বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

মধুর হরিনাম সংকীর্তন🌹

 মধুর হরিনাম সংকীর্তন🌹


Sreepad Biswas🌷🌷 মধুর হরিনাম সংকীর্তন🌹🌹(Modur Horinam Songkirton)

Sreepad Biswas

 

ফেসবুক আইডি" Pranab kumar kundu"   আমার একটি পোষ্টে "জগদ্গুরু প্রভুপাদ পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ অষ্টোত্তরশত শ্রীশ্রীমদ্ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী মহারাজ'' লিখে জানতে চেয়েছেন-- এ কেমন নাম?? 

কুন্ডু দাদাশ্রী,

আপনি গলায় ট্রাই পরেছেন, চোখে চশমা দিয়েছেন, মোছও সেভ করা তাই আপনার পরিচিতির জন্য আমরা যদি লিখি-- "ট্রাইপরা চশমা দেয়া মোছবিহীন বাবু প্রনব কুমার কুন্ডু" তাহলে কি কোন ভুল হবে?

ঠিক তেমনই একজন মহাজনের অতি অল্প কয়েকটি গুণ বা বিশেষণ সংযুক্ত করিয়া বৈষ্ণব সদাচারের অংশ হিসাবে নামটি লিখা হয়েছে।

বিশেষণ বা গুণবাচক শব্দগুলোর অর্থ আপনার জ্ঞাতার্থে প্রদত্ত হইল--

জগদ্ গুরু--- সর্বশাস্ত্রার্থ-তত্ত্বোপদেষ্টা, গুরু শব্দের অর্থ--গুরু=(গু+রু)=গু শব্দে  অন্ধকার, রু শব্দে  তেজ। সেই তেজের দ্বারা বিশ্বজগতের পাপাচ্ছন্ন  জীবের অজ্ঞানান্ধকারকে যিনি বিদূরিত করেন তিনি জগদ্গুরু।।

প্রভুপাদ-- সেব্য ও সেবক তত্ত্ব। কার্য-সম্পাদক শক্তি যুক্ত বা বিষ্ণুর পাদপদ্মের সেবক।

 পরমহংস---  রাজহংসকে দুধ ও জল একসঙ্গে মিশিয়ে দিলে, হংসটি দুধ খেয়ে জলটি ফেলে রাখে। ঠিক তেমনি সংসারে সার শ্রীসচ্চিদানন্দময় পরম সত্ত্বা গ্রহণ করে সংসারের অসার অংশ  ত্যাগ কারীই পরমহংস।

পরিব্রাজকাচার্য -- পরিব্রাজক+আচার্য্য---  জীবের কল্যাণার্থে পরিভ্রমণ বা পর্যটন করা। আচার্য্য-- তত্ত্বদর্শী ও তত্ত্বজ্ঞান প্রদাতা বা মন্ত্রব্যাখ্যাতা। 

"আচিনোতি চ শাস্ত্রার্থমাচারে স্থাপয়ত্যপি।

স্বয়মাচরতে যস্মাদাচার্যস্তেন কীর্তিতঃ।।

যিনি শাস্ত্রার্থ সংগ্রহ করিয়া অপরকে সদাচারে স্থাপন করেন এবং স্বয়ং আচরণ করেন তিনিই আচার্য্য। যিনি জগদজীবের কল্যাণার্থে  পরিভ্রমণ বা পর্যটন করিয়া স্বয়ং আচরণ পূর্বক জীবকে সদাচারে ব্রতি করান তিনিই পরিব্রাজকার্য।

নিত্যলীলা--- অপ্রকট লীলা। প্রকট ও অপ্রকট উভয় লীলাই সর্বদা নিত্য হলেও প্রকটলীলাই অনিত্য ব্রহ্মান্ডে প্রকটিত হয়ে  জনগণের দর্শনের বিষয়ীভূত হয়। এটি কোন একটি ব্রহ্মান্ডে নিত্যকাল প্রকট থাকে না। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্রহ্মান্ডে প্রকটিত হয়। যুগপৎ সকল ব্রহ্মান্ডেও প্রকটিত থাকে না। প্রকটলীলা এই বৈশিষ্টকে লক্ষ করিয়াই- এটি নিত্য হলেও, মায়িক বা জড় দেশ কাল ক্ষোভ্য না হলেও নিত্যদেশ ও নিত্যকালে নিত্যপ্রকটিত অপ্রকটলীলাকেই নিত্যলীলা বলা হয়। 

প্রবিষ্ট-- অদৃশ্য বা সূক্ষরুপ।

অষ্টোত্তরশত-- ১০৮

ওঁ বিষ্ণুপাদ--সেব্যতত্ত্বের শ্রীপাদপদ্ম।

"শ্রীমদ্ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী" হইল মূল নাম।

গোস্বামীঃ গো- শব্দে গভীর অন্ধকার, স্বামী অর্থে উদ্ধারকারী। যিনি গভীর অন্ধকারে পতিত জীবকে উদ্ধার করেন তিনি গোস্বামী।

মহারাজঃ-- অনিত্য বিপুল ধন ও ঐশ্বর্য্যাদি তুচ্ছিকৃত করিয়া শ্রীকৃষ্ণ মহাধনে যিনি ধনী তিনিই মহারাজ।

আশা করি আমার এ ক্ষুদ্র জ্ঞানলব্দ লেখাটি আপনি অনুধাবন করতে পারিয়াছেন।

দীন,

দাস কৃষ্ণানন্দ।

-----------------------------------------


Pranab Kumar Kundu

দারুণ লিখিয়াছেন। জানিলাম।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন