বেহেশতে
( যে সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী জিহাদ করতে যায় তাদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা জরুরী )।
যেসব মুসলিম মেয়ে বেহেশতে যেতে চায় এবং তার জন্য প্রাণপাত করে ইসলাম পালন করে, তাদের জন্য আমার করুণা হয়। কারণ, তারা জানে না যে, বেহেশতে তাদের জন্য কোনো কিছুই নেই। তাদেরকে ছোট বেলা থেকেই শেখানো হয়েছে যে, বেহেশত অনন্ত সুখের স্থান। কিন্তু সেই সুখ যে কোনো মুসলিম মহিলার জন্য নয়, সেটা যেমন তাদেরকে বলা হয় না, তেমনি মুসলিম মহিলারাও কখনো কোরান হাদিস ঘেঁটে দেখে না যে, সত্যিই বেহেশতে তাদের জন্য আল্লা কিছু বরাদ্দ রেখেছেন কিনা।
বেহেশতের সকল সুখ মুসলিম পুরুষদের জন্য। কোরান হাদিস মতে, বেহেশতে মুসলিম পুরুষরা কী কী সুখ ভোগ করতে পারবে, তার কিছু বর্ণনা এই লেখায় আমি দিয়েছি এবং তার বিপরীতে দেখিয়েছি বেহেশতে মুসলিম নারীদের করুণ পরিণতি।
কেয়ামত শেষে, আখেরাতের বিচারের পর, যেসব মুসলিম পুরুষ বেহেশতে যেতে পারবে, প্রকৃতপক্ষে যাবে সবাই; কারণ, সারাজীবন, যত - অন্যায়, অত্যাচার, লুঠপাট, খুন, ধর্ষণ কোনো মুসলমান করুক না কেনো, যদি তার আল্লা ও নবীর প্রতি বিশ্বাস থাকে, অবশ্যই সে বেহেশতে যাবে। এছাড়াও কোনো ব্যক্তি, সারাজীবন ধরে নামাজ রোযার মতো ইসলামের ৫ স্তম্ভের কোনো কিছু পালন না করলেও মরার সময় শুধু যদি "লা ইলাহা ......" এই কলেমা পাঠ করে মরতে পারে, তাহলেও সে বেহেশতে যাবে, এমনকি তার জন্ম অমুসলিমের ঘরে হলেও। বেহেশতে যাওয়ার এমন সুবিধা ইসলামে থাকতেও, কেনো মুসলমানরা, নামাজ রোযা হজ্ব যাকাত করে তা ভেবে পাই না। মুসলমানরা এত স্টুপিড কেনো ? অন্যদিকে আবার সুনান আবু দাউদের হাদিসে বলা আছে, কেয়ামতের পুর্বে মুসলমানরা ৭৩ দলে ভাগ হবে, তাদের একদল মাত্র বেহেশতে যাবে, বাকি ৭২ দল দোযখে। ইসলামের যে কোন কথাটা সত্য, সেটাই তো গবেষণা করে আজও বুঝে উঠতে পারলাম না।
যা হোক, বেহেশতে মুসলমানরা হাজির হওয়ার পর পাবে একটি নির্দিষ্ট বয়স, যে বয়স আর বাড়বে না। এই বয়স কোথাও বলা হয়েছে ২৫, কোথাও ৩০, কোথাও বা ৩৩। কোনটা যে ঠিক, সেটা হয়তো মুহম্মদ নিজেই জানতেন না। আল্লাও জানেন কিনা সন্দেহ। কারণ, মিথ্যারই একাধিক রূপ থাকে, সত্যের নয়। বেহেশতি পুরুষদের উচ্চতা কোথাও বলা হয়েছে ৬০ ফুট, কোথাও ৯০ ফুট, কিন্তু তারা মোটায় হবে ৭ ফুটের ঘের। (সহি হাদিস, বই-৫৫, হাদিস নং-৫৪৪, ইসলামের মহা পণ্ডিত ইমাম গাজ্জালীর “Ihya Ilum Ed-Din”, পৃষ্ঠা ৪.৪৩১:)
বেহেশতি পুরুষদের প্রাপ্ত হুরের সংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৭২ জন এবং বেশিপক্ষে ১২,৫৭২ জন। এই হুরেরা সবাই হবে ১৬ বছর বয়স্কা। তাদের স্তন হবে খাড়া, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না। তাদের চোখ হবে সুন্দর, তারা সব সময় থাকবে ন্যাংটা। পায়খানা প্রস্রাব, ঋতুস্রাব, সর্দি কাশির মতো কোনো নোংরা বিষয় তাদের থাকবে না। তারা হবে সাদা রং এর। তাদের দেহের ভেতর দিয়ে এপার ওপার সব দেখা যাবে। (কোরান ৫২/১৭-২০, ৭৮/৩১-৩৬, তিরমিজি –অধ্যায় ২ )।
এই ধরণের হুর এবং এতোগুলে হুরের সাথে সেক্স করার জন্য প্রত্যেক বেহেশতি পুরুষ পাবে ১০০ জন পুরুষের সমান যৌনশক্তি ( তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮)| আর তাদের একজন হুরের সাথে একবারের সেক্সের এর সময়ের দৈর্ঘ হবে ঐ পুরুষ পৃথিবীতে যত দিন বেঁচে ছিলো ততদিন; অর্থাৎ তার পৃথিবীর জীবন ৬০ বছর হলে ৬০; ৭০ বছর হলে ৭০ বছর। এছাড়াও কোনো পুরুষের লিঙ্গ কখনো নিস্তেজ বা দুর্বল হয়ে পড়বে না, সব সময় শক্ত বা খাড়া হয়ে থাকবে |(হাদিস নং ৪৩৩৭ ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)।
এ থেকে স্পষ্ট যে বেহেশতি পুরুষদের কখনো বীর্যপাত হবে না। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, বীর্যপাত ই যদি না হয়, তাহলে সেক্স করার মজাটা কী ?
এছাড়াও বেহেশতে থাকবে চিরকিশোর তরুণ, যাদের বলে গেলমান। এরা বেহেশতি পুরুষদের সবরকম খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। হুরের সাথে সেক্স করে যদি কোনো পুরুষ একঘেঁয়েমিতে ভুগে, তখন তারা গেলমানদের সাথে সমকাম করে রুচি চেঞ্জ করতে পারবে। (কোরান - ৭৬/১৯)।
বেহেশতে যাওয়ার পরপরই মুসলিম পুরুষরা যেসব হুর গেলমান পাবে, তা তাদের জন্য অনন্ত কালের জন্য নির্দিষ্ট। কিন্তু তাতেও যদি মুসলমানদের একঘেঁয়েমি এসে যায়, তখন সেই এক ঘেঁয়েমি কাটাতে বেহেশতে আছে হুরদের বাজার। এই বাজারে গিয়ে যে কোনো হুরকে পছন্দ করা হওয়া মাত্র মুসলমানরা সেখানেই তার সাথে সেক্স করা শুরু করতে পারবে (সহি হাদিস, অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪) এছাড়াও বেহেশতে খাবার দাবারের মধ্যে আছে- মদের নদী, দুধের ঝরনা, শীতল জলের ঝরনা ইত্যাদি ইত্যাদি, সেগুলোর বর্ণনা দিয়ে লেখার পরিধি আর বাড়ালাম না।
এবার দেখা যাক, বেহেশতে মুসলিম মহিলারদের জন্য কী ব্যবস্থা । ইসলামের নবী মুহম্মদের মেরাজ গমনের সময় নাকি দেখেছেন, দোযখের বেশিরভাগ নারীই মুসলিম মহিলা (সহীহ বুখারি- ২৫৫১, ২৫৫২)। কারণ, তারা নাকি তাদের স্বামীদের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, মহিলারা কৃতজ্ঞ কি কৃতজ্ঞ নয়, সেটা তো পরের প্রশ্ন। যে দোযখের শাস্তি শুরু হবে কেয়ামতের পরে আখেরাতের বিচার শেষ হলে, সেই দোযখের শাস্তি মুহম্মদ দেখলেন কিভাবে ?
যা হোক, ৭৩ দলে বিভক্ত মুসলমানদের মধ্যে যে এক দল বেহেশতে যাবে, তার মধ্যে অধিকাংশ নারী দোযখে যাওয়ার পর যে দুচার জন বেহেশতে যাবে, বেহেশতে গিয়ে তাদের কাজটা কী, এবার সেটা দেখুন:
যদি কোনো মুসলিম মহিলা বেহেশতে যেতে পারে, তাহলে সে পৃথিবীর স্বামীকেই বেহেশতে স্বামী হিসেবে পাবে। তখন তার কাজ হবে, তার স্বামী যে হুর-গেলমানগুলোকে ভাগে পেয়েছে, তাদের দেখাশোনা করা; অর্থাৎ তার স্বামী, কোন হুরের পর কোন হুর এবং এবং তারপর কোন গেলমানের সাথে সেক্স করবে তার হিসেব রাখা। এক কথায় যে যেকোনো মুসলিম নারী বেহেশতে গিয়ে হবে, নগ্ন হুর আর গেলমানদের সর্দারনী। তার কাজই হবে, কিভাবে তার স্বামী, হুর আর গেলমানদের সাথে একের পর এক পালা করে সেক্স করছে, তা বসে বসে দেখা। এই এক একটা সেক্স কিন্তু আবার স্থায়ী হবে পৃথিবীতে পুরুষদের বিয়ে গড় বয়স ২০/২৫ বছর থেকে শুরু করে তার মৃত্যুর বয়স ৬০/৭০ বা ৮০ বছর পর্যন্ত (সহীহ হাদিস)।
এই লাগাতার যৌন লীলা দেখে যদি বেহেশতবাসী মুসলিম মহিলা নিজে যৌন উত্তেজনায় গরম হয়ে যায়, যা সাধারণত পৃথিবীতে হয়, তাহলেও কিন্তু তার উত্তেজনা প্রশমনের কোনো ব্যবস্থা বেহেশতে নেই। কারণ, তার স্বামী, অপূর্ব সুন্দরী অগণিত হুরকে ফেলে, পৃথিবীতে বহুল ব্যবহৃত তার স্ত্রীর শরীরের দিকে কখনোই নজর দেবে না। আর বেহেশতের গেলমান কিশোরগুলোকে দিয়েও যে মুসলিম মহিলারা তাদের যৌন উত্তেজনা মেটাতে পারবে, এমন কোনো কথা কোরান হাদিসের কোথাও নেই। তাহলে ঐ মুসলিম নারীর বেহেশতে যাওয়ার সার্থকতা কী ? শুধু কি সুস্বাদু খাবার দাবারের জন্য ? আপনি কি পৃথিবীতেও, আপনার স্ত্রীকে, কোনো রকম যৌন তৃপ্তি না দিয়ে শুধু ভালো খাবার দাবার দিয়ে তাকে ঘরে আটকে রাখতে পারবেন ? যেটা পৃথিবীতে সম্ভব নয়, সেটা বেহেশতে সম্ভব হবে কিভাবে ?
পৃথিবীতে একজন মুসলমান পুরুষ চারটা বিয়ে করে অনায়াসে চার বউএর ঘরে রাত কাটাতে পারে। এটা কয়জন মুসলিম নারী সহ্য করতে পারে ? যদিও চারদিন পর পর সে তার স্বামীকে কাছে পায়। সেক্ষেত্রেও এক বউয়ের সাথে সেক্স হয়, অন্য বউয়ের আড়ালে। কিন্তু বেহেশতে যখন চোখের সামনে নিজের স্বামী, হুর-গেলমানদের সাথে বছরের পর বছর ধরে সেক্স করবে তাকে কোনো রকম সময় না দিয়ে, তখন ঐ মুসলিম মহিলার মনের অবস্থা কী হবে ? নিজেই নিজের যৌন রস খসাতে পারবে, এমন কোনো বিধানও তো কোরান হাদিসে কোথাও দেখি না। তাহলে ঐ মহিলা করবেটা কী ?
পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান পুরুষ, এক বউ থাকতে আরেক বউকে ঘরে আনে, তখন আগের বউ এর কাছে ঐ সংসার দোযখের মতো হয়ে যায়, তার সকল সুখ-শান্তির বিসর্জন হয়। বর্তমান যুগের শিক্ষিত ও উপার্জনক্ষম মহিলারা তো ইসলামের এই চার বিয়ে বিধানকে সরাসরি প্রস্রাব করে টয়লেটে ফ্লাশ করে ফেলে দেয়; তারপরও কোনো কোনো মহিলা নিজের খাওয়া পরা ও বেঁচে থাকার জন্য স্বামীর ঐ দ্বিতীয় বিয়েকে মেনে নেয়। একটা বা দুইটা সতীনের কারণেই যখন কোনো নারীর সংসার দোযখতুল্য হয়ে যায়, তখন অসংখ্য হুর-গেলমানের সাথে নিজের স্বামীর যৌন লীলা দেখে কোনো নারী কি বেহেশতে থাকতে পারবে ? না তার মনে হবে এই যন্ত্রণা চোখের সামনে দেখার চেয়ে আমার দোযখে যাওয়াই ভালো ?
তো মুসলিম ওমেন, এত কিছু জানার পরও কি বেহেশেতে যাবেন, নিজের স্বামীর সাথে অন্য মেয়ে ও পুরুষের লাইভ থ্রিএক্স দেখার জন্য ?
মুহম্মদ, একথাও বলে গেছেন, কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে কেনো পিটিয়েছে, এ নিয়ে আখেরাতে তাকে কোনো প্রশ্ন করা হবে না (সহীহ বুখারি, ৮/৮২/৮২৮)। এরপর আছে সম্ভাব্য সতীনের সংসারের জ্বালা-যন্ত্রণা এবং যখন তখন তালাক প্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ানোর ভয়। এরপরও কেনো আপনারা ইসলাম পালন করেন বা করবেন ? ইসলাম আপনাদেরকে কিচ্ছু দেয় নি; না ইহকালে, না পরকালে। কিন্তু সেই কথাটাও মুসলমান পুরষরা আপনাদেরকে জানতে দেয় নি। আপনারা শুধু, বছর বছর মুসলমান পুরুষদের বাচ্চা বানানোর মেশিন মাত্র। এর বিপরীতে যেকোনো অমুসলিম পরিবারের অমুসলিম নারীদের জীবন যাত্রার দিকে তাকান, আপনার ঈর্ষা হতে বাধ্য। এই রকম একটি জীবন আপনাদেরও হতে পারে, যদি আপনারা ইসলামের মোহ ত্যাগ করে যেকোনো অমুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে পারেন।
জয় হোক নারী স্বাধীনতার| জয় হোক মানবতার।
-------------------------------------------------------
উপরে যেসব রেফারেন্স দিয়েছি, নিচে হাদিস - কোরানের সেই বাণীগুলো দেখে নিতে পারেন:
সহীহ বুখারি-২৫৫১, ২৫৫২ :
দোযখীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি হবে।
সহীহ বুখারি- ৮/৮২/৮২৮ :
কোনো পুরুষ কোন কারণে তার স্ত্রীকে প্রহার করেছে, সে ব্যাপারে তাদেরকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না।
সহি বুখারি বই-৫৫, হাদিস নং-৫৪৪ :
আবু হোরায়রা বর্ণিত, হুজুর বলিয়াছেন- যে দল সর্বপ্রথম বেহেস্তে প্রবেশ করিবে তাহাদের চেহারা হইবে পূর্ণিমার রাত্রের চন্দ্রের মত…………………………………..তাহাদের স্ত্রীরা সবাই হইবে আয়ত ও কাল চক্ষু বিশিষ্টা হুর। সকলেই তাহারা আদি পিতা আদমের দেহাকৃতির ন্যায় ৬০ হাত দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হইবে।
কোরান - ৭৬/১৯ :
তাদের সেবাকার্যে এমন সব বালক ব্যস্ত সমস্ত হয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে যারা চিরকালই বালক থাকবে। তোমরা তাদেরকে দেখলে মনে করবে, এরা যেন ছড়ানো মুক্তা।
কোরান, ৫২/১৭-২০:
মুমিনগণ থাকবে সুখময় জান্নাতে, যেখানে আনন্দ-উল্লাস করে বেড়াবে আল্লাহ দানে... তাদের বলা হবেঃ তোমাদের কৃতকর্মের জন্য খাও-দাও, ফূর্তি করো, এবং তারা সারি-বাধা সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে এবং আমরা (আল্লাহ) তাদেরকে যৌন-উন্মাদক চোখওয়ালা পরম সুন্দরী হুরদের তাদের সঙ্গী বানাব।
তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮:
তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশ্তবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরূষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।
সহি বুখারি , অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪:
হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, “নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনা-বেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতি-সুন্দরী উন্নত-বক্ষা হুরিগণ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজে-গুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই”।
তিরমিজি, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠাঃ
একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক বা menstruation), পেশাব, পায়খানা, গর্ভবতি হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুরি হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।
নবী করিম (সঃ) আরও বলেছেন যে
‘‘বেহেশতবাসীরা ১০০জন শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌন-শক্তি লাভ করবে। বেহেশতের প্রত্যেক বাসিন্দা পাবে ৫০০ শত হুরী, ৪,০০০ অবিবাহিত যুবতী মেয়ে ও ৮,০০০ যুবতী বিধবা মেয়ে। এরা প্রত্যেকে একজন (প্রতিটি) বেহেশতবাসী জিহাদীকে ক্রমান্বয়ে একে একে আলিঙ্গনাবদ্ধ করে রাখবে যার, স্থায়ীত্ব একজন বেহেশতবাসীর পার্থিব সারা জীবনের সময়ের সমান হবে।’’
হাদিস নং ৪৩৩৭ ইব নে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭:
বেহেশতবাসিদের শরীরের রং হবে সাদা, তাদের চোখ থাকবে সুরমা লাপ্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখ-দায়ক যৌনাঙ্গ এবং বেহেশ্তি পুরুষের যৌনাঙ্গ সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে কখনো বাকা হবে না যৌন-কেলির সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।
ইসলামের মহা পণ্ডিত ইমাম গাজ্জালীর “Ihya Uloom Ed-Din”, পৃষ্ঠা ৪.৪৩১: তারা হবে দাড়ীহীন, এবং শরীরে কোন লোম থাকবে না। তাদের বয়স হবে ৩৩ বৎসর (কখনো বয়স বাড়বে না) এবং তারা হবে ৬০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন