে লোকদেরকে নিরাপদে রাখে।’
জিহাদ করার সময় মৃত্যুবরণ বা বিজয়ী যে কোন অবস্থায়ই পুরস্কার নিশ্চিত। শহীদ হলে সরাসরি বেহেস্তে গিয়ে ৭২ চিরকুমারির সাথে অবাধ যৌনতা আর যদি বিজয়ী হওয়া যায়, তাহলে বন্দিনী নারীদের গনিমতের মাল হিসাবে গ্রহণ করে যৌন ফুর্তির অবারিত সুযোগ! যেমন -
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৪৬
আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, "আল্লাহর পথের মুজাহিদ, অবশ্যই আল্লাহই অধিক জ্ঞাত কে তাঁর পথে জিহাদ করছে, সর্বদা সিয়াম পালনকারী ও সালাত আদায়কারীর ন্যায়। আল্লাহ তাআলা তাঁর পথের মুজাহিদের জন্য এই দায়িত্ব নিয়েছেন, যদি তাকে মৃত্যু দেন তবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন অথবা পুরস্কার বা গানীমতসহ নিরাপদে ফিরিয়ে আনবেন।"
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৬৪
আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, উম্মে রুবায়্যি বিনতে বারা, যিনি হারিস ইব্ন সুরাকার মা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে এসে বলেন, ‘ইয়া নবীয়্যাল্লাহ! আপনি হারিসা (রা)-এর সম্পর্কে আমাকে কিছূ বলবেন কি? হারিসা (রা) বদরের যুদ্ধে অজ্ঞাত তীরের আঘাতে শাহাদাত বরণ করেন। সে যদি জান্নাতবাসী হয়ে থাকে, তবে আমি সবর করব, তা নাহলে আমি তার জন্য অবিরত কাদতে থাকবো।’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘হে হারিসার মা! জান্নাতে অসংখ্য বাগান আছে, আর তোমার ছেলে সর্বোচ্চ জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।'
জিহাদীদের জন্যে কেমন ঘর আছে জান্নাতে তা বলা হয়েছে এই হাদিসে --
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৪৯
সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেন, "আমি আজ রাতে (স্বপ্নে ) দেখতে পেলাম যে, দু’ব্যক্তি আমার নিকট এল এবং আমাকে নিয়ে একটি গাছে উঠলো। তারপর আমাকে এমন সুন্দর উৎকৃষ্ট একটি ঘরে প্রবেশ করিয়ে দিল; এর আগে আমি কখনো এর চাইতে সুন্দর ঘর দেখিনি। সে দু’ব্যক্তি আমাকে বলল, এই ঘরটি হচ্ছে শহীদদের ঘর।"
দুনিয়ার সবচাইতে উত্তম কাজ যে জিহাদ সেটা বলা হচ্ছে এই হাদিসে -
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৫০
আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে একটি সকাল কিংবা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তাতে যা কিছু রয়েছে, তা থেকে উত্তম।"
জিহাদ করে শহীদ হওয়ার মর্যাদা এত বেশি যে, প্রতিটি শহিদ বারবার দুনিয়াতে এসে জিহাদ করতে চাইবে ও শহিদ হতে চাইবে , যেমন --
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৫৩
আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর কোন বান্দা এমতাবস্থায় মারা যায় যে, আল্লাহর কাছে তার সাওয়াব রয়েছে তাকে দুনিয়াতে এর সব কিছু দিলেও দুনিয়ায় ফিরে আসতে আগ্রহী হবে না। একমাত্র শহীদ ব্যতীত। শহীদ ব্যক্তি শাহাদাতের ফযীলত দেখার কারণে আবার দুনিয়ায় ফিরে এসে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়ার প্রতি আগ্রহী হবে।
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৫৪
আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, "সেই সত্ত্বার কসম! যা হাতে আমার প্রাণ, যদি মুমিনদের এমন একটি দল না থাকত, যারা ক্ষুব্ধ থেকে বিরত থাকতে পছন্দ করে না এবং যাদের সকলকে সওয়ারীর দিতে পারব না বলে আশংকা করতাম, তা হলে যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছে, আমি সেই ক্ষুদ্র দলটির সঙ্গী হওয়া থেকে বিরত থাকতাম না। সেই সত্ত্বার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, আমি পছন্দ করি আমাকে যেন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, এরপর শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, পুনরায় শহীদ করা হয়। তারপর জীবিত করা হয়, পুনরায় শহীদ করা।"
জিহাদীরা এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকাকে পছন্দ করে না, শহীদি মৃত্যুই তাদের পরম পাওয়া, যেমন --
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৫৫
অানাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত,রসুলুল্লাহ (সা) বলেন, (মুতার যুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর পর) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুতবা দিতে গিয়ে বললেন, "যায়দ (রা) পতাকা ধারণ করলএবং শহীদ হল, তারপর জাফর (রা) পতাকা ধারণ করল, সেও শহীদ হল। এরপর খালিদ ইব্ন ওয়ালিদ (রা) বিনা নির্দেশে পতাকা ধারণ করল এবং সে বিজয় লাভ করল। তিনি আরো বলেন, তারা আমাদের মাঝে জীবিত থাকুক তা আমাদের নিকট আনন্দদায়ক নয়। আইয়ূব (র) বলেন, অথবা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তারা আমাদের মাঝে জীবিত থাকুক তা তাদের নিকট আদৌ আনন্দদায়ক নয়, এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল।"
বিধর্মীদের জন্যে বেহেস্তে যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা বলেছেন নবী মুহাম্মদ , ঠিক সেই পথ ধরেই অনেক অমুসলিম বেহেস্তে যাচ্ছে , যেমন -
জিহাদ অধ্যায় ::সহিহ বুখারী :: খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫২ :: হাদিস ৬৩
বারা’ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লৌহ বর্মে আবৃত এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যুদ্ধে শরীক হবো, না ইসলাম গ্রহণ করব? তিনি বললেন, ‘ইসলাম গ্রহণ কর, তারপর যুদ্ধে যাও।’ তারপর সে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে যুদ্ধে গেল এবং শাহাদাত বরণ করল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘সে অল্প আমল করে বেশী পুরস্কার পেল।'
অাপনারা মুরতাদ ইমামের পিছনে নামাজ পড়বেন নাকি নিজেরা গর্বিত মুরতাদ হবেন তা অাপনাদের বিবেচ্য। অামি শুধু অাপনাদেরকে মুরতাদ চেনানোর চেষ্টা করলাম।
অার অামি যে রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করেছি সেখানে কোন ভুল অাছে কিনা সম্মানিত অালেমগণ ধরিয়ে দেবেন অাশা করি।
অামার পোস্ট পড়ার পর যদি ঈমানে ঝাঁকুনি শুরু হয় বা শয়তানের ওয়াসওয়াসা শুরু হয় তাহলে রেফারেন্স দেয়া অায়াত ও হাদিসগুলি পড়ুন, অাশা করি ঈমান পুরোটা হারাবেন!

From: Krishna kumar das
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
মন্তব্যগুলি
Pranab Kumar Kundu ওরে বাব্বাঃ ! কতবড় লেখা ! পড়বো কী করে ?
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন