শিব জাতিভেদ, গোত্রভেদ, বর্ণভেদ মানতেন না।
শিব জাতিভেদ, গোত্রভেদ, বর্ণভেদ মানতেন না। সুতরাং তিনি অধিকার-ভেদ কী ভাবে নির্ধারণ করেছিলেন ?
শিব বলছেন, জন্মজন্মান্তরের সুকৃতিতে জীব যখন মানবত্বে অধিরূঢ় হয়, মনুষ্যত্বের অভিজ্ঞান প্রাপ্ত হয় তখনই সে আত্মজ্ঞান অর্জনের অধিকারী বলে বিবেচিত হয়।
প্রশ্ন করা যেতে পারে যে প্রতিসঞ্চর ধারায় স্বাভাবিক নিয়মে একদিন বিভিন্ন জীব মানবত্বের পরিভূতে তো আসবেই। তবে মানবত্ব প্রাপ্তির জন্যে প্রাজন্মিক সুকৃতির কথা কেন বলা হ’ল?
আসল কথা হচ্ছে এই যে জীব প্রতিসঞ্চার ধারায় এগোয় স্তরে স্তরে একটি সুবিন্যস্ত পদ্ধতি ধরে।
সব চেয়ে উন্নত যে জীব প্রতিসঞ্চার ধারায় ঠিক পরের ধাপটিতে এসে মানুষের জন্ম লাভ করছে সে নিশ্চয়ই মানুষ।
কিন্তু তার পরিস্থিতি পশুত্ব ও মনুষ্যত্বের অভিন্ন রেখার কাছাকাছি।
সুতরাং শরীর মানুষের হলেও চিন্তায় স্মরণে আচরণে অল্পস্বল্প মানুষের মত হলেও পশু-জীবনের সংস্কার তার সর্ব সত্তায় ভরপুর হয়ে থাকে, অধ্যাত্মচেতনার উন্মেষ তার মধ্যে খুবই কম হয়ে থাকে, পশুসুলভ বৃত্তির দিকেই সে ছোটে বেশী।
শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তির ‘নমঃ শিবায় শান্তায়’ থেকে
বর্তমান 08th June, 2019
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন