বহরানে ডাকাত কালী পুজোয় আজও লাগে চুরির জিনিষ।প্রাচীন ঐতিয্যবাহী গ্রাম কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম থানার বহরান।এই গ্রামে পূজিত হন বারো বছর অন্তর জয়দুর্গা।তবে গ্রাম্যদেবী রূপে পূজিতা হন কালী মানে এক ডাকাতকালী। গ্রামের উত্তরাংশে রয়েছে দিঘী। দিঘীর বায়ুকোনে ডাকাত কালীমাতার একটি বেদী বর্তমান। এটি পরেশ হাজরা নামক জনৈক ডাকাতের সাধনস্থল বলে কথিত আছে। ভয়ংকর ডাকাত পরেশ হাজরার পারিবারিক কালী মাতা ঐ দিঘীর অগ্নি কোনে পূজিত হয়ে আসছেন। কথিত আছে তাঁর বাড়িতে কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যায় মূর্তিপূজা হতো। নিজের বাড়ির পূজা সম্পন্ন করার পর তিনি ঐ দিঘীর বায়ুকোনে ঘটস্থাপন করে সাধনায় বসতেন।
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী এই পরিবারের সদস্যদের চুরি করা চালকুমড়ো উৎসর্গ করেই ডাকাত কালীর পূজা শুরু হয়। এই চালকুমরো অবশ্যই পরের ক্ষেত থেকে চুরি আনতে হবে।এটাই নিয়ম। হাজরা বাড়ি থেকেই নৈবেদ্য যাওয়ার পরেই ডাকাতকালীর পুজোর জন্য ঘট ভরতে যাওয়া হয়। পুজোর দায়িত্বে থাকা রনবীর সিনহা জানান যে, বীরভুম, মুর্শিদাবাদের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় জমান এবং পরের দিন খিচুড়ি ও পায়েস মায়ের প্রসাদ হিসাবে মধ্যাহ্নে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
কৃতজ্ঞতা--চিত্রশিল্পী সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন