Vellore C.M.C হসপিটালে দেখাতে চাইলে
আজ
বেড়িয়ে এসেছেন
#CMC
CHRISTIAN MEDICAL COLLEGE
১) স্টেশনে নেমে ১৫০-২০০ টাকায় অটো ভাড়া দিয়ে আসবেন গান্ধী রোডে। ৩০০ থেকে Lodge ভাড়া শুরু। মোটামুটি ভালো। খুব বেশি বড় না। খাট রাখার পাশে অল্প জায়গা আপনার ব্যাগ রাখার জন্য। খুব কম ঘরে জামাকাপড় রাখার আলমারি পাবেন। সুতরাং হয় আপনাকে বারংবার ব্যাগ থেকে জামাকাপড় বের করতে হবে নয়ত আপনি দড়ি ব্যবহার করতে পারেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের জন্য প্রচুর RESIDENCY আছে। যার ভাড়া একটু বেশি। K.V.S. CHETTY STREET এ ভালো RESIDENCY পাবেন। এখানে বেশিরভাগই LODGE।
2) রান্না করার জন্য প্রতিটি FLOOR এই রান্নাঘর আছে।রান্না করার জন্য গ্যাস দেবে। যার ভাড়া ১৩০-১৫০ প্রতি কেজি। বাসন দেবে একটা হাড়ি, একটা গামলা, একটা কড়াই, বঁটি, একটা হাতা, রুটির সরঞ্জাম, একটা খুন্তি ও দুটি থালা। ভাড়া ১২-২০ টাকা পুরো সেট প্রতিদিন। বাসনগুলো প্রথমে একটু ধূয়ে ব্যবহার করলেই ভালো।
৩)প্রতিটি লজেই common বারান্দা আছে। জামাকাপড় ধুয়ে শুকাতে পারবেন। তবে দড়ি ও ক্লিপ আপনাকে নিয়ে যেতে হবে। আসলে এখানে বেশ কিছুদিন সময় হাতে নিয়ে আসতে হবে। অনেক জামাকাপড় নিয়ে আসা সম্ভব নয় তাই বলে রাখা। এছাড়াও এখানে চাদর, বালিশের কভার অনেকেই দেয় না। নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন।
৪) যদি পারেন প্লাস্টিকের যে বাটিগুলোতে RESTAURANT থেকে খাবার আনা হয় সেগুলো অল্পকিছু নিয়ে আসতে। কারণ এখানে খাবার RESTAURANT থেকে LODGE এ নিয়ে আসতে চাইলে EXTRA PACKING CHARGES ৫ টাকা প্রতিটি বাটির জন্য দিতে হবে।
৫) চেষ্টা করবেন গান্ধী রোডে থাকার। Main Road থেকে বামদিকে গেলে LODGE, RESIDENCY, RESTAURANT সব পাবেন এবং একটু সোজা এগিয়ে ডানদিকে পেয়ে যাবেন সবজি আড়ত। যেহেতু এই জায়গাটা আড়ত তাই অন্যান্য জায়গা থেকে একটু কম দামে সবজি পাবেন। এছাড়াও CMC একদম কাছে গান্ধী রোড থেকে। সবাই এখানেই থাকে।
৬) অনেক সময় রান্না করার সময় পাবেন না। সেই সময় CMC এর উল্টো দিকে বা বলা ভালো CMC এর OPD BLOCK এর উল্টো দিকে বাইরে যে খাবারের দোকান গুলো আছে সেখানে খেতে পারেন। ভালো খাবার। তাছাড়া OPD BLOCK এর উল্টো দিকে যে রাস্তা ঢুকেছে সেই রাস্তা দিয়ে ঢুকে একটু এগোলে বামদিকে একটা গলি পাবেন। সেই গলি দিয়ে ঢুকলে ব্যার্নাজী হোটেল ও অন্নপূর্ণা হোটেল এই দুই টি বাঙালি হোটেল পাবেন। খাবার ভালো। আবার বাঁ দিকে না ঢুকে আর একটু সোজা এগোলে ডানদিকে পড়বে SAI RESIDENCY। তারপরে একটা গলি পাবেন (উপরে দেখবেন PUNJABI DHABA লেখা) সেই গলি দিয়ে ঢুকলে NAGHA HOTEL পাবেন। সেটাও বাঙালি হোটেল, খাবার ভালো।
এবার আসি হসপিটাল এর কথায় :
১) ভারতীয়রা সোজাসুজি দেখাতে পারেন তবে বহিরাগতদের জন্য আসা ও যাওয়া উভয় সময় ই কোরোনা রিপোর্ট অত্যাবশ্যক। এছাড়াও এখানে N95 অথবা SURGICAL MUSK পড়েই ঢুকতে দিচ্ছে। অন্যান্য MUSK পড়ে ঢুকতে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে SURGICAL MUSK হসপিটাল চত্ত্বর থেকেই কিনতে হবে। তবে অপারেশন করাতে হলে রূগীকে COVID TEST করানো বাধ্যতামূলক।
২) এখানে Security Guard সবাই খুব সাহায্য করে। অসুবিধা নেই। কোন GATE দিয়ে ঢুকতে হবে কোথায় যেতে হবে সব বলে দেবে।
৩) প্রথমেই এসে ISSCC BUILDING থেকে ১,২,৩ এবং ৪ নং counter থেকে CHRIS CARD করাতে হবে। তার জন্য আপনার ID PROOF দেখাতে হবে। এই কার্ডে আপনাকে টাকাও ভরাতে হবে এখানেই। এখানে সমস্ত কাজের জন্য এই কার্ডটি অত্যাবশ্যক। Doctor Appointment, Any kind of test সব কিছু এই কার্ডের মাধ্যমে করা হয়।
৪) যে কোনো কাজের জন্য অবশ্যই MRO COUNTER এ কথা বলবেন। প্রতিটি FLOOR এই MRO COUNTER থাকে। যে FLOOR এ ডাক্তার দেখেছেন সেই FLOOR এর MRO COUNTER এ কথা বলবেন।
৫) আবার ধরুন আপনি ডাক্তার দেখালেন। উনি কিছু টেস্ট করতে দিলেন এবং পরবর্তী APPOINTMENT দিলেন। আপনার কার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকলে ডাক্তার নিজেই সব বুক করে দেবেন। আপনি শুধু MRO COUNTER থেকে APPOINTMENT SLIP টা সংগ্রহ করে নেবেন। ফলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে এত কাজ করার সময় বেঁচে যাবে।
৬)যদি সকালে ৭-৮ নাগাদ Appointment থাকে চেষ্টা করবেন ভোর ৬-৬:৩০ নাগাদ চলে যাওয়ার। এখানে অত সকালেও অনেক লাইন পড়ে যায়। তার ফলে আপনি তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাতে পারবেন এবং ডাক্তার যা যা টেস্ট দেবে আপনি সেই দিন করাতে পারবেন। ফলে আপনার ভাগ্য ভালো হলে সেই দিন ই আবার ডাক্তার দেখাতে পারবেন বিনামূল্যে। নয়ত পরে যেদিন ডাক্তার বসবেন সেই দিন বুক করতে হবে টাকা দিয়ে।
৭)কার্ডের অতিরিক্ত টাকা সম্পূর্ণ ফেরত পেয়ে যাবেন। আবার ডাক্তার যদি কয়েক মাস পর CHECK UP এর তারিখ দেয় তাহলে ওই কার্ড নিয়ে বাড়ি চলে আসতে পারেন। পরবর্তী সময়ে কার্ড করার জন্য সময় নষ্ট হবে না।
** আগে থেকে ডাক্তার বুক করে যেতে পারেন। সময় নষ্ট কম হবে।
১) যদি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাহলে অবশ্যম্ভাবী রুগীর সাথে একজন পরিবারের মহিলাকে রাতে থাকতেই হবে। বাকি সারাদিন যে কেউ থাকতে পারে হাসপাতালে। পুরুষ হলে রাত ৮ টা পর্যন্ত অনুমতি পাবেন হাসপাতালে থাকার। আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে যে ওয়ার্ডে ভর্তি হবে সেখানে নার্সের সঙ্গে পরামর্শ করবেন উনি আয়ার ব্যাবস্হা করে দেবেন। প্রতি দিন রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮ টা।
২) রুগীর সাথে যিনি থাকবেন তাকে রুগীর বিছানার পাশে মাটিতে শুতে হবে। তাই মাটিতে পাতার জন্য চাদর বা পাতলা কম্বল, গায়ে দেওয়ার জন্য চাদর বা কম্বল ও একটি Air Pillow নিয়ে যাবেন। রুগীর সাথে যে থাকবে তাকে কিছুই দেবেনা হাসপাতাল থেকে। এটা general cabin এ থাকলে তবেই। যদি private single cabin এ থাকে তাহলে পুরুষ মহিলা যে কেউ থাকতে পারে। তবে সেখানে থাকার ব্যবস্থা কি আছে আমার তা জানা নেই।
৩) রুগীর যে CHRIS CARD টা করেছেন সেটা অবশ্যই রুগীর সাথে যিনি থাকবেন তার কাছে রেখে দেবেন। আর তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা ভরে রাখবেন। কারণ যে কোন সময়ে রুগীর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে হবে।
৪) রুগীর খাবারের জন্য প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে দিতে হবে তিন বেলার জন্য। তবে এটা optional। আপনি চাইলে আপনার মত বাইরে থেকে খাবার এনে দিতে পারেন। তবে জল খুব সম্ভবত রুগীর পরিবারকেই কিনে দিতে হবে।
৫) যদি অপারেশন করতে হয় তবে অবশ্যই পরিবারের একজন বা দুইজন কে রক্তদান করতে হবে। নয়ত রক্ত কিনতে হবে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে।
৬) সকল কিছু হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার কে বলবেন Medical Report সংগ্রহ করবেন। ডাক্তার আপনাকে বলে দেবে কি করতে হবে। এছাড়া আপনাকে যদি X Ray বা MRI বা ওই ধরনের টেস্ট করতে হয় তাহলে সেই প্লেটগুলো ও আলাদা ভাবে সংগ্রহ করতে হবে টাকার বিনিময়ে। এই সকল কিছুই সংগ্রহ করে নেবেন কারণ পরবর্তীকালে এগুলো আপনার আবার লাগবে ডাক্তার দেখাতে গেলে।
৭) যদি রুগীর ক্যানসার হয় ডাক্তারকে বলবেন যে আপনি travel compensation চান। তাহলে ডাক্তার আপনাকে বলে দেবে কোথা থেকে কি করতে হবে। আপনি যতবার check up করবেন ততবার আপনাকে নিয়ে নিতে হবে। কারণ এই form টা আপনি ২ টো পাবেন। একবার এখান থেকে যাওয়ার সময় ও পরবর্তীকালে এখানে আসার সময় টিকিট কাটার counter এ জমা নিয়ে নেবে। এই form টা জমা দিয়ে টিকিট কাটলে ট্রেনে রুগী এবং রুগীর সাথে একজনের টিকিটে অনেক টাকা ছাড় পেয়ে যাবেন। কতটা ছাড় পাবেন সেটা নির্ভর করছে আপনি ট্রেনে কোন CLASS ( 3 AC, 2 AC, 1 ST AC, SLEEPER) এ টিকিট কাটছেন তার উপর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন