সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

অশ্বমেধ যজ্ঞ


অশ্বমেধ যজ্ঞ



অশ্বমেধ যজ্ঞ 


ঋগ্বেদে অশ্বমেধ যজ্ঞের কথা আছে।
অশ্বমেধ যজ্ঞে সুলক্ষণযুক্ত পয়মন্ত অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়াটি ও একটি ভেড়া বলি দেওয়ার প্রথা ছিল।
যারা ঘোড়ার মাংস খেতে চাইত না, তারা  ভেড়ার মাংস খেত।
যজুর্বেদের ব্রাহ্মণে,  ঐ একটা ভেড়ার জায়গায়,  একহাজারটা ভেড়া বধের কথা আছে।
অশ্বমেধের নির্দিষ্ট ঘোড়াটি বধ করে সেই মাংস  'রাজরাজড়া'ই  পেত।
অন্যরা,  অনন্যসাধারণেরা,  চুটিয়ে, ভেড়ার মাংসই খেত।

যজ্ঞে,  হাজার হাজার পশুবধ হত বলে,  বুদ্ধদেব ব্যথিত হতেন,  এবং 'অহিংসা পরমধর্ম',  এই মতবাদ প্রচার করেন।

এক সময়ে,   বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে,  ভারতবর্ষে,  হিন্দুধর্মের নাভিশ্বাস উঠেছিল,  এবং বৌদ্ধধর্মের সারা ভারতবর্ষ জুড়ে বিকাশ- সাধন ঘটেছিল,  এবং ছড়িয়ে পড়েছিল।

কিছুদিন,  এইভাবে কাটার পর,  তখনকার হিন্দুধর্মের জ্ঞানী গুণী মান্য মহাত্মন ব্যক্তিরা,  ব্রাহ্মণদের আরো বেশি ক্ষমতা দিয়ে,  একচেটিয়া দেব-দেবীর মূর্তি পূজা করিয়ে,  অবস্থাটা সামলেছিলেন ( ! )  এবং  revive করিয়েছিলেন ! 

গীতায় শ্রীকৃষ্ণের মুখ দিয়েও,  অনেক কথাই বলিয়েছিলেন !

তাতে,  সনাতন হিন্দুধর্মের,  পুনরুজ্জীবন,  পুনঃপ্রবর্তন,  পুনস্মরণ,  পুনরভ্যুদয় প্রভৃতি ঘটেছিল।

এটা হয়তো ছিল,  হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান,  আমি বলব,'রেনেসাঁ'  renaissance.  !

এরপরে হিন্দুধর্ম  renascent,  অর্থাৎ,  নবজীবন বা নবশক্তি লাভ করেছিল !

টগবগিয়ে ছুটেছিল !

এখন,  'অশ্বমেধ ষজ্ঞ নেই,  তবে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ,   'কসাইখানা' আছ!    




* সূত্র 'হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা-সংগ্রহ', তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৫।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন