ইসকন নিয়ে আলোচনা
এই দিনে
3 বছর আগে
13 জুলাই, 2020 ·ইসকন!!! ইসকন!!! ইসকন!!!হিন্দু ধর্মটা শেষ করে দিলো ইসকন!
কয়েকটি বিষয় সবার সামনে পরিষ্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি একটু পড়বেন, আপনাদের নিকট আবিনম্র অনুরোধ।
গত কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে একদল লোক ইসকনের পিছু লেগে আছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে ভুল প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্তম্ভিত ঐ মুহুর্তেও এরা আছে এইসব নিয়ে। ঐসব লোকদের উদ্দেশ্য করে আজকের এই পোষ্ট!
#তাদের অভিযোগ কি?
উত্তর → তাদের প্রধান অভিযোগ ইসকন বলে দেব দেবী কৃষ্ণের দাস দাসী, ইসকন বলে মায়ের হাতে খাবেনা, ইত্যাদি।
উত্তর → দাস বা দাসীর অর্থ্ব বুঝেন? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একজন পূর্ন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ থেকেই ৩৩ ক'টি দেবদেবীর প্রকাশ। দাস বা দাসী একটি পবিত্র শব্দ। শ্রীকৃষ্ণের দাস মানেই, তার দাসত্ব স্বীকার করে তার চরণে নিজেকে আত্মসমর্পন করা। দাস মানেই নোংড়া কোনো কিছুই নয়। দেব দেবী শুরু করে আমরা সবাই ভগবানের নিত্য দাস।
#ইসকন মায়ের হাতে খায়না।
উত্তর → এই যে একটা অভিযোগ এটা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। ইসকন ভক্তরা ভগবানকে নিবেদন ব্যাতিত কোনো কিছু আহার করেন না। যা ই আহার করেন সেটা আগে ভগবানকে নিবেদন করেন। এক কথায় ভগবান জগন্নাথের প্রসাদ প্রসাদ ব্যাতিত অন্য কিছু গ্রহন করেন না। এখন ধরুন আপনি ইসকনের সদস্য কিন্তু আপনার মা আমিষভোজী। কিভাবে আপনি আপনার মায়ের হাতের রান্না খেতে পারেন? আপনার মায়ের হাতের রান্না কি আপনি ভগবানের ভোগে অর্পন করতে পারবেন? আর যদি মায়ের রান্না করা ভগবানের ভোগে অর্পন করা না যায় তবে এটা বিষ্ণু বা জগন্নাথের প্রসাদ কিভাবে হবে? কান খুলে আপনারা শুনুন, শুধু মা নয়, সমাজে সবচেয়ে নিচুঁ জাত বা রাস্তায় পড়ে থাকা একজন ভিক্ষুকও যদি নিজে রান্না করে ভগবানকে নিবেদন করে প্রসাদ হিসেবে প্রস্তুত করে, তা ইসকনের যেকোনো ভক্ত পরম তৃপ্ততার সাথে গ্রহন করবে। কে কোন জাত, কে কোন কূল এইসব বাচবিচার নেই। কৃষ্ণ প্রসাদ গ্রহনই হলো মূল বিষয়।
আচ্ছা এই যে আপনারা উঠে পড়ে লেগেছেন ইসকন কি ক্ষতি করছে আপনাদের?
প্রথমত, ইসকন আমাদের ধর্মব্যবসায় বাঁধা দিচ্ছে। কারন আপনারা আগে খুব উচুঁ জাত ছিলেন। অন্যের ছোঁয়া সহ্য করতেন না, অন্যের হাতে খেতেন না! ইসকনের ভক্তরা এই প্রথাকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে। ইসকন বলে সবাই সমান, উচুঁ, নিচুঁ বলতে কিছু নেই, আমরা সবাই কৃষ্ণের নিত্য দাস। কারন কলিযুগের পাবনাবতার শ্রীমান গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু বলেছেন, জীবের স্বরুপ হয় কৃষ্ণের নিত্যদাস।
দ্বিতীয়ত,
আমাদের বাবা ব্রাহ্মন হলে বা আমরা ব্রাহ্মন ঘরে জন্ম নিলে, আমরা ও নিজেদের ব্রাহ্মন বলে পরিচয় দিতাম। সব পূজা অর্চনার প্রতিনিধিত্ব করতাম। ইসকনের কারনে এখন আর সেটা পারতেছি না। কারন তারা বলে পৈতা লাগালেই ব্রাহ্মন হওয়া যায়না, ব্রহ্মত্ব গুন অর্জন করার পর ব্রাহ্মন হওয়া যায়। অবৈষ্ণব ব্রাহ্মন দিয়ে কিসের পূজা।
তৃতীয়ত,
আমরা আগে যেখানে সেখানে গুরু সেজে বসে থাকতাম। একজন গুরুর কি যোগ্যতা লাগে ঐটাই জানিনা কিন্তু গুরু সেজে বসে থাকতাম দক্ষিনা কামানোর ধান্ধায়। ইসকন এসে এইসব বন্ধ করে দিচ্ছে। কারন ইসকন বলছে -
কিবা বিপ্র, কিবা ন্যাসী,শুদ্র কেনে নয় যেই কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা, সেই গুরু হয়।
ইসকন বলছে, গুরু হলেন ভবপাড়ের কান্ডারী। গুরুদেব আপনার এবং শ্রীকৃষ্ণের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কে কোন জাতে, কে কোন কূলের এটা বড় কথা নয়, যে ব্যাক্তি সঠিক ধর্মাচারন করে, এবং অপরকে সঠিক ধর্মচর্চার জন্য উপদেশ প্রদান করে সে ব্যাক্তিই গুরু হবার যোগ্যতা রাখে।
এই যে আপনার পিছনে লেগে আছে এতে কি লাভ হচ্ছে আপনাদের? আপনারা ইসকনের ভুল না ধরে, উনাদের সমালোচনা না করে নিজের ঘরের দিকে চোখ দিন। নিজে কি করছেন সেটার দিকে নজর দিন। কয়জন কে হিন্দু বানিয়েছেন? বরং আপনাদের ঘরের সন্তানরাই যত্র তত্র সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্মে আশ্রয় বাঁধা শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত এরুপ ধর্মান্তরের খবর শোনা যায়। নিজের ঘরের দিকে নজর দিন। নিজের ঘর সামলান।
প্রথমে, আপনি জানেন কি সনাতন ধর্মের স্তম্ভ কি? সনাতন ধর্মের চারটি পা। শুচিতা, দয়া, সত্য, তপস্যা। আপনার মধ্যে এই চারটি বিদ্যমান না থাকলে আপনি সনাতনী হিসেবে নিজেকে দাবী করতে পারেন না।
অবৈধ যৌন সঙ্গের ফলে শুচিতা নষ্ট হয়। আমিষ আহারের ফলে দয়া চলে যায় জীবের প্রতি, মিথ্যা বলার ফলে সত্যবাদিতা নষ্ট হয়, এবং সঠিক ধর্মাচারন না করলে তপস্যা সম্ভব হয়না। আপনি কি এইসব মানেন? আপনার মাঝে এইসব রয়েছে? নিজের জিহ্বা সামলাতে না পেরে নিরীহ জীবজন্তু হত্যা করেন না তো? অবৈধ যত্র তত্র সঙ্গ করেন না তো? ঠিক মত শাস্ত্রচরন করেন তো?
ইসকনের প্রধান নিয়মকানুন চারটি। যেগুলো সনাতন ধর্মের স্তম্ভকে অক্ষুণ্ণ রাখে।
১. আমিষ আহার বর্জন।
২. দ্যুত ক্রীড়া বর্জন (জুয়া, পাশা)।
৩. নেশা বর্জন (চা,সিগারেট)।
৪. অবৈধ যৌনসঙ্গ বর্জন।
আপনারা অনেকে ভগবান কে এটাই জানেন না। আপনাদের যদি জিঙ্গেস করা হয় ভগবান কে? আপনাদের ভিন্ন ভিন্ন জন থেকে ভিন্ন ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। কেউ বলে, কালী ভগবান, দুর্গা ভগবান, শিব ভগবান, গনেশ ভগবান, কার্তিক ভগবান। মানে আপনাদের কাছে ভগবানের অভাব নেই।
আর ইসকনের কাছে ভগবান একজন তিনি হলেন শ্রীকৃষ্ণ।
"ঈশ্বর পরম কৃষ্ণ" সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ অনাদির আদি গোবিন্দ সর্বকারণ কারণাম্।
অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরম ঈশ্বর, সর্বকরণে মূল কারণ।
এই যে, আপনারা ইসকনকে নিয়ে সমালোচনা করেন। আপনারা ইসকন ভক্তদের নিকট কিছুই না। সঠিক সেবা পূজার নিয়ম জানেন? আপনারা বাসায় কি করেন, শুনুন তাহলে। আপনাদের বাসায় আপনারা বড় বড় রুমে আধুনিক ভাবে বসবাস করার ব্যবস্থা রাখলেও ভগবানের জন্য হাঁস, মুরগীর খোঁপের মত একটি ছোট্ট বাসা রাখবেন। যেখানে ভগবানের চিত্রপট বা ভগবানের বিগ্রহ রাখবেন। তিন বেলা সেবা পূজা করেন কিনা তাতেও সন্দেহ আছে। ভগবানকে প্রত্যেক বেলায় চিনি বাতাসা, আর কলা খাইয়ে ভগবানের ডাইবেটিস বানিয়ে ফেলেন।
ভগবানের গলে পড়ানোর জন্য পুষ্পমাল্য গাঁথার যোগ্যতা রাখেন না আপনারা। কোনভাবে একটা মালা গেঁথে ভগবানের গলে দিলেই হয়ে গেলো! অনেকে আবার #প্লাস্টিকের মালা পড়িয়ে রাখেন। তারপর পরের লাইনে আসা যাক। এইসব সমালোচনা কারীর গৃহে গেলে দেখবেন, ভগবান শ্রীবিগ্রহের সেবায় যেইসব উপকরন প্রয়োজন হয় তার অধিকাংশই অনুপস্থিত। একটা #শঙ্খ বা ঘন্টা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না। অনেকের গৃহে তাও নেই। তারপর বলি, তাদের গৃহ মন্দিরের কোনায় কোনায় দেখবেন ধূলো পড়ে আছে, বিগ্রহগুলোর গায়ে ময়লা পড়ে আছে, ভগবানের শরীরে যে #বস্ত্র রয়েছে সেটা সর্বশেষ কবে পরিবর্তন করেছে উনাদের মনে নেয়। বরং নিজেরা নিত্য নতুন বস্ত্র পরিধান করতে ব্যস্ত হয়ে থাকতে। আপনারা শ্রীবিগ্রহের সেবা পূজা করবেন কি! ভগবান যে কৃপা করে বিগ্রহ রুপে এই জগতে এসেছেন এটাি জানেন না। আপনারা বলেন যে, কৃষ্ণের মুর্তি, বিষ্ণুর মুর্তি এইসব। ভগবানের শ্রীবিগ্রহকে মুর্তি বলা মহাপাপ।
এখন বলি, ইসকন কি করছে! বিভিন্ন ইসকন মন্দিরে গেলে দেখবেন তারা ভগবানের জন্য নিজেদের থাকার ঘরের চেয়ে বড় ঘর নির্বাচন করেছে। তারা প্রতিদিন সর্বনিম্ম ৫ বারের অধিক বার ভগবানের সেবা পূজা করে। সূর্যোদয়ের পূর্বে মঙ্গল আরতি, প্রাতে দর্শন আরতি সহ বাল্য ভোগ, দুপুরে ৬৪ প্রকার ভোগ নিবেদন সহ ভোগ আরতি, বিকেল ৪টায় আবার দর্শন আরতি, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতি, এছাড়া পরিশেষে রাতে শয়ন আরতি। তাদের গৃহ মন্দিরের ভগবানের শ্রীবিগ্রহে নবপুষ্পে গাঁথা মাল্য পরিধান করানো থাকে। তাদের ভগবানের বিগ্রহের গাত্রে নিত্য নতুন বস্ত্র দিয়ে সজ্বিত থাকে, প্রতিদিন প্রাতে তাদের বিগ্রহকে শৃঙ্গার অর্চনের (স্নান) মাধ্যমে নিত্য নতুন বস্ত্রে নব রুপ দান করে। তারপর প্রত্যেক বেলায় ভগবানের জন্য হরেক রকম ভোগ প্রস্তুত করে ভগবানের নিকট নিবেদন করে। তাদের ভোগে শুধু কয়েকটি ফল বা চিনি বাতাসা থাকেনা। তাদের গৃহ মন্দিরে দেখবেন সেবা পূজার অনেক সামগ্রী। চামর, শঙ্খ, ঘন্টা, ময়ুর পুচ্ছ, পঞ্চপ্রদীপ ইত্যাদি। ইসকনের ভক্তরা মুর্তি বলেনা! পরম শ্রদ্ধার সাথে ভগবানের শ্রীবিগ্রহ বলে আখ্যা দেয়।
তারপর আসা যাক, আপনারা শ্রীমদ্ভগবত গীতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলেন। বলেন ইসকন শুধু গীতা গীতা করে। হ্যা প্রভু, ইসকন গীতা পড়ুন গীতা পড়ুন বলে কারন গীতা ভগবানের শ্রীমুখ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। গীতা মানবদেহের ড্রাইভার বা চালক। আপনারা কি করেন? আপনাদের গৃহে লাল কাপড় দিয়ে পেঁছানো ছোট্ট একটি গীতা রাখেন। অনেকের গৃহে থাকেনা। তারপর মাঝে মাঝে তার উপর একটা তুলসী বা ফুল দেন। কাপড় টিতে ময়লা পড়তে পড়তে বছর পার হয়ে যায় কিন্তু গীতার উপরের কাপড়টি পর্যন্ত পরিবর্তন করেন না। খুলে পড়া তো বাদ দিলাম। অনেক পড়েন, নম নম গীতা বলে, কয়েকটা শ্লোক পড়ে আবার নম নম বলে রেখে দেন। গীতার মঙ্গলাচরন তো জানেনই না! গঙ্গা, গীতা, সাবিত্রী সীতা এইরপ একটি মন্ত্র পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। অনেকে আবার শ্লোক মুখস্থ নিজেকে পন্ডিত ভাবেন। কলেজ বা বিদ্যালয়ের কোন প্রোগ্রামে গীতা পাঠের জন্য আপনাদের সন্তানদের খুঁজে পাওয়া যায়না। আর জোর করে শত খুঁজে কাউকে পাওয়া গেলে ও তাদের কন্ঠে একটাই শ্লোক শোনা যায়। যদা যদাহি ধর্মস্য গ্লানি..... গীতায় আর শ্লোক নেই?
এবার আসুন, ইসকনের দিকে নজর দেয়া যাক। ইসকনের সবার গৃহেই শ্রীমদ্ভগবতগীতা রয়েছে। তারা একই লাল কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে না। তারা গীতাটি প্রত্যহ অধ্যয়ন করে। গীতাকে তাদের জীবনের চালিকা শক্তি হিসেবে মেনে নেয়। নিজে পড়ে এবং অন্যের মাঝে গীতার জ্ঞান প্রচার করে। সঠিক মঙ্গলাচরনের মাধ্যমে গীতা অধ্যয়ন আরম্ভ করে। ইসকন জাগ্রত সমাজ নামে একটি শাখা রয়েছে। ওখানে ছোট্ট, ছোট্ট শিশুরা প্রতি শুক্রবারে বিভিন্ন বৈদিক জ্ঞান আরোহন করে। ঐ ছোট্ট বাচ্চাদের মুখে গীতার শ্লোক উচ্চারন শুনলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। প্রতি ডিসেম্বর মাসে গীতা জয়ন্তীতে ছোট্ট বাচ্চা গুলো নিমিষেই এক পুরো গীতার শ্লোক পাঠ করে ফেলে। গীতা কোনো মুখস্থ করার জিনিস না। গীতা অধ্যয়ন করে, গীতার জ্ঞানকে নিজের জীবনে প্রয়োগ হলো প্রধান বিষয়। কারন কুরুক্ষেত্র ময়দানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।
#ইসকনের গীতা ভিন্ন! ইসকন #নতুন করে গীতা বানিয়েছে। আরো কত অভিযোগ।
শুনুন গীতা হলো ভগবানের মুখনিসৃত বানী। জগতের কেউ গীতার শ্লোক পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেনা। আপনাদের গীতা সবাই শুদ্ধভাবে পড়তে পারে না। কঠিন সংস্কৃতের কারনে। কিন্তু শ্রীল প্রভুপাদ কৃত গীতায় দেখবেন প্রত্যেকটি শ্লোক সংস্কৃতের পাশাপাশি যুক্তবর্ণ গুলো বাংলায় ভেঙে ভেঙে তাৎপর্য সহ দেওয়া হয়েছে যাতে সহজেই কেউ অধ্যয়ন করতে পারে।
আপনারা কি করছেন সনাতন ধর্মের জন্য, আর ইসকন কি করছে সনাতন ধর্মের জন্য?
১. আপনি পারবেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে মিথি নগরীতে নগর কীর্তন করতে?
২. পারবেন পাকিস্তানে ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট, ইসকন মন্দির গড়তে?
৩. ইরানে রথযাত্রা করতে পারবেন?
৪. যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে পারবেন রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী পালন করতে?
৫. ইসলামী রাজতন্ত্র সৌদি আরবে পারবেন বাদশা আব্দুল্লাহ'কে বেদ উপহার দিতে?
৬. অতীতের হিন্দু দেশ আজারবাইজানে পুনরায় বৈদিক সনাতন ধর্ম প্রচার করতে?
৭. সাহস আছে ইসরাইলের তেল আবিবে নামহট্ট মন্দির ও নগর কীর্তন করতে?
৮. হরিনাম ছড়াতে পারবেন বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে?
৯. বাহারাইনে পারবেন মন্দির তৈরী ও রাজপথে কীর্তন করতে?
১০. কুয়েতে পারবেন রথযাত্রা র্যালী করতে?
১১. মিসরে পারবেন নামহট্ট মন্দির করার প্রস্তাব করতে?
১২. সুদানে পারবেন জন্মাষ্টমী করতে?
১৩. আরব জাহানে গীতার আলো ছড়িয়ে দিতে ?
১৪. কমুনিস্ট রাশিয়ায় প্রচন্ড বরফ উপেক্ষা করে রথ যাত্রা করতে ?
১৫ ঘানার রাজপথে হরিনাম করতে ?
১৬. পারবেন সাদা-কালো -বাদামী-হলুদ বর্ণ বা জাতিভেদ ভুলে মানুষ হিসেবে সকলকে একই প্লাটফর্মে দাড় করাতে ?
না,আপনি পারবেন না। এসব একমাত্র ইসকনই করতে পারে। বিশ্বের কালো, সাদা সবাইকে এক ছত্রতলে একমাত্র ইসকনই আনতে পেরেছে।
আসুন দাদারা ইসকনের সাথে হাত মিলিয়ে ধর্ম প্রচার করেন, বা ভালো না লাগলে তাদের এড়িয়ে চলুন। অযথা যত্র তত্র প্রোপাগান্ডা ছড়াবেন না। ইসকনের কোন কিছুতে মিথ্যাচার বা ভুল থাকলে যথাযথ কতৃপক্ষের স্বরনাপন্ন হয়ে বিরোধীতা করুন, ফেইসবুকে পড়ে পোষ্টবাজী করে সাধারন হিন্দুদের বিশ্বাস নষ্ট করবেন না। অনুরোধ রইলো।
পোষ্ট বা লেখাটি #শেয়ার করে এই তথ্যগুলো অন্যকেও জানতে সহযোগীতা করুন।
হরেকৃষ্ণ
প্রনাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন