বর্তমানের অমৃতকথা
অহংকার
অন্তঃকরণআত্মারতেজে
উদ্ভাষিত হইয়া চক্ষুপ্রভৃতি জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়-সমূহে এবং দেহে
‘আমি, আমি’ এই প্রকার বৃত্তি (আমি দেখি, করি ইত্যাদি) উৎপাদন করিয়া
বর্তমান থাকে।
দেহাদি-ইন্দ্রিয়সংঘাতের অভিমানী এবং অন্তঃকরণের পরিণতি সেই অহংকারকে ‘আমি কর্তা’ ‘আমি ভোক্তা’ এই প্রকার অভিমানী বলিয়া জানিবে। এই অহংকার, সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ প্রকৃতির এই তিন গুণের সহিত সম্বন্ধ হইয়া জাগ্রত, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি এই তিন অবস্থা প্রাপ্ত হয়।
বিষয়সমূহ অনুকূল হইলে, সে সকল হইতে সুখ পাইলে অহংকার সুখী হয়; আর বিষয়সমূহ প্রতিকূল হইলে, বিষয় হইতে দুঃখ পাইলে অহংকারই দুঃখ বোধ করে। এই সুখ আর দুঃখ অহংকারের ধর্ম; সদানন্দস্বরূপ আত্মার ধর্ম নয়। আত্মাতে বর্তমান থাকিয়া আত্মার মধ্য দিয়া প্রকাশ পায় বলিয়া বিষয়সমূহ জীবের প্রীতি উৎপাদন করে; বিষয় নিজের গুণে প্রিয় হয় না। যে হেতু আত্মা স্বরূপতঃ সকলের প্রিয়তম, সেই হেতু আত্মা সর্বদা আনন্দময়। ইহার কখনও দুঃখ হয় না। আত্মা সদানন্দ বলিয়া মানুষ সুষুপ্তির সময় বিষয়শূন্য আত্মানন্দ অনুভব করে। আত্মা যে আনন্দস্বরূপ সে বিষয়ে শ্রুতি, প্রত্যক্ষ, ঐতিহ্য ও অনুমান—এই চতুর্বিধ প্রমাণ বর্তমান রহিয়াছে।
মায়া বা অবিদ্যা ব্রহ্মের শক্তি। তাহাকে অব্যক্তও বলা হয়। উহা আদি-রহিত; সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিন গুণসমন্বিত এবং কারণরূপা। সৃষ্টিরূপ কার্য হইতে তীক্ষ্ণবুদ্ধি ব্যক্তি উহার অস্তিত্ব অনুমান করিতে পারেন। এই মায়া হইতে এই সকল জগৎ উৎপন্ন হয়।
সেই অবিদ্যা বা মায়া সত্যস্বরূপা নয় (মায়া কেমন তাহা নিরূপণ করা যায় না। আর ইহা যদি সত্য হইত তাহা হইলে ব্রহ্মজ্ঞানের ফলে ইহার নাশ হইত না)। মায়াকে অসৎ বা মিথ্যাও বলা যায় না। (কেননা, মায়ার কার্য দেখা যায়; জগৎটাই মায়ার সৃষ্টি। মিথ্যা বস্তু হইতে কোন কিছুর উৎপত্তি হইতে পারে না; বন্ধ্যাপুত্র যেমন বন্ধ্যার সুখ বা দুঃখের কারণ হয় না।) মায়া সত্য ও মিথ্যা, এই উভয়রূপা নয়। (সত্য ও মিথ্যা পরস্পরের বিরোধী; এই উভয়ের একত্র স্থিতি সম্ভব নয়।) মায়া পরমাত্মা হইতে ভিন্না নয়। (এক ব্রহ্ম-ব্যতীত দ্বিতীয় বস্তু নাই।) মায়া ব্রহ্মের সহিত অভিন্নাও নয় (যেহেতু ব্রহ্ম নির্বিকার, আর এই সৃষ্টিরূপ বিকার মায়ার কার্য)। মায়া ব্রহ্মের সহিত, একই কালে ভিন্ন এবং অভিন্ন, ইহাও বলা যায় না (কেননা, ভেদ ও অভেদ এই দুই বিরুদ্ধ ধর্মের একত্র সমাবেশ সম্ভব নয়)। মায়ার কোন অঙ্গ আছে, ইহা বলা যায় না (অঙ্গ থাকিলে তাহা দেখা যাইত)। মায়ার অঙ্গ নাই, ইহাও বলা যায় না (কেননা, মায়া অবয়ববিশিষ্ট এই জগতের কারণ)। মায়ার অঙ্গ আছে এবং নাই, ইহা বলা যায় না (কেননা এ কথা স্ববিরোধী)। অতএব, এই মায়া অতি আশ্চর্যরূপা এবং বাক্যের দ্বারা অপ্রকাশ্য।
যথার্থ জ্ঞানের অভাববশতঃ রজ্জুতে সর্পভ্রম হয়; কিন্তু রজ্জুকে রজ্জু বলিয়া জানিলে সর্পভয় দূর হইয়া যায়। এই প্রকারে মায়া যে-ব্রহ্মকে আশ্রয় করিয়া থাকে, সেই শুদ্ধ ও অদ্বয় ব্রহ্মের স্বরূপ-জ্ঞান হইলে মায়া নষ্ট হইয়া যায়। সেই মায়ার সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিনগুণ স্বস্ব কার্যের দ্বারা—সুখ, দুঃখ ও মোহের উৎপাদকরূপে পরিচিত।
যে ক্রিয়াত্মিকা বিক্ষেপশক্তি হইতে অনন্তকাল ধরিয়া বিষয়প্রবৃত্তি প্রবাহাকারে চলিয়াছে, সেই বিক্ষেপশক্তি রজোগুণ হইতে উৎপন্ন হয়। জীবের বিষয়াসক্তি প্রভৃতি এবং সুখ-দুঃখাদি যে সকল মনের বিকার, সেসব চিরকাল অবিচ্ছেদে এই বিক্ষেপশক্তি হইতে নির্গত হইতেছে।
দেহাদি-ইন্দ্রিয়সংঘাতের অভিমানী এবং অন্তঃকরণের পরিণতি সেই অহংকারকে ‘আমি কর্তা’ ‘আমি ভোক্তা’ এই প্রকার অভিমানী বলিয়া জানিবে। এই অহংকার, সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ প্রকৃতির এই তিন গুণের সহিত সম্বন্ধ হইয়া জাগ্রত, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি এই তিন অবস্থা প্রাপ্ত হয়।
বিষয়সমূহ অনুকূল হইলে, সে সকল হইতে সুখ পাইলে অহংকার সুখী হয়; আর বিষয়সমূহ প্রতিকূল হইলে, বিষয় হইতে দুঃখ পাইলে অহংকারই দুঃখ বোধ করে। এই সুখ আর দুঃখ অহংকারের ধর্ম; সদানন্দস্বরূপ আত্মার ধর্ম নয়। আত্মাতে বর্তমান থাকিয়া আত্মার মধ্য দিয়া প্রকাশ পায় বলিয়া বিষয়সমূহ জীবের প্রীতি উৎপাদন করে; বিষয় নিজের গুণে প্রিয় হয় না। যে হেতু আত্মা স্বরূপতঃ সকলের প্রিয়তম, সেই হেতু আত্মা সর্বদা আনন্দময়। ইহার কখনও দুঃখ হয় না। আত্মা সদানন্দ বলিয়া মানুষ সুষুপ্তির সময় বিষয়শূন্য আত্মানন্দ অনুভব করে। আত্মা যে আনন্দস্বরূপ সে বিষয়ে শ্রুতি, প্রত্যক্ষ, ঐতিহ্য ও অনুমান—এই চতুর্বিধ প্রমাণ বর্তমান রহিয়াছে।
মায়া বা অবিদ্যা ব্রহ্মের শক্তি। তাহাকে অব্যক্তও বলা হয়। উহা আদি-রহিত; সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিন গুণসমন্বিত এবং কারণরূপা। সৃষ্টিরূপ কার্য হইতে তীক্ষ্ণবুদ্ধি ব্যক্তি উহার অস্তিত্ব অনুমান করিতে পারেন। এই মায়া হইতে এই সকল জগৎ উৎপন্ন হয়।
সেই অবিদ্যা বা মায়া সত্যস্বরূপা নয় (মায়া কেমন তাহা নিরূপণ করা যায় না। আর ইহা যদি সত্য হইত তাহা হইলে ব্রহ্মজ্ঞানের ফলে ইহার নাশ হইত না)। মায়াকে অসৎ বা মিথ্যাও বলা যায় না। (কেননা, মায়ার কার্য দেখা যায়; জগৎটাই মায়ার সৃষ্টি। মিথ্যা বস্তু হইতে কোন কিছুর উৎপত্তি হইতে পারে না; বন্ধ্যাপুত্র যেমন বন্ধ্যার সুখ বা দুঃখের কারণ হয় না।) মায়া সত্য ও মিথ্যা, এই উভয়রূপা নয়। (সত্য ও মিথ্যা পরস্পরের বিরোধী; এই উভয়ের একত্র স্থিতি সম্ভব নয়।) মায়া পরমাত্মা হইতে ভিন্না নয়। (এক ব্রহ্ম-ব্যতীত দ্বিতীয় বস্তু নাই।) মায়া ব্রহ্মের সহিত অভিন্নাও নয় (যেহেতু ব্রহ্ম নির্বিকার, আর এই সৃষ্টিরূপ বিকার মায়ার কার্য)। মায়া ব্রহ্মের সহিত, একই কালে ভিন্ন এবং অভিন্ন, ইহাও বলা যায় না (কেননা, ভেদ ও অভেদ এই দুই বিরুদ্ধ ধর্মের একত্র সমাবেশ সম্ভব নয়)। মায়ার কোন অঙ্গ আছে, ইহা বলা যায় না (অঙ্গ থাকিলে তাহা দেখা যাইত)। মায়ার অঙ্গ নাই, ইহাও বলা যায় না (কেননা, মায়া অবয়ববিশিষ্ট এই জগতের কারণ)। মায়ার অঙ্গ আছে এবং নাই, ইহা বলা যায় না (কেননা এ কথা স্ববিরোধী)। অতএব, এই মায়া অতি আশ্চর্যরূপা এবং বাক্যের দ্বারা অপ্রকাশ্য।
যথার্থ জ্ঞানের অভাববশতঃ রজ্জুতে সর্পভ্রম হয়; কিন্তু রজ্জুকে রজ্জু বলিয়া জানিলে সর্পভয় দূর হইয়া যায়। এই প্রকারে মায়া যে-ব্রহ্মকে আশ্রয় করিয়া থাকে, সেই শুদ্ধ ও অদ্বয় ব্রহ্মের স্বরূপ-জ্ঞান হইলে মায়া নষ্ট হইয়া যায়। সেই মায়ার সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিনগুণ স্বস্ব কার্যের দ্বারা—সুখ, দুঃখ ও মোহের উৎপাদকরূপে পরিচিত।
যে ক্রিয়াত্মিকা বিক্ষেপশক্তি হইতে অনন্তকাল ধরিয়া বিষয়প্রবৃত্তি প্রবাহাকারে চলিয়াছে, সেই বিক্ষেপশক্তি রজোগুণ হইতে উৎপন্ন হয়। জীবের বিষয়াসক্তি প্রভৃতি এবং সুখ-দুঃখাদি যে সকল মনের বিকার, সেসব চিরকাল অবিচ্ছেদে এই বিক্ষেপশক্তি হইতে নির্গত হইতেছে।
শঙ্করাচার্যের ‘বিবেকচূড়ামণি’ স্বামী বেদান্তানন্দের (অনূদিত) ‘উদ্বোধন কার্যালয়’ থেকে
17th July, 2020
ভগবানে প্রেম
ভগবানকে কর তুমি তোমার জীবনের
কেন্দ্র। তোমার শরীরের প্রতিটি অণু-পরমাণুতে যৌবন আসিয়া ডাক
ছাড়িতেছে,—‘‘আমি আসিয়াছি।’’ তুমিও তাহার সঙ্গে সঙ্গে ডাক ছাড়িয়া বলিতে
সমর্থ হও,—‘‘আমার দেহ-মন্দিরে ভগবানও আসিতেছেন।’’
বিশদ
16th July, 2020
ঈশ্বরই সত্য এবং সত্যই ঈশ্বর
সকল ধর্মই সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষণা
করে যে, ঈশ্বরই সত্য এবং সত্যই ঈশ্বর। অতএব আমরা বলতে পারি যে, যখন কেউ
কোন নামরূপের সাহায্যে ঈশ্বরের উপাসনা করে, তখন সে বিশ্বাস করে যে, তার
উপাস্য বস্তুই সত্য।
বিশদ
15th July, 2020
বিশ্বাস
বিরাট অট্টালিকার প্রধান
ভিত্তিপ্রস্তরের মতো ভগবদ্ বিশ্বাসই সব ধর্মের সার ও মূলভিত্তি। এটিই
প্রাচীন ও আধুনিক সমস্ত জাতির ধর্মশাস্ত্রের মূল সুর এবং সব মতবাদ ও
ধর্মসম্প্রদায়ের আধার বা ভিত্তিস্বরূপ।
বিশদ
14th July, 2020
সত্য উপলব্ধি
প্রায় দু’হাজার বৎসর আগে
ন্যাজারেথবাসী যীশু জগৎ-সমক্ষে ঘোষণা করেছিলেনঃ ‘সত্য উপলব্ধি কর, সত্যই
তোমাকে মুক্তি দান করবে।’ সত্যের উপলব্ধিই মানবাত্মাকে বন্ধনমুক্ত করে;
সমস্ত খ্রীষ্টান-সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁকে ঈশ্বরের একমাত্র প্রিয়পুত্ররূপে
পূজা করেন সেই মহান ব্যক্তিই ধর্মের এই সারমর্মটি প্রচার করেছিলেন।
বিশদ
13th July, 2020
রামকৃষ্ণ মিশন
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর
মাসে রোলাঁ নবপ্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মিশন সম্বন্ধে জানতে পারেন।
শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন সম্বন্ধে আরো জানার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে পড়েন। সন্ধান
পেলেন ‘The Face of Silence’ গ্রন্থটির। গ্রন্থটি রোলাঁকে মুগ্ধ করে এবং
তাঁর শিল্পিসুলভ চিন্তাধারার ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে, যা তাঁর
প্রতিবেদনশীল মনে এক সুগভীর, চিরস্থায়ী আকর্ষণের রেখাপাত করে।
বিশদ
12th July, 2020
সাধনা
একটি লক্ষ্যে তীরের মত তন্ময়
থাকাই শ্রেষ্ঠ সাধনা—এতেই মন হয় অন্তর্মুখী, আত্মার হয় দিব্য প্রকাশ। ঈশ্বর
স্বয়ম্ভূ ও সর্বময়—এই সীমার জগতে তাঁর রূপের লীলাময় বিচিত্র বিকাশ। একটি
কীটকেও যদি সুখী করতে পার, এতে তাঁকেই সন্তুষ্ট করা হয়।
বিশদ
11th July, 2020
ভাবের তরঙ্গ
প্রাচীনকালে—ইতিহাস যাহার কোনো
সংবাদ রাখে না, কিংবদন্তিও যে—সুদূর অতীতের ঘনান্ধকারে দৃষ্টিপাত করিতে
সাহস করে না—সেই অতি প্রাচীনকাল হইতে বর্তমানকাল পর্যন্ত ভাবের পর ভাবের
তরঙ্গ ভারত হইতে প্রসারিত হইয়াছে, কিন্তু উহার প্রত্যেকটি তরঙ্গই সম্মুখে
শান্তি ও পশ্চাতে আশীর্বাণী লইয়া অগ্রসর হইয়াছে।
বিশদ
10th July, 2020
অহং-এর স্বরূপ
প্র:- অহং এর অর্থ কি?
আমার মনে হয় অহং প্রতিটি মানুষকে সকল সম্ভাব্য উপায়ে এক পৃথক সত্তায় গঠন করে। বিশদ
আমার মনে হয় অহং প্রতিটি মানুষকে সকল সম্ভাব্য উপায়ে এক পৃথক সত্তায় গঠন করে। বিশদ
09th July, 2020
তথাগত-বুদ্ধ
যীশুখ্রীষ্টের জন্মের পাঁচশত
বৎসর আগে তথাগত-বুদ্ধ এই সত্য উপলব্ধি করেছিলেন এবং বুঝেছিলেন যে, মতবাদ ও
আচার-অনুষ্ঠানে অন্ধবিশ্বাস সত্যানুসন্ধানের পথ সুগম করবে না, সুতরাং
শান্তিরও পার্থিব সহায়ক হবে না।
বিশদ
08th July, 2020
ভাবশান্তি
ক্রমে ভাবশান্তি হইল শ্রীরাধার। চলিয়া গেল প্রণয়কোপ ও মান। উদয় হইল
স্বাভাবিক বিরহের। শ্রীমান উদ্ধব এতক্ষণ দাঁড়াইয়াছিলেন এক পার্শ্বে। আস্তে
আস্তে সসম্ভ্রমে নিকটস্থ হইলেন। সাগরসঙ্গমে তরঙ্গ উঠিলে নৌকার মাঝি নৌকা
লাগাইয়া রাখে এক পার্শ্বে ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙ্গিয়া যাইবার ভয়ে।
বিশদ
07th July, 2020
অমৃতকথা
শ্রীরামঠাকুর যখন কঠিন রোগে আক্রান্ত হইয়া তাঁহার ঘরে শয্যাশায়ী
ছিলেন এবং অপরের সাহায্যে বিনা পাশ ফিরিতেও অক্ষম বলিয়া সকলের কাছে বোধ
হইত, তখন যুবক ভক্তদের মধ্যে কাহারও কাহারও খুব ইচ্ছা হইল, পূর্বে উল্লেখিত
খেজুর গাছের সুমিষ্ট রস পান করেন।
বিশদ
06th July, 2020
অমৃতকথা
সাধনা বলতে তাঁর নামগুণগান, পবিত্র জীবন-যাপন করা, সংগ্রহ পাঠ,
ভক্তসঙ্গ করা—এসব। এর যে কোন একটি নিষ্ঠার সঙ্গে কেউ পালন করলে তাতেও হবে।
এছাড়া জপ-ধ্যান তো আছেই। শাস্ত্রে বলে, স্থিতপ্রজ্ঞের লক্ষণ যা, তাতে
উন্নীত হবার একমাত্র পথ সাধনা।
বিশদ
04th July, 2020
অমৃতকথা
“গুরুত্ব জিনিসটা ফোটে নিছক ভালবাসায় ও শ্রদ্ধায়। এই জন্যেই শুরু
অনেক পণ্ডিত-শিষ্যকে বাদ দিয়েও গুরুগিরির তার অর্পণ করে যান নেহাৎ সরল-সাধু
শিষ্যের উপর। অকপট বিশ্বাস উৎপন্ন না হলে গুরুর কাছ থেকে আসল যা প্রাপ্য
তা পাওয়া যায় না।
বিশদ
03rd July, 2020
অমৃতকথা
মহারাজ—ইন্দ্রিয়ের কর্তা মনকে দমন করতে হবে। আবার মন বুদ্ধি উভয়কেই
আত্মাকে লয় করতে হবে। মনকে একদম মেরে না ফেললে চলবে না। সাধুসঙ্গে
ইন্দ্রিয়গুলি চুপ মেরে আছে, মনে করো না ও-গুলি আর নেই।
বিশদ
02nd July, 2020
বীজমন্ত্র
“আমি উপলব্ধিতে যা পেয়েছি, তাতে
আমার দৃঢ়বিশ্বাস হয়েছে যে, মানুষকে অতি সহজে, অতি ছোটখাটো কথায় বেশী এগিয়ে
দেওয়া যায়। আমি কয়েকটি কথাকেই জীবনের উন্নতির বীজমন্ত্র স্বরূপ ধরে নিয়েছি।
তোমরা বিশ্বাস করে চলে দেখ, তাতে কি আশ্চর্য্য ফল!
বিশদ
01st July, 2020
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন